• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় গত ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টায়। সেখানে শিল্পী সমিতির আমন্ত্রণে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ গ্রহণ করতে এসেছিলেন। এরপরই শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেদিন চিত্রনায়িকা ময়ূরী ও তার মেয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানু দৈনিক খবরের কাগজের সাংবাদিক মিঠুন আল মামুনকে আঘাত করেন। মিঠুন আল মামুন নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করলে চারদিক থেকে সবাই ছুটে আসতে থাকেন। এই ঘটনার জেরে অনাহুত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা হামলা চালান। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এতে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকেরা ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষী শিল্পীদের শাস্তি চেয়ে শিল্পী সমিতিকে ৫ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৩ এপ্রিল রাতেই প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, মাসুম জয় এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্নাকে নিয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল রাত ৯টায় এফডিসিতে অবস্থিত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির স্টাডি রুমে তদন্ত কমিটি আলোচনায় বসে। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কজন সাংবাদিক ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, প্রযোজক নেতা মোহাম্মদ ইকবাল। সেখানে বসে আলোচনার মাধ্যমে সবাই ঘটনার সমাধান ও মীমাংসার জন্য নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত হয়- ১. ঘটনার দিনই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ঘটনার জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ২. শিবাশানু, সুশান্ত, জামানকে শিল্পী সমিতি থেকে এক মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। তাদের শোকজ নোটিশ দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য সাবধান করা হবে। ৩. যত দ্রুত সম্ভব আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি। ৪. হামলার শিকার সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইলসহ নানা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি। ৫. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে ১ মাসের জন্য শিল্পী সমিতি থেকে ১ মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়৷ একইসাথে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যদি জড়িত হয় তবে সমিতি থেকে তার স্থায়ীভাবে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। অন ক্যামেরায় সে দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তার সফল সমাপ্তি ঘটেনি। ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) ১১ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির পুনরায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলোর আনুষ্ঠানিক সমাধান সম্পন্ন হয়েছে বিএফডিসির বাগানে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদ্য নির্বাচিত কমিটির বিজয় উপলক্ষে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয় গত ২৩ এপ্রিল বিকেল ৫টায়। সেখানে শিল্পী সমিতির আমন্ত্রণে বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা সংবাদ গ্রহণ করতে এসেছিলেন। এরপরই শিল্পী ও সাংবাদিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সেদিন চিত্রনায়িকা ময়ূরী ও তার মেয়ের সাক্ষাৎকার গ্রহণকে কেন্দ্র করে শিল্পী সমিতির সদস্য শিবা শানু দৈনিক খবরের কাগজের সাংবাদিক মিঠুন আল মামুনকে আঘাত করেন। মিঠুন আল মামুন নিজেকে বাঁচাতে চিৎকার করলে চারদিক থেকে সবাই ছুটে আসতে থাকেন। এই ঘটনার জেরে অনাহুত পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির কতিপয় নির্বাচিত সদস্য ও সাধারণ সদস্যরা হামলা চালান। এতে প্রায় ২০ জন সাংবাদিক আহত হন। এতে ক্ষুব্ধ সাংবাদিকেরা ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান ও দোষী শিল্পীদের শাস্তি চেয়ে শিল্পী সমিতিকে ৫ দফা দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২৩ এপ্রিল রাতেই প্রযোজক আরশাদ আদনানকে প্রধান উপদেষ্টা করে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে লিমন আহমেদ, রাহাত সাইফুল, আহমেদ তৌকির, বুলবুল আহমেদ জয়, মাসুম জয় এবং শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে মিশা সওদাগর, ডি এ তায়েব, নানাশাহ, রুবেল, রত্নাকে নিয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে ২৪ এপ্রিল রাত ৯টায় এফডিসিতে অবস্থিত চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির স্টাডি রুমে তদন্ত কমিটি আলোচনায় বসে। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি রাজু আলীম, সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাবুসহ বেশ কজন সাংবাদিক ও পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, প্রযোজক নেতা মোহাম্মদ ইকবাল। সেখানে বসে আলোচনার মাধ্যমে সবাই ঘটনার সমাধান ও মীমাংসার জন্য নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত হয়- ১. ঘটনার দিনই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি ঘটনার জন্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ২. শিবাশানু, সুশান্ত, জামানকে শিল্পী সমিতি থেকে এক মাসের জন্য সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। তাদের শোকজ নোটিশ দিয়ে ভবিষ্যতে কোনো উচ্ছৃঙ্খল কাজে জড়িত না হওয়ার জন্য সাবধান করা হবে। ৩. যত দ্রুত সম্ভব আহত সাংবাদিকদের চিকিৎসা বাবদ ব্যয় বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি। ৪. হামলার শিকার সাংবাদিকদের ক্যামেরা, মোবাইলসহ নানা যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ক্ষতিপূরণ ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বুঝিয়ে দেবে শিল্পী সমিতি। ৫. বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জয় চৌধুরীকে ১ মাসের জন্য শিল্পী সমিতি থেকে ১ মাসের বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়৷ একইসাথে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যদি জড়িত হয় তবে সমিতি থেকে তার স্থায়ীভাবে সদস্যপদ স্থগিত করা হবে। অন ক্যামেরায় সে দুঃখ প্রকাশ করেছে। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তার সফল সমাপ্তি ঘটেনি। ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) ১১ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির পুনরায় আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়গুলোর আনুষ্ঠানিক সমাধান সম্পন্ন হয়েছে। 
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৩৫

২০২৭ বিশ্বকাপের ৮ ভেন্যু চূড়ান্ত
দরজায় কড়া নাড়ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে বৈশ্বিক এই মহারণ। পহেলা জুন থেকে অনুষ্ঠেয় ২০ দলের এই টুর্নামেন্টের পর্দা নামবে ২৯ জুন। আইসিসির এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির মধ্যেই ২০২৭ বিশ্বকাপের ভেন্যুও চূড়ান্ত হয়ে গেল। সাউথ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও নামিবিয়ার যৌথ আয়োজনে হবে ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। আসর শুরুর তিন বছর আগেই নিশ্চিত হলো প্রোটিয়াদের ৮ ভেন্যু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান নির্বাহী ফোলেতসি মোসেকি। মোসেকির ভাষ্য, ‘বৈজ্ঞানিক’ কারণ বিবেচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকার ৮ ভেন্যু বাছাই করা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ও হোটেল রুমের সহজলভ্যতা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ভেন্যুর তালিকায় আছে প্রোটিয়াদের নিয়মিত টেস্ট ভেন্যু জোহানেসবার্গের ওয়ান্ডারার্স, সেঞ্চুরিয়নের সুপারস্পোর্ট পার্ক, কেপটাউনের নিউল্যান্ডস, ডারবানের কিংসমিড ও গেবেরার সেন্ট জর্জে’স পার্ক।  অন্য ভেন্যুগুলো হলো ব্লুমফন্টেইনের মানগাউং ওভাল, পার্লের বোল্যান্ড পার্ক ও ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্ক। এই আটটি মাঠেই ২০০৩ বিশ্বকাপের সব ম্যাচ হয়েছিল। ২১ বছর আগের আসরে বেনোনি, পচেফস্ট্রুম ও কিম্বার্লিতেও খেলা হয়েছিল। তবে এই তিন ভেন্যুকে আগামী আসরের জন্য বিবেচনা করা হয়নি। জানা গেছে, অক্টোবর ও নভেম্বরে হতে পারে ২০২৭ বিশ্বকাপ। তবে এর আগে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার আরও তিনটি ইভেন্ট রয়েছে। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, পাকিস্তানে ২০২৫ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর ২০২৬ সালে ভারত ও শ্রীলংকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
১২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:১৩

জিম্মি নাবিকদের মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত
বীমা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দরকষাকষির পর সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে মুক্তিপণের অঙ্ক চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে কত টাকায় এটি চূড়ান্ত করা হয়েছে তা জানা যায়নি। শনিবার (৬ এপ্রিল) বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, সোমালীয় জলদস্যুদের কাছে কিভাবে মুক্তিপণ পৌঁছানো হবে তা আলোচনা করা হয়েছে। এবার জিম্মি নাবিকদের মুক্তি দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ঈদের আগেই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করতে বীমা প্রতিষ্ঠানকে চাপ দিচ্ছে জাহাজটির মালিক-পক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ। তবে জলদস্যুরা মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত মুক্তির তারিখ দিচ্ছে না। মুক্তিপণ দিয়ে নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে অগ্রগতির কথা স্বীকার করেছে এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তবে মুক্তিপণের অঙ্ক কত, জানাতে নারাজ কেএসআরএম গ্রুপ। অন্যদিকে, জিম্মি জাহাজটিকে দেশে আনতে বিকল্প ২৩ নাবিককে প্রস্তুত করে রেখেছে মালিকপক্ষ। কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, নাবিকদের মুক্ত করার ব্যাপারে ভালো অগ্রগতি হয়েছে। বীমা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলা যাবে না। জিম্মি নাবিকদের মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হলে আমরা সবাইকে জানিয়ে দেব।  তিনি বলেন, মুক্তিপণ ছাড়া সোমালীয় জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার নজির নেই। দয়া করে আর বেশি কিছু জানতে চাইবেন না।  বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশেনের সংগঠনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, আমরা যতটুকু জেনেছি, জিম্মি নাবিকদের মুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চাপের কারণে এবারে মুক্তিপণের টাকা পেতে জলদস্যুদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। কোন প্রক্রিয়ায় তারা মুক্তিপণের টাকা পাবে, সে বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার আগে তাই জিম্মিদের মুক্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করছে না তারা। তবে ঈদের আগে নাবিকরা মুক্ত হচ্ছেন না– এটি অনেকটা নিশ্চিত। মুক্তিপণ প্রদানের বিষয়টি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হয় জানিয়ে ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী জানান, জাহাজের মালিকপক্ষ প্রথমে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। এরপর আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বীমাকারী প্রতিষ্ঠান। মধ্যস্থতাকারীরা জলদস্যুদের প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই তিন পক্ষ পরস্পর আলোচনা করে মুক্তিপণের অঙ্ক ও প্রদান প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে। মুক্তিপণের টাকা ভাগ হয় পাঁচ ভাগে। জলদস্যুরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে তিনটি স্তরে। এই ভাগ যায় মধ্যস্থতাকারী ও মুক্তিপণের টাকা পরিবহন করে দেওয়া গ্রুপের কাছেও। ১৪ বছর আগে এমভি জাহান মণি জাহাজের ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছিল। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। পরে তারা জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলের কাছে নিয়ে যায়। জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রয়েছে।
০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৮

জলদস্যুদের সঙ্গে মুক্তিপণের দরকষাকষি চূড়ান্ত পর্যায়ে
বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করা জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ২৩ নাবিক ও জাহাজের মুক্তিপণের দরকষাকষি শেষ পর্যায়ে। যে কোনও সময় মুক্তি মিলতে পারে। ঈদের আগে নাবিকদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাদের দেশে আসতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছেন কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, নাবিক ও জাহাজের মুক্তি বিষয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। যে কোনো সময় হয়তো ভালো খবর আসতে পারে। জানা যায়, ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই হওয়ার আট দিনের মাথায় তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে শুরু হয় আলোচনা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জলদস্যুদের সঙ্গে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। জিম্মিদশার অবসান হতে পারে কয়েক দিনের মধ্যে। ঈদের আগেই নাবিকরা মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে মুক্তি পাওয়ার পর ৫ থেকে ১০ দিন সময় লাগতে পারে নাবিকদের দেশে ফিরতে। কেননা তারা মুক্তি পাওয়ার পর তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে দেশে ফিরবেন। সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে আলোচনা চলছে মুক্তিপণ নির্ধারণ ও প্রদানের প্রক্রিয়া নিয়ে। অতঃপর মুক্তিপণের অর্থ পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি পরিবহন সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। ওই পরিবহন সংস্থা নগদ ডলার কিংবা জলদস্যুদের চাহিদামতো মুদ্রায় পৌঁছে মুক্তিপণ পৌঁছে দেবে নির্ধারিত স্থানে।
০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৮

মেট্রোরেলে ঢিল : চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল
প্রায় এক বছর আগে মেট্রোরেলে ঢিল ছুড়ে কাচ ভাঙার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতাও মিলেছে। তবে প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি অভিযুক্ত অজ্ঞাতনামা আসামি ভবনের ছাদ থেকে হঠাৎ ঢিল ছুড়ে মারায় কেউ আসামি সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্যও দিতে পারেনি। এরই মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে রাজধানীর কাফরুল থানা পুলিশ। চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ এসব তথ্য উল্লেখ করেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল ইসলাম পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গ্রহণ করেন। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) আদালতে কাফরুল থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক রয়েল জিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মামলার অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মেট্রোরেল আইন-২০১৫ এর ৩৫ ও ৪৩ ধারাসহ দণ্ডবিধি ৪২৭ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রতীয়মান হয়েছে। কিন্তু মামলা হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কলাকৌশলে তদন্ত অনুসন্ধান করা এবং সংঘটিত ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেলে স্থাপন করা সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণসহ ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামি শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সেহেতু মামলাটি আরও তদন্ত করে ভবিষ্যতে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে মর্মে আপাতত মামলাটি নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে তদন্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন সত্য ধারা-৩৫/৪৩ মেট্রোরেল আইন, ২০১৫; তৎসহ 427 The Code, 1860, তাং-২২-০২-২০২৪ দাখিল করলাম। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার মধ্যবর্তী স্থানে মেট্রোরেল লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। ওই ঘটনায় ১ মে মেট্রোরেলের লাইন অপারেশন শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক সামিউল কাদের বাদী হয়ে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন। ঢিল ছোড়ায় মেট্রোরেলের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
১৯ মার্চ ২০২৪, ১৪:১১

এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি : মাহি
চলতি বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কায় লড়াই করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। তবে জয়ের মুখ দেখেননি তিনি। বিপক্ষ দলের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান এই নায়িকা। এবার শোনা যাচ্ছে, আসন্ন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেবেন মাহি। চলচ্চিত্র শিল্পীদের সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৭ এপ্রিল। এরই মধ্যে প্যানেল সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মিশা সওদাগর-মনোয়ার হোসেন ডিপজল নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে মাহি নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আরটিভির সঙ্গে মাহির কথা হলে তিনি বলেন, মিশা ভাই আমাকে নির্বাচন করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে আমি এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। আর একটু ভেবেচিন্তে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছি। তাছাড়া এখন আমি নতুন করে বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছি।  এবারের নির্বাচনে মিশা সওদাগর (সভাপতি পদপ্রার্থী) ও মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী) থাকবেন এক প্যানেলে। অন্যদিকে, ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিদায়ী কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সে কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিপুণ আক্তার। নিজের প্যানেলের সভাপতির খোঁজে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অনন্ত জলিলের একটি বক্তব্য ঘিরে সমালোচনায় পড়েন প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু ও আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান শামসুল আলম। অনন্ত জানান, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাকিব খান ও ফেরদৌস আহমেদ শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অনাগ্রহ জানানোর পর তাকে সভাপতি পদে নির্বাচনের প্রস্তাব দেন নিপুণ, সঙ্গে প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল, খোরশেদ আলম খসরু, সামসুল আলম প্রমুখ। ফলে একটি প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তা হলো, নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনার কেন এক প্রার্থীর হয়ে সভাপতি খোঁজার মিশনে নামবেন? জবাব দিলেন খসরু। তার ভাষ্য, আসলে এই ঘটনা অনেক আগের। তখনও আমি নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পাইনি। ফলে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ নেই। এখন আমি দায়িত্বপ্রাপ্ত। সুতরাং নিরপেক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
১৪ মার্চ ২০২৪, ২২:২৬

রমজানে স্কুল বন্ধ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাল আপিল বিভাগ
রমজান মাসে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা থাকবে বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। এদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ কে এম ফয়েজ। তারা বলেন, রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল খোলা রাখতে বাধা নেই।  এর আগে, সোমবার স্কুল বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত না করে বিষয়টি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছুটির তালিকা ও শিক্ষাপঞ্জি আংশিক সংশোধন করে রমজানে ১৫ দিন মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এরপর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালায়ও জানায়, রমজানে ১০ দিন ক্লাস চলবে। মন্ত্রণালয়ের এমন সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক। পরে রমজানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে জারি করা মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রজ্ঞাপন দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এদিকে রমজানে স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইলিয়াছ আলী মন্ডল। ওই রিটের শুনানি এখনও হয়নি।
১২ মার্চ ২০২৪, ১৭:১০

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ইইউর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ
গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি বলে মনে করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচন বিশেষজ্ঞ দল। ৩৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে মতামতের পাশাপাশি ২১টি সুপারিশও করেছে ২৭ দেশের এই জোট। ইইউর ইলেকশন অবজারভেশন অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি সাপোর্টের (ইওডিএস) ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ ছিল না। একদিকে যেমন নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ছিল না। অন্যদিকে আন্দোলন করার অবাধ সুযোগও সীমিত করা হয়েছিল। বিচারিক কার্যক্রম ও গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা মারাত্মকভাবে সীমিত হয়ে পড়ে। গণগ্রেপ্তারের কারণে বিরোধী দল ব্যস্ত ছিল আদালত পাড়ায়। ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোর আসন ভাগাভাগি চুক্তি এবং আওয়ামী লীগের নিজস্ব প্রার্থী ও দলের সঙ্গে যুক্ত ‌‘স্বতন্ত্র প্রার্থীদের’ মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ভোটারদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল না। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ছিল একটি অত্যন্ত মেরুকৃত রাজনৈতিক পরিবেশে পরিচালিত। বিএনপি ও তার শরিকরা নির্বাচন বয়কট করায় আসল প্রতিদ্বন্দ্বিতার অভাব ছিল। বিরোধীরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন পরিচালনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি জানিয়েছিলো, যা প্রত্যাখ্যান করা হয়। নির্বাচনকালীন সময়ে বিরোধী দলগুলোর সমাবেশ, সমিতি, আন্দোলন এবং বক্তৃতার স্বাধীনতা কঠোরভাবে সীমিত করা হয়। বিএনপির প্রায় সব সিনিয়র নেতাকে কারাবন্দি করায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা বিএনপির পক্ষে অসম্ভব ছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যথেষ্ট সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ব্যর্থ হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক ছিল না। কয়েকটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স চুরির অভিযোগ ছাড়াও পাওয়া গেছে বিচ্ছিন্ন সহিংসতার খবরও। নির্বাচনের দিন ব্যালট বাক্স ভর্তি এবং জালিয়াতির প্রচেষ্টাসহ নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীরা ভোটে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটির তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করা হয়েছিল। ২৫টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। তবে অন্যান্য ঘটনার যথেষ্ট তদন্ত করা হয়নি। প্রতিবেদনে ইইউ কারিগরি মিশন সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও আন্তর্জাতিক মানের নির্বাচনের জন্য মোট ২১টি পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরামর্শগুলো হলো- গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ সহ সংসদীয় সম্পর্কিত সমস্ত আইন, প্রবিধান এবং বিধিগুলোর একটি ব্যাপক পর্যালোচনা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের আইনি নিশ্চয়তা বাড়াতে পারে। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার বোর্ড নিয়োগের ব্যবস্থা যোগ্যতাভিত্তিক ও স্বাধীন নিয়োগের মাধ্যমে হওয়া উচিত। যা জনস্বার্থে কাজ করার লক্ষ্যে কমিশনের হাত শক্তিশালী করবে। সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সংগতিপূর্ণ একটি স্বাধীন প্যানেল বিষয়টি তত্ত্বাবধান করতে পারে। বাকস্বাধীনতার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বিধান মেনে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ২০২৩-এর বিধানগুলোর পর্যালোচনা করতে হবে। অস্পষ্ট এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিধিনিষেধগুলো সরানো যেতে পারে। সুশীল সমাজ যাতে নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই কাজ করতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য বিদেশি অনুদান (স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম) আইনের বিধান, ২০১৬ এর সীমাসহ সুশীল সমাজের কার্যক্রম এবং অতিমাত্রায় এর ওপর আমলাতান্ত্রিক নিবন্ধনের বিষয়টি পর্যালোচনা করা যেতে পারে। ভোট ও গণনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা যেতে পারে। তার জন্য ভোট কেন্দ্রের আশপাশে রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমের ওপর সম্পূর্ণ স্থগিতাদেশ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ০১:১৮

ব্রাজিলের আরও দুই ম্যাচের সূচি চূড়ান্ত
আগামী জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে এবারের কোপা আমেরিকা। মহাদেশীয় এই শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের আগে সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সেলেসাওরা। গত ডিসেম্বরেই নিশ্চিত করা হয়েছিল, দক্ষিণ আমেরিকার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের প্রস্তুতি হিসেবে মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। আগামী ৮ জুন মেক্সিকোর বিপক্ষে খেলবে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এবার ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) জানিয়েছে, আগামী ১২ জুন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলবে নেইমাররা। ব্রাজিল-যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরলান্ডোতে হবে। তবে এর আগে আরও দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। যেখানে সেলেসাওদের প্রতিপক্ষ সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও স্পেন। আগামী ২৩ মার্চ লন্ডনে ইংলিশদের এবং ২৬ মার্চ স্প্যানিশদের বিপক্ষে খেলবে ব্রাজিলিয়ানরা। এবার কোপায় ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে 'ডি' গ্রুপে পড়েছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। যেখানে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়া ও প্লে-অফ খেলে আসা দল। আগামী ২৩ মার্চ প্লে-অফে আমেরিকার দুই দল কোস্টারিকা ও হন্ডুরাস মুখোমুখি হবে। আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হবে এবারের কোপা। আটলান্টার মার্সিডিজ বেঞ্জ স্টেডিয়ামে গড়াবে উদ্বোধনী ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ মাঠে গড়াবে ২ জুলাই। নকআউট পর্ব শেষে ৪ থেকে ৬ জুলাই পর্যন্ত কোয়ার্টার ফাইনাল হবে। সেমিফাইনাল দুটি হবে ৯ ও ১০ জুলাই। আর আগামী ১৪ জুলাই মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে হবে বহুল কাঙ্ক্ষিত ফাইনাল।
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩:২৭

প্রাথমিকের প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২ হাজার ৪৯৭ জন।  মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাজস্বখাতভূক্ত ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩ এর প্রথম ধাপের (বরিশাল, সিলেট, রংপুর বিভাগ)  লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মোট ২ হাজার ৪৯৭ জন প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন। ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে এ পরীক্ষাসংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৮:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়