• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল প্রকৌশলীর
গাজীপুরের পূবাইলের মীরের বাজার এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় শাহাদাত হোসেন মুন্না (২৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।  বুধবার (১ মে) সকালে মীরের বাজার এলাকার গাজীপুর-গাউছিয়া বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদাত হোসেন ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার রামগতি গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি গাজীপুর-গাউছিয়া ঢাকা বাইপাস সড়ক উন্নয়ন প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাহাদাত হোসেন মোটরসাইকেলে করে গাজীপুর যাওয়ার পথে বিপরীত দিক থেকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক তাকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পূবাইল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, শাহাদাত হোসেনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়েছে।  এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
০১ মে ২০২৪, ১৩:৫৭

পল্লবীতে রাস্তা পারাপারকালে বাসচাপায় প্রাণ গেল ফুফু-ভাতিজার 
রাজধানীর পল্লবীতে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন মোছা. খায়রুন বেগম (৩৬) নামে এক নারী ও ইয়াসিন (৪) নামে এক শিশু। সম্পর্কে তারা ফুফু-ভাতিজা বলে জানা গেছে।  মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে পূরবী সিনেমা হলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পল্লবী থানার অপারেশন অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, পল্লবীর পূরবী সিনেমা হলের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় বসুমতি পরিবহন নামের একটি বাস ওই নারী ও শিশুকে চাপা দেয়। গুরুতর আহতাবস্থায় দ্রুত তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে নেওয়া হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস অ্যান্ড হসপিটালে। কিন্তু দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক। তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই বিক্ষুব্ধ জনতা চালকসহ বাসটিকে আটক করে। খবর পেয়ে পল্লবী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখান থেকে বাসচালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। একইসঙ্গে জব্দ করা হয় বাসটিকে।   
২৩ ঘণ্টা আগে

প্রাণ জুড়াতে পান্তা, সঙ্গে থাকুক ২ পদ
পান্তা ভাত অনেকের কাছেই প্রিয় একটি খাবার। বিশেষ করে গরমের মৌসুমে পান্তা ভাত খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। গ্রামবাংলায় এটি নিত্যদিনের খাবার। সকালে পেট ভরে পান্তা ভাত খেয়ে চড়া রোদে কৃষকরা মাঠে কাজ করতে যান। তবে বর্তমানের উত্তাপ্ত তাপপ্রবাহ থেকে কিছুটা শান্তি পেতে অনেকেই পান্তা ভাতেই ভরসা খুঁজে নিয়েছেন। হরেক রকমের ভর্তা, মাছ ভাজাসহ গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে আপনিও পান্তা ভাত খেতে পারেন প্রতিদিন। সঙ্গে রাখতে পারেন মজাদার কয়েক পদের ভর্তা। পান্তার সঙ্গে ‘মজার’ ২টি ভর্তার রেসিপি জেনে নিন। রইল রেসিপি- রসুনের ভর্তা: পান্তা ভাতের সঙ্গে রসুন ভর্তা ঝাঁঝালো স্বাদ দেয়। মজাদার এই ভর্তাটি বানাতে কড়াইয়ে অল্প সরিষার  তেল দিয়ে ১০০ গ্রাম রসুনের কোয়া ভালো করে ভেজে নিন। রসুন নরম হলে নামিয়ে নিন। এবার কড়াইয়ে আরও একটু তেল দিন। ২-৩টি শুকনো মরিচ ভেজে তুলে রাখুন। সেই তেলেই কালোজিরা  ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি লাল করে ভেজে নিন। এবার একটি বাটিতে লবণ আর শুকনো মরিচ ভালো করে মাখিয়ে নিন। এর সঙ্গে ভাজা পেঁয়াজ, রসুন আর সরিষার তেল দিয়ে মাখুন। একটু লেবুর রস ও  ধনেপাতা কুচি দিয়ে আরও একটু মাখিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল রসুন ভর্তা। ডাল-চিংড়ি ভর্তা: চিংড়ি মাছ সবারই পছন্দ। পান্তার সঙ্গে চিংড়ির মাছের পদ রান্না করে খেতে ভালোই লাগে। তবে আরও জমে উঠবে চিংড়ি সঙ্গে ডাল দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খেলে। মুসুর ডাল ধুয়ে সামান্য হলুদ ও কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল দিয়ে সেদ্ধ করে নেবেন। সেদ্ধর পর ডাল আধভাঙ্গা অবস্থায় থাকবে। এবার চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে ধুয়ে নিন। লবণ ও মরিচ মাখিয়ে কড়াইয়ের তেলে চিংড়ি মাছগুলো ভেজে নিন। লাল হয়ে গেলে তুলে নিন। এই ভাজা মাছের সঙ্গে শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ কুচি আর রসুনের কোয়া ভাজা মিশিয়ে বেটে নিন। এবার ডাল-চিংড়ি মাছের এই মিশ্রণটি শুকনো কড়াইয়ে অল্প তেলে একটু নাড়াচাড়া করে এর সঙ্গে কাঁচা মরিচ কুচি, ধনেপাতা কুচি আর লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ব্যস, তৈরি হয়ে যাবে ডাল-চিংড়ির মজাদার ভর্তা। পান্তার সঙ্গে পরিবেশন করুন।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭

রাজধানীতে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মোটরসাইকেল চালকের
রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় নোমান মোল্লা (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয় সাদ্দাম মার্কেটের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।  ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. রাজু জানান, সাদ্দাম মার্কেটের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন নোমান মোল্লা। এসময় দ্রুতগামী একটি যাত্রীবাহী বাস এসে ধাক্কা দেয় তার মোটরসাইকেলে। গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন নোমানকে। নিহত নোমান মোল্লা কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি যাত্রাবাড়ী মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদরাসা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:০০

এই গরমে প্রাণ জুড়াবে শাহি লাচ্ছি
গরমে সবার পছন্দের পানীয় লাচ্ছি। গরমের এই দাপটে বাইরে থেকে ঘরে ঢুকে এক গ্লাস ঠান্ডা শাহি লাচ্ছি আপনাকে অনেকটাই শীতল করবে। একেতো গরম, তার ওপর রোগ-ব্যাধির প্রাদুর্ভাব। দই, ঘোল, লাচ্ছি বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। দেহ-মন শীতল রাখতে খাওয়া যেতেই পারে শাহি লাচ্ছি। দেখে নিন রেসিপি। উপকরণ:  ১ কাপ টকদই, ১ স্কুপ ভ্যানিলা আইসক্রিম, ১ টেবিল চামচ ভ্যানিলা আইসক্রিম, আধ টেবিল চামচ কেশর, আধ কাপ পানি, ১ টেবিল চামচ টুকরো কাঠবাদাম প্রণালী: টকদই, চিনি, পানি এবং ভ্যানিলা আইসক্রিম একসঙ্গে মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো করে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি পাত্রে ১ চামচ পানিতে কেশর ভিজিয়ে রাখুন। কেশর ভেজানো পানি তৈরি করে রাখা লাচ্ছির মধ্যে ঢেলে দিন। চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে মিশিয়ে নিন। তারপর কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। পরিবেশন করার আগে লাচ্ছির ওপরে ড্রাই ফ্রুটস এবং কাঠবাদামের টুকরো সাজিয়ে দিন।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২২

নোংরা বরফের শরবতে প্রাণ জুড়াচ্ছেন ঢাকাবাসী! (ভিডিও)
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। বাইরে বেরোলেই গলা শুকিয়ে হয়ে যাচ্ছে কাঠ। তৃষ্ণা মেটাতে মন চায় বরফ ঠান্ডা এক গ্লাস শরবত। কাঠফাটা গরমে ঠান্ডা বরফ দেওয়া এক গ্লাস শরবতে যেন প্রাণ জুড়িয়ে যায়। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের এই সময়ে সড়কের পাশে, মোড়ে মোড়ে বসেছে শরবতের দোকান। বিক্রি হচ্ছে লেবু, বেলের শরবত ও আখের রস। এ ছাড়া পেঁপে, আনারস, মাল্টা, আঙুরসহ বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফলের জুস। আর তৃপ্তির ঢেঁকুর তুললেও ঠান্ডার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ হিমায়িত করার বরফ। তীব্র গরমে একটু স্বস্তির আশায় রাস্তার পাশের এসব শরবত বা জুসের দোকানে হরহামেশাই ভিড় করছেন পথচারীরা। ক্লান্তি দূর করতে শরবত, আখের রস বা জুসে তৃষ্ণা মেটানো এই বরফ কোথা থেকে আসছে তা জানেও না ভোক্তা। জানা গেছে, ওয়াসার সাপ্লাইয়ের পানি দিয়ে, মাছসহ পচনশীল দ্রব্য সংরক্ষণের জন্য তৈরি করা হয় এ বরফ। বরফ মিশ্রিত এসব পানিও গরমে দেহের ক্ষতি করে, তার ওপরে দূষিত পানির ফলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ। মাছ বাজারের পানি আর ছাগলের মল-মূত্রে একাকার নোংরা পরিবেশে রাখা বরফ কিনে তা দিয়ে আখের রস করছিলেন ফার্মগেট এলাকার এক বিক্রেতা, আরটিভির ক্যামেরা দেখেই পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। একজন অ্যালোভেরার শরবত বিক্রেতা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকায় সবসময় বরফ ব্যবহার করি না। তবে গরমে তৃষ্ণা মেটাতে বরফের চাহিদা থাকায় ব্যবহার করছেন তিনিও। শরবত পান করা ক্রেতারা বলেছেন, গরমে হাতের নাগালে শরবত পেয়ে আমরা কিনে খাই। কিন্তু এসব বরফ কোথা থেকে আসে তা জানি না। নগরবাসী বলছেন, দূষিত পানির এই বরফ মিশিয়ে নানা ধরনের পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এজন্য সরকারের তদারকির অভাবকেই দায়ী করছেন তারা।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৫

সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের 
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে সাপের কামড়ে ইমামুল বেপারী (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  ইমামুল বেপারী সখিপুর থানার সখিপুর ইউনিয়নের আনু সরকারের কান্দি গ্রামের রাজ্জাক বেপারীর ছেলে। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে ইমামুল ছোট। তিনি একজন প্রবাসী ছিলেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ইমামুল বেপারী গ্রামের এক পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি ফিরেন। বাড়িতে তীব্র গরম থাকায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির সামনের সড়কে বাতাসে গিয়ে বসেন তিনি। তখন তাকে বিষধর সাপে কামড় দেয়। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এসে ডান পায়ে সাপের কামড়ের চিহ্ন দেখতে পান। পরে পা রশি দিয়ে বেঁধে দিয়ে প্রথমে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। সদর হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন না থাকায় ইমামুলকে বাসায় নিয়ে যায় স্বজনরা। পরে শুক্রবার সকালে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সকাল ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।  আনু সরকারের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও ইমামুলের বন্ধু খোকন মিয়া বলেন, ইমামুল রাতে বাড়ির সামনের সড়কে বসে ছিল এ সময় বিষধর সাপে কামড় দেয় তাকে। পরে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুতে এলাকাবাসীর মধ্যে সাপের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।   সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করে মুঠোফোনে বলেন, প্রচণ্ড গরমে সাপ ও পোকামাকড়ের উৎপাতে এলাকাবাসী আতঙ্কে আছেন। ধারণা করা হচ্ছে, বিষধর সাপের কামড়ে ইমামুলের মৃত্যু হয়েছে। শরীয়তপুর জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, সম্ভবত অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন শেষ হয়ে গেছে। যিনি এর দায়িত্বে ছিলেন তাকে আমি উপজেলার হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিভেনম আনতে বলেছিলাম। তবুও বিষয়টি আমি দেখছি।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৫২

কাভার্ডভ্যানচাপায় প্রাণ গেল ২ সবজি বিক্রেতার 
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কাভার্ডভ্যানের চাপায় দুজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাটুরিয়ার গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার কাটিগ্রাম গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে সানোয়ার হোসেন এবং মৃত সাইজুদ্দিনের ছেলে আবদুস সালাম (৫০)। তারা নিজেদের এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন। গোলড়া হাইওয়ে থানার পুলিশ এবং স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে জেলা সদরের জাগীর বন্দর কাঁচামালের আড়ত (পাইকারবাজার) থেকে সবজি কিনে একটি রিকশাভ্যানে করে নিজ এলাকা কাটিগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন সবজি ব্যবসায়ী সালাম ও সানোয়ার। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রিকশাভ্যানটিকে সামনের দিক থেকে চাপা দেয় পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ডভ্যান। এ সময় ঘটনাস্থলেই সালামের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সানোয়ারকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় রিকশাভ্যানটির চালক সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হন। গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু গণমাধ্যমকে বলেন, কাভার্ডভ্যানটির চালক ও সহকারী গাড়ি নিয়ে পালিয়ে গেছেন। গাড়িটি জব্দ এবং এর চালক ও তার সহকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭

সাতক্ষীরায় সড়কে ঝরল পিতা-পুত্রের প্রাণ
সাতক্ষীরা-বৈকারী সড়কের আগরদাড়ী মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় কাঠবোঝাই ট্রলির তলায় পড়ে পিতা-পুত্রের প্রাণ গেছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগরদাড়ী মহিলা মাদ্রাসা ও কামিল মাদ্রাসার মধ্যবর্তী স্থানে কাঠবোঝাই ট্রলির সামনের চাকা ব্লাস্ট হলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন হাফিজুর রহমান (৫৫) ও তার পুত্র আজিজুর রহমান(২৮)। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী এলাকায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা হবে।    স্থানীয়রা জানান, হাফিজুর রহমান ঢাকার সাভার উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার পদে কর্মরত ছিলেন। সাপ্তাহিক ছুটিতে হাফিজুর রহমান বৃহস্পতিবার বাড়ি ফিরছিলেন। শহর থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে কাঠবোঝাই ট্রলির চাকা ব্লাস্ট হয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই পিতা-পুত্র নিহত হন। এদিকে ট্রলি চালকের পরিচয় পেয়েছে পুলিশ। তার নাম আসাদুল ইসলাম। সে তলুইগাছা এলাকার নূরুল আমিনের ছেলে।      
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০৮

ভারতীয় হৃদয়ে প্রাণ বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর
আয়েশা রাশান। ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি তরুণী। হৃদপিণ্ডের দুরারোগ্য এক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না ওই ব্যাধি থেকে মুক্তির। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না সেই চিকিৎসার খরচ চালানোর, মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত ডোনারও। এদিকে ক্রমেই জীবনপ্রদীপ নিভে আসছিল আয়েশার, সঙ্গে দূর আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছিল তার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন। এরই মধ্যে করাচির এ তরুণীর জীবনে ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হলো পাশের দেশ ভারত।  সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সার্জারিটি সম্পন্ন করলেন চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ারের চিকিৎসকরা। ভারতীয় এক হৃদপিণ্ডে নতুন জীবনের মুখ দেখলেন পাকিস্তানি তরুণী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এই তথ্য। মেয়ের নতুন জীবন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেনি আয়েশার পরিবার। তারা বলেছে, ট্রাস্ট এবং চেন্নাইয়ের ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া অপারেশনটির খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। ভারতের চিকিৎসকরা তাদের কাছে দেবদূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। যে মেয়ের জীবনের আশা একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছিল, সেই মেয়েকেই নতুন হৃদয় দিয়ে পুনর্জীবন দিয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আয়েশার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারবেন। তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা একদম শেষের দিকে ছিল। তাকে সেই অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তার হৃদপিণ্ডে দুটি ফুটো হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়। তারা জানান, একটি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টে ৩৫ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু আয়েশার অপারেশনের সমস্ত ব্যয়ভার ট্রাস্ট এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করেছে। ডা. কে আর বালাকৃষ্ণান, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট), এবং ডা. সুরেশ রাও (সহ-পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট) জানিয়েছেন, দানকারী হৃদপিণ্ডটি দিল্লি থেকে এসেছে। তারা আরও জানান, আয়েশা আমাদের মেয়ের মতোই। সে আসলেই ভাগ্যবতী। এ সময় তারা আরও জানান, তামিলনাড়ু অঙ্গদান এবং প্রতিস্থাপনে এগিয়ে গেছে। সরকারের কাছে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যয়ভার আরও কমিয়ে আনার অনুরোধ জানান এ চিকিৎসকরা।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়