• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ওআইসির সহযোগিতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী 
রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আইনি ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ওআইসি সম্মেলনের শেষ দিনের অধিবেশনে স্থানীয় সময় রোববার (৫ মে) বিকেলে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহার উপস্থিতিতে ওআইসি নেতৃবৃন্দের সামনে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার অগ্রগতি তুলে ধরেন পরাষ্ট্রমন্ত্রী। অধিবেশনে ড. হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে রোহিঙ্গাদের আইনি অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা করায় গাম্বিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আইন ও আর্থিক বিষয়ে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতা মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে সহায়ক হবে।  সভায় সৌদি আরব, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, প্যালেস্টাইনসহ উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রসমূহের প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গা সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদৌ তাঙ্গারা মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।  
৯ ঘণ্টা আগে

মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবক গ্রেপ্তার
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মো. রাকিব (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে উপজেলার চরআবাবিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।  র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  রাকিব উপজেলার চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে ও পেশায় রঙমিস্ত্রি। ভিকটিম মাদরাসাছাত্রী তার প্রতিবেশী।  গত ২ মে রাকিবসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায়পুর থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ভিকটিমের মা।  মামলার বরাত দিয়ে র‍্যাব জানায়, ভিকটিমের বাবা দিনমজুর ও মা মানুষের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। ভিকটিম স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মাদরাসা যাওয়া-আসার পথে বিভিন্ন সময় আসামি ভিকটিমকে প্রেম নিবেদনসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২১ এপ্রিল বিকেলে ভিকটিম তার বাসা থেকে বড় বোনের শ্বশুর বাড়িতে যাচ্ছিল। এ সময় পথে অভিযুক্ত রাকিব অজ্ঞাতনামা আরও তিন জনের সহায়তায় তার মুখ চেপে ধরে সিএনজিযোগে তুলে নিয়ে যায়।  পরে হত্যার ভয় দেখিয়ে চাঁদপুরের হাইমচর লঞ্চঘাটে নিয়ে যাওয়া হয় ওই শিক্ষার্থীকে। সেখানে লঞ্চের একটি কেবিনে আটকে রেখে রাকিব ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে রাকিব তাকে বিয়ের কথা বলে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং বসতঘরে আটক রাখে। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে রায়পুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করলে র‍্যাব-১১ রাকিবকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে।  র‍্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম মোর্শেদ বলেন, আসামি রাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রায়পুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
০৫ মে ২০২৪, ২০:৫৪

নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে নুরুন্নবী হত্যা মামলায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রোববার (৫ মে) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ ১-এর আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাডভেকেট নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের মৃত ইনারী সর্দারের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, রাজ্জাকের ছেলে শাহাদুল ও শাহদুলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম রেখা, মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে মোজাহার আলী ও সামছুদ্দিনের ছেলে রেজাউল। মামলার বিবরণে জানা গেছে, ক্ষেতলাল উপজেলা বড়াইল শেখপাড়া গ্রামের আলতাফের ছেলে নুরুন্নবীর সঙ্গে মরিয়ম বেগমের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নুরুন্নবী বাড়ি থেকে বের হয়ে ওই রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি। পরকীয়ার জেরে আসামীরা তাকে হত্যা করে।  পরে ২০ নভেম্বর উপজেলা দক্ষিণ হাটশহর এলাকার একটি পুরাতন কবরে নুরুরন্নবীর মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা পরের দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে সাক্ষপ্রমাণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
০৫ মে ২০২৪, ১৬:৩৯

মানবপাচার মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে মিল্টন সমাদ্দার
মানবপাচার আইনে করা মামলায় ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’র চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (৫ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তার শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের জাল মৃত্যু সনদ দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় তিনদিনের রিমান্ড শেষে তাকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিকে তার বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মানবপাচারের অভিযাগে বুধবার (১ মে) রাতে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মিরপুর মডেল থানায় মামলাটি করেন ধানমন্ডির বাসিন্দা এম রাকিব (৩৫)। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি শেরে বাংলানগর থানার ধানমন্ডি বয়েজ স্কুলের সামনে দুই বছরের এক শিশুকে পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তিনি থানায় ফোন করেন। কিন্তু থানা পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’-এ ফোন করলে মিল্টন সমাদ্দার ওই শিশুকে নিয়ে যান। তখন বাদী নিজেও তাদের সঙ্গে যান। মিল্টন সমাদ্দার তাকে (বাদী) অজ্ঞাতনামা শিশুর অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেন। পরে মিল্টন সমাদ্দারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে ‘চাইল্ড এন্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে’ ভর্তি করা হয়। এরপর মিল্টন সমাদ্দার জানান, আদালতের মাধ্যমে শিশুটিকে দত্তক নেওয়া যাবে। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ একদিন ফোন করে মিল্টন সমাদ্দার আমাকে গালিগালাজ করেন এবং বলেন আমি যেন তার প্রতিষ্ঠানে আর না যাই, শিশুটির খোঁজ-খবর না নেই। এরপর আরও বেশ কয়েকজন ফোন করে আমাকে হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান। প্রাণভয়ে আমি আর সেখানে যাইনি। সম্প্রতি একটি খবর চোখে আসার পর গত ২৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। শিশুটি কোথায় আছে, সে ব্যাপারেও সদুত্তর মেলেনি। বাদীর অভিযোগ, শিশুটিকে পাচার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এরপর বৃহস্পতিবার (২ মে) মিরপুর মডেল থানায় প্রতারণার অভিযোগে একটি মামলা করা হয়। মামলায় মিল্টনের সহযোগী কিশোর বালা নামে একজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় বৃহস্পতিবার (২ মে) মিল্টনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবির এসআই কামাল হোসেন। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
০৫ মে ২০২৪, ১৬:৩১

৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় ৬ বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় সুন্নত আলী নামের এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সুন্নত আলী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের হরিশপুর গ্রামের মৃত পিরু মণ্ডলের ছেলে ও পেশায় মুদি দোকানদার। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ভুক্তভোগী শিশুকে তার মা সুন্নত আলীর দোকান থেকে মোবাইলের রিচার্জ কার্ড (মিনিট কার্ড) কিনতে পাঠান। এ সময় বৃদ্ধ শিশুটিকে দোকানের মধ্যে নিয়ে তার যৌনাঙ্গে জোরপূর্বক আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন। এতে শিশুটির যৌনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে শিশুটি বাড়ি গিয়ে তার মাকে বিষয়টি জানালে তারা দ্রুত দর্শনা থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন। পরে পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে দর্শনা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দর্শনা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা। তিনি বলেন, শিশুটির পরিবার ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সরাসরি ধর্ষণ না হলেও যৌন চাহিদা পূরণ করতেই শিশুটির সঙ্গে এমন কাজ করেছেন তিনি। এ ছাড়া ধর্ষণ হয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আমরা চিকিৎসকের মতামত নেব। তদন্ত করে যেটা পাব সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফারহানা পলাশ বলেন, রাতেই ওই শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।
০১ মে ২০২৪, ১৭:৪৬

‘রূপান্তর’ বিতর্ক : মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন আদালত
ফারহান আহমেদ জোভান অভিনীত ‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে মুক্তির পরই নানান মন্তব্যের ঝড় উঠে নেটদুনিয়ায়। দর্শকদের মাঝে শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। নানা নাটকীয়তার পর শেষমেষ মামলা গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এবার এই মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ( ৩০ এপ্রিল) সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতের বিচারক জাকির হোসেন ‘রূপান্তর’ নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৭ আসামির বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে বলে জানা গেছে। ‘রূপান্তর’ নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। জোভানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি। শুধু অভিনেতাই নয়, নাটকের গল্পের কারণেও তোপের মুখে পড়েন অভিনেত্রী ও পরিচালকও।    নাটকটি দেখার পর দর্শকদের অভিযোগ— রিংকু পরিচালিত নাটকটিতে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ ইস্যুকে প্রমোট করা হয়েছে। এমনকি নাটকটির স্পন্সর ওয়ালটন থাকায় এই ব্র্যান্ডের পণ্য বয়কট করারও দাবি জানান অনেকে।  নাটকের গল্পে দেখা যায়, ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যায় গল্পের নায়ক সৌরভের মা। তার বয়স তখন এক বছর। তবে শিশুটি বেঁচে যায়। মাকে ছাড়া বড় হয় সৌরভ। কিন্তু এক সময় সৌরভের পরিবার বুঝতে পারে হরমোনজনিত সমস্যায় ভুগছে তাদের ছেলে। সৌরভ শারীরিকভাবে ছেলে হলেও হরমোনজনিত কারণে তার মাঝে রয়েছে নারীসুলভ আচরণ।  নাটকটি মুক্তির পর সমালোচনার ঝড় উঠলে নাটকের নির্মাতা রিংকু ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলেন ‘রূপান্তর’। অন্যদিকে নেটিজেনদের একাংশের ভাষ্য, ট্রান্সজেন্ডার সমাজেরই অংশ। নাটকটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলে ট্রান্সজেন্ডারকে অবমাননা করেছেন নির্মাতা। ‘রূপান্তর’ নাটকের বিতর্ক তুমুল পর্যায় পৌঁছালে নানা অভিযোগে সি.আর ৬৪৬/২৪ ধারায় মামলা হয়। অভিনেতা-অভিনেত্রী, পরিচালকসহ ৬ জনকে আসামি করে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নং আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হিসেবে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাউসার উল জিহাদ।      
০১ মে ২০২৪, ১০:৪৭

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ নামে এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় আরও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১-এর বিচারক আজিজুল হক এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জয়নাল মিয়া, মিলন আহমেদ, আবুল ফজল, কুতুব উদ্দিন, রফিক মিয়া, জাকির হোসেন ও আব্বাস উদ্দিন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ছায়েদ আলী, মিজাজ আলী, মতলিব মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আবুল কালাম, জিয়াউর রহমান, আয়াত আলী (পলাতক), ইছাক আলী, জজ মিয়া ও ইব্রাহিম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি মেম্বার মিলন আহমেদ ও হারুন আহমেদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০০৩ সালে ইউপি নির্বাচনের পর এ বিরোধ আরও তীব্র হয়। ওই বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে হারুন আহমেদসহ ৭-৮ জন নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল আহমেদকে দাওয়াত দিতে যান। এ সময় পথে মিলন আহমেদের নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান। হামলায় হারুন আহমেদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার শরীরে ৩২টি ফিকলের (সুচালো অস্ত্র) আঘাতের চিহ্ন পায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সুমন আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় ৪৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৮ আগস্ট সব আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আজ রায় ঘোষণা করেন। অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, আসামিদের মধ্যে আটজন বিচার চলাকালীন মারা যান। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ২২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১

মিতু হত্যা মামলায় বাবুল আক্তারকে জামিন দেননি আদালত
স্ত্রী মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. শাহনেওয়াজ। আর আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। এর আগে মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। ২০২৩ সালের ২৩ মার্চ মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত এ আদেশ দেন। বাবুল আক্তারের সঙ্গে অভিযোগপত্রভুক্ত অপর ছয় আসামি হলেন কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। তাদের মধ্যে বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। এহতেশামুল জামিনে, কামরুল শিকদার মুসা ও খাইরুল ইসলাম কালু শুরু থেকে পলাতক। ২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় স্ত্রী মাহমুদা খানম ওরফে মিতুকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনার পরেরদিন নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন স্বামী বাবুল আক্তার। এরপর ২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার থাকাকালে বাবুলের সঙ্গে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সম্পর্ক হয়। ওই সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মিতুকে হত্যা করা হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৭

ধর্ষণ মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন সেই মুশতাক
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদীকে স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত।  খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ। মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। সোমবার (২৯ এপ্রিল) নির্ধারিত দিনে মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় মুশতাক ও রাশেদীর স্থায়ী জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। পাশাপাশি মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে গত ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত। মামলার অভিযোগে বাদী মো. সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং তার মেয়েকে  ক্লাস থেকে প্রিন্সিপালের কক্ষে ডেকে আনতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে খন্দকার মুশতাক মেয়েটিকে বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখাতেন। কিছুদিন পর আসামি ভিকটিমকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেন মুশতাক।  এরকম আচরণের বিষয়ে পরে মেয়েটি কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে। এ সময় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী, মুশতাককে তার কক্ষে ডেকে আনেন। পরে মেয়েটিকেও ক্লাস থেকে নিয়ে এসে রুমের দরজা বন্ধ করে দেন এবং মুশতাক আহমেদকে সময় ও সঙ্গ দিতে বলেন।  মামলার বিররণ অনুযায়ী, এ বিষয়ে মেয়েটির বাবা মো. সাইফুল ইসলাম অধ্যক্ষের কাছে প্রতিকার চাইতে গেলেও কোনো সহযোগিতা করেননি ফাওজিয়া রাশেদী, বরং আসামি মুশতাককে অনৈতিক সাহায্য করে আসতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে সাইফুল ইসলাম উপায় না পেয়ে মেয়েকে নিয়ে গত ১২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের বাড়িতে চলে যান। কিন্তু মুশতাক আহমেদ তার লোকজন দিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সেখান থেকে। এরপর সাইফুল ইসলাম জানতে পারেন যে তার মেয়েকে একেক দিন একেক স্থানে রেখে খন্দকার মুশতাক আহমেদ অনৈতিক কাজে বাধ্য করেছেন এবং যৌন নিপীড়ন করেছেন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০৪

নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মুহাম্মাদ আকরাম হোসেন এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পূর্ব সোনাপুর গ্রামের ফজল আহম্মেদের ছেলে সোহেল রানা (৩৯), যশোর সদর উপজেলার পূর্বচানপাড়া গ্রামের মোকলেস মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০), দাইতলা মোড় এলাকার বাবর আলী মোল্যার ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) ও একই এলাকার জুলফিকার আলীর ছেলে তারেক আজিজ (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম ও সবুজ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা ও তারেক আজিজ অনুপস্থিত ছিলেন। নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সরদার মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল ভোর সোয়া ৫টার দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের সদর উপজেলার সীতারামপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি পিকআপ তল্লাশি করে সোহেল, রবিউল ও সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকারোক্তি মোতাবেক গাড়ির ইঞ্জিনকভারের মধ্য থেকে ২২৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে ওই তিনজন ও তারেক আজিজসহ মোট চারজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ আদেশ দেন।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়