• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় দল ও অঙ্গ সংগঠনের ৭৩ নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।  বিএনপি সূত্রে জানা যায়, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছে, তারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তের পর তাদের নির্বাচন থেকে ফেরানোর নানা চেষ্টা করা হয়। এ লক্ষ্যে প্রার্থীদের কাছে স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের একটি চিঠি পাঠানো হয়। পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয়, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিশেষভাবে দায়িত্ব দেওয়া হয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া নেতাদের বোঝানোর জন্য। সব উপেক্ষা করেই বিপুলসংখ্যক সাবেক ও বর্তমান নেতা নির্বাচনে নেমেছেন। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিএনপির যেসব নেতা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ ও মহিলা) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগে

উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত হবে দেড়শ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর উপজেলায় প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নয় নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) পাঠিয়েছে দলটি। এনিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ভেতরে-বাইরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।   বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোতাহার হোসেন তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রূহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে প্রার্থী হওয়া নেতাদের এই শোকজপত্র পাঠানো হয়।   সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিএনপি নেতা মোতাহার হোসেন তালুকদার।     শোকজপ্রাপ্ত নেতারা হলেন- হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ, ঢাকা আইনজীবী ফোরামের সদস্য অ্যাডভোকেট হাসনাত তারেক, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা মহিলা দলের সহসভাপতি মনোয়ারা বেগম ময়না, সহকুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সুমী বেগম এবং সাবেক ছাত্রদল নেতা এবিএম কাজল সরকার, ধোবাউড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শামছুর রশীদ মজনু, উপজেলা বিএনপির সদস্য ফরিদ আল রাজী কমল, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম খান এবং ফুলপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. এমরান হোসেন পল্লব।   নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপি নেতাকর্মী জানান, বছরের পর বছর ধরে দলের সাংগঠনিক কাঠামো না থাকায় ভেঙে পড়েছে দলীয় শৃঙ্খলা। এ কারণে অনেকেই দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে দল এবং তৃণমূল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।             প্রার্থীতার বিষয়ে জানতে চাইলে হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার দল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে না। কিন্তু আমি স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকব। এর আগেও আমি বিগত পৌর নির্বাচনে দলের পদ থেকে পদত্যাগ করে প্রার্থী হয়েছিলাম।   এ প্রসঙ্গে ধোবাউড়া উপজেলার প্রার্থী শামছুর রশীদ মজনু বলেন, কেউ বলছে বিএনপি নির্বাচনে যাবে, কেউ বলছে যাবে না আবার কেউ বলছে এটা দলের কৌশল। কিন্তু আমি দলের ধার ধারি না। দল করে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, জেল খেটেছি, মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে দলের মধ্যে আমার মতো অনেকের কোনো মূল্যায়ন নেই, এখন দল বিক্রি করে খাচ্ছে অনেকেই। তাই আমি নির্বাচন করছি, এ কারণে দল থেকে বহিষ্কার হলেও আমার কোনো আক্ষেপ নেই কারণ দলের বহিষ্কার আদেশটিকেও আমি একটি ‘পদ বা পদবি’ মনে করি। আমি দুবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে টানা ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলাম। এখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জনগণ আমার পাশে আছে, আশা করি নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি শতভাগ বিজয়ী হব।   তবে বিএনপি নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তকে কৌশল হিসাবে দেখছেন ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বিএনপি নেতা মো. এমরান হোসেন পল্লব। তিনি বলেন, নির্বাচনে না যাওয়ার বিষয়ে বিএনপির সিদ্ধান্ত সঠিক কিন্তু আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কারণ আমরা প্রার্থী না হলে উপজেলা পরিষদের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো আওয়ামী লীগের হাতে চলে যাবে। আশা করি দল আমাকে বহিষ্কার করবে না, আর যদি করে তখন দেখা যাবে।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬

যে কারণে ৬৪ নেতাকে বিএনপির শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন। নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দলটির সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের শোকজের চিঠির উত্তর পাওয়ার পর দলীয় ফোরামের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া দলীয় পদে আছেন এমন সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। ৬৪ নেতাদের মধ্যে বহিষ্কার ৫ জন হলেন, নীলফামারী জেলাধীন জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (কমেট চৌধুরী), দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, সদস্য জহুরুল আলম এবং কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঈদগাঁ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪

২ নেতাকে বহিষ্কার করল বিএনপি
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। রোববার (২১ এপ্রিল) দলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।  
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৩৭

আহত আ.লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি করায় ডাক্তারকে মারধর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় এক ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে পটিয়া পৌর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া ওই ব্যক্তির নাম রফিক হাসান (৪৬)।  এর আগে গত বুধবার (১১ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার রক্তিম দাশ (২৯) ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই ডাক্তারকে মেরে আহত করা হয়। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী প্রকাশ বাহাদুর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপু ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সৈয়দসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে সাইফুল্লাহ পলাশ (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশ আহত সাইফুল্লাহ পলাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য অপারেশন রুমে নিয়ে যান। অপারেশন রুমে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই মারধর করা হয় এবং সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।  পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজে শনাক্ত করে রফিক হাসান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে। মামলায় অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৩

ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলি, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ছাত্রলীগের চার নেতাকে গুলির ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে আহত ছাত্রলীগ নেতা সজিবের মা বুলি বেগম। সোমবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলায় থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৮/২০ জনকে  অজ্ঞাতসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে সোমবার রাতেই পুলিশ এজাহার নামীয় ২নং আসামি থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ফারুক হোসেন (২৭) ও একই গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেজাউল করিম প্রকাশ বাবুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।  মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ। পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জয়, মো. রাফি, তারেক হোসেন ও রাসেদসহ ৬জন মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এম. মাসুদকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে পৌঁছে দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় এম. সজীবসহ অন্যান্যরা পাঁচপাড়া গ্রামের যৌদের পুকুর পাড় এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে কফিল উদ্দীন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম. সজীবসহ ৪ জনকে গুলিকরে ও দুইজনকে কুপিয়ে আহত করে। আহতদের স্বজনরা ও এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এম. সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী ও রাফির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাদেরকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়।  এ ঘটনার ৩ দিন পর সোমবার রাতে ভিকটিম এম. সজীবের মা পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী বুলি বেগম বাদী হয়ে ১১জনের নাম ও অজ্ঞাত আরও ১৮-২০ জনসহ মোট ৩১ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী বুলি বেগম জানান, মারাত্মক আহত এম. সজীবের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাহিদ হোসাইন জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে ছাত্রলীগের চার জনকে গুলি করে ও দুই জনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় ১১জন এজাহারনামীয়সহ মোট ৩১জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ ২নং আসামি তাজুল ইসলাম ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. এমদাদুল হক জানিয়েছেন, পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এম. সজীবসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। গ্রেপ্তারকৃতদের জবাববন্দি এবং পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এর প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৫

কুষ্টিয়ায় জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় নাফিস আহমেদ তুষার (২৮) নামে এক জাসদ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্থানীয় গোলাপনগর বাজারের পাশে একটি চায়ের দোকানে দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।  নিহত নাফিস আহমেদ তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোলাপনগর বাজারের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন নাফিস আহমেদ তুষার। হঠাৎ ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল এসে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত তুষারের বাবা রবিউল ইসলাম রবি বলেন, তুষার ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ১৭ রোজায় সে ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল।  ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রেজাউল করিম বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তুষারের দুই পায়ের রগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তা ছাড়া পিঠে একাধিক গভীর ক্ষতের চিহ্ন ছিল। জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন বলেন, তুষার মোকারিমপুর ইউনিয়ন জাসদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি। তার বাবা ইউনিয়ন জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি করছি। ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থলের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৯

ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, চাঁদা দাবির অভিযোগে আরেক নেতা আটক
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রায়হান আহমেদকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিককে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।  মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পিরোজপুর শহরের এলজিডি অফিসের সামনে রায়হানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই পুলিশ জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিককে আটক করেছে বলে জানান পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান।  আটক অনিরুজ্জামান অনিক (৩৩) পিরোজপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলুর ছেলে।   গুরুতর আহত মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রায়হান আহমেদকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে আনা হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।  রায়হান আহমেদ জানান, সন্ধ্যার আগে তিনি মঠবাড়িয়া থেকে পিরোজপুর শহরে আসেন। পরে শহরের এলজিইডি অফিসের কাজ শেষ করে বের হলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক কয়েকজন লোক নিয়ে তার গতিরোধ করে। এ সময় অনিক খোঁজ খবর নেওয়ার প্রসঙ্গে কথা বলেন। তবে কথার একপর্যায়ে তাকে হঠাৎ করে মারতে শুরু করে। অনিক ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন মিলে অনেক সময় ধরে তাকে মারধর করে। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক ডা. রমজান আলী জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ছাত্রলীগ নেতা রায়হানকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।  পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আসিকুজ্জামান জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রায়হান আহমেদকে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঠবাড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক রায়হান আহমেদ শহরের এলজিইডি অফিস থেকে বের হলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অনিরুজ্জামান অনিক তার লোকজন নিয়ে রায়হানের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে আহত রায়হানকে উদ্ধার করেছে এবং অনিককে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪

বিরোধীদলীয় নেতাকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদেরকে ঈদ এবং নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে জাতীয় সংসদের অফিস কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার-২ মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু জি এম কাদেরের একান্ত সচিব শামসুল ইসলামের কাছে শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেন। একইসঙ্গে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদের একান্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের কাছেও প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়। এ ছাড়া সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কাছেও বাংলা নববর্ষ এবং ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
৩১ মার্চ ২০২৪, ২৩:১৯

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান আটক
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী জিয়াউল ইসলাম ফুয়াদকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুরাদ আলী। এর আগে শুক্রবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাত ১২টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে জেসমিন আক্তারকে আটক করা হয়। ওসি মুরাদ আলী বলেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ফুয়াদ কাজী হত্যার অভিযোগে এর আগে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম হাওলাদারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা বাদের শেষে বলা যাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কি না। প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি রাতের দিকে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের মসজিদ বাড়ি এলাকায় আওয়ামী লীগের বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে ফুয়াদ কাজীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি রাতে ফুয়াদের বড় ভাই ফয়সাল কাজী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন।
৩০ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়