• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আজও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে
বেশ কয়েকদিন ধরেই তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে চুয়াডাঙ্গা ও যশোরের ওপর দিয়ে।  বুধবার (১ মে) বিকেল ৩টায় এ দুই জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় ২২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। যা ছিল দেশের ইতিহাসে তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। একইদিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে রেকর্ড করা হয়, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৭৩ সাল থেকে দেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ২০০৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছিল। চলতি মাসের ১২ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপদাহ। তীব্র তাপদাহের কারণে প্রশাসনের তরফ থেকে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগীর চাপ অস্বাভাবিকহারে বেড়ে গেছে। প্রচণ্ড তাপদাহে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সেই সঙ্গে বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। তাপদাহে খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান। তিনি বলেন, আজ দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তখন বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ। বিকেল ৩টায় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ বিষয়ে খুলনা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আজাদ বলেন, দুপুর ৩টায় যশোর বিমান বাহিনীর আবহাওয়া দপ্তর যশোরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে, যা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এ দিকে গত কয়েক দিন ধরে চলা তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল হয়ে পড়েছে যশোরের সাধারণ মানুষের জনজীবন। শহরে দিনে লোকজনের উপস্থিতি কমে গেছে। তবে তিন চাকার চালকরা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মুজিব সড়ক, দড়াটানা মোড় থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন সড়কে তীব্র দাবদাহে প্রায় জনশূন্য দেখা গেছে। মানুষের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি যানবাহনের উপস্থিতিও কম। কিছু ইজিবাইক, রিকশা দেখা গেলেও যাত্রীর অপেক্ষায় মোড়ে মোড়ে বসে থাকতে দেখা গেছে চালকদের।
৪ ঘণ্টা আগে

যশোরে বাসচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত
যশোরের বেনাপোলে গোল্ডেন লাইন পরিবহনের চাপায় মোস্তফা (৪৮) নামে এক সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আনিসুর রহমান (৩৩) নামে অপর এক সাইকেল চালক গুরুতর আহত হয়েছেন।  বুধবার (১ মে) যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের বেনাপোল সানরাইজ স্কুল ও রজনী ক্লিনিকের সামনে এ দুঘর্টনা ঘটে। নিহত মোস্তফা শার্শার লাউতাড়া গ্রামের আবুল ঢালীর ছেলে এবং আনিসুর রহমান একই গ্রামের রেজাউল মুন্সির ছেলে। বাসে থাকা যাত্রী ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ঢাকা টু বেনাপোলগামী গোল্ডেন লাইন পরিবহেরন বাসটি দ্রুত গতিতে আসছিলো। বেনাপোল সানরাইজ স্কুল ও রজনী ক্লিনিকের সামনে আসলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তা বেনাপোলগামী দু’জন সাইকেল আরোহীকে চাপা দেয়।  এ সময় ঘটনাস্থলে মোস্তফার মৃত্যু হয় এবং অপর একজনকে বেনাপোল ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার করে নাভারণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বাসটিকে আটকে রাখলেও বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যান।
১২ ঘণ্টা আগে

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি 
যশোর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। এককথায় তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।  আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঢাকার তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৬

যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি
দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ তীব্র থেকে অতি তীব্র আকার ধারণ করেছে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বাড়ছে জনজীবনে। এককথায় তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন। আজও যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা এবারের মৌসুমে এ অঞ্চলে সর্বোচ্চ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) এ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে যশোর মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি সূত্র। তারা জানিয়েছে, এ দিন দুপুর ২টায় যশোরে এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল শতকরা ২২ ভাগ।  যদিও গতকাল যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। লাগাতার তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এ দিকে আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে তাপদাহের মধ্যেই রোববার (২৮ এপ্রিল) খুলেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তবে সেদিন রাতেই যশোরসহ পাঁচ জেলার মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে খোলা থাকবে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই তীব্র তাপ প্রবাহের মধ্যে জাতীয়ভাবে হিট অ্যালার্ট তিনদিন বৃদ্ধি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। উল্লেখ্য, গত দুসপ্তাহ ধরে যশোরসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বিরাজ করছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৭

তীব্র তাপদাহে পুড়ছে দেশ, যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি
তীব্র তাপদাহে পুড়ছে সারাদেশ। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাজধানী ঢাকায় শুক্রবারের চেয়ে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী অন্তত দু’দিন তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে যশোর বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে যশোরে রেকর্ড তাপমাত্রার বৃদ্ধির তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বেশ কয়েকদিন দিন ধরেই খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে এ বিভাগের যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে।  আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়, প্রতিদিনই তাপমাত্রা এক ডিগ্রি করে বাড়ছে। তিনদিন আগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এ দিন তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোরে তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার যশোরে তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর চুয়াডাঙ্গায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ দিকে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমে যশোরে নাকাল হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে। গরমে গলে গেছে শহরের বেশ কয়েকটি পিচঢালা রাস্তা। সূর্যের তাপ এতই বেশি যে, যাত্রাপথে ছাতা মাথায় দিয়ে তাপ থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন অনেকে।  যদিও আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হচ্ছে, এ তাপদাহ আরও কিছুদিন বিরাজ করবে। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অস্বস্তি আরও বাড়বে।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৩৭

যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহে নাকাল জনজীবন
যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বাড়ছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে রোদে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। শনিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শুক্রবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিন ধরে এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ৪০ এর ওপরে ওঠানামা করছে।  এদিকে গরমের কারণে বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে পাঁচ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছেন ২৫ রোগী। যার মধ্যে ১১ জন শিশু। লাগাতার তাপদাহের কারণে রোদের মধ্যে বাইরে না বের হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ। 
২০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

যশোরে তীব্র তাপপ্রবাহ, বিপর্যস্ত জনজীবন
যশোরে লাগাতার গরমে চরম দুর্ভোগে জনজীবন। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। এ অবস্থায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৪০ শতাংশ। দুপুর ৩টা নাগাদ তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। বৃহস্পতিবার যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।  এদিকে যশোরে লাগাতার তাপদাহের কারণে জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্য সম্পর্কিত জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের বিষয়ে ভাবছে। যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেন, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। আজকের অবস্থাও সেদিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে আমরা দ্রুত কিছু স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সতর্কতা বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করতে যাচ্ছি। লোকজন যেন এই রোদে ঘর থেকে বের না হয়। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করে ইত্যাদি।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১

যশোরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুন
যশোরে চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।  শনিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের বাহাদুরপুর গ্রামের সার গোডাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় সড়কের দুই পাশে শতাধিক যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে যায়। পুলিশের একাধিক টিম প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজের একটি অ্যাম্বুলেন্স যশোর শহরের দিকে যাচ্ছিল। বাহাদুরপুরে পৌঁছালে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন।  যশোর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজিজুল হক বলেন, ইঞ্জিনে ত্রুটির কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খুলনা মেডিকেল কলেজের এই অ্যাম্বুলেন্সটি নতুন। গাড়িতে শুধু চালক একা ছিলেন। গাড়িটি গ্যারেজে ছিল। সেখান থেকে নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে তিনি গাড়িটি চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন।  এ বিষয়ে ইছালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আমিনুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে আসে। জানমালের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।  
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৫

ধানখেতে আছড়ে পড়া বিমানটি নেওয়া হয়েছে যশোরে
নড়াইলের বিলের মধ্যে ধানখেতে আছড়ে পড়া বাংলদেশ বিমানবাহিনীর সেই প্রশিক্ষণ বিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি গ্রামের ধানখেত থেকে হেলিকপ্টারে করে বিমানটি চারখাদা স্কুল মাঠে আনা হয়। সেখান থেকে বিমানবাহিনীর একটি ট্রাকে করে যশোর ঘাটিতে নেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বুধবার দুপুর ২টা ৫৪ মিনিটে সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের তারাশি গ্রামের ধানখেতে এটি পড়ে। বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমানটির নম্বর ২৭২০। প্রশিক্ষণ বিমানটি যশোর বিমানবন্দর থেকে ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ড আকাশে উড়ে। স্থানীয় লোকজন জানার, তারাশি গ্রামের ওপর দিয়ে বিমানটি উড়ছিল। অনেক নিচে চলে আসায় খুব কাছে আসা বিমানটি দেখে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে ধানখেতে আছড়ে পড়ে বিমানটি। এ ঘটনার পরপরই একটি হেলিকপ্টার এসে বিমানে থাকা ২ পাইলটকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় ওই বিমানে থাকা দুজন পাইলটই অক্ষত অবস্থায় ছিলেন। বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসে দুজন পাইলটকে উদ্ধার করে যশোর নিয়ে যায়। বিমানটি হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিমানবাহিনীর কেউ দুর্ঘটনার বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি। বিকেলে বিমানবাহিনীর একটি টেকনিক্যাল টিম এসে বিমানটি খুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। নড়াইল সদর থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম জানান, ইঞ্জিনের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ধানখেতে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে। পরে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার এসে ২ পাইলটকে নিয়ে গেছে। তারা হলেন স্কোয়াড্রন লিডার নাদিম ও স্কোয়াড্রন লিডার মাহফুজ। বিমানে থাকা ২ স্কোয়াড্রন লিডার সুস্থ আছেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৫

যশোরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
যশোরে জিল্লুর রহমান শিমুল (৪৮) নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জেলা সদরের চূড়ামনকাটি ইউনিয়নের গোবিলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের মোখলেসুর রহমানের ছেলে। সে চূড়ামনকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। নিহতের ভাই রাকিব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও নোংরা রাজনীতির শিকার তার ভাই। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ গ্রুপের সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিমুল মারা যান। যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুজায়েত হোসেন বলেন, শিমুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানোর পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কী কারণে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা উদঘাটন ও জড়িতদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
২২ মার্চ ২০২৪, ০০:৩৪
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়