• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ছেলের কবরে বেড়া দিতে গিয়ে মারা গেলেন বাবাও
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ছেলের মৃত্যুর পাঁচ দিন পর কবরে বেড়া দিতে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সাদেকুর রহমান ওই এলাকার মলাই উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে।  এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুই বন্ধুসহ তেল আনতে গিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের ভাদুঘরে ট্রাকচাপায় নিহত হন শাহাদাৎ হোসেন। পরে তাকে গ্রামের বাড়ি আখাউড়ার আনোয়ারপুর গ্রামে দাফন করা হয়।  এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী কালু বলেন, সাদেকুর রহমান ভূঁইয়া দুই ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ছিলেন। বড় ছেলে সৌদি আরব প্রবাসী। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। ছোট ছেলে শাহাদাৎ হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের পড়াশোনা করতেন। শাহাদাৎ তার মাকে নিয়ে জেলা শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি শাহাদাতকে মোটরসাইকেল কিনে দেন সাদেকুর রহমান। কিন্তু এ মোটরসাইকেলই কেড়ে নিলো আদরের ছেলেকে।  তিনি আরও বলেন, ছেলের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে আজ ছেলের কবরে বেড়া দিতে বাগানে বাঁশ কাটতে যান সাদেকুর রহমান। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
৭ ঘণ্টা আগে

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ সময় বেলা ২টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। আজ তিনি ইন্তেকাল করেছেন। মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে অনুশীলনের জন্য তালিকাভুক্ত হন। ২০০১ সালের ২৩ অক্টোবর তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।  ২৪ জানুয়ারি ২০০৭ সালে অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।  এ জে মোহাম্মদ আলী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। সবশেষ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কমিটিতে তাকে সভাপতি করা হয়। বিএনপি সরকারের সময় তিনি দক্ষতার সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।  তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সিনিয়র নেতাদের বহু মামলার আইনজীবী।  
০২ মে ২০২৪, ১৫:৩৮

হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি, কমছে ডিম উৎপাদন
দিনাজপুরের হিলিতে কয়েক দিন ধরেই বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাবদাহ, সেই সঙ্গে ঘনঘন লোডশেডিং। তাপমাত্রা ৩৫ থেকে ৪০ ডিগ্রিতে ওঠানামা করছে। তীব্র গরমে পোলট্রি খামারগুলোয় হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে মুরগি। নানা রকম ওষুধ প্রয়োগ করেও মুরগি বাঁচানো যাচ্ছে না। লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে খামারিদের। উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে দেওয়া হচ্ছে সব ধরনের পরামর্শ।  দিনাজপুরের হিলিসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে কয়েক দিন থেকেই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন আবহাওয়ার প্রভাব পড়েছে পোলট্রি খামারে। ঘনঘন লোডশেডিং ও অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে মারা যাচ্ছে খামারের মুরগি। তীব্র তাপদাহে বিপাকে পড়েছেন পোলট্রি উদ্যোক্তারা।  প্রতিদিন খামারে ২০ থেকে ৩০টি করে মুরগি মারা যাচ্ছে। টানা ১০ দিনের তাপপ্রবাহে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে খামারগুলোতে। এমন পরিস্থিতিতে খামারিদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার দাবি জানান তাদের। হিলির মুরগি খামারি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, আগে ৩ বেলা পানি স্প্রে করা হলেও এখন খামারে ৪-৫ বার স্প্রে করা হচ্ছে। এতে করেও ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। গরমের কারণে মুরগির ডিমের উৎপাদনও অর্ধেকে নেমেছে। যে খামারে এতদিন ৩ হাজার পিস ডিম পাওয়া যেত এখন সেই একই খামারে ১ থেকে দেড় হাজার পিস ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে ডিমের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন খামারিরা। এদিকে হাকিমপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মাহাবুবুর রহমান বলেন, মুরগির খামারে হিটস্ট্রোকের হাত থেকে বাঁচতে আমরা নিয়মিত উঠান বৈঠকসহ নানা রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। এ ছাড়াও মুরগির খামারের ছাদে পাটের বস্তা ভিজিয়ে এবং খড় ছিটিয়ে নিয়মিত পানি দিতে বলা হচ্ছে। আগের তুলনায় খাবারের পরিমাণ কম দিতে হবে সেই সঙ্গে যখন তাপমাত্রা কম থাকবে তখন খাবার দিতে বলা হচ্ছে।  তিনি আরও বলেন, এই উপজেলাতে ১৫০টির বেশি ছোট-বড় মুরগির খামার আছে। এ ছাড়া দেশি হাঁস-মুরগি রয়েছে সাড়ে তিন লাখ। স্থানীয় পর্যায়ে মাংসের চাহিদা মিটিয়ে যা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯

বউভাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
নাটোরের বড়াইগ্রামে মামাতো বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত জাওহার আমিন লাদেন (১৮) নামে এক কলেজছাত্র মারা গেছেন। এর আগে দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হন। এ নিয়ে নিহত বেড়ে ৩ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতরা মামাতো-ফুফাতো ভাই। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাওহার আমিন লাদেনের মৃত্যু হয়। তিনি বড়াইগ্রামের গোপালপুর গ্রামের মাদরাসা শিক্ষক মাওলানা রুহুল আমিনের ছেলে। এর আগে, গত ১৫ এপ্রিল ধামানিয়াপাড়া গ্রামে বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হন জাওহার আমিন লাদেন, আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আকিব হাসান ও খায়রুল বাশার ছাগির। নিহতরা মামাতো-ফুফাতো ভাই। বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, বোনের বউভাতের অনুষ্ঠানে গিয়ে জাওহারসহ তিন ভাই মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। পথে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে তিনজনই আহত হন। খবর পেয়ে স্বজনেরা তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে তিনজনই মারা যান।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪২

‘হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে দিনে লক্ষাধিক মুরগি’
চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোক করে সারাদেশে লাখ-লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। গড়ে প্রতিদিনে যার মূল্য দাড়ায় ২০ কোটি টাকা। এ অবস্থা চলমান থাকলে আগামী দিনে ব্রয়লার মুরগি ও ডিম সংকটে পড়তে পারে দেশ। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পোলট্রি খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার এ শঙ্কা প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেন। এ সংকট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।   পোলট্রি খামারিরা এখন উভয় সংকটে রয়েছে দাবি করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মুরগির বাচ্চার সংকটে ২৮ থেকে ৩০ টাকা উৎপাদন খরচের মুরগির বাচ্চা খামারিদের দ্বিগুণ দামে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এখন চলমান তাপপ্রবাহের ফলে হিটস্ট্রোকের কারণে সারাদেশে প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মুরগি মারা যাচ্ছে। এই ভয়ানক পরিস্থিতিতে, ডিম ও মুরগি উৎপাদন ৪ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঈদের পর গত ১০ থেকে ১২ দিনে সারাদেশে ১০ লাখের বেশি ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালী মুরগি মারা গেছে। এরমধ্যে ৮০ শতাংশই ছিল ব্রয়লার মুরগি। এতে মোট ক্ষতির পরিমাণ ২০০ কোটি টাকায় দাঁড়াবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে খামারগুলো বন্ধ হয়ে যাবে; ডিম ও মুরগির উৎপাদন কমে যাবে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কর্পোরেট ডিম ও মুরগি সরবরাহকারীরা ও তেজগাঁও-ভিত্তিক ডিম সিন্ডিকেট ডিম ও মুরগির সংকট তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, জুন থেকে তারা দাম বাড়াতে শুরু করবে। আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডিম ও মুরগির দাম মারাত্মকভাবে বাড়বে।   এ থেকে উত্তরণের পথ দেখানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। সরকারের প্রতি পোল্ট্রি খামারিদের রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে মো. সুমন হাওলাদার বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে খামারিদের মুরগির বাচ্চা ও পোল্ট্রি ফিডে ভর্তুকি দিয়ে উৎপাদনে ধরে রাখতে হবে। সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখতে হবে। এতে করে বাজারে সংকট সৃষ্টি হবে না। 
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮

জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার প্রথম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস (৭৮) মারা গেছেন।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। জানা গেছে, শিব নারায়ণ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকদের পরামর্শে দ্রুত তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এক শোক বার্তায় শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭০ সালের ছয় জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ১১৬ নং কক্ষে রাতে পুরো পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন শিব নারায়ণ দাস। যা  ১৯৭১-এর দুই মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলিত হয়।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৬

ভাসানটেকে সিলিন্ডারের আগুনে দগ্ধ ৬, মায়ের পর মারা গেলেন মেয়েও
রাজধানীর পশ্চিম ভাসানটেকে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে দগ্ধ একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে সূর্য বানু (৪০) নামে আরও এক নারী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ নিয়ে আগুনের ঘটনায় দুজনের মৃত্যু হলো। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা যান। এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে সূর্য বানুর মা দগ্ধ মেহেরুন্নেছার (৬৫) মৃত্যু হয়। দগ্ধ অন্য চারজন বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তারা হলেন সূর্য বানুর স্বামী মো. লিটন (৫২) এবং তাদের তিন সন্তান লিজা (১৮), লামিয়া (৭) ও সুজন (৮)। গত শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেকের একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। পরে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। স্থানীয়রা জানান, মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপের লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসে ঘরের মধ্যেআগুন ধরে যায়। এতে ওই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম ঘটনার দিন দুপুরে জানিয়েছেন, দগ্ধদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে সূর্য বানুর শরীরের ৮২ শতাংশ, লিটনের ৬৭ শতাংশ, লামিয়ায় ৫৫ শতাংশ, মেহরুন্নেচ্ছার ৪৭ শতাংশ, সুজনের ৪৩ শতাংশ ও লিজার দগ্ধ হয়েছে ৩০ শতাংশ।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৩৭

শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে আইসিইউতে পাঠালেন স্বজনরা
চট্টগ্রামের একটি মেডিকেল সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে শিশু মারা যাওয়ায় চিকিৎসককে বেধড়ক মারধর করেছেন স্বজনরা। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল রাত  ১০টার দিকে চট্টগ্রামে মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত এক বছর বয়সী এক শিশুকে নিওনাটাল আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শিশুটির অবস্থা খুবই সংকটপূর্ণ ছিল। রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনার পরপরই চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ এনে চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলুর ওপর হামলা চালায় শিশুটির বাবাসহ স্বজনরা। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত পান চিকিৎসক রিয়াজ। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টারের ম্যানেজার ডা. মো. ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপো এলাকা থেকে এক শিশুকে শনিবার রাতে এনআইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শিশুটি মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায় তার স্বজনরা। গুরুতর ওই চিকিৎসককে চমেক হাসপাতালে আইসিইউর ১৫ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়েছে।  বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী বলেন, বিষয়টি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি।  তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৪

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৪

হেপাটাইটিসে প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে : ডব্লিউএইচও     
বিশ্বজুড়ে হেপাটাইটিস ভাইরাসে প্রতিদিন মারা যাচ্ছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সতর্ক করে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংক্রামক ঘাতকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এই সপ্তাহে পর্তুগালে বিশ্ব হেপাটাইটিস সম্মেলন উপলক্ষে রেখে প্রকাশিত ডব্লিউএইচও রিপোর্ট অনুসারে ১৮৭টি দেশের নতুন তথ্যে দেখা গেছে, ভাইরাল হেপাটাইটিসে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২০২২ সালে ১৩ লাখে দাঁড়িয়েছে, যা ২০১৯ সালে ছিল ১১ লাখ। ডব্লিউএইচওএর গ্লোবাল এইচআইভি, হেপাটাইটিস এবং যৌন-সংক্রমিত সংক্রমণ কর্মসূচির প্রধান মেগ ডোহার্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এগুলো হল ‘আশঙ্কাজনক প্রবণতা।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিস সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন ৩,৫০০ জন মারা যাচ্ছে। এদের মধ্যে হেপাটাইটিস বি থেকে ৮৩ শতাংশ, হেপাটাইটিস-সি থেকে ১৭ শতাংশ। কার্যকর এবং সস্তা জেনেরিক ওষুধ রয়েছে যা এই ভাইরাসগুলো প্রতিরোধ করতে পারে। তবুও দীর্ঘস্থায়ী হেপাটাইটিস-বি আক্রান্তদের মধ্যে মাত্র তিন শতাংশ ২০২২ সালের শেষ নাগাদ অ্যান্টিভাইরাল চিকিৎসা পেয়েছে। হেপ সি-এর জন্য, মাত্র ২০ শতাংশ - বা ১২.৫ মিলিয়ন লোককে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  ডোহার্টি বলেন, ‘এই ফলাফলগুলো ২০৩০ সালের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী হেপ বি এবং সি এর সাথে বসবাসকারী সমস্ত লোকের ৮০ শতাংশের চিকিৎসা করার জন্য বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক নিচে নেমে গেছে।’ হেপাটাইটিস সংক্রমণের সামগ্রিক হার কিছুটা কমেছে। তবে ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস জোর দিয়েছিলেন যে, প্রতিবেদনটি ‘একটি উদ্বেগজনক চিত্র এঁকেছে’। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘হেপাটাইটিস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি সত্ত্বেও, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে কারণ হেপাটাইটিসে খুব কম লোকেরই নির্ণয় এবং চিকিৎসা করা হচ্ছে।’  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার নতুন হেপ বি সংক্রমণের ৬৩ শতাংশের জন্য দায়ী, তবুও মহাদেশে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজনের কম শিশুর জন্মের সময় টিকা দেওয়া হয়। জাতিসংঘের সংস্থাটিও দুঃখ প্রকাশ করেছে, ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে জেনেরিক হেপাটাইটিস ওষুধের পর্যাপ্ত অ্যাক্সেস নেই এবং তাদের আরও বেশি অর্থ প্রদান করা উচিত।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেপাটাইটিসের দুই তৃতীয়াংশই বাংলাদেশ, চীন, ইথিওপিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, রাশিয়া এবং ভিয়েতনামে। ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘২০২৫ সালের মধ্যে এই ১০টি দেশে প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সার্বজনীন সুবিধা এবং আফ্রিকান অঞ্চলে জোর প্রচেষ্টার পাশাপাশি এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম সঠিক পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য।’ 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়