• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
লাইভ সংবাদ পাঠের সময় গরমে জ্ঞান হারালেন প্রেজেন্টেটর
বাংলাদেশের মতো পাশের দেশ ভারতেও চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহর। জারি করা হয়েছে হিট এলার্ট। ভয়াবহ গরমে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে নগরবাসীর। এরকমই গরমে লাইভ সংবাদ পাঠ করার সময় অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন লোপামুদ্রা সিনহা নামে কলকাতার টিভির এক নিউজ প্রেজেন্টেটর।  শনিবার (২০ এপ্রিল) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ালের পরিচিত অভিনেত্রী লোপামুদ্রা দীর্ঘদিন টিভিতে সংবাদ পাঠ করছেন। শুক্রবার নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে অসুস্থতার কথা জানান তিনি। ভিডিওবার্তায় নিজের অনুসারীদের লোপামুদ্রা জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় মারাত্মক গরমে হঠাৎ অসুস্থবোধ হয় তার। লাইভ নিউজ চলার সময় তার বিপি (রক্তচাপ) আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।  কলকাতার টিভির এ নিউজ প্রেজেন্টেটর বলেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই আমার শরীর খারাপ লাগছিল, মনে হচ্ছিল একটু পানি খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আমি কোনোদিন পানি নিয়ে সংবাদ পড়তে বসি না। সেটা ১০ মিনিটের নিউজ হোক বা আধ ঘণ্টার, কখনো প্রয়োজন পড়েনি।…. ফ্লোর ম্যানেজারকে ইশারা করে পানির বোতল চাই। সেই সময় জেনারেল স্টোরি যাচ্ছিল, কোনো বাইট চলছিল না। ফলে আমি পানি খেতে পারচ্ছিলাম না। অবশেষে একটা বাইট আসায় পানি খাওয়ার সুযোগ মেলে। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়েছিল বাকি চারটি নিউজ স্টোরি আমি শেষ করতে পারব। দুটো কোনোরকমে কমপ্লিট করি, তিন নম্বরটা হিট ওয়েভের ওপর স্টোরি ছিল। সেটা পড়ার সময়ই আমার আস্তে আস্তে কথাটা জড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমি শেষ করতে পারব, নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু না…অসুস্থতা তো বলে কয়ে আসে না। ওই স্টোরিটার সময় আমি আর কিছু দেখতেই পাচ্ছিলাম না। টেলিপ্রমটারটা আবছা হতে হতে শেষে আমি ব্ল্যাকআউট হয়ে যাই। টিভির নিউজ ফ্লোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও ওইদিন সেটি কাজ করছিল না এবং এর ফলে ফ্লোর ভ্যাপসা গরম হয়ে পড়েছিল বলে ভিডিওবার্তায় জানান লোপামুদ্রা।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৫

বড় চুল কাটতে বলায় মারপিট, ৮ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি বৃদ্ধের
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) নামে এক প্রবীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ উঠেছে বাপ ও দুই ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মানুদাকান্ত লাহিড়ী স্ত্রী শান্তনা লাহিড়ী বাদি হয়ে শাহজাদপুর থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ কে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটদিন ধরে মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) মৃত্যু শয্যায় ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও থানা পুলিশ এ ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আন্তরিক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর আহত মানুদাকান্ত লাহিড়ী (৬২) উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের জামিরতা গুধিবাড়ী গ্রামের মৃত লক্ষীকান্ত লাহিড়ীর ছেলে। ঘটনায় জড়িত মূলহোতা একই গ্রামের মশিউর রহমান (৪৫) ও তার দুই ছেলে আবির রহমান (২৫) ও নিবির রহমান সনি (২২)।  মামলার এজাহার ও আহতের স্ত্রী শান্তনা লাহিড়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একই গ্রামের মশিউর রহমানের ছেলে আবির রহমান ও নিবির রহমান সনি বাড়ীর সামনের সড়কের চা স্টলে গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইয়ার্কি ফাজলামি করতে থাকে। এ সময় বয়োজ্ব্যেষ্ঠ মানুদাকান্ত লাহিড়ী তাদের বারণ করে এবং তাদের চুল বড়বড় থাকায় চুল কাটতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আবির ও সনির বাবা মশিউর রহমান মানুদাকান্তকে জরুরি কথা আছে বলে ফোন করে তাদের বাড়ির সামনে ডেকে নেয়। মানুদাকান্ত সরল বিশ্বাসে সেখানে পৌঁছানো মাত্রই মশিউর রহমানের নির্দেশে তার ২ বখাটে ছেলে আবির ও সনি তাদের সহযোগী কয়েকজন বখাটে যুবক দিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মানুদাকান্ত লাহিড়ীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এসময় তার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীগন বিভিন্ন ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। এক পর্যায়ে মানুদাকান্তর নাক মুখ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে তিনি জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যান। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিলেও অবস্থার বেগতিক হলে তাকে ঢাকায় ভর্তি করা হয়েছে।  বর্তমানে ঢাকার ধানমন্ডিস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউ এর লাইফ সাপোর্টে মানুদাকান্ত ৮ দিন যাবৎ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি বলে স্বজনেরা নিশ্চিত করেছেন।  শাহজাদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে। শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান আরটিভি নিউজকে বলেন, তারা মামলাটি করতেই একটু দেরি করে ফেলেছেন, যার ফলে আসামিরা পালানোর সুযোগ পেয়েছে। মামলাটি আমরা অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তারে আমাদের একাধিক টিম নানান জায়গায় কাজ করছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব।
২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়