• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা, কারাগারেও যেতে পারেন ট্রাম্প
ফৌজদারি মামলায় আদালতের আদেশ লঙ্ঘনের দায়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ৯ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন দেশটির এক আদালত। একইসঙ্গে সতর্ক করে বলা হয়েছে, পরবর্তীতে আবারও আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করলে জেলে যেতে হতে পারে তাকে। খবর রয়টার্সের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) নিউইয়র্কের একটি আদালত এই আদেশ দেন। পর্নোতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মামলার শুনানি চলছিল ওই আদালতে। শুনানি চলাকালে আদেশ ছিল, ট্রাম্প যেন প্রকাশ্যে মামলার সাক্ষী, বিচারক বা আদালতের কর্মী এবং তাদের আত্মীয়স্বজনকে আক্রমণ না করেন। কিন্তু সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৯ বার এই আদেশ লঙ্ঘন করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় আদালতের কাছে। এজন্য বিচারক হুয়ান মারচেন নির্দেশ দেন, প্রতিবারের আদেশ লঙ্ঘনের জন্য এক হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। একইসঙ্গে নিজের তৈরি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল থেকে সাতটি এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার ওয়েবসাইট থেকে দুটি পোস্ট সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাকে। এদিকে গত ২৩ এপ্রিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রসিকিউটররা অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা পোস্টে এ মামলার বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্পের করা এমন ১০টি পোস্টের কথা উল্লেখ করে তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করার দাবি জানিয়েছিলেন প্রসিকিউটররা। সেসব পোস্টে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট ঘুষ মামলার সম্ভাব্য সাক্ষীদের অপমান করেছেন এবং জুরির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য, আদালতের আদেশ অমান্য করলে যুক্তরাষ্ট্রে ৩০ দিনের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। ফলে নতুন এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারবেন বিচারক।
১৪ ঘণ্টা আগে

আমিরাতে ঋণের দায়ে প্রবাসীর আত্মহত্যা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলী সাদিক। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তিনি। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ীক পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে ডুবে যান হতাশার বেড়াজালে। শেষ পর্যন্ত আর কোন কূলকিনারা না পেয়ে বেঁছে নিলেন আত্মহত্যার পথ।  ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করা নিহত প্রবাসী মোহাম্মদ শিবলি সাদিক (৩৮) লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের বাঞ্ছানগর গ্রামের মৃত হারুন উর রশিদের ছেলে। নিহতের প্রতিবেশী চাচাতো ভাই মোহাম্মদ মনির বলেন, শিবলি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিছুদিন আগে দেশ থেকে ঋণ নিয়ে এখানে রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেন। সাম্প্রতিক তার ব্যবসায়ী পার্টনার রিয়েল এস্টেট এ বিনিয়োগ করা সকল অর্থ হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ঋণের চাপ ও পার্টনার কর্তৃক প্রতারিত হয়ে হতাশয় ভুগছিলেন তিনি। পরে হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহননের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নেন শিবলি। এখন পর্যন্ত মৃতের ব্যবসায়ী পার্টনার প্রতারকের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তিনি আরও জানান, মৃত শিবলী একই গ্রামের মো. আবুল কাশেমের মেয়ে তানজিনা আফরিনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। ব্যক্তি জীবনে নিঃসন্তান ছিলেন তিনি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবিতে নিযুক্ত শ্রম কাউন্সিলর লুৎফুন নাহার নাজিম বলেন, মৃত্যুর খবর আমারা জেনেছি। মরদেহ এখন বানিয়াছ এর কেন্দ্রীয় মর্গে রয়েছে। দেশটির আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ দেশে পৌঁছাতে দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নিবে এবং প্রয়োজনীয় সব ডকুমেন্টস তৈরির বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ, গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী আবুধাবির শেখ হামদান সড়কে তার বাসস্থল বিল্ডিং এর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানায় আবুধাবি পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।  
০১ মে ২০২৪, ০০:২২

গাজীপুরে স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন
অপহরণের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে এক স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে সাতজনকে সশ্রম যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ এপ্রিল) গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. বাহাউদ্দিন কাজী এ রায় দেন। রায়ে প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন সেলিম (২২), আব্দুল্লাহ আলম মামুন (১৯), শাহ আলম (২৯), মো. রিপন মিয়া (৩০), মো. মিলন খন্দকার (২৪), মো. তানজিল (২৪) ও শফিকুল ইসলাম (২২)। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, সেলিম, রিপন খন্দকার ও মো. তানজিল। শাহ আলম ও মিলন খন্দকার জামিন নিয়ে পলাতক এবং শফিকুল ইসলাম মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র মো. সোহেল পার্শ্ববর্তী চায়ের দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তিনি আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। পরদিন সোহেলের বাবার মোবাইলে ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তি সোহেলের সন্ধান লাভের জন্য ১ লাখ টাকা দাবি করেন। ১০ ডিসেম্বর সকালে জয়দেবপুর থানার লুটিয়ারচালা গ্রামের মিনারদাগ নামক স্থানে গজারী বনের ভেতরে ছেলের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান। পরে খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, অজ্ঞাতনামা খুনিরা অজ্ঞাত কারণে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার ছেলে মো. সোহেলকে বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার পথে কৌশলে ডেকে নিয়ে মারপিট করে গলায় প্লাস্টিকের সুতো প্যাঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। হত্যার রহস্য গোপন করার জন্য মরদেহ ঘটনাস্থল লুটিয়ারচালা এলাকার মিনারদাগ গজারী বনের ভেতরে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ হাসান তদন্তের পর ২০১৫ সালের ১৮ জানুয়ারি ওই সাতজনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দেন। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সাত আসামিকে সাজা প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মাহবুব আলম মামুন। আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট লাবিব সিদ্দিকী।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার, বাল্কহেডসহ আটক ১১
মাদারীপুরের শিবচরের পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে তিনটি ড্রেজার ও দুইটি বাল্কহেডসহ ১১ জনকে আটক করেছে নৌপুলিশের একটি দল।  সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে পদ্মসেতুর উজানে পদ্মা নদীর চরজানাজাত কাঁঠালবাড়ীসহ নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃত হলেন এম এম এস বিক্রমপুর ড্রেজারের হুইচম্যান আশরাফুল (৪৫) চৌধুরী ও বাবুর্চি ওমর ফারুক। আশিক ড্রেজারের হুইচম্যান আনোয়ার (২৮) বাবুর্চি ফারুক ফকির। এমবি মায়ের আশীর্বাদ ড্রেজারের মিস্ত্রি কালিমুল্যা  (২৮) বাবুর্চি মজিবর ফরাজি, সুকানী আব্দুল মান্নান (৩২) মিস্ত্রি শাহিন খলিফা (২৮) এমবি ফোর ব্রাদার ড্রেজারের মাস্টার আবুল কালাম (৬০) মিস্ত্রি মান্নান চদিকার (৩৫) সহ বালু উত্তোলন কাজে জড়িত থাকায় মোট ১১জনকে আটক করে চরজানাজাত নৌ পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল। আটককৃত ড্রেজারগুলো হলো- এম এম এস বিক্রমপুর, মায়ের আশীর্বাদ, এম বি ফোর ব্রাদার। মাদারীপুরের চরজানাজাত নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. আনিসুর রহমান বলেন, রাতের অন্ধকারে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অপরাধে ৩টি ড্রেজার, ২টি বাল্কহেডসহ ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:২৪

নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।  এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবী আব্দুল খালেক।
২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:১২

সীমা লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তির মুখে ৩৩ ব্যাংক ও ৬ প্রতিষ্ঠান
তারল্য সংকটের ধকল সামলাতে নিজেদের মধ্যে কল মানিতে (ওভারনাইট) ধারদেনা করছে তফসিলি ব্যাংক ও অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। আর এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ ব্যাংকই মানছে না বেঁধে দেওয়া ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ হারের সীমা। এই সীমা লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত সুদে ৫ হাজার ৮১১ কোটি টাকা লেনদেন করেছে ৩৩টি ব্যাংক এবং ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান।  বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কল মানিতে সুদের হারের সর্বোচ্চ সীমা লঙ্ঘনের দায়ে এই ৩৯ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ব্যাপারে সন্তোষজনক জবাব দিতে ব্যর্থ হলে জরিমানার মুখে পড়তে হবে প্রতিষ্ঠানগুলো। এমনকি বাতিল হতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য সুবিধাও। তবে শাস্তি নির্ধারণের আগে যথাযথভাবে তদন্ত করা হবে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, যাদের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের দায় প্রমাণিত হবে, তারাই আইন অনুযায়ী শাস্তি পাবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩টি ব্যাংক বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ৯ টাকা ৫০ পয়সা সুদের সীমা লঙ্ঘন করে ৩ হাজার ১০৫ কোটি ধার করেছে এবং একই সময়ে ২ হাজার ৬১০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে অন্য ব্যাংককে। একইভাবে ৬টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ সুদের সীমা ভেঙে ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ হারে ৯৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ধার করেছে। এ ধরনের লেনদেনকে ব্যাংকিং নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ব্যাংকের মধ্যে জনতা ব্যাংক ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে কল মার্কেটে ৪৮১ কোটি টাকা ধার করেছে অন্য ব্যাংক থেকে। একই রেটে ৯৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ সুদে  ধার দিয়েছে ৪৫৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ সুদে ৩০৪ কোটি টাকা, ব্যাংক অব শিলং ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ১১৬ কোটি টাকা এবং ব্যাংক আল ফালাহ ১৭৬ কোটি টাকা ধার দিয়েছে।  বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ৩০০ কোটি টাকা ধার দিয়েছে সিটি ব্যাংক। এছাড়া আইএফআইসি ব্যাংক ৯ দশমিক ৯০ শতাংশ সুদে ২০৯ কোটি এবং সিটিজেন ব্যাংক ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ১৮ কোটি টাকা অন্য ব্যাংকে ধার দিয়েছে। ইউসিবি ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে ধার করেছে ২৯৭ কোটি টাকা এবং একই সময়ে ব্যাংকটি ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ সুদে অন্য ব্যাংকে ধার দিয়েছে ২৮০ কোটি টাকা।  নির্ধারিত সুদের চেয়ে বেশিতে ঋণ নেওয়া ব্যাংকগুলোর তালিকায় নাম আছে ইস্টার্ন ব্যাংক, এসবিএসি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, সীমান্ত ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, মেঘনা ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর।  এছাড়া অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইডিএলসি, ডিবিএইচ, পিএফআইএন, বে লিসিং, বিডি ফাইন্যান্স ও আইসিবি নিয়ম লঙ্ঘন করে কল মার্কেটে লেনদেন করেছে।   প্রসঙ্গত, কল মানি হচ্ছে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকের টাকা ধার নেওয়ার একটি ব্যবস্থা। যেসব ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত তারল্য থাকে, তারাই মূলত ধার দিয়ে এর বিনিময়ে সুদ নেয়। সুদের হার নির্ভর করে কত দিনের জন্য টাকা ধার নেওয়া হচ্ছে, তার ওপর। বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকিতে এ কল মানি দেওয়া হয়।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৮

চুয়াডাঙ্গায় দম্পতিকে খুনের দায়ে ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় স্বামী-স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। একই মামলায় একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. মাসুদ আলী আসামিদের উপস্থিতিতে চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (২৬), একই গ্রামের পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৭) ও মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৫)। দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই উপজেলার আসাননগর গ্রামেরতাহাজ উদ্দিনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা শহরের পুরাতন বাজার এলাকার নজির মিয়া (৭০) ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা। চাঞ্চল্যকর ওই মামলার তদন্তকালে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করে একই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি আদালতে চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরামুল হক। সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ ওই রায় দেন বিচারক।
০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪১

যৌন নিপীড়নের দায়ে জবির দুই শিক্ষকের শাস্তি
যৌন নিপীড়নের দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক সাহেদ ইমনকে সাময়িক বহিষ্কার ও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে সহযোগিতা না করায় একই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জুনায়েদ হালিমকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলের দেওয়া রিপোর্টে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ সিন্ডিকেট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর দায়ের করা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি এখানে উপাচার্য হয়ে আসার পর আরেকটি তদন্ত বোর্ড গঠন করে দিয়েছি। আশা করি খুব শিগগিরই সেই রিপোর্ট আমরা হাতে পাবো।  তিনি আরও বলেন, আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের সাময়িক বহিষ্কার আদেশ নিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। অবন্তিকার মৃত্যুর ঘটনার যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সে বিষয়েও সম্মানিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। এর আগে শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার পর সোমবার (১৮ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ তোলেন ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম। এর মধ্যে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের ওপর। আর তাকে বাঁচানোর চেষ্টার অভিযোগ তোলেন বিভাগটির চেয়ারম্যান জুনায়েদ আহমেদ হালিমের ওপর।
২১ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৫

পাকিস্তানে সাংবাদিক অপহরণের দায়ে দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
ডেইলি জাংয়ের সাংবাদিক মোহাম্মদ নাদিমকে অপহরণ ও হয়রানির অভিযোগে পাকিস্তানের সিন্ধু কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্টের (সিটিডি) দুই কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাদেরকে এ বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে সিটিডি পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) আসিফ এজাজ শেখ জানান, রেসকোর্সের কাছে একটি পাবলিক ট্রান্সপোর্ট পয়েন্ট থেকে ওই সাংবাদিক ও আরেক ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়ে সিটিডি সিভিল লাইনস থানায় নিয়ে আসে তারা। সিটিডির সিনিয়র পুলিশ সুপার ইমরান শওকত প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। যার ভিত্তিতে সিটিডি সদস্য জয়নুল আবিদিন এবং কালাই খান নামে দুই কর্মীকে তদন্ত সাপেক্ষে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিআইজি এজাজ শেখ বলেন, ১১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সিটিডির গোয়েন্দা শাখার দুই পুলিশ কনস্টেবল নাদিম ও মুহাম্মদ রিয়াজকে সন্দেহভাজন হিসেবে সিটিডি কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সিটিডি সদস্য জয়নুলের দাবি ২৯ জানুয়ারি অফিসে যাওয়ার সময় একটি বাস থেকে তার মোবাইল ফোনটি চুরি হয়েছিল। কনস্টেবল জয়নুল সেদিনই ফ্রেরে পুলিশকে চুরির বিষয়টি জানিয়েছিলেন। ১১ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টায় একই বাসে ভ্রমণের সময় তিনি ‘দুই সন্দেহভাজনকে’ দেখতে পান, যারা সম্ভবত তার মোবাইল ফোন চুরি করেছিলো।  সিটিডি কমপ্লেক্সে পুলিশ অফিসারকে জানানো হয়েছিল যে, বিষয়টি সন্ত্রাস দমনের সাথে সম্পর্কিত নয় এবং সন্দেহভাজনদের ফ্রেরে থানায় নিয়ে যাওয়া উচিত কারণ বিষয়টি মূলত সেখানে রিপোর্ট করা হয়েছিল। শেখ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় নাদিম ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, তিনি অপরাধী নন এবং তিনি দৈনিক জাং সংবাদপত্রের জন্য কাজ করেন। নাদিমকে তার প্রেস ক্রেডেনশিয়াল যাচাইয়ের পরে সিটিডি গার্ড রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।  অন্য সন্দেহভাজনকে ফ্রেরে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সন্ধ্যা ৭ টায় ‘জিজ্ঞাসাবাদ’ করার পরে তাকেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ডিআইজি শেখ বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা যাচাই করেছেন।
১৭ মার্চ ২০২৪, ১৫:৫৩

শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে শাবিপ্রবিতে হল থেকে বহিষ্কার ৮ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ২০২১-২২ সেশনের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে কোন্দল এবং ছাত্রলীগের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় জড়িত আট শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বহিষ্কৃতরা শাবি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সাময়িক বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকা অবস্থায় তারা আবাসিক হলে প্রবেশ করতে পারবে না। বহিষ্কৃতরা হলেন- সফটওয়্যার ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সাদমান হাফিজ ও রিফাত চৌধুরী রিয়াজ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মোবাশ্বির বাঙালি, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মহসিন নাইম ও ইংরেজি বিভাগের তৈমুর সালেহীন তাউস, সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের হৃদয় মিয়া, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শান্ত তারা আদনান ও পরিসংখ্যান বিভাগের তানভীর আহমেদ। জানা যায়, ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থীদের ব্যাচের নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে এক শিক্ষার্থীর মন্তব্যের জের ধরে শাহপরাণ হলের সামনে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে সমাধানের উদ্দেশ্যে ওই হলের গেস্ট রুমে ছাত্রলীগের একাধিক গ্রুপের কর্মীরা বসে। বিষয়টি সমাধান না হয়ে আবারও তর্কাতর্কিতে রূপ নেয় এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মামুন শাহের অনুসারীরা বঙ্গবন্ধু হলে অবস্থান নিলে ছাত্রলীগ নেতা সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজীবুর রহমান, সাবেক সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়াসহ অন্যান্য গ্রুপের কর্মীরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এবং হলের প্রভোস্ট বডির সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। বহিষ্কার ও ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, হল প্রশাসনের প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে তাদের হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়াও অন্যান্যরা জড়িত কিনা চূড়ান্ত তদন্ত করার জন্য আরও একটি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক আজিজুল বাতেন। আশাকরি, তিনি খুব দ্রুত এ ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১৮:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়