• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, রোগীর স্বজনদের মারধরের অভিযোগ
কোটালীপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় আফরোজা বেগম (২০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ক্লিনিক মালিকের লোকজন রোগীর স্বজনদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের নারায়ণ খানা বাজারের ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। প্রসূতি আফরোজা বেগম উপজেলার শুয়াগ্রাম ইউনিয়নের কালারবাড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম খানের স্ত্রী। নিহতের মা মনিকা বেগম বলেন, ওইদিন সকালে তিনি মেয়েকে নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করেন। দুপুরে ডাক্তাররা অপারেশন রুমে নিয়ে যায়। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে তারা জানায় তার মেয়ে ও তার গর্ভের সন্তান মারা গেছে। তিনি বলেন, আমার মেয়ে মারা যায়নি; তাকে ও তার সন্তানকে ডাক্তাররা মেরে ফেলেছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে ক্লিনিকের লোকজন আমাদেরকে মারধর করেছে। আমরা এর বিচার চাই।  ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ডাক্তার জাহিদ হোসেন রিন্টু বলেন, সকালে ওই প্রসূতি নারী ভর্তির পর আমরা তাকে স্যালাইন দিই। দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাক্তার প্রভাষ মণ্ডল ও আমি তাকে অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে যাই। এরপর রোগীটি হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের এক চিকিৎসক বলেন, প্রভাষ মণ্ডল অ্যানেসথেশিয়ার ডাক্তার না। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন মেডিকেল অফিসার। তার ভুলের কারণে ওই রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ডাক্তার প্রভাষ মণ্ডল বলেন, অস্ত্রোপচার কক্ষে নিয়ে আমরা চিকিৎসা শুরু করার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। সঠিক তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। কোটালীপাড়া থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ আলম বলেন, এ ঘটনায় মৃত আফরোজা বেগমের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দিলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
১৫ মার্চ ২০২৪, ১৫:১০

ভুল চিকিৎসায় সাবেক শিক্ষার্থীর মৃত্যু, জাবিতে মানববন্ধন
রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে অ্যান্ডোস্কোপি করাতে গিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ৪২ ব্যাচের (২০১২-১৩) শিক্ষার্থী রাহিব রেজার মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কতৃর্পক্ষের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানান তার স্বজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে ভুক্তভোগীর স্ত্রী তাসমিয়া আফরোজ বলেন, এ ঘটনায় আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। হাইকোর্টের নির্দেশনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিন মাস সময়ের মধ্যেই যেন রিপোর্ট আদালতে পেশ করার দাবি জানাই। তদন্ত চলাকালে শুধু ল্যাবএইড বা ডাক্তারের বক্তব্য প্রাধান্য না দিয়ে আমাদের কাছে যে প্রমাণ আছে সেগুলোও যথাযথভাবে বিশ্লেষণ করে রিপোর্ট পেশ করা হয়।  আমার স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় ডা. স্বপ্নীল ও ল্যাবএইডের উভয়ের লাইসেন্স বাতিল ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অ্যাকাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, কেন মৃত্যু হয়েছে তার কারণটা খুঁজে দেখা দরকার। ভালো চিকিৎসার জন্য আমরা প্রাইভেট হাসপাতালে যাই। তারপরেও কেন আমরা অরাজকতার শিকার হবো? তার মধ্যে ভালো হাসপাতালগুলোতে কেন অরাজকতা হচ্ছে? এটার যদি বিচার না হয় তাহলে এটি চলতেই থাকবে। ভুক্তভোগীর বোন নিভিন রেজা বলেন, এ ঘটনার আগে ও পরে ল্যাবএইড কতৃর্পক্ষ ও ডাক্তার আমাদের কাছে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়েছে। ঘটনার পরপর ডিজিএইচএসের একটি অফিসিয়াল তদন্ত দল ল্যাবএইডে গেলেও তারা প্রয়োজনীয় নথি সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে। পরবর্তীতে আমরা মন্ত্রণালয়, ডিজিএইচএস, বিএমডিসি, ল্যাবেইড এবং ডাক্তার বরাবর ‘জাস্টিস ডিমান্ডিং নোটিশ’ পাঠিয়েছিলাম; তবে এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, পেটে গ্যাসজনিত সমস্যার কারণে রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাবের (স্বপ্নীল) কাছে যান রাহিব রেজা। এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় ল্যাবএইডে অ্যান্ডোস্কোপি করানোর পরামর্শ দেন ডা. স্বপ্নীল। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহিব রেজার মৃত্যু হয়। রাহিবের মৃত্যুতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও হাসপাতালের গাফিলতির দাবি করেছেন স্বজনরা। শিক্ষাজীবন শেষে রাহিব রেজা রাজধানীর স্টার্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানে প্রোডাক্ট ম্যানেজার ও আইটি কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার দুই বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
১৪ মার্চ ২০২৪, ১৯:২৭

সুযোগ পেলে চিকিৎসায় উদাহরণ সৃষ্টি করবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সুযোগ পেলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারবে। শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা বিশ্বের সঙ্গে তাল-মিলিয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, নাক রিকনস্ট্রাকশন সার্জারি বাংলাদেশে আগেও অনেক হয়েছে, তবে বিদেশি প্রথম রোগী ভুটানের ২৩ বছর বয়সী কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কারমা দেমার সফল সার্জারি বার্ন ইনস্টিটিউটের একটি বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, দেশের চিকিৎসায় সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোর লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। এ ছাড়া ভুটান বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে ১০-১৫ ইউনিটের বার্ন ইউনিট করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্তত সার্কভিত্তিক দেশগুলোতে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের বিভিন্ন ক্যাম্প করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনসিলসহ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৬

চিকিৎসায় অবহেলা হলে ব্যবস্থা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চিকিৎসায় অবহেলা করলে সেই সব চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। এ সময় চিকিৎসকদের পেশাগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হবে বলেও জানান তিনি।  শনিবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) মিলনায়তনে চমেক হাসপাতাল আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভাঙচুর কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডা. সামন্ত জানান, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকদের আবাসনের মান উন্নয়নে কাজ করবেন, যাতে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকরা স্বাচ্ছন্দ্যে রোগীদের সেবা দিতে পারেন। উপজেলায় রোগীরা মানসম্মত চিকিৎসা পেলে তারা শহরে ছুটবেন না জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকদের সেভাবে কাজ করতে হবে, যাতে মানুষ তাদের সম্মান করে। আমাদের সেভাবেই কাজ করতে হবে যাতে ভবিষ্যতে রোগীরা চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন না, বরং অন্য দেশ থেকে রোগীরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশে আসবেন। যদি সাকিব আল হাসান বিশ্ব ক্রিকেটের এক নম্বর অলরাউন্ডার হতে পারেন, তবে কেন আমাদের চিকিৎসকরা বিশ্বের সেরা হতে পারবেন না। এর আগে চমেক হাসপাতালে ৩২ শয্যার আইসিইউ উদ্বোধন এবং চমেক হাসপাতালে চীনের অর্থায়নে নির্মিতব্য বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সাইট ও নির্মাণাধীন ক্যানসার হাসপাতালের সাইট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অন্যান্যদের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, চমেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শাহেনা আক্তার ও চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান।
২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৮
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়