• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : শর্ত মানলে কারাভোগ করতে হবে না তিথির
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) সেই মামলায় রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। রায়ে বিচারক জুলফিকার হায়াত জবির সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাকে এক বছরের জন্য প্রবেশনে পাঠানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে এ মামলায় আসামি ২১ মাস কারাভোগ করেছেন। রায়ে বিচারক উল্লেখ করেছেন, পাঁচ বছরের সাজা থেকে আসামির ২১ মাসের কারাভোগের সময় বাদ যাবে। অর্থাৎ এই ২১ মাস সময়কে পাঁচ বছরের সাজা আওতায় ধরা হবে। এদিকে, রায়ের পর আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিথিকে সংশোধন হতে এবং তার বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করাসহ আট শর্তে তাকে এক বছরের প্রবেশনে মুক্তি দেন আদালত। এ সময়ে তিনি প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন। আদালত জানিয়েছেন, আসামি তিথি প্রবেশনের শর্তসমূহ যথাযথভাবে পূরণ করলে তাকে আর সাজা না-ও খাটতে হতে পারে। যেসব শর্তে প্রবেশন পেলেন তিথি : আসামি তিথি সরকারকে অপরাধী প্রবেশন অধ্যাদেশ, ১৯৬০ (১৯৬০ সালের ৪৫ নম্বর অধ্যাদেশ) এর ৫ ধারা মোতাবেক, আদালত কর্তৃক নির্ধারিত সময়কালের জন্য প্রবেশন আদেশের নিম্নোক্ত শর্তাবলিযুক্ত মুচলেকা সই করার শর্তে প্রবেশনে মুক্তি দেওয়ার আদেশ জারি করা হয়েছে। তিনি আট শর্তে মুচলেকায় সই করে মুক্তি পান। শর্তসমূহ হলো :  ১. আসামি-প্রবেশনার আগামী এক বছর সময়ের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে থাকবেন এবং ওই কর্মকর্তার নিদের্শনাসমূহ মেনে চলবেন। ২. ওই সময়সহ আসামি-প্রবেশনার ভবিষ্যতেও আর কোনো অপরাধে জড়াবেন না, শান্তি বজায় রাখবেন ও সদাচরণ করবেন। ৩. বয়োবৃদ্ধ বাবার নিয়মিত দেখভাল ও সেবাযত্ন করতে হবে। ৪. আদালত, প্রবেশন কর্মকর্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তলবমতে আসামি-প্রবেশনার যথাসময়ে হাজির হবেন। ৫. শহর এলাকায় বসবাসের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ আইনবহির্ভূতভাবে রাস্তা পারাপার করা যাবে না, সামাজিক নিয়ম-কানুন, প্রথা, রীতিনীতি প্রভৃতি মেনে চলবেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো কাজ করবেন না; প্রবেশন কর্মকর্তার অনুমতি ব্যতীত নিজস্ব কর্মস্থল বা বাসস্থান ত্যাগ করবেন না; এবং প্রবেশন কর্মকর্তার যে কোনো সময় আসামির গৃহ পরিদর্শন করতে আসামি-প্রবেশনার বা তার পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না। ৬. আসামি-প্রবেশনার অযথা রাতের বেলা ঘরের বাইরে অবস্থান করবেন না; মাদকদ্রব্য গ্রহণ, বিশেষত মাদকদ্রব্য বিক্রি ও সরবরাহ করা হয় এমন স্থানে যাতায়াত করবেন না; ধূমপান থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন; এবং জুয়া, অনলাইন জুয়া, তাস, ক্যাসিনো, বাজি ইত্যাদি থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। ৭. আসামি-প্রবেশনার প্রবেশনকালীন কোনো ধরনের স্মার্ট মোবাইল ফোন ব্যবহার করবেন না; প্রয়োজন হলে নন-স্মার্ট মোবাইল ফোন বা বাটন ফোন ব্যবহার করবেন। তবে শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে স্মার্ট ফোন ব্যবহারের আবশ্যকতা দেখা দিলে আসামি-প্রবেশনার তার মা-বাবা অথবা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক আত্মীয়, অথবা ক্ষেত্রমতে শিক্ষকের উপস্থিতিতে শুধু স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। ৮. উপর্যুক্ত যে কোনো শর্ত লঙ্ঘন করলে বা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামি-প্রবেশনার নিজেকে সংশোধন না করলে আসামির প্রবেশন আদেশ বাতিল হবে এবং প্রমাণিত অপরাধের দায়ে তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮ এর ২৮ (২) ধারায় পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হবে। আইন অনুযায়ী, প্রবেশন হলো অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি স্থগিত রেখে এবং কারাগারে না পাঠিয়ে তাকে শুধরানোর সুযোগ দেওয়া। প্রবেশন আইনে প্রথম ও লঘু অপরাধে দণ্ডিত শিশু-কিশোর বা অন্য কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে কারাগারে না পাঠিয়ে আদালতের নির্দেশে শর্তসাপেক্ষে প্রবেশন কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিজ বাসায় বা পরিবারের সঙ্গে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সমাজসেবা অধিদপ্তরের একজন প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে থাকেন। মূলত প্রবেশন একটি সামাজিক সংশোধনী কার্যক্রম। কোনো অপরাধী যেন ভবিষ্যতে নতুন করে অপরাধকর্মে লিপ্ত না হন এবং আইন মনে চলা ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেন, প্রবেশনের মাধ্যমে আদালত দণ্ডিত ব্যক্তিকে সেই সুযোগ দেন। তবে প্রবেশনের মেয়াদ শেষে প্রবেশন কর্মকর্তা যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির আচরণ সন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে আসামির কারাদণ্ড মওকুফ হবে। আর যদি আসামির আচরণ অসন্তোষজনক মর্মে প্রতিবেদন দেন, তবে প্রবেশন বাতিল ও আদালতের দেওয়া দণ্ড আসামিকে ভোগ করতে হবে। এ বিষয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম জানান, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি সরকারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তিথির আইনজীবী প্রবেশন চেয়ে আবেদন করলে আদালত এক বছরের জন্য কিছু শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তির আদেশ দেন। এই এক বছরে তাকে শর্তসমূহ মেনে চলতে হবে। শর্ত মানলে আদালত বিবেচনা করবেন তাকে আর সাজা খাটতে হবে কি না। আর শর্ত না মানলে তাকে সাজা খাটতে হবে। তিথির আইনজীবী বাবুলুর রহমান জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিথি সরকার নিজের ভুল স্বীকার করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য আদালতের কাছে সুযোগ চান। এর আগে তিনি ২১ মাস জেল খেটেছেন। সব কিছু বিবেচনা করে আদালত তাকে সংশোধনের জন্য এক বছরের প্রবেশন দেন। এই এক বছরে যদি তিনি আচরণগত পরিবর্তনসহ শর্তসমূহ মেনে চলেন তাহলে তাকে আর সাজা খাটতে হবে না। আর শর্ত ভঙ্গ হলে পূর্ণ সাজা ভোগ করতে হবে। ট্রাইব্যুনালের স্টেনোগ্রাফার মোহাম্মদ মামুন সিকদার জানান, প্রবেশনের সময় শেষ হওয়ার পর প্রবেশন কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। ওই প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে তিথি সরকার পুরো পাঁচ বছর সাজা খাটবেন নাকি মুক্তি পাবেন। রিপোর্ট ভালো হলে সাজা না খাটলেও চলতে পারে। আবার রিপোর্ট সন্তোষজনক না হলে সাজা খাটতে হবে।
১৪ মে ২০২৪, ১১:৩১

ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : জবি শিক্ষার্থী তিথি সরকারের কারাদণ্ড
ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন। সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন। এরপর চলতি বছরের ১৯ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে উপপরিদর্শক মেহেদী হাসান তাদের দুই জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে আসছিলেন তিথি সরকার। পরে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা তিথি সরকারের বহিষ্কার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত বছরের ২৩ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিথি সরকারকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এরপর তার পরিবার থেকে অভিযোগ আসে তিথি নিখোঁজ। গত বছরের ১১ নভেম্বর নরসিংদীর মাধবদীর পাঁচদোনায় স্বামীর এক দূরসম্পর্কীয় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তিথি সরকারকে এবং তার স্বামী শিপলু মল্লিককে রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৩ মে ২০২৪, ১৫:০৯

বৃহস্পতিবার হজ ফ্লাইট শুরু, হজযাত্রীদের যখন ক্যাম্পে উপস্থিত হতে হবে
চলতি বছরের হজ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (৯ মে) শুরু হচ্ছে। হজযাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বাংলাদেশ থেকেই শেষ করা হচ্ছে রুট-টু-মক্কা সার্ভিসের আওতায় হজযাত্রীদের সৌদি ইমিগ্রেশন ও লাগেজ ব্যবস্থাপনা। ফলে হজযাত্রীদের কমপক্ষে ৬ ঘণ্টা আগে হজ ক্যাম্পে যেতে বলা‌ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মুহা. আবু তাহেরের সই করা এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হযয়েছে, আগামীকাল থেকে পবিত্র হজের ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে যেসব হজ টিমের সদস্য সৌদি আরব গমন করবেন তাদের ফ্লাইটের নির্দিষ্ট সময়ের ৬ ঘণ্টা আগে হজ ক্যাম্প, আশকোনা, ঢাকায় ইমিগ্রেশনের জন্য আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকতে হবে। এ ছাড়া সদস্যদের সৌদি আরবে পৌঁছে দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে ৪ কপি করে পাসপোর্ট ও স্ট্যাম্প সাইজের ছবি সঙ্গে নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।  
০৮ মে ২০২৪, ১৯:৫৭

হজযাত্রীর ভিসার বিষয়ে এজেন্সিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যে বার্তা
হজযাত্রীদের ভিসা আবেদনের সময় দ্বিতীয় দফায় ১১ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সৌদি আরব সরকার। বাংলাদেশ সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে এই সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। মঙ্গলবার (৭ মে) হজ এজেন্সিগুলোর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।। এতে বলা হয়, চলতি বছরের হজ ভিসা সম্পন্নকরণের দ্বিতীয় পর্বের মেয়াদ আজ ৭ মে শেষ হওয়ার পর সৌদি সরকার আগামী ১১ মে পর্যন্ত ভিসার সময় বৃদ্ধি করেছে। বেসরকারি মাধ্যমে এ বছর ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী ২৫৯টি এজেন্সি বা লিড এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালন করবেন। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করা যায়নি। তাই জরুরিভিত্তিতে সৌদি সরকারের নির্ধারিত সময় আগামী ১১ মের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা কার্যক্রম সম্পন্নকরণের জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে। চলতি বছরের হজ কার্যক্রম আগামীকাল বুধবার (৮ মে) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিন বেলা ১১টায় রাজধানীর আশকোনায় হজক্যাম্পে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন তিনি। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর বৃহস্পতিবার (৯ মে) থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৬ জুন। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন।
০৭ মে ২০২৪, ২৩:০৬

ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তি, শিক্ষক কারাগারে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তিমূলক পোস্ট শেয়ার করার অভিযোগে করা মামলায় ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রি কলেজের জীব বিজ্ঞানের শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষকে (৪৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় তাকে ময়মনসিংহের চিফ জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বুধবার (২৪ এপ্রিল) শম্ভুগঞ্জ বাইতুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মো. কাইয়ূম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ওই মামলায় ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করে।    পুলিশ জানায়, শিক্ষক সুনীল চন্দ্র ঘোষ মুক্তাগাছা উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের বাসিন্দা সতেন্দ্র ঘোষের ছেলে। তবে বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করতেন।  মামলার বাদী জানান, সম্প্রতি সুনীল চন্দ্র ঘোষ তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি লেখা শেয়ার করেন। পরবর্তীতে এই পোস্টের কমেন্টসে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কটূক্তিমূলক কমেন্টস করেন। এরপর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ায় শম্ভুগঞ্জ এলাকার মুসলিমদের মধ্যে মুহূর্তেই চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করে।     জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক হোসেন খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহম্মেদ ভূঞার নির্দেশে সুনীল চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসহ ফেসবুকে আপলোডকৃত পোস্টের স্ক্রিনশট জব্দ করা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট মামলায় সুনীল চন্দ্র ঘোষকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।  
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৪

বাবা মুসলিম, মা হিন্দু— যে ধর্ম অনুসরণ করেন সারা
নবাব পরিবারে জন্ম সারা আলী খানের। তার আরেকটি পরিচয় হচ্ছে বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা সাইফ আলি খানের মেয়ে তিনি। সারার মা অমৃতা সিংও ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তবে তারা দুজন ভিন্ন ধর্মের অনুসারী।  যেহেতু সারার বাবা মুসলিম এবং মা হিন্দু। তাই তিনি কোন ধর্ম অনুসরণ করেন, সে বিষয়ে ভক্তদের আগ্রহের কোনো শেষ নেই। বাবা-মা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হওয়ায় ছোট থেকেই বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে সারাকে। যদিও অভিনেত্রীর নামের টাইটেলে সবসময় ‘আলি খান’ পদবিই ব্যবহার করেন সারা।   মুসলিম পদবি ব্যবহার করলেও মাঝে মধ্যেই মন্দিরে যেতে দেখা যায় সারাকে। তাই তিনি কোন ধর্ম আসলে অনুসরণ করেন, সে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহটা একটু বেশিই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজের ধর্মীয় বিশ্বাস ও পদবি নিয়ে মুখ খুলেছেন সারা।  সারা জানান, অতীতে অভিনেত্রীর ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্নে উঠলে ভীষণ বিরক্ত হতেন তিনি। তবে এখন আর বিষয়গুলো নিয়ে ভাবেন না তিনি। সারা মনে করেন— এগুলো একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। কে কী ভাবছে, কী বলছে তাতে কিছু আসে যায় না তার।      অভিনেত্রী বলেন, আমার ধর্মীয় বিশ্বাস, কী পছন্দ, আমি কীভাবে বিমানবন্দরে যাব, এই সবই আমার একান্ত সিদ্ধান্ত। এজন্য আমি কখনই কাউকে জবাবদিহি করব না। এমনকি কোনো কর্মকাণ্ডের জন্যও কারও কাছে ক্ষমাও চাইব না। আমার ধর্ম নিয়ে অন্য কারও প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই।  তিনি আরও বলেন, আমি একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম এবং গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। আমি কখনও অন্যায় নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার প্রয়োজন মনে করি না। কারণ, অযথা কথা বলায় বিশ্বাস করি না আমি। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহস আছে। তাই শুধু আমার সঙ্গে নয়, যদি এমন ঘটনা আমার চারপাশের লোকদের সঙ্গেও হয়, তাহলে তখনও অবস্থান নেব আমি।    বিভিন্ন সময়ই সারার মসজিদ কিংবা মন্দিরে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সমালোচকরা। মন্দিরে গেলে সারার শাস্তি দাবি করেন নেটিজেনদের একাংশ। অন্যদিকে আবার মসজিদে গেলেও ক্ষমা চাইতে বলেন। মূলত এসবের জবাবেই এমন মন্তব্য করেছেন সারা।  
২১ মার্চ ২০২৪, ১৩:০১

ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি : ফেনীতে সহকারী অধ্যাপক বহিষ্কার
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করায় ফেনীতে এক সহকারী অধ্যাপককে কলেজে অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার আবদুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মিজানুল হক নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করে মানবধর্মে যোগ দিবো’ এই শিরোনামে একটি স্ট্যাটাস দেন। ৫০ লাইনের ওই স্ট্যাটাসের শেষভাগে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইসলাম ধর্ম একটি সন্ত্রাসী ধর্ম’ । অপর লাইনে লেখেন, ‘ধর্মের ভুল ধরলে শুধুমাত্র এদেশে চাপাতি নাও, দা নাও, ছুরি নাও, মানুষ হত্যা কর’। শেষ লাইনে তিনি লিখেছেন, ‘সকলে আদম-হাওয়া থেকে এসেছে, তবুও কেন এত বিভেদ’।  এ পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ফুঁসে ওঠে ওই কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। পরে গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত শিক্ষক কলেজে আসছেন এ খবর শুনে ওই কলেজের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে ছাগলনাইয়া-বক্সমাহমুদ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে কলেজ প্রাঙ্গণের শহীদ মিনারে জড়ো হয়ে তার শাস্তির দাবি জানান তারা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী কলেজ শিক্ষার্থীরা জানান, ইসলাম ধর্ম অবমাননাকারী শিক্ষককে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেবেন না তারা। পরবর্তীতে কলেজের অধ্যক্ষ বিক্ষোভকারীদের কাছে গিয়ে কলেজের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্ত ওই  শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এতে বিক্ষোভকারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হক বলেন, মুঠোফোনটি বাসায় রেখে গেলে কে বা কারা আমার আইডি থেকে আপত্তিকর একটি স্ট্যাটাস দিয়ে দেয়। আমার নজরে পড়লে আমি স্ট্যাটাসটি ডিলিট করে দিই। কলেজের অধ্যক্ষ ড. মহাম্মাদ মহাতাব উদ্দিন প্রামাণিক জানান, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতির মধ্যে গভর্নিং বডির সিদ্ধান্তের আলোকে অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুল হককে কলেজে অবাঞ্ছিত, কলেজ আঙিনায় প্রবেশ নিষেধসহ বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলেজের সভাপতি ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল বলেন, অভিযোগ জানার পর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:২৫

বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. রফিকুল ইসলাম জামালকে মনোনীত করা হয়েছে। তিনি ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।  বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দল আশা প্রকাশ করে যে, মো. রফিকুল ইসলাম জামাল দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। এর আগে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে শহীদ মিনারে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার জন্য আজকে রাষ্ট্রশক্তি আক্রমণ চালাচ্ছে। গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া ৬ থেকে ৭ বছর ধরে বন্দি। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের সব অধিকারকে আজ বন্দি করে রাখা হয়েছে। দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, আমি মনে করি, ‘আমরা আজও গণতন্ত্র-হারা। আমরা আজও অধিকার-হারা। ভোটাররা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে না। কিন্তু সরকার অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি করে আসছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যেভাবে হানাদার শক্তি আমাদের ভাষার অধিকারকে আত্মসাৎ করেছিল, হরণ করেছিল। ঠিক একইভাবে দেশীয় হানাদার শক্তি জনগণের ভোটাধিকার, জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে একটি একচ্ছত্র রাজকীয় শাসন চালু করেছে।’ রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছিলেন। ৫২ সালে এদেশের জনগোষ্ঠীর ভাষা ছিল বাংলা, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল উর্দু। গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার ধারাবাহিকতা অনেক রক্ত ঝড়িয়ে আমরা একাত্তরের স্বাধীনতা লাভ করেছি। কিন্তু আজকে আমরা কী পেয়েছি?’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে পারি না। আমরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারি না। আমরা প্রাণ খুলে কথা বলতে চাই। সোচ্চার কণ্ঠে কথা বলতে চাই। নির্বিঘ্নে কথা বলতে চাই। সে অধিকারের মূল প্রেরণা ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা আন্দোলন। আমরা সেই পথ ধরে এগিয়ে যাব।’
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৬:৩১

ধর্ম পরিবর্তন নিয়ে মুখ খুললেন বাপ্পী চৌধুরী
ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। নতুন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করলেও সেগুলো এখনো আলোর মুখ দেখেনি। সম্প্রতি এই নায়ক ওয়াজ মাহফিলে অতিথি হিসেবে অংশ নিয়েছেন। সেই ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন তিনি নিজেই। সেখানে দেখা যাচ্ছে, আলোচনা করছেন একজন আলেম। এ নায়ক তার পাশে বসে মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শুনছেন। ভিডিওর ক্যাপশনে বাপ্পি লিখেছেন, সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে এবং সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে আনুগত্যবোধ ও শ্রদ্ধাবোধ থাকাই খাঁটি মানুষের পরিচয়। আমি একজন মানুষ হিসেবে দেশের সকল ধর্ম ও ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি মনে করি প্রতিটি মানুষেরই নিজের ধর্মের পাশাপাশি অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই তো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এই নায়ক বলেন, ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন দিক আমার বেশ পছন্দের। বিশেষ করে, শিশু-কিশোরদের কোরআন তেলওয়াত। হাজারও শিশু এই কোরআন মুখস্থ করে, তেলাওয়াত করে। যা আমাকে বেশ মুগ্ধ করে। বাপ্পী যোগ করেন, ইসলামিক কোনো আয়োজনে অংশগ্রহণ করায় বিষয়টি নিয়ে কোনো বিতর্ক হোক আমি চাই না। ইসলাম ধর্মের প্রতি সম্মান আছে, তাই বলে নিজ ধর্ম পরিবর্তন করব- এমন কোনো ভাবনা নেই। আমার কাছে মানবধর্ম বড় ধর্ম। প্রসঙ্গত, বাপ্পী অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আশরাফ শিশিরের পরিচালনায় ‘৫৭০’, শাহীন সুমনের ‘কুস্তিগির’, বেলাল সানির ‘ডেঞ্জার জোন’ এবং সাফি উদ্দিন সাফির ‘সিক্রেট এজেন্ট’। অনেক আগেই সিনেমাগুলোর কাজ শেষ হলেও আজও আলোর মুখ দেখেনি। আদৌ আলোর মুখ দেখবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়