• ঢাকা রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
গাইবান্ধায় চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজি খুন
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় জমি-সংক্রান্ত জেরে চাচার ছুরিকাঘাতে পাপিয়া বেগম (৪৫) নামের এক নারী নিহত হয়েছেন।  শনিবার (১৮ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পলাশবাড়ী থানার ওসি আজমিরুজ্জামান।  এর আগে সকালে উপজেলার মনোহরপুর কাজিরবাজার এলাকার বিরামেরভিটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত পাপিয়া বেগম ওই গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে।   স্থানীয়রা জানান, মৃত নুরুল ইসলামের মেয়ে পাপিয়া বেগম ও তার ভাই আরিফুজ্জামানের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে চাচা চান্দু মিয়া ও দুলা মিয়া জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত কয়েকদিন আগে পাপিয়া বেগম বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সকালে পাপিয়ার চাচা চান্দু মিয়া ও দুলা মিয়া তার লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছ লাগাতে যান। এ সময় পাপিয়া বেগমের ভাই আরিফুজ্জামান গাছ লাগাতে তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্ক হচ্ছিল। এ সময় পাপিয়া বেগম তাদের বিরোধ মিটাতে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে দুলা মিয়ার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পাপিয়া বেগমের গলায় আঘাত করে।  পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পাপিয়া বেগমকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সহকারী পুলিশ সুপার উদয় কুমার জানান, ‘এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
১২ ঘণ্টা আগে

বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে বন্ধু খুন 
দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। দুজনই মাদকাসক্ত। আবার দুজনের নামেই রয়েছে হত্যা মামলা। এদেরই একজনের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হয়েছেন অন্য বন্ধু।  মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে বগুড়া সদর উপজেলার শহরদীঘি পশ্চিমপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।  পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শহরের মালগ্ৰাম পশ্চিমপাড়ার মো. জিন্নাহর ছেলে পেশায় ট্রাক চালকের সহকারী আলী হাসানের সঙ্গে শহর দীঘি গ্ৰামের সবুজ সওদাগরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব। সেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু সবুজের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তার ছুরিকাঘাতে আরেক বন্ধু আলী হাসান নিহত হয়েছেন।  নিহত আলী হাসান বগুড়া সদরের ফাঁপোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম রকি হত্যা মামলার আসামি।   একই এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত সবুজ সওদাগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের জেলা সভাপতি। তার বিরুদ্ধেও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ। ফাঁপোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, ‘অজ্ঞাতপরিচয়ের একটি নম্বর থেকে জানানো হয়, সবুজ সওদাগর এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে ঘরে তুলে রেখেছে। খবর শুনে এলাকার লোকজন সবুজের বাড়িতে যায় এবং তাকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশকে জানালে এর মধ্যে আহত হাসানকে নিয়ে হাসপাতালে চলে যায় সবুজ। সবুজ ও হাসান ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। এমনকি তারা দুজনেই হত্যা মামলার আসামিও ছিলেন। তাদের নানা অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিলেন।’ এ বিষয়ে ওসি ওলিউল্লাহ বলেন, ‘ছুরিকাঘাতে আলী হাসান নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত হিসেবে সন্দেহে সবুজ পলাতক রয়েছে। তাকে আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। আলী হাসানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।’ 
১৫ মে ২০২৪, ০৯:৩৩

ফুটবল খেলা নিয়ে বিরোধ, ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন
ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে যশোরে নুর হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।  শনিবার (১১ মে) রাতে যশোর শহরের শংকরপুর আকবরের মোড় বারেক সড়কে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত নুর হোসেন ওই এলাকার নজরুল মোল্লার ছেলে ও আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। নিহতের স্বজনেরা জানান, শুক্রবার শংকরপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। যা স্থানীয়রা মিমাংশার চেষ্টা করে তবে দুপক্ষের মধ্যেই রেশ থেকে যায়। শনিবার রাতে শংকরপুর চোপদারপাড়া এলাকার পচা, কানা রনি, রিয়াদ, মনিরসহ আরও কয়েকজন যুবক এসে নুরকে চাকু মেরে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। এ সময় আশপাশের লোকজন নুরের চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে নুরুকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসাপাতালে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনায় রেফার করে। খুলনায় নিয়ে যাওয়ার পথে নুরের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মূলত একটি ফুটবল টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে শক্রতা শুরু হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ কাজ করেছে।
১২ মে ২০২৪, ০৯:৫৯

নড়াইলে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সিকদার মোস্তফা কামালকে (৫৪) গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তার বুকে ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে বলে জানা গেছে।  শুক্রবার (১০ মে) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুন্দশী-মঙ্গলহাটা রাস্তার ছমির শিকদারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মল্লিকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সিকদার মোস্তফা কামাল পৌরসভার কুন্দশী গ্রামের ছমির শিকদারের বাড়িতে একটি সালিস বৈঠক করার উদ্দেশে লোহাগড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে করে রওনা হন। রাত ৮টার দিকে তিনি ছমির শিকদারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা গুলির শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফা কামালকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুব্রত কুমার কুন্ডু জানান, মোস্তফা কামালের বুকে ও পিঠে জখমের চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। আহত মোস্তফার ভাই রেজাউল শিকদার জানান, তার ভাইয়ের বুকে ও পিঠে গুলির চিহ্ন রয়েছে। ঢাকা নেওয়ার পথে পদ্মা সেতুতে উঠার আগে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয় হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায়। তিনি জানান, ঢাকা নেওয়ার পথে আওয়ামী লীগ নেতা সিকদার মোস্তফা কামালের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। ঘটনার পরপরই ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
১১ মে ২০২৪, ০৭:০৩

উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ খুন
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে ও জবাই করে হত্যা করেছে দুষ্কৃতকারীরা।  রোববার (৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ২০ নম্বর বর্ধিত ক্যাম্পের ‘বি’ ব্লকে একটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত জাফর আহমদ ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘জি’ ব্লকের বাসিন্দা।  গত ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ নিয়ে দুই রোহিঙ্গা খুনের শিকার হলো। এর আগে সকালে ১৮ নম্বর ক্যাম্পে নুর কামাল নামে অপর এক রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা করে দুষ্কৃতকারীরা।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো শামীম হোসেন। তিনি জানান, নিহত জাফর রোববার সন্ধ্যার দিকে ৪ নম্বর ক্যাম্পের বর্ধিত অংশে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরে যান। এ সময় একদল দুষ্কৃতকারী জাফরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পার্শ্ববর্তী ২০ নম্বর ক্যাম্পে একটি খালি জায়গায় নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন জাফর। গুলির শব্দ পেয়ে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা, এপিবিএন পুলিশ ও পরে উখিয়া থানা পুলিশ এসে নিহত জাফরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মিয়ানমারের রাখাইনে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের দুষ্কৃতকারীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
০৬ মে ২০২৪, ১৩:৫৩

সিলেটে ছুরিকাঘাতে সবজি বিক্রেতাকে খুন
সিলেটে ছুরিকাঘাতে এক ভ্রাম্যমাণ সবজি বিক্রেতাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। তার নাম মো. আলী (১৭)। শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যায় সিলেটের ছড়ারপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মো. আলী (১৭) কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নুর আলীর ছেলে। তিনি নগরীর ছড়ারপাড় এলাকার রাহাত মিয়ার কলোনিতে বসবাস করতেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন। তবে তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি বলে জানান তিনি। ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, আলী একজন ভাসমান সবজি বিক্রেতা। শুক্রবার বিকেলে চালিবন্দর ভৈরব মন্দির-সংলগ্ন এলাকায় কিছু দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি মঈন উদ্দিন আরও বলেন, ছুরিকাঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে কী কারণে খুনের ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ কাজ করছে।
০৩ মে ২০২৪, ২৩:০৫

বাবুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলায় খুন হন মিতু
মেয়ে মাহমুদা খানম মিতুকে খুনের জন্য জামাতা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে দায়ী করেছেন মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ। তিনি বলেন, কিছুদিন আগে বাবুলের মা নিজে তার কাছে স্বীকার করেছেন বাবুল মিতুকে হত্যা করেছে, তাকে যেন আমরা মাফ করে দিই। সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্য দেন শাহেদা মোশাররফ। আসামি বাবুলের সামনেই সাক্ষ্যে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন তিনি। শাশুড়ি বিস্ফোরক বিভিন্ন তথ্যের বিপরীতে একেবারে নীরব ছিলেন বাবুল। আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে মিতুর মা শাহেদা মোশাররফ বলেন, ২০০২ সালের ২৬ এপ্রিল বাবুল আক্তারের সঙ্গে আমার বড় মেয়ে মাহমুদ খানম মিতুর বিয়ে হয়। তখন বাবুল আক্তার বেকার ছিলেন। বিয়ের পর শুরু থেকেই তাদের সম্পর্ক তেমন ভালো ছিল না, মোটামুটি ছিল। পরে বাবুল পুলিশে যোগদান করে। এরপর কক্সবাজারে এসপি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) হিসেবে বদলি হয়। সেখানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। ভিন্ন নারীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় বাবুলকে দেখে ফেলেন মিতু: শাহেদা মোশাররফ বলেন, একদিন বাবুল আক্তার মিতুকে নিয়ে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ওঠে। পাশের রুমে ওই নারীও ওঠেন। ওই নারীর রুমে বাবুল আক্তারকে আপত্তিকর অবস্থায় মিতু দেখে ফেলে। তখন মিতু জানতে চায় সে এখানে কী করছে? বাবুল মিতুকে বলে, বিদেশে যাওয়ার জন্য ল্যাপটপে কাজ করছে। তাদের দুজনকে এ অবস্থায় দেখে মিতুর খারাপ লাগে। সে কিছুক্ষণ ওখানে ছিল। বাচ্চারা একা থাকায় মিতু তাদের রুমে চলে আসে। বাচ্চারা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর সেও ঘুমিয়ে পড়ে। ‘রাত ৩টার দিকে মিতুর ঘুম ভেঙে যায়। তখনও বাবুল আক্তার মিতুর রুমে ছিল না। মিতু আবার ওই নারীর রুমে গেলে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায়। মিতু রুমে এসে কেঁদে কেঁদে আমাকে ফোন দেয়। তখন আমি তাকে বলি, তুই চলে আয়। মিতু তখন বলে, আমার ছেলে-মেয়েরা আমাকে খারাপ মনে করবে। তাই আমি আল্লাহর ওপর ভরসা রাখি।’ এক বাসায় আলাদা রুমে থাকতেন বাবুল-মিতু : শাহেদা মোশাররফ বলেন, চট্টগ্রামে বদলি হওয়ার পর আমার মেয়ের সঙ্গে এক বাসায় থাকলেও বাবুল আলাদা রুমে থাকত। বাবুল আক্তার গভীর রাত পর্যন্ত অনেক মেয়ের সঙ্গে কথা বলত। মিতু সেগুলো আড়ি পেতে শুনত। বাবুল ২০১৪ সালে মিশনে যায়। মিশনে যাওয়ার সময় তার একটি মোবাইল বাসায় রেখে যায়। ওই মোবাইলে বাবুল আক্তারকে দেওয়া ওই ভারতীয় বংশোদ্ভূত নারীর মেসেজ খুঁজে পায় মিতু। একইসঙ্গে বাবুল আক্তারকে ওই নারীর উপহার দেওয়া দুটি ইংরেজি বই পায়। মিতু মেসেজগুলো দুটি বড় পৃষ্ঠা ও দুটি ছোট পৃষ্ঠায় লিখে রাখে।’ তিন-চারবার ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ মিতুর : শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার ছোট মেয়ের বাসায় মিতু ও তার ছেলেমেয়েরা বেড়াতে যায়। মিতু তখন আমাকে পৃষ্ঠায় লেখা মেসেজগুলো দেয়। এসব আমাদের বলায় বাবুল মিতুর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরপর মিতু তিন-চারবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। মিতু চট্টগ্রামের বাসা থেকে ঢাকায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করে। ২০১৬ সালের জুনের ৪ তারিখ রাতে মিতু আমাকে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে, আম্মা মাহিরের স্কুল থেকে ম্যাসেজ এসেছে। আমাকে খুব ভোরে মাহিরকে নিয়ে স্কুলে চলে যেতে হবে। ৫ জুন সকালে মিতুর বাসার পাশ থেকে একজন নারী আমাকে ফোন দেন।’ ওই নারী আমাকে বলেন, মিতু গাড়ির সিলিন্ডার ব্লাস্ট হয়ে অ্যাকসিডেন্ট করেছে। আমি বলি, মা তুমি মিতুকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাও। আমি টাকা নিয়ে আসছি। এরপর মাহির (মিতুর ছেলে) একজনের মোবাইল থেকে কল দিয়ে বলে, নানু, আম্মুকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়েছে, গুলি করেছে। তখন আমি মাহিরকে বলি, তোমার আম্মু কি কথা বলছে? মাহির বলে, না, আম্মু তাকিয়ে আছে শুধু।’ ‘আমি মাহিরকে বলি, তুমি তোমার বাবাকে কল দিয়েছ? মাহির বলে, হ্যাঁ নানু, ফোন দিয়েছি, তবে বাবা কথা বলে না। আমি মাহিরকে বলি তোমার আম্মুকে চাদর দিয়ে ঢেকে রাখো। এরপর আমি, আমার ছোট দুই দেবর, জা ও ছোট মেয়েকে নিয়ে বিমানযোগে চট্টগ্রাম চলে আসি। মিতুকে যেখানে খুন করা হয়েছে, আমি সেখানে যাই। এরপর আমি মিতুর বাসায় আসি। ওখানে শুনি মিতু (লাশ) হাসপাতালে আছে।’ শাহেদা বলেন, ‘বাসায় যাওয়ার পর মাহির আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলে, নানু আমার মা চলে গেছে। মিতুকে (লাশ) এরপর হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় পুলিশ লাইনে। সেখানেই তার জানাজা হয়। পুলিশ লাইনে জানাজা হওয়ার পর আমার দুই দেবর মিতুর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা নিয়ে যায়। আমরা ফ্লাইটে করে ঢাকা যাই। এরপর আমাদের বাড়ি মেরাদিয়াতে মিতুর জানাজা হয়। সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।’ এসময় তিনি জানান, মিতু মারা যাওয়ার পর ছেলে মাহির বাবুল আক্তারকে তিনবার কল দিয়েছিল। কিন্তু বাবুল কল রিসিভ করলেও কোনো কথা বলেননি। শাহেদাও একবার কল দিয়েছিলেন, কিন্তু বাবুল সেটি রিসিভ করেননি। মিতুর ব্যবসার টাকায় মিতুকে খুন: শাহেদা মোশাররফ আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে বলেন, বাবুল আক্তার বিদেশে থাকার সময় তিন-চারবার দেশে আসে। কিন্তু তখন একবারও বাসায় আসেনি। তখন থেকে মিতুকে মারার পরিকল্পনা করে এবং টাকা লেনদেন করে। মিশন থেকে এসে সে চায়না যায় টিম নিয়ে। চায়নাতে বসেও মিতুকে মারার চেষ্টা করেছে। পরিকল্পনা করে। শাহেদা বলেন, মিতুর একটি ব্যবসা ছিল। ব্যবসার তিন লাখ টাকা দিয়েই মিতুকে খুন করায় বাবুল। মিতু মারা যাওয়ার পর বাবুল আক্তার আমাদের বাসায় ওঠে। ছয়মাস আমাদের বাসায় ছিল সে। সেখানে বসে সে আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ২৪ জুন (২০১৬) বাবুল আক্তারকে ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বাবুল সেখান থেকে চাকরি ছেড়ে আসে। আমি তখন তাকে জিজ্ঞেস করি, চাকরি ছাড়লে কেন? তখন সে বলে, মিতু খুন হওয়ার কারণে আমাকে চাকরি ছাড়তে হয়েছে। আমি তাকে বলি, তোমার চাকরি ছাড়ার বিষয় কি মিতুর খুনের বিচারের জন্য? ‘বাবুল আক্তার মিতুকে খুন করার জন্য মুসাকে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে অস্ত্র কিনে দেয়। একথা বলেছে মুসার স্ত্রী। মুসার স্ত্রী তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, তুমি মিতুকে খুন করেছ ? তখন মুসা তার স্ত্রীকে বলে, আমি খুন না করলে বাবুল আক্তার আমাকে ক্রসফায়ার দেবে। বাবুল আক্তার আমাদের বলেছিল, মিতুর খুনের আসামিরা গ্রেপ্তার হয়েছে। আমি ক্রসফায়ার দিতে বলেছি।’ শাহেদা আরও বলেন, আসামি ওয়াসিম, আনোয়ার গ্রেপ্তার হয়েছিল। এর কিছুদিন পরেই ভোলা ধরা পড়ে। গ্রেপ্তার হওয়ার পর সে আদালতে জবানবন্দি দেয়, বাবুল আক্তারের নির্দেশেই মুসা মিতুকে খুন করেছে। মিতু মারা যাওয়ার দেড় মাস পর সে যে বাসায় ছিল ওখানে মিলাদ পড়ানোর জন্য আমরা চট্টগ্রাম আসি। এর কিছুদিন পর আসামি কালু ও শাহজাহান গ্রেপ্তার হয়। আমরা চট্টগ্রাম আসার পরে অবস্থা দেখে মনে হয়েছে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বাবুল আক্তার মিতুকে খুন করেছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ও নিজেই মিতু হত্যার মামলা করেছে।’ ‘বাবুলের মা বলছেন তার ছেলেকে যেন মাফ করে দিই’ শাহেদা মোশাররফ বলেন, ‘১৫ দিন আগে বাবুল আক্তারের মা আমাকে কল দিয়ে বলেছেন, বেয়াইন, মিতুকে আমার ছেলেই খুন করেছে। তাকে আপনি মাফ করে দিন। আমি তাকে বলি, বাবুল মরলে কি এ কথা বলতেন?’ উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় এ ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে এসপি বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।  তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলা দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল। এদিকে, প্রথম মামলায় পিবিআইয়ের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর নারাজির আবেদন করেন বাবুলের আইনজীবী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একই বছরের ৩ নভেম্বর নারাজি ও পিবিআইয়ের প্রতিবেদন খারিজ করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এরপর দুটি মামলাই তদন্ত করতে থাকে পিবিআই। তবে পরবর্তী সময়ে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি মিতুর বাবার দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এরপর একই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম মামলাটিতেও অধিকতর তদন্ত শেষে বাবুলসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। গত বছরের ১৩ মার্চ বাবুল আক্তারসহ সাত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২০

শাহজাদপুরে এটিএম বুথের নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা : প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীর শাহজাদপুরে মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে কর্মরত হাসান মাহমুদ (৫৫) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের গুলশান বিভাগ।  গ্রেপ্তারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি, এটিএম বুথ ভাঙার কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি, ছেনি ও সাবলসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে আসামির নাম-পরিচয় জানায়নি পুলিশ।  বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি জানান, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। উল্লেখ্য, ঈদুল ফিতরের আগের দিন (১০ এপ্রিল) ভোরে শাহজাদপুরের মাইশা চৌধুরী টাওয়ারের নিচতলায় মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথে নিরাপত্তাকর্মী হাসান মাহমুদকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
২১ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৫৯

খুনাখুনিতে অশান্ত ময়মনসিংহ, দুই দিনে ৪ খুন
দুই দিনে ময়মনসিংহ জেলায় পৃথক পৃথক ঘটনায় চারটি খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে দুইজন কিশোর, একজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছে। এমন খুনাখুনিতে অশান্ত শিক্ষা, সংস্কৃতির এই জনপদ। এ নিয়ে জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল ময়মনসিংহ মহানগরসহ জেলার গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জ ও নান্দাইল উপজেলায় এসব খুনের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে নগরীতে তুচ্ছ ঘটনায় খুন হয় এক কিশোর। গত ১৬ এপ্রিল রাতে ময়মনসিংহ নগরীর মীরবাড়ী রেললাইনে তুচ্ছ ঘটনায় ছুরিকাঘাতে খুন হয় মো. সামিউল সামি (১৫) নামে এক কিশোর। এ ঘটনায় নগরীর ইটাখলা এলাকার বাসিন্দা ও নিহতের বাবা মো. সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় ১৭ এপ্রিল পৃথক পৃথক অভিযানে তিনজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এখনো এই মামলার এক আসামি পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন।     ঈশ্বরগঞ্জে গাছের ডাল কাটা নিয়ে মারামারিতে বৃদ্ধ খুন : গত ১৬ এপ্রিল সকালে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুড়িয়ারচর গ্রামে গাছের ডাল কাটা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারিতে মারাত্মক জখম হন মো. আব্দুল গণী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ। এ ঘটনার একদিন পর গত ১৭ এপ্রিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই বৃদ্ধ। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও তিনজন। এনিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের হলেও এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাজেদুর রহমান। গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিশোর খুন :    গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে গৌরীপুর উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় খুন হয় মো. মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পাশে চেয়ারে বসে ছিল কিশোর মোফাজ্জল হোসেন। এ সময় একই এলাকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন (১৪) মোফাজ্জলকে চেয়ার থেকে উঠতে বলে। কিন্তু মোফাজ্জল চেয়ার থেকে না উঠায় তাকে কিল-ঘুষি দিয়ে অণ্ডকোষে লাথি মারে মোবারক। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এই কিশোর। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। খুব দ্রুত আসামি গ্রেপ্তার করা হবে, সে লক্ষে পুলিশের অভিযান চলমান আছে বলেও জানান ওসি। নান্দাইলে নারীকে কুপিয়ে ধানখেতে ফেলে রাখে দুর্বত্তরা: গত ১৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে নান্দাইল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারিআনি পাড়া এলাকায় নাজমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারীকে কুপিয়ে খুন করে ধান খেতে ফেলে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ওই নারী স্থানীয় আব্দুল মান্নানের স্ত্রী।   নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সুজন মিয়া জানান, চার সন্তানের জননী নাজমা আক্তার গতরাতে পরিবারের সদস্যদের সাথে খাওয়া দাওয়া শেষে রাত ১০টার দিকে বাড়ির পাশে দোকানে পান কিনতে বের হয়। কিন্তু বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে বের হয়ে পাশের ধানখেতে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তার লাশ পায়।   এ ঘটনায় ১৮ এপ্রিল সকালে নিহতের ভাই মো. কামরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মামলায় এই হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন ও খুনিদের গ্রেপ্তারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ। 
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪১

গৌরীপুরে কিল-ঘুষিতে কিশোর খুন
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তুচ্ছ ঘটনায় কিল-ঘুষিতে মো. মোফাজ্জল হোসেন (১২) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে স্থানীয় পাইবাকুড়ি উচ্চবিদ‍্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বাঘবেড় গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোর মোফাজ্জল হোসেন মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে। স্থানীয় বোকাইনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আল মুক্তাদির বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। শুনেছি চেয়ারে বসা নিয়ে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।    গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাড়ির পাশে বসে খেলাধুলা করছিল একদল শিশু ও কিশোর। এ সময় চেয়ারে বসা নিয়ে স্থানীয় উচ্চবিদ‍্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেনের (১৪) সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও তর্কবির্তক হয় নিহত মোফাজ্জেল হোসেনের। এ ঘটনায় মোবারক হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে মোফাজ্জল হোসেনকে কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় ও লাথি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় মোফাজ্জল।   ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোবারক হোসেনকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। 
১৭ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:৪৭
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়