• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাসের অপেক্ষায় যাত্রীরা, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ফাঁকা
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর বাকি কয়েক ঘণ্টা। সাধারণত ঈদের আগের দিন যানজট না থাকলেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষের ভিড় এখনও রয়েছে। তবে গত দুদিনের মতো উপচেপড়া ভিড় নেই। কিন্তু পরিবহন স্বল্পতার জন্য কাউন্টারগুলোতে বাসের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিলম্ব হচ্ছে গন্তব্যে যেতে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল থেকে এ মহাসড়কে গণপরিবহন কম চলতে দেখা যায়। ফলে অনেক মানুষ ট্রাক-পিকআপে করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। দূরপাল্লার স্বল্প কিছু যানবাহন এবং লোকাল পরিবহন চলাচল করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ড বাজার, চেরাগ আলী, টঙ্গী বাজার এলাকার বাসস্ট্যান্ডে ঘরমুখী মানুষের ভিড় রয়েছে। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে হলেও তারা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে সংকল্পবদ্ধ। এ বিষয়ে কথা হয় চান্দনা চৌরাস্তায় বাসের অপেক্ষায় বসে আছেন এমন কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে।  তারা বলেন, গত সোমবার থেকে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হলেও ঈদের আগের দিন যানজট নেই বললেই চলে। টেলিভিশনের খবরে দেখে আজ পরিবার-পরিজন নিয়ে বের হয়েছি। এ মহাসড়ক ফাঁকা থাকলেও যাত্রীবাহী বাস খুবই কম। তাই বাসের জন্য কাউন্টারে বসে রয়েছি। নেত্রকোণার মদনে যাবেন হেলেন মিয়া। তার সঙ্গে কথা হলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিটি যাত্রবাহী বাসে অতিরিক্ত ভাড়া চাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। তিনগুণ বেশি ভাড়া দিয়েও যাওয়ার জন্য বাস পাচ্ছি না। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাসের চাপ অনেক কম। অনেক বাস আগেই চলে গেছে। গতকাল দুপুরের পর থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একেবারেই ফাঁকা। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে। তবে এবারের ঈদযাত্রায় বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট থাকলেও ঘরমুখো মানুষ স্বস্তিদায়কভাবে যাতায়াত করেছেন।
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০

স্বস্তির ঈদযাত্রা, ফাঁকা ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক
প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে নাড়ির টানে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন মানুষ। ত‌বে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে নেই সেই চিরচেনা যানজট। নেই তেমন কোনো গণপ‌রিবহন।  বুধবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা‌ যায়।  যদিও প্রথম ২ থেকে ৩ দিন প‌রিবহ‌নের কিছুটা চাপ দেখা গে‌লেও ঈদের আগের দিন মহাসড়ক একেবারে ফাঁকা। ফ‌লে ভোগা‌ন্তি ছাড়াই স্বস্তির ঈদযাত্রা করছেন ঘরমুখো মানুষ।  সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কে গিয়ে দেখা যায়, রাবনা বাইপাস থেকে এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও বঙ্গবন্ধু সেতু গোলচত্ত্বর এলাকার কোথাও তেমন কোনো গণপ‌রিবহন উত্তরবঙ্গের দি‌কে যে‌তে দেখা যায়‌নি। কিছু কিছু গণপ‌রিবহন গ‌তি‌ নি‌য়ে চলাচল কর‌ছে। এ ছাড়াও মহাসড়‌কে তেমন কোনো যাত্রীও নেই। ত‌বে কিছু মানুষ বাস না পে‌য়ে ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রা‌ক ও পিকআপে গন্তব্যে যা‌ত্রা করছেন।  এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে। তারা বলেন, আগে ঈদ আসলেই চির‌চেনা যানজটের সৃষ্টি হতো এই মহাসড়‌কে। প্রতিবছরই ঈদের আগের রা‌তেও মানু‌ষের স্রোত দেখতে পাওয়া যেত। ঈদের প‌রিবহ‌নের চাপ থাকা এই মহাসড়‌কে ছিল স্বাভাবিক বিষয়। আর আইনশৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস‌্যরাও মহাসড়‌কের প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক রাখতে হিমশিম খেত। আর সেই মহাসড়‌ক এখন ফাঁকা থাকছে যা ভাবতেই অবাক লাগছে।  এ দিকে জেলা পুলিশের দাবি, তাদের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কারণে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পারছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। এ বিষয়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত এক পু‌লিশ সদস্য বলেন, আজ হয়তো যানজট নেই কিন্তু গতকাল ভালোই চাপ ছিল এ মহাসড়কে। ঈদের আগের দিন মহাসড়ক ফাঁকা থাকা এমন ঘটনা আগে হয়েছে এমন খুব কম হয়েছে।    বুধবা‌রে ঈদ হ‌বে এই টা‌র্গেটে এবং সব প্রতিষ্ঠান আগেই ছু‌টি হ‌য়ে যাওয়ায় মানুষ আগে থে‌কেই বা‌ড়ি‌তে যাওয়া শুরু ক‌রে‌ছিল।  তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার গা‌র্মেন্টসের লোকজনসহ অন‌্যান‌্যরা একসঙ্গে রওনা হওয়ায় মহাসড়কে চাপ বে‌ড়ে‌ছিল। ত‌বে আজ‌কে তেমন মানুষ বা‌ড়ি যাওয়ার নেই। যারা যাওয়ার তারা আগেই চ‌লে গে‌ছেন। ফ‌লে মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। একদম ফাঁকা মহাসড়ক।  এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি আলমগীর আশরাফ বলেন, মহাসড়‌কে তেমন প‌রিবহন নেই। পরিবহনগু‌লো স্বাভা‌বিক গ‌তি‌তেই চলাচল কর‌ছে। উত্তরবঙ্গগামী মানুষ স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন। 
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:২৪

ফাঁকা ঢাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা
দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনা শেষে ঈদুল ফিতর মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে। ঈদের ছুটিতে ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঢেলে সাজানো হয়েছে। ফাঁকা ঢাকায় যেন ছিনতাই, ডাকাতি ও চুরির মতো ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।  ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পক্ষ থেকে স্পেশাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে। অন্যদিকে রেড জোন চিহ্নিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে র‍্যাব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা যায়, অন্য ঈদের ছুটির মতো এবারও রাজধানী ছেড়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছেন। এর ফলে ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকা প্রায় ফাঁকা থাকবে। এ সুযোগে প্রতি বছরই অপরাধীদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। তাদের সহজ লক্ষ্যে পরিণত হয় ফাঁকা ঢাকার ফ্ল্যাট বাসা ও রাস্তার পথচারীরা। তাই এবারের ঈদের ছুটিতে যেন এসব অপরাধ না ঘটে, সেজন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বুধবার (১০ এপ্রিল) থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। সাপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল পয়লা বৈশাখের ছুটি মিলিয়ে এবার সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লম্বা ছুটি মিলছে। তাই ঈদ উদযাপনের জন্য দলে দলে রাজধানী ছাড়ছেন মানুষ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে রাজধানীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাব ও পুলিশ। রমজানজুড়ে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ বেড়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকে নতুন করে নেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ছাড়া ইতোমধ্যে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। অতীতের ঘটনা মাথায় রেখে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, বিগত পাঁচ বছরে রাজধানীতে এক হাজারের মতো ছিনতাইয়ের মামলা হয়েছে। অন্যদিকে চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে কয়েক হাজার। ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২০২৩ সালে রাজধানীতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ১৯৯টি, চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ১ হাজার ৫১১টি। ২০২২ সালে ছিনতাই মামলা ৩১০টি এবং চুরির মামলা ১ হাজার ৬০৩টি। ২০২১ সালে ছিনতাই মামলা হয় ১৬৬টি এবং চুরি সংক্রান্ত মামলা ১ হাজার ৩৪৩টি। ২০২০ সালে ছিনতাই মামলা ১৭৬টি এবং চুরির মামলা ১ হাজার ২১৭টি। এ ছাড়া ছিনতাই ও চুরির অনেক ঘটনার মামলা না নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ছিনতাই, চুরি ও ডাকাতির মতো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে ডিএমপির স্পেশাল টিম। ডিএমপির স্পেশাল টিম এলাকায় এলাকায় ঘুরে টহল দেবে এবং আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় সন্দেহজনক কারো চলাফেরা থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ঈদের ছুটির সময় কাজ করে যাবে এই স্পেশাল টিম। এ ছাড়া ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির ৫০টি থানাকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশনা। এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মোবাইল টহল টিমের পাশাপাশি চেকপোস্ট জোরদার করা হবে। ফাঁকা ঢাকায় যেকোনো অপরাধ দমনে মাঠ পর্যায়ে থাকবে স্পেশাল টিম। এ ছাড়া বিশেষ নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ডিএমপির প্রতিটি থানাকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র‍্যাবও। গোয়েন্দা দল, চেকপোস্ট, রোবাস্ট পেট্রোল ও টহল টিমের পাশাপাশি কিছু এলাকার জন্য স্পেশাল টিম ইতোমধ্যে প্রস্তুত রেখেছে র‍্যাব। এ ছাড়া রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকাকে অপরাধের জন্য রেড জোন চিহ্নিত করে এসব এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে র‍্যাব। সোমবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঈদে ঢাকা শহরের অনেক বাসিন্দা গ্রামে চলে যান। শূন্য ঢাকার নিরাপত্তার দায়িত্ব অবশ্যই আমাদের ওপর বর্তায়। শূন্য ঢাকার নিরাপত্তা দিতে আমরা আমাদের পাট্রোল বৃদ্ধি করি। কোনো এলাকায় যদি কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয় তা আমরা এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে জানতে পারি আর তখন আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করি। তিনি বলেন, বিভিন্ন এলাকাকে আমরা রেড জোন হিসেবে দেখছি। যেখানে চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা বেশি ঘটে। এসব রেড জোনে আমরা গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি। এদিকে রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সায়দাবাদ জনপথ মোড়ে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফাঁকা ঢাকার নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাবেন। ঈদের ছুটিতে ফাঁকা বাড়িতে কেউ যাতে অপরাধ সংঘটিত করতে না পারে সেজন্য আপনারা ফ্ল্যাট বাড়ির নিরাপত্তার জন্য পাহারাদার নিয়োজিত করবেন। অনেক সময় দেখা যায়, অপরাধ সংঘটিত হলে সিসিটিভির ক্যামেরা অন্য দিকে মুখ করে থাকে। সিসিটিভি ক্যামেরা ঠিক আছে কি না এবং যেদিকে মুখ করে থাকার কথা সেদিকে আছে কি না তা আপনারা চেক করে নেবেন। যাতে করে অপরাধ সংঘটিত হলে পাহারাদার না ধরতে পারলেও আমরা যেন গিয়ে অপরাধীদের শনাক্ত করতে পারি। ছিনতাই নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, ঈদের সময় ছিনতাইকারীরা যেমন তাদের অপতৎপরতা বৃদ্ধি করে তেমনি আমরাও আমাদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছি। ছিনতাই নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা কাজ করছি। প্রতিটি ছিনতাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ছিনতাইকারীদের আমরা আইনের আওতায় আনছি। অপরাধ করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।  
০৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪০

ঈদে ঘরমুখো মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা 
পবিত্র ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদে স্বজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। প্রতিদিন বাস, ট্রেন, লঞ্চ-সবখানেই ঘরমুখো মানুষের ভিড়। গত কয়েক দিনের তুলনায় শনিবার (৬ এপ্রিল) বেশিসংখ্যক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। তবে এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। ঢাকা থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট থাকলেও দূরযাত্রায় দুর্ভোগ নেই।  রাজধানীর মহাখালী, গাবতলি, কল্যাণপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কমলাপুর ও গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালকেন্দ্রিক সড়কগুলোতে যানজট দেখা গিয়েছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোটামুটি সব ট্রেনই সময়মতো ছেড়েছে।  কয়েকটি বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছে যাত্রীরা। মহাসড়কে টাঙ্গাইলের অংশে ৬৫ কিলোমিটার যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশের প্রায় ৭০০ সদস্য। নৌপথে শুরুর দিকে যাত্রী কম থাকলেও এখন সদরঘাটে যাত্রীর বিচরণ বেড়েছে। লঞ্চের সংখ্যাও বাড়িয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট পর্যন্ত সড়কে যানজটে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৮ হাজার ৭১০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং মোট টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৩৫ লাখ ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপ্রান্ত অর্থাৎ টাঙ্গাইল অংশে ১৬ হাজার ৪৭৪টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং সেতুর পশ্চিমপ্রান্তে সিরাজগঞ্জ অংশে ১২ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এদিকে ঈদ সামনে রেখে সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কে নির্মিত একটি রেল ওভারপাস, সাতটি ওভারপাস ও দুটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কের টোল প্লাজার সব লেনে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ইটিসি) কার্যক্রম চালু করাসহ মেঘনা সেতু টোল প্লাজা-২-এর উদ্বোধন করা হয়েছে। একসময় শিমুলিয়া ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হতো ফেরি পারাপারের জন্য। পদ্মা সেতু হওয়ায় এখন আর সেই চিত্র নেই। ভোগান্তি ছাড়াই দ্রুত পার হচ্ছে মানুষ। রোববার (৭ এপ্রিল) সকালে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, চেকিং এর আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। কারো কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।  যাত্রীদের প্রত্যাশা, সারা বছর যদি রেলওয়ে এমন সার্ভিস দেয় তাহলে টিকিট বিহীন যাত্রী কমে যাবে। এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে স্টেশনে চলে আসায় প্লাটফর্মে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।  লালমনিরহাটগামী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের একজন যাত্রী বলেন, জেনেছি ট্রেনটি ছাড়তে ১৫ মিনিট বিলম্ব হবে। এ নিয়ে তেমন কোনো আক্ষেপ নেই। কারণ সুন্দর একটি পরিবেশের মধ্য দিয়ে স্টেশনে আসতে পেরেছি এবং ট্রেনে উঠতে পেরেছি। লালমনিরহাট অনেকটা দূরের পথ। ঈদ ছাড়াও যে কোনো সময় এই পথে বাসে যাতায়াত অনেক কষ্টকর। ভাগ্যক্রমে অনলাইন থেকে টিকিট কাটতে পেরেছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতেই সেখানে যাওয়া। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আমির হোসেন সিফাত বলেন, উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের জন্য ট্রেন একমাত্র ভরসা। যমুনা সেতুতে যে পরিমাণ গাড়ির জট হয় ঈদের আগে এটি খুবই ভোগান্তির। এ বছর খুব সহজে অনলাইন থেকে টিকিট সংগ্রহ করা গেছে। আশা করি তেমন কোনো ভোগান্তি হবে না। রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে। গতকাল ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট বিলম্ব করা রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস আজ ঠিক সময় সকাল ৬টায় ঢাকা স্টেশন ছেড়েছে। জানা গেছে, গত চার দিনের তুলনায় আজকে পঞ্চম দিনের মানুষের ভিড় অনেক বেশি রয়েছে। বিকেলের ট্রেনগুলোতে হয়তো আরও বেশি যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে। ঈদ উপলক্ষে ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। সেগুলো হলো-গ্যাস সিলিন্ডার অথবা গ্যাসের লাইন, পানির লাইন, সব ধরনের লাইট, ফ্যানের সুইচ, বৈদ্যুতিক প্লাগ বন্ধ করে বের হতে হবে। বাসাবাড়িতে অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে ছুটি শেষে বাড়ি থেকে ফিরে এসে দরজা-জানালা খুলে ঘরে জমে থাকা গ্যাস বের না হওয়া পর্যন্ত কোনো অবস্থাতেই গ্যাসের চুলা জ্বালানো কিংবা বৈদ্যুতিক সুইচ অন করা যাবে না। বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা বসাতে হবে। আগে বসানো সিসি ক্যামেরা সচল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। বাসার চারপাশে বৈদ্যুতিক আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। নগদ টাকা কিংবা স্বর্ণালংকার ব্যাংক কিংবা নিকটাত্মীয়দের কাছে নিরাপদে রাখতে হবে। রাতে কিংবা দিনে একসঙ্গে মুখে মাস্ক এবং মাথায় ক্যাপ পরিহিত অপরিচিত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের গতিবিধি নজরদারি করতে হবে। প্রয়োজনে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে হবে। 
০৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২১

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা
ঈদুল ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। ঈদ সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরে বাস, ট্রেন ও লঞ্চসহ নানানভাবে ঢাকা ছাড়ছে লাখ লাখ মানুষ। ফলে ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। শনিবার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন, গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল এবং সদরঘাট লঞ্চঘাট ঘুরে দেখা গেছে, সব জায়গায় যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে প্রথম দিকে কয়েকটি ট্রেন ছাড়তে দেরি হলেও পরেরগুলো যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। তবে বিভিন্ন গন্তব্যের বাসগুলো নির্ধারিত সময়েই ছেড়ে যাচ্ছে। এবার ঈদের আগে ও পরে ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন। ঈদের ছুটি শুরু হলে স্বাভাবিকভাবেই বাস-ট্রেনসহ সবখানেই যাত্রীদের চাপ বাড়বে। এজন্য অনেকে আগেভাগেই পরিবারের সদস্যদের বাড়ি পাঠাচ্ছেন। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। শনিবারও অনেকে বাড়ি ফিরছেন। খুলনাগামী বাসযাত্রী মৌসুমী বলেন, আমার স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। তাকে রেখেই আগেভাগে ছেলেমেয়ে নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছি। কারণ পরে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। ঈদের ছুটি শুরু হলে তখন আমার স্বামী বাড়ি যাবে। ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, শুক্রবার সকাল থেকেই সড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়েছে। সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। এদিকে সদরঘাট টার্মিনালে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার যাত্রী আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। পরিবার নিয়ে তিনি পুরান ঢাকায় থাকেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটি বেশি থাকায় আগেভাগেই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসতে যাচ্ছি। প্রতিবছর ঈদ এলেই ঢাকা থেকে বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামের বাড়িতে যায়। নাড়ির টানে বাড়ি ফেরা এসব মানুষের প্রকৃত সংখ্যা বলা কঠিন। তবে ধারণা করা হচ্ছে এবার প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বৃহত্তর ঢাকার প্রায় দেড় কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। বিপুলসংখ্যক ঈদ যাত্রীর মধ্যে ৬০ শতাংশ অর্থাৎ ৯০ লাখ মানুষ সড়ক পথে যাবে। অবশিষ্ট ৪০ শতাংশ মানুষ নৌ ও রেলপথে ঢাকা ছাড়বে। নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১৯

ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বিশেষ নিরাপত্তা দেবে ডিএমপি
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এ বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ঈদের বাজার পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। এই সময়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কী হবে এবং ঈদকে ঘিরে কোনো হুমকি আছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের উৎসবকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে নিরাপত্তা পরিকল্পনায় এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা সাজানো হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ বাইরে যাবেন। এই সময়ে ঢাকা শহর ফাঁকা থাকে। তাই আমরা পরামর্শ দেবো নগরবাসীর মূল্যবান জিনিসপত্রের বিষয়ে নিজেরা সজাগ থাকবেন এবং সচেতন থাকবেন। পুলিশের পক্ষ থেকে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে। ঈদ ঘিরে ছিনতাই রোধে ডিএমপির সবগুলো টিম কাজ করছে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, ডিএমপির ৮ বিভাগে টাস্কফোর্সের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেখানে ডিসি ও থানা পুলিশ একসঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। টাস্কফোর্স গঠনের পর বর্তমানে ডিএমপিতে ছিনতাইয়ের হার নিম্নমুখী। অর্থাৎ কমতে শুরু করেছে। ঈদের কেনাকাটার কারণে মধ্যরাত পর্যন্ত নগরবাসী বাইরে থাকছেন। ফলে সড়কে গাড়ির চাপ থাকে। কিন্তু রাতে ট্রাফিক সদস্যরা না থাকার কারণে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমরা রমজানে শুরুতে নিইনি। এখন দেখছি যে মানুষ রাতে মার্কেট করছে। গভীর রাত পর্যন্ত মানুষ কেনাকাটা করায় দোকান ও মার্কেট খোলা থাকছে। আমরা এখন থেকে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ২২:২৯

নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রার প্রস্তুতি, ফাঁকা ঢাকায় সতর্ক থাকবে পুলিশ
ঘরমুখো যাত্রীদের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে কেউ বাস, লঞ্চ কিংবা ট্রেনে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ঈদের ছুটিতে ফাঁকা ঢাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজারবাগে পুলিশ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আজান, কিরাত ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, অন্যান্য বছর যেভাবে আমরা সফলভাবে যাত্রীদের নিরাপদে গমনে সচেষ্ট ছিলাম, এবারও যাত্রীদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করবো। প্রয়োজনে পুলিশ সদস্যরা নিজেদের ছুটি বাদ দিয়ে হলেও ঈদযাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে কাজ করবেন। এসময় কেউ যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের চেষ্টা করলে, প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে অথবা সংশ্লিষ্ট থানায় ফোন করে সহায়তা নেওয়ার আহ্বান জানান আইজিপি। তিনি বলেন, যাত্রী সাধারণকে অনুরোধ করবো আপনারা কোনো ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করবেন না। আমরা কিছুদিন আগেও সমন্বয় সভা করেছি। ১ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পুলিশের সব ইউনিটকে নিয়ে একটি সমন্বয় সভা হবে। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে সভা হয়েছে। ‘এসব সভার মাধ্যমে আমরা সমন্বয়ের কাজটি সেরে নিচ্ছি। ঢাকাসহ বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজিদের আমরা ব্রিফ করবো। ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরীর সমন্বয় করবেন। ঈদ যাত্রাকে নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতে নৌ-পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ তাদের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পাশাপাশি জেলা পুলিশও প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ আইজিপি বলেন, এবার ঈদের ছুটি একটু লম্বা হবে। এজন্য পর্যটন স্থানগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় হতে পারে। তাই সার্বিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা আমাদের পরিকল্পনা গ্রহণ করছি। সরকারের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, সরকার বহুমুখী উন্নয়ন করছে, রাস্তা অনেক প্রস্থ হয়েছে। উদাহরণে বলা যায়, চন্দ্রায় মাত্র একটি সড়ক ছিল। এখন রাস্তাও অনেক প্রস্থ, আবার ডাইভারশনও হয়েছে। সারাদেশের সড়ক ব্যবস্থাই অনেক উন্নত হয়েছে। এসব কারণে আমি আশা করছি, ঈদে আমরা যাত্রী সাধারণকে নিরাপদে, ও নির্বিঘ্নে তাদের গন্তব্যে পৌছাতে পারবো। সেই সঙ্গে যথা সময় সবার ঈদযাত্রা সমাপ্ত হবে বলে আশা করছি।
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:২২

ফাঁকা বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান অনন্যা
বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। তার আরেকটি পরিচয় — তিনি জনপ্রিয় অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে। ছোট বেলা থেকেই ভীতু প্রকৃতির মেয়ে তিনি। বলা যায়, বাবা-মাকে একটু বেশিই ভয় পেতেন অনন্যা। তবে একবার বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডেকে ফেঁসে যান এই অভিনেত্রী।  ফাঁকা বাড়িতে নিজের প্রেমিককে ডাকার বিষয়টি টের পেয়ে যান বাবা চাঙ্কি। নিজের জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনন্যা। অনন্যা বলেন, আমার বাবা লিভিং রুমে ক্যামেরা বসিয়েছিলেন। আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ভয় দেখানোর জন্য এটা করেছেন তিনি। আমি খুব ভীতু প্রকৃতির মেয়ে। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে মিথ্যা বলি না। আমার যখন বয়স আরও কম ছিল, তখন আমি প্রথম একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়াই। ওই সময়ে মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম— আমি কি তার প্রস্তাবে রাজি হব?  অভিনেত্রী আরও বলেন, আমি সেদিন কিছুটা ঝুঁকির মধ্যে ছিলাম। কিন্তু নিজেকে সাহসী মনে হচ্ছিল। তবে খুব শান্ত ছিলাম। সেদিন লিভিং রুমে বসে আমার প্রেমিকের সঙ্গে শুধু কথাই বলেছিলাম। যেহেতু লিভিং রুমে ক্যামেরা বসানো ছিল, তাই বাবা আমাদের ভিডিও দেখেছিলেন। পরবর্তীতে বাবা আমাকে বলেছিলেন— তুমি আমাকে হতাশ করেছ। এ ঘটনার পর বাবা-মাকে ৫ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়েছিলাম আমি। প্রসঙ্গত, বর্তমানে অভিনেতা আদিত্য রায় কাপুরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন অনন্যা। যদিও এখন পর্যন্ত বিষয়টি তারা সরাসরি স্বীকার করেননি। তবে প্রকাশ না করলেও নানান জায়গায় একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। এমনকি বিদেশেও একসঙ্গে ছুটি কাটান এই প্রেমিকযুগল।         সূত্র : জি ২৪ 
২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৫

মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা : রেলমন্ত্রী
'মন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা।' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার (১৭ মার্চ) রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন রেলপথমন্ত্রী ও রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকবল সংকটের দিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী এ সময় বলেন, আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পর দেখলাম ভেতরটা একদম ফাঁকা। গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের নামে দক্ষ জনশক্তি রেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শুধু রেল থেকে না সারা বাংলাদেশে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে দক্ষ জনশক্তি বাদ দেওয়া হয়েছে।  তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে সৈয়দপুরে গিয়েছিলাম। সৈয়দপুরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রেলের কারখানা। সেখানে কাজ করার জন্য ২৮০০ লোকের দরকার। কিন্তু সেখানে এখন আছে মাত্র ৮৫০ জন লোক। এসব জনশক্তি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। শিগগিরই রেলওয়ের শূন্যপদ পূরণ করে রেলওয়েকে সুবিধাজনক অবস্থায় আনা হবে। দেশব্যাপী ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে মো. জিল্লুল হাকিম এরপর বলেন, আমাদের এখন বগি সংকট। পুরোনোগুলো মেরামত করে আমরা ঈদের মধ্যে এগুলো যুক্ত করবো। ইনশাআল্লাহ আগামী ১ বছরের মধ্যে আমাদের ৮০০ বগি হাতে এসে পৌঁছাবে। নতুন ইঞ্জিন আসবে। তখন আমরা বিভিন্ন রুটে ট্রেনও বাড়াবো। ইতোমধ্যে আমরা বিভিন্ন রুটে বন্ধ থাকা ট্রেন চালু করছি। সম্প্রতি বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হয়েছে। রাজবাড়ী রুটে আরেকটি লোকাল ট্রেন দেওয়া হবে, যেটা পোড়াদহ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত যাবে। খুব শিগগিরই এটা দেওয়া হবে। রেলমন্ত্রী এ সময় রেলের খাবারের মান নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রেলের যে বুফে কার রয়েছে সেখানে খাবারের মান খুবই খারাপ ছিল। আমি তাদের সঙ্গে রেল ভবনে বসেছিলাম। তাদের আমি বলেছিলাম খাবারের দাম আপনারা বেশি নেন তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু মান খারাপ হলে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। রেলের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বাড়ানোর জন্য বলেছি। আমরা চেষ্টা করছি সব সমস্যা সমাধানের। এছাড়া টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে বলেন, রেলওয়েতে টিকিট কালোবাজারি রয়েছে। এরা একটি বিরাট সিন্ডিকেট। আমি রেলমন্ত্রী হওয়ার পরে ইতোমধ্যে তিনটি সিন্ডিকেট ও টিকিট কালোবাজারিদের ধরেছি।  
১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৭

লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটে আসন ফাঁকা নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, প্রতিবাদ বিমানের
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত এক পোস্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা গেছে। ওই পোস্ট জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস বলে মনে করে সংস্থাটি। ফেসবুক পোস্টে বলা হয় ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ বলছে সংস্থাটি।        শুক্রবার (১৫ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের আসন ফাঁকাসংক্রান্ত একটি পোস্ট কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিমানের যাত্রী এবং সর্বসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এই পোস্ট বাংলাদেশের অন্যতম আইকনিক প্রতিষ্ঠান জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস। বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, ‘আসন খালি থাকা সত্ত্বেও টিকিট কিনতে গেলে বলে টিকিট নেই’- এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঢালাও মনগড়া অভিযোগ। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সব টিকিট সবার কাছে বিক্রির জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্ট ছাড়াও বিমানের নিজস্ব ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপ এবং বিমানের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র থেকে বিমানের টিকিট কেনা যাবে। অন্যান্য সব রুটের মতো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকা রুটের সব এয়ার টিকিটই এসব মাধ্যমে বুকিং করা যায়। এতে আরও বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের অভ্যন্তরে অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিও ধারণ এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ডিজিটাল যেকোনো মাধ্যমে প্রচার করে বিমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ অবস্থায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর, মানহানীকর ও বেআইনি তথ্য সম্বলিত কোনো পোস্ট ফেসবুক অথবা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার না করতে অনুরোধ জানিয়েছে বিমান। বিমান বাংলাদেশ জানায়, এয়ারলাইনস ব্যবসায় লিন বা পিক মৌসুম থাকে। পবিত্র রমজান মাসের শুরুর দিকে এবং মার্চ মাসে সাধারণত যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশের যাত্রী চাহিদা কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী যাত্রীর চাহিদা থাকে। বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যগামী সবগুলো ফ্লাইট আসন সংখ্যার প্রায় সমসংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালনা করছে। কিন্তু যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে বর্তমানে লিন মৌসুমের কারণে কম সংখ্যক যাত্রী নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এপ্রিল মাসের শেষের দিকে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশগামী ফ্লাইটে যাত্রীর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। গত সপ্তাহেও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের গড়ে ৮৬ শতাংশ যাত্রী (কেবিন ফ্যাক্টর) ছিল।
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৭:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়