• ঢাকা বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শাকিবের বাড়িতে প্রবেশ নিষেধ, মুখ খুললেন অপু
শাকিবকে নিয়ে অপু-বুবলীর ভার্চুয়াল যুদ্ধ যেন থামছেই না। আর তাদের সেই সব কর্মকাণ্ড প্রায়ই সংবাদের শিরোনামে আসেন। পাশাপাশি তাদের বাকবিতণ্ডায় বেশ বিরক্ত ও বিব্রত শাকিবের পরিবার। যার ফলে দুজনের জন্যই বন্ধ হয়ে গেছে এই নায়কের বাড়ির দরজা। তাদের কাউকেই বাড়িতে ঢুকে দিতে চায় না শাকিবের পরিবার।   এদিকে শোনা যায় শাকিবের পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো অপু বিশ্বাসের। অভিনেত্রীর ভাষ্যমতে রোজার ঈদেও তাকে বাসায় ডেকে নিয়েছিলেন শাকিবের বাবা। এর কদিনের মধ্যেই তার জন্য বন্ধ হয়ে গেল সে বাড়ির দরজা! বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন অপু। তিনি বলেন, আমাদের সন্তান জয় এখনও ছোট। ওকে তো আমি কোথাও একা পাঠাব না। সঙ্গে আমি থাকি না হয় পরিবারের লোকজন। এখন ছেলে যদি বাবা ও দাদার বাড়িতে যেতে চায় বা ওর বাবা, দাদা-দাদিরা দেখতে চায়, তাহলে ওকে কে নিয়ে যাবে? তখন আমি ওকে নিয়ে যাই। এটা আমার দায়িত্ব। আর ওই বাড়িতে আমার ঢুকতে মানা, এটা কতটুকু সত্য, তা আপনার খোঁজ নেন। তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।  তবে শাকিব খানের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে আগের মতোই নীরবতা পালন করেছেন। ব্যক্তিগত বিষয় বলে এড়িয়ে গেছেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন আপাতত ব্যবসা ও অভিনয় নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান তিনি। 
১৪ ঘণ্টা আগে

বাড়িতে মিলল ৪৫ গোখরা সাপের বাচ্চা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এক কৃষকের বাড়িতে ৪৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা পাওয়া গেছে। সাপগুলো মেরে ফেলেছেন ওই কৃষক পরিবার। সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে উজানচর ইউনিয়নের চর মজলিশপুরের কৃষক আইজলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।  এ ঘটনার পর থেকে সাপ আতঙ্কে রয়েছেন ওই পরিবারসহ এলাকাবাসী। এ বিষয়ে কৃষক আইজল বলেন, রোববার তার ছেলে মাঠ থেকে ভুট্টাগাছ তুলে বাড়ির আঙিনায় এনে স্তূপ করে রাখেন। সোমবার দুপুরে সেই ভুট্টা ছাড়াতে একটি গাছ টান দেন তার স্ত্রী। সে সময় একটি সাপের বাচ্চা বেরিয়ে এলে লাঠি দিয়ে মেরে ফেলা হয়। পরে একসঙ্গে অনেকগুলো সাপের বাচ্চা বেরিয়ে এলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কৃষক আইজল বলেন, সে সময় বাড়ির অন্যরা এসে সবগুলো সাপ মেরে ফেলেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি গোখরা সাপের বাচ্চা ছিল। কিন্তু ওই সময় বড় কোনো সাপ তারা দেখতে পাননি। মেরে ফেলা সাপগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কৃষক আইজল আরও বলেন, গত কয়েক দিন ধরে তাদের এলাকার মাঠে সাপের দেখা মিলছে এবং কয়েকটা সাপ মারাও হয়েছে। এ ঘটনার পর তার পরিবারসহ স্থানীয়রা সাপের ভয়ে আছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন উজানচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে শুনছেন মজলিশপুর এলাকায় সাপ দেখা যাচ্ছে। সোমবার দুপুরে আইজল দোকানদারের বাড়ি থেকে অনেকগুলো সাপের বাচ্চা মারা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফারসিম তারান্নুম হক বলেন, বর্তমানে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে চরাঞ্চলে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। ডা. ফারসিম তারান্নুম আরও বলেন, সাপের কামড়ে কেউ আক্রান্ত হলে দ্রুত তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে আনতে হবে। হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম মজুত রয়েছে।
২৩ ঘণ্টা আগে

সাপ দেখতে বাড়িতে নায়িকারা, খুশি সৃজিত
পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির বাড়ি যেন চিড়িয়াখানা। পাঁচ প্রজাতির সাপ রয়েছে তার বাড়িতে। আর সেই সাপ দেখতেই সৃজিতের বাড়িতে নায়িকারা।তাদরে আগমনে খুশি সৃজিত। নায়িকাদের নিজের হাতে সাপ নিয়ে দেখিয়েছেন তিনি। তবে ভয় লাগলেও বিষয়টি উপভোগ করেছেন অনেকে। জানা গেছে, বর্তমানে পাইথন (উলুপী), হাইড্রা, মেডুসা, অনন্ত নাগ, কালনাগিনী সাপ রয়েছে সৃজিতের বাড়িতে। এদিকে অনেকে সৃজিতের সমালোনা করেছেন। তাদের দাবি, বাংলাদেশে কাজে ব্যস্ত নির্মাতার স্ত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। গবেষণার কাজে প্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হয়। মেয়ে আইরাও মায়ের সঙ্গেই থাকে। তাই শূন্যতা ভরাতেই হয়তো এই আয়োজন সৃজিতের।   সম্প্রতি সৃজিতের সাপের সংগ্রহ দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পোশাক পরিকল্পক সাবর্ণী দাস। তারও ভীষণ সাপ পোষার শখ। বাড়িতে সাপ এনেও তিন সপ্তাহের বেশি রাখতে পারেননি তিনি। সূত্র : আজকাল 
২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩১

সালমানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গুলিসহ অস্ত্র উদ্ধার
বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে গত ১৪ এপ্রিল চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান দুর্বৃত্তরা। এদিন ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তখনই উদ্ধার হয়েছিল হামলায় ব্যবহার করা একটি পিস্তল। এবার তাপি নদী থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও একটি পিস্তল; সঙ্গে তিনটি ম্যাগজিন। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হযেছে, পুলিশের মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের কর্মকর্তারা অস্ত্রের পাশাপাশি ৩টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছেন। গত ২২ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছিল তল্লাশি অভিযান। এখন পর্যন্ত মোট ২টি পিস্তল, ৩টি ম্যাগাজিন এবং ১৩টি বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সালমানের বাড়ি থেকে এক কিলোমিটারেরও বেশি দূর থেকে একটি বাইকও উদ্ধার করেছে। সন্দেহ করা হচ্ছে, হামলাকারী দুজনে ওই বাইকে চেপেই এসেছিল। ১২ জন কর্মকর্তা এবং এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট সিনিয়ার পুলিশ ইনস্পেক্টার দয়া নায়ক এ অভিযান পরিচালনা করছেন। স্কুবা ড্রাইভার দিয়ে চলছে তল্লাশি। এ ঘটনায় এরই মধ্যে ভিকি গুপ্ত ও সাগর পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বান্দ্রা এলাকায় বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে কয়েক রাউন্ড গুলি চলানোর পর থেকেই ভারতজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুরো ঘটনার ভিডিও সিসিটিভিতে উঠে এসেছে। ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচয় গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। গত ১৩ এপ্রিল সাগর নামের এক হামলাকারীর হাতে রাতেই অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাকে পিস্তুল দিয়েছিল সেটা এখনও অজানা। তবে অভিনেতার বাড়িতে হামলার জন্য তাদের ১ লাখ রুপি অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত থেকে পুলিশ জানায়, সালমানকে খুন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের। শুধুমাত্র তাকে ভয় দেখানোই উদ্দেশ্য ছিল দুর্বৃত্তদের। বলিউড ভাইজানের এ প্রাণনাশের হুমকির নেপথ্যে কে? এ প্রশ্নের উত্তরে বারবার গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইর নাম উঠে এসেছে। এর আগেও একাধিকবার এমন হুমকি এসেছে।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৪০

যত টাকা চুক্তিতে সালমানের বাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়ির বাইরে গত ১৪ এপ্রিল চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। এদিন ভোর ৫টার দিকে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে। ইতোমধ্যে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  জানা গেছে, সালমানের বাড়ির বাইরে হামালার ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)। এবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের তদন্তে।  ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্র অনুযায়ী, বিষ্ণোই গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে চার লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল সালমান খানের বাড়িতে হামলার জন্য। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। গত ১৩ এপ্রিল সাগরের হাতে রাতেই বন্দুক তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কে তাকে  বন্দুক দিয়েছিল সেটা এখনও অজানা। তবে অভিনেতার বাড়িতে হামলার জন্য তাদেরকে এক লাখ টাকা অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে তদন্ত থেকে পুলিশ জানায়, সালমানকে খুন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না হামলাকারীদের। শুধুমাত্র তাকে ভয় দেখানোই উদ্দেশ ছিল দুর্বৃত্তদের।  বলিউড ভাইজানের বাড়িতে হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ।  এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম। এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। শুধু তাই নয়, অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পরেই গত ১৫ এপ্রিল বিকেলে অভিনেতার ‘গ্যালাক্সি অ্যাপার্টেমন্টে’ যান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে।  সালমানের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই হামলার ঘটনায় কঠোর পদক্ষেপ নেবে মুম্বাই পুলিশ। পাশাপাশি তিনিসহ অভিনেতার পুরো পরিবারকে সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেওয়ার কথাও জানান তিনি।       এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে। সূত্র : এনডিটিভি
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:২৭

দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ, অতঃপর....
শরীয়তপুরের জাজিরায় দাওয়াত না পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন বেপারী জাজিরা উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য। জানা গেছে, গত শনিবার রাতে জাজিরার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সৈয়দ তাজুল ইসলাম তার চাচাতো বোনের বিয়েতে ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীসহ তার সমর্থকদের দাওয়াত দেওয়া হয়নি। এতে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাতে বিয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিয়ে বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। ওই দিন রাতেই তাজুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন বেপারীকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।  জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, বিয়ে বাড়িতে হামলার মূল পরিকল্পনাকারীসহ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২১:০৪

সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত
বলিউড সুপারস্টার সালমান খানের বাড়িতে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে গুজরাটের ভুজ থেকে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।      রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে সালমানের বাড়ির বাইরে চার রাউন্ড গুলি ছুড়ে পালিয়ে যান অজ্ঞাতনামা দুই দুর্বৃত্ত। অভিনেতার মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে এই ঘটনা ঘটে।  এ প্রসঙ্গে মুম্বাই পুলিশ জানায়, সালমানের বাড়িতে গুলি চালানোর পর মুম্বাই থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তের জন্য গ্রেফতারকৃতদের মুম্বাই আনা হবে। পাশাপাশি সালমানের বাড়ির এই ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হামলা হিসেবেই অভিহিত করেছে মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ।  সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, দুই বন্দুকধারীর মধ্যে একজন অভিনেতার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিই বাইকে থাকাকালে ব্যাকপ্যাক নিয়ে ছিলেন এবং পরিচিতি গোপনের জন্য টুপি পরা ছিল। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই হামলার দায় স্বীকার করার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সালমানকে হুমকিও দিয়েছে বিষ্ণোই গ্যাং। মূলত এরপরেই নড়েচড়ে বসে মুম্বাই পুলিশ। ফেসবুক পোস্টে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই লেখেন, ‘আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, সেটা শুধু ট্রেলার ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা চাইলে কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ।    এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না। দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুইজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার মানুষ আমি নই। জয় শ্রী রাম।’  এদিকে সালমানের বাড়িতে হামলার পর গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে ক্রাইম ব্রাঞ্চের ১০টি দল মোতায়েন করে মুম্বাই পুলিশ। এর আগেও গত বছরের মার্চ মাসে সালমান খানকে হুমকি দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার একটি ইমেইল আসে। অভিনেতার পরিণতিও সিধু মুসেওয়ালার মতোই হবে, এমন বার্তাই লেখা ছিল সেই মেইলে। পরবর্তীতে মুম্বাই পুলিশ লরেন্স বিষ্ণোই ও গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৫০৬-২ (অপরাধমূলক ভীতি প্রদর্শন) এবং ৩৪ (সাধারণ উদ্দেশ্য) ধারায় এফআইআর দায়ের করে।  
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০

মুক্তি পাওয়ায় নাবিকদের বাড়িতে খুশির বন্যা
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তিপণের মাধ্যমে ছাড়া পেয়েছেন সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। যদিও ঈদের আগেই নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষায় ছিল পরিবারগুলো। অবশেষে শনিবার রাতে অক্ষত অবস্থায় নাবিকরা মুক্তি পাওয়ায় তাদের পরিবারে বইছে খুশির বন্যা। এ বিষয়ে জাহাজটির প্রধান কর্মকর্তা আতিকুল্লাহ খানের মা শাহনুর আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের তিন দিন পরেই যেন ঈদ এসেছে আমাদের ঘরে। আমার ছেলেসহ সবাই অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পেয়েছে, এ খবর শোনার পর ভালো লাগছে সব। তারা এখন নিরাপদে দেশে ফিরলে টেনশন থেকে মুক্তি পাব। নাবিক মোহাম্মদ নুর উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এই দিনগুলো কীভাবে কেটেছে জানি না। আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে ঈদের আনন্দের দিন ছিল বিষাদে ভরা। আজ যেন আমাদের খুশির ঈদ। কেএসআরএম গ্রুপের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। তারা তাদের অঙ্গীকার রক্ষা করেছে। আরেক নাবিক আইয়ুব খানের ভাই আওরঙ্গজেব রাব্বী দুশ্চিন্তামুক্ত হওয়ার কথা জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় এক মাস আমাদের বিষাদের দিন কেটেছে। আজ মনে হচ্ছে সত্যিকারের ঈদ এসেছে। আমরা খুবই খুশি। কেএসআরএস কর্তৃপক্ষদের তথ্য অনুযায়ী, ২৩ নাবিকের মধ্যে চট্টগ্রামে যাদের বাড়ি তারা হলেন- মাস্টার রাশেদ মোহাম্মদ আব্দুর, চিফ অফিসারখান মোহাম্মদ আতিক উল্লাহ, সেকেন্ড অফিসার চৌধুরী মাজহারুল ইসলাম, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার আহমেদ তানভীর, ফায়ারম্যান শাকিল মোশাররফ হোসেন, চিফ কুক ইসলাম মো. শফিকুল, জেনারেল স্টুয়ার্ড উদ্দিন মোহাম্মদ নূর, রহমান মো. আসিফুর, হোসাইন মো. সাজ্জাদ, ওয়লার হক আইনুল এবং শামসুদ্দিন মোহাম্মদ। লক্ষ্মীপুর ও ফেনীতে বাড়ি ইঞ্জিন ক্যাডেট খান আইয়ুব, ইলেকট্রিশিয়ান উল্লাহ ও ইব্রাহিম খলিল। নোয়াখালীর নাবিক হক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ও ফাইটার আহমেদ মোহাম্মদ সালেহ। খুলনার সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম মো. তৌফিকুল ফরিদপুরের থার্ড অফিসার ইসলাম মো. তারেকুল, টাঙ্গাইলের ডেক ক্যাডেট হোসাইন মো. সাব্বির। নওগাঁর চিফ ইঞ্জিনিয়ার শাহিদুজ্জামান এ এস এম। নেত্রকোণার থার্ড ইঞ্জিনিয়ার উদ্দিন মো. রোকন ও নাটোরের অর্ডিনারি সি-ম্যান মোহাম্মদ জয়। সিরাজগঞ্জের হক মো. নাজমুল ও বরিশালের হোসাইন মো. আলী। এর আগে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে ৩১ দিন পর মুক্তি পান বাংলাদেশি ২৩ নাবিক। সঙ্গে ছাড়া পেয়েছে জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ও। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি তিনটি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেয় তারা। রোববার (১৪ এপ্রিল) মধ্যরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জিম্মি জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম। তিনি জানান, ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। কিন্তু কিছু জটিলতায় সময় পরিবর্তন হয়। অতীতে জাহান মণির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দ্রুত সময়ে ২৩ নাবিককে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
১৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪৫

নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে ২ বোনের মৃত্যু
নাটোরের সিংড়ায় নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরে ডুবে মামাতো বোনসহ ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার লালোর ইউনিয়নের ঢাকঢোল ডাঙ্গাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম। নিহতরা হলো ফারিয়া আক্তার (৮) ও ফাতেমা আক্তার (৮)। তারা মামাত-ফুফাত বোন। জানা যায়, ফারিয়া সৌদি প্রবাসী ফারুক হোসেনের মেয়ে এবং ফাতেমা নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া হাট এলাকার রায়হান হোসেনের মেয়ে।  এ বিষয়ে ওসি আবুল কালাম বলেন, ঈদে উপলক্ষে নানা বাড়িতে বেড়াতে আসে ফাতেমা। সকালে মামাত বোন ফারিয়ার সঙ্গে খেলার এক ফাঁকে বাড়ির পাশে পুকুরে পড়ে যায় তারা। দীর্ঘ সময় তাদের না পেয়ে স্বজনরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরে স্যান্ডেল ভাসতে দেখেন।  ওসি আবুল কালাম আরও বলেন, পরে স্থানীয়রা পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে ২ শিশুকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। কোনো অভিযোগ না থাকায় স্বজন ও স্থানীয়দের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই শিশুদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:২৭

নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে নদীতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু 
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ঈদে নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যমুনা নদীতে ডুবে মিনহাজ (৯) ও মিনাল (৭) নামে ২ ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে উপজেলার যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল সাপধরী ইউনিয়নের চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত ২ সহোদর মিনহাজ ও মিনাল ওই উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুতলা এলাকার আজহার আলীর ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার উপজেলা বেলগাছা ইউনিয়নের জারুল তলা এলাকা থেকে মা চায়না আক্তার ২ ছেলে ও স্বামী আজহার আলীকে সঙ্গে নিয়ে চরশিশুয়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। রোববার দুপুরে বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা নদীর পানিতে স্থানীয় ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে মিনহাজ ও মিনাল মাছ ধরতে যান। সাঁতার না জানায় মাছ ধরার কোনো এক সময় নিখোঁজ হয়ে যান ২ সহোদর ভাই। পরে এলাকাবাসী অনেক খোঁজাখুঁজির পর দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন। সাপধরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মা-বাবার সঙ্গে ঈদের পরের দিন নানার বাড়িতে এসেছিল ২ ভাই।  ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন তালুকদার জানান, সহোদর ২ ভাইয়ের পানিতে ডুবে মৃত্যুর একটি সংবাদ পেয়েছি। তারা মা-বাবার সঙ্গে শনিবার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল।  তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের বাবার বাড়ি যমুনার পূর্বপাড় জারুলতলা এলাকায়। যে এলাকায় ঘটনা ঘটেছে সেটি দুর্গম চরাঞ্চল। 
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়