• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
ভবনের নকশা অনুমোদনে এসটিপি স্থাপনের শর্ত আরোপের নির্দেশ
ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসটিপি (সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) স্থাপনের শর্ত আরোপ করতে বলেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।  তিনি বলেন আমি ইতোমধ্যে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর সংস্থা প্রধানদের উদ্দেশ্যে ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে এসটিপি স্থাপনের শর্ত দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ভবনের নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে এসটিপি স্থাপনের শর্ত দেওয়ার জন্য তিনি পৌর মেয়রের প্রতি আহ্বান জানান।  মন্ত্রী বলেন, ঢাকা দূষিত শহরের তালিকায় বিশ্বের এক থেকে তিন নম্বরে থাকে। এ অবস্থায় আমরা কেউই শান্তিতে থাকতে পারবো না। ঢাকাসহ সারাদেশকে বাসযোগ্য রাখতে হলে দূষণ রোধ করতে হবে, শহরকে বর্জ্যমুক্ত রাখতে হবে। জলাশয়গুলোর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমাদের এখন থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে।  মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আবাসন মানুষের খুবই কাঙ্ক্ষিত বিষয়, এটি মানুষের মৌলিক অধিকার। সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। শুধু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নয়, ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ যারা আছেন তাদেরকেও নিজস্ব আবাসনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষের আবাসনের ব্যবস্থা করতে  তিনি আশ্রায়ণ প্রকল্প গড়ে তুলেছেন। তাদেরকে বিনামূল্য ঘরবাড়ি করে দিচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসিং হাউজিং প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নে সার্বক্ষণিক পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন ভুমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত আবাসন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সরকারের এ সহযোগিতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর দূষণের শহর হয়ে গিয়েছে। এটি সুস্থভাবে বসবাসের অনুপযোগী শহরে পরিণত হয়েছে।  আমি নির্বাচনের সময় শহরটিকে তিতাসের পূর্ব পাড়ে সম্প্রসারিত করার যে অঙ্গিকার করেছিলাম, সেটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। কুরুলিয়া খালের দক্ষিণ তীরে এপার্টমেন্ট প্রজেক্টের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই এ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।  মন্ত্রী বলেন, আপনারা জেনে খুশি হবেন, আমার বহুদিনের শ্রমের বিনিময়ে এলজিআরডি-এর মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পূর্ব পাশ দিয়ে মেড্ডা থেকে শিমরাইল কান্দির কুরুলিয়া ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব আকারে পাঠানো হয়েছে, আপনাদের দোয়া থাকলে শিগগিরই এটি পাশ হবে। চলতি বছরের মধ্যে শহরে শিশু পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হবে বলে জানান মন্ত্রী।  তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন সবই আমরা করবো তবে এক্ষেত্রে আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। কেননা জনগণের সহযোগিতা ব্যতীত কোনো ধরনের উন্নয়ন সম্ভব নয়।  জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পিআরএল ভোগরত গ্রেড-১ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে  বক্তব্য রাখেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) মো. সহিদ উল্যাহ, সাবেক সচিব গোলাম রব্বানী, বিয়াম ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক মিজানুর রহমান, সমবায় অধিদপ্তরের অতিরিক্ত নিবন্ধক আহসান কবীর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির প্রমুখ। এছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যবৃন্দ এবং ডিসি হাউসিং এর প্লট গ্রহীতাগণ উপস্থিত ছিলেন।  সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডিসি হাউজিং সোসাইটির প্লট গ্রহীতাগণের মাঝে মন্ত্রী প্লটের দলিল হস্তান্তর করেন।  
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০:০৬

এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে যা বললেন সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ১ মার্চ সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম তার ভেরিফায়েড পেইজে একটি পোস্ট দেন। ফেসবুকের সেই পোস্টে তিনি বেইলি রোডের আগুন ও বনানীর এফআর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার নিয়ে কথা বলেন। আরটিভির পাঠকদের জন্য সাবেক গণপূর্তমন্ত্রীর সেই পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো- বনানীর F R টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের বিচার আজো হয়নি : বেলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা ৪৬ ছাড়িয়েছে। এর দায় অবশ্যই তাদের নিতে হবে যাদের গাফিলতির কারণে এই নির্মম হত্যাকান্ড সংগঠিত হলো। স্বজন হারাদের আর্তনাদ, অপূরণীয় ক্ষতি এবং অনেক পরিবারের সুন্দর ভবিষ্যৎ কিভাবে নির্মমতায় শেষ হয়ে গেল, এর বিচার হবে কিনা জানিনা।‌ বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছিলো, আমাদের ভবনগুলির অব্যবস্থাপনা এবং দেখভাল করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সংস্থার ব্যর্থতা। উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি করেছিলাম একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে। তদন্তে ৬২ জনের দায় নিরূপণ হয়েছিল ভবন নির্মাণ এবং তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের মধ্য থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে দায়ীদের সকল তথ্য দিয়েছিলাম দুর্নীতি দমন কমিশনকে। অপ্রিয় হলেও সত্য ,তদন্ত রিপোর্টে যাদের দায় নিরুপন হয়েছিল তাদের সকলের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু করা হয়নি। আরো আশ্চর্য যে, তদন্ত শেষে আরো অনেককেই বাদ দিয়ে দেওয়া হয় অভিযোগপত্রে। যাদের দায় নির্ধারণ করেছিল উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি, তাদের চেয়ে অনেক নিম্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ঐ দায়ীদের একটি অংশকে অব্যাহতি দিয়ে দিলেন। অতি দ্রুততার সঙ্গে তাদের জামিন হয়ে গেলো। এমনও নজির রয়েছে, কোন কোন আসামিকে একদিনের জন্যেও জেল হাজতে যেতে হয়নি। বিচারে শাস্তি হওয়াতো অনেক দূরের কথা। যতদূর জানি এই মামলার বিচার আজও হয়নি। ওই ঘটনা দেশি-বিদেশি সকল গণমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। ওই ঘটনার পরে ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে অনেক ইকুইপমেন্ট আনা হয়েছে। রাজউকসহ অন্যান্য সংস্থাকে এজাতীয় ভবনের তদারকের উপরে গুরুত্ব দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। বলতে আমার দ্বিধা নেই, সবকিছুই স্থিমিত হয়ে যায় স্বল্প সময়ের মধ্যেই। এভাবেই অপরাধের বিচার প্রক্রিয়াকে ভূলুণ্ঠিত করে দিয়ে বিচারহীনতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রভাবশালীদের হাত অনেক লম্বা। তারা সবকিছুই ম্যানেজ করে ফেলতে পারেন। বেলিরোডের নির্মমতা আমাদের হৃদয়কে স্পর্শ করলেও অনেকেই এই সকল অগ্নিকান্ডের ভয়াবহ ঘটনায় দায়ীদের বাঁচাবার জন্যই তৎপর হয়ে যান। নারায়ণগঞ্জের হাশেম ফুড এর ঘটনায় পোড়া দেহগুলি স্বজনদের হাতে হস্তান্তর করার পূর্বেই জামিন হয়ে গেলো আসামিদের। আমাদের বিবেক কি, নির্বাক হয়ে এসব দেখেই যাবে? নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা ছাড়া কি আর বলার আছে? চিকিৎসাধীন যারা তাদের আরোগ্য কামনা করছি। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহায় হোন। এই ঘটনায় দায়ী অপরাধীরা যেহেতু শক্তিশালী, তাদের হাত অনেক লম্বা, তাই তাদের নিয়ে না হয় কোন মন্তব্য করলাম না।  
০৪ মার্চ ২০২৪, ১৪:৩৪

উন্নত আবাসন পাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠী : গণপূর্তমন্ত্রী
নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নত আবাসন ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।  সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আশ্বাস দেন তিনি। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে সরকার। মন্ত্রী বলেন, নগরের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এই নগরের পরিবর্তন করে যথাযথ সুযোগ সুবিধা বাড়িয়ে পরিকল্পিতভাবেই নগরায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সব কার্যক্রম তদারকি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) লোকবল কম। বিভিন্ন অনিয়ম তদারকির পাশাপাশি উন্নয়নমূলক কাজও করেন তারা। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যাতে কার্যক্রম পরিচালিত হয় সেটি দেখা হবে।  
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:১১

বাসাবাড়িতে আর গ্যাস দেওয়া হবে না : গণপূর্তমন্ত্রী 
পাইপলাইনে বাসাবাড়িতে আর গ্যাস দেওয়া হবে না। গ্যাস যা পাওয়া যাবে তা শিল্পায়ন, সারকারখানা ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কথা জানান তিনি। মোকতাদির চৌধুরী গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ায় তাকে সংবর্ধনা দেয় বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগ। গৃহায়নমন্ত্রী বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে কলকারখানা ছাড়া কোথাও গ্যাস দেওয়া হবে না। পাইপলাইনের গ্যাস আর সিলিন্ডারের গ্যাস ব্যবহার একই। পার্থক্য শুধু দামে। ঘরে-ঘরে গ্যাস আমরা দিয়ে দিয়েছি। সিলিন্ডার কিনেন এবং গ্যাস ব্যবহার করেন। ভবিষ্যতে আমরা যা গ্যাস পাব তা শিল্পায়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করবো। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের শাসনামলে রেল প্রায় উঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকার আসার পর সারাদেশে রেলের ব্যাপ্তি হয়েছে। আগে আমরা পড়তাম রেলপথ নেই কোন জেলায়। এটি আর এখন হবে না। সব জেলায় রেলপথ আছে। বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়ার সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী এবং গৃহায়নমন্ত্রীর স্ত্রী ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ট্রেজারার ফাহিমা খাতুন প্রমুখ।
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৯
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়