• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সর্বজনীন পেনশন স্কিমে গ্রাহক এক লাখ ছাড়াল
সরকারের সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির (স্কিম) গ্রাহক এক লাখ ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট চালু হওয়ার ৮ মাস ১২ দিনের মাথায় এক লাখ গ্রাহক হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিজ্ঞপ্তিতে এটি ‘উল্লেখযোগ্য অর্জন’ বলে দাবি করেছে জাতীয়  পেনশন কর্তৃপক্ষ । জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাইলফলক অতিক্রম সংক্রান্ত একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। এ সময় অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে চার ধরনের পেনশন কর্মসূচি চালু রয়েছে। পেনশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এগুলোতে এ পর্যন্ত চাঁদা পরিশোধ করেছেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৩৮ জন। চাঁদার পরিমাণ ৫২ কোটি ৩৮ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সর্বজনীন পেনশনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে মাঠ প্রশাসনকে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে গঠন করা হয়েছে সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি। পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদেরও বিভাগভিত্তিক তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) নিয়মিতভাবে বিভাগ, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক নিবন্ধন তদারকি ও বাস্তবায়ন করছেন। বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বজনীন পেনশন মেলা ও কর্মশালার আয়োজন করে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১৯ এপ্রিল বিভাগীয় পেনশন মেলা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে রাজশাহীতে। পর্যায়ক্রমে বিভাগীয় মেলা হবে বাকি সাত বিভাগেও। পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, সবচেয়ে বেশি চাঁদা জমা দিয়েছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। তাদের প্রগতি স্কিমে ১৪ হাজার ৭৮৪ জন চাঁদা জমা দিয়েছেন। চাঁদার পরিমাণ ২৪ কোটি ২০ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা। বার্ষিক আয় ৬০ হাজার টাকার কম, এমন শ্রেণির মানুষের জন্য চালু হয়েছে সমতা স্কিম। এ স্কিমে চাঁদা দিয়েছেন ৫৪ হাজার ৪৫৫ জন। তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ ৭ কোটি ২৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। প্রবাসীদের জন্য চালু রয়েছে প্রবাস স্কিম। এ স্কিমের আওতায় ৬৩৩ জনের জমা চাঁদার পরিমাণ ৩ কোটি ৫ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা। কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি পেশার ব্যক্তিদের জন্য চালু সুরক্ষা স্কিমের আওতায় ৩১ হাজার ৪৬৬ জন চাঁদা দিয়েছেন ১৭ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা। পেনশন কর্তৃপক্ষ জানায়, চাঁদা বাবদ জমা পড়া টাকার বেশির ভাগই ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা—চলমান এ চার স্কিমের বাইরে প্রত্যয় নামে আরেকটি স্কিম চালু হবে স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য। আগামী ১ জুলাইয়ের পর থেকে যাঁরা এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে যোগ দেবেন, তাঁদের জন্য প্রযোজ্য হবে এ স্কিম। সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন সুবিধাভোগী ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত এবং ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে একজন সুবিধাভোগী ন্যূনতম ১০ বছর চাঁদা দিয়ে আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন। পেনশনে থাকাকালে ৭৫ বছর বয়স পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে পেনশনারের নমিনি পেনশন স্কিম গ্রহণকারীর ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার অবশিষ্ট সময় পর্যন্ত পেনশন পাবেন। চাঁদাদাতা কমপক্ষে ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার আগে মারা গেলে জমা করা অর্থ মুনাফাসহ নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে। চাঁদাদাতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কেবল তার জমা করা অর্থের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৭

ফের ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল ঢাকার তাপমাত্রা
তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু-বৃদ্ধসহ অনেক মানুষ। প্রতিদিনই ভাঙছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। আজও ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। এ ছাড়াও চার জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এর আগে গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছিল। এদিকে আজ দেশের চার জেলায় বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। জেলাগুলোতে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। এটিই এখন পর্যন্ত চলতি মৌসুমের সবচেয়ে তপ্ত দিন। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল চুয়াডাঙ্গায়। এর আগে এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি উঠেছিল চুয়াডাঙ্গায়। এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার দেশের চার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৪৩, পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫, যশোরে ৪২ দশমিক ৮, রাজশাহীতে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ও সিলেটের কিছু অঞ্চল ছাড়া দেশের বাকি অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী দুদিন তাপমাত্রা মোটামুটি এমনই থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা যাই থাকুক গরমের অনুভূতি বাড়তে পারে। বৃষ্টির আগে এমন অসহনীয় অনুভূতি হয়।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৮

উত্তপ্ত রাজশাহী, তাপমাত্রা ছাড়াল ৪২ ডিগ্রি
মরুদ্যানের মতো তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে। বইছে লু-হাওয়া। বৈশাখের এই দিনগুলো এ অঞ্চলের মানুষের কাটছে আগুন তাপে। দুঃসহ এই গরম যেন কোনোভাবেই কাটছে না। তাপমাত্রার পারদ যেন কোনোভাবেই নিচে নামছে না। কেবলই ওপরেই উঠছে। গেল ১ এপ্রিল মৃদু তাপপ্রবাহ দিয়ে এই অঞ্চলে শুরু হয়েছিল গরমের দাপট। এরপর মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং তারপর শুরু হয় তীব্র তাপপ্রবাহ। আর দুই সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা ৪০-৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই থাকছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত বছরের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর চলতি বছরে ২৬ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া ২০০৫ সালের এপ্রিলেও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  তাই অচল হয়ে পড়েছে রাজশাহীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিরূপ প্রকৃতির কাছে যেন হার মানছে সবকিছুই। থমকে দাঁড়িয়েছে জনজীবন। এপ্রিলজুড়ে তপ্ত মৌসুম পার করছেন রাজশাহীর মানুষ। সবশেষ তিন দিনেই রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ গিয়ে ঠেকলো ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।  রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমের গতকাল পর্যন্ত এটিই ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পরদিন রোববারও (২১ এপ্রিল) একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ২২ এপ্রিল রেকর্ড হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, গতকাল ২৪ এপ্রিল ছিল ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রার নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে পদ্মাপাড়ের এই মরু শহর। টানা তাপপ্রবাহ যেন স্থায়ী রূপ নিয়েছে এখানে।  জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল এই রাজশাহীতে। ওই দিন রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা দেশের স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আর বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তাপমাত্রার এই রেকর্ড আর ভাঙেনি।  তবে দেশে এবারের চলমান অস্বাভাবিক তাপমাত্রা আগের সেই সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক মো. গাওসুজ্জামান বলেন, ভারী বর্ষণ ছাড়া আপাতত এই তীব্র তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আর ২-১ দিনের মধ্যে রাজশাহীতে বৃষ্টিপাতেরও কোনো সম্ভাবনা নেই।  তাই আপাতত বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  এ দিকে টানা তাপপ্রবাহে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। খরতাপে ঝরে পড়ছে আম ও লিচুর গুটি। বৃষ্টির জন্য হাহাকার থামছেই না। দুঃসহ এই গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে আজও ‘সালাতুল ইসতিসকার’ আদায় করা হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টায় রাজশাহীর তেরখাদিয়ায় থাকা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান বিভাগীয় স্টেডিয়াম মাঠে এই সালাতুল ইসতিসকারের আয়োজন করা হয়। নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে তওবা করে সকল পাপ থেকে পানাহ চাওয়া হয়। সেই সঙ্গে বৃষ্টির জন্য আল্লাহর কাছে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।  অনাবৃষ্টি ও তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে টানা তৃতীয় দিনের মতো নামাজ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজশাহীর হযরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:১৫

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা। সবশেষ একদিনে ৪২ জন সাধারণ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন দখলদার রাষ্ট্রটির সেনাদের হামলায়।  শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।  প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গত একদিনে ৪২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ হাজার ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টার হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬৩ জন ফিলিস্তিনি। এতে প্রায় সাড়ে ছয় মাসে মোট ৭৬ হাজার ৮৩৩ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। হামাস নির্মূলের নামে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও ব্যর্থ নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর চলমান এ নির্বিচার হামলা ও অভিযানে লাগাম টানতে। মার্কিন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে ইতোমধ্যে ধ্বংসস্তুপে পরিণত উপত্যকাটিতে এখনও প্রতিদিন হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার রাষ্ট্রটির সেনারা। এদিকে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে বাসিন্দারা এখন চরম তৃষ্ণার্ত অবস্থায় বাস করছেন বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি কার্যালয়। সূত্রমতে, গত দুই সপ্তাহ আগে থেকেই গাজায় পানির সব কল বন্ধ হয়ে গেছে। দক্ষিণ গাজা উপত্যকার রাফাহ থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকায় প্রবেশকারী সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু তারপরও তা গাজাবাসীর জন্য পর্যাপ্ত নয়।
২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৮

তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি
দেশে তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আজকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খেপুপাড়ায় (পটুয়াখালীর কলাপাড়া) ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেপুপাড়ায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার খেপুপাড়ায় সর্বোচ্চ ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। রোববার রাঙ্গামাটিতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  তিনি আরও বলেন, আজ রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। ঢাকায় আজ সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে; যা গতকাল ছিল ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে রংপুর ও নীলফামারী জেলাসহ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।  এর ফলে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলেও আবহাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৩০

গাজায় নিহত ৩৩ হাজার ছাড়াল
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৩৩ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৭ অক্টোবর সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৩ হাজার ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সময়ে আহত হয়েছেন আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন। এদিকে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই ২৪ হাজারের বেশি। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) ফিলিস্তিনি শিশু দিবসের সম্মানে বৃহস্পতিবার এক্সে বেশ কয়েকটি পোস্ট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে একটি পোস্টে লেখা ছিল, ‘গাজায় ১০০০ শিশু তাদের হয় একটি বা না হয় উভয় পা হারিয়েছে।’ আরেকটি পোস্টে বলা হয়েছে, ‘গাজায় প্রতি ঘণ্টায় ৪ শিশু নিহত হচ্ছে।’ গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ২ হাজার ৯২২টি গণহত্যা চালিয়েছে। এতে মোট ১৪ হাজার ৫০০ শিশু এবং ৯ হাজার ৫৬০ জন নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরও ৭ হাজার মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন বা নিখোঁজ রয়েছেন। সম্প্রতি ইসরাইলকে গাজায় হামলা বন্ধের আদেশ দেয় আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত (আইসিজে)। কিন্তু সেই আদেশ না মেনে রামজানেও গাজায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় গাজায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। শুধু সংকটই নয় চলছে দুর্ভিক্ষ। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বাড়ি-ঘরও ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গাজার ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। উপত্যকার প্রায় ৭০ হাজার বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও ২ লাখ ৯০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ২৯৭টি মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২২৯টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪২

গাজায় প্রাণহানি ৩১ হাজার ছাড়াল
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরায়েরি বাহিনীর হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। রোববার (১০ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩০ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে ৩১ হাজার ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এই সময়ে আহত হয়েছেন ৭২ হাজার ৬৫৪ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতেও পারছেন না। এ ছাড়া গাজায় অপুষ্টি এবং ডিহাইড্রেশনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জনে পৌঁছেছে বলে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে গাজায় অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এই হামলায় গাজার হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের ঘর-বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
১১ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মৃত্যু ২৬ হাজার ছাড়াল
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় আরও ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩৭৭ জন। এ নিয়ে ৭ অক্টোবর থেকে হামলার পর এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৬ হাজার ৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৮৭ জন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বহু মানুষ এখনো বাড়িঘর ও বিভিন্ন স্থাপনার ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে আছেন। তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না উদ্ধারকারীরা। এদিকে মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আরও অস্ত্রসহায়তা চেয়েছে ইসরায়েল।
২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৫
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়