• ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।  এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন। সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়। প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।
৩ ঘণ্টা আগে

শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
শুক্রবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার (৩০ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড পেজের এক পোস্টে এ তথ্য জানান হয়। ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে মন্ত্রণালয় বলছে, শিখন ঘাটতি কাটাতে শনিবার অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান অব্যাহত আছে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এর আগে, মঙ্গলবার দুপুরের পর সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী শিখন ঘাটতি কমাতে প্রয়োজনে শুক্রবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে বলে মন্তব্য করেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তরপূর্বাঞ্চল ও হাওড় এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতি বৃষ্টিতে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে লার্নিং গ্যাপ কমাতে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন শুক্রবারেও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে এক ধরনের মানসিকতা তৈরি হচ্ছে। সবকিছুতেই কেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর আদালতের নির্দেশনা নিয়ে আসতে হবে? সাংবিধানিকভাবে যার যা দায়িত্ব তা পালন করা বাঞ্ছনীয় বলে মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২২:৪২

‘উপজেলা ভোটে কোনো অনিয়ম হলে চাকরি হারাবে কর্মকর্তারা’
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো অনিয়ন হলে চাকরি হারাতে হবে নির্বাচন কর্মকর্তাদের।   সোমবার (৩০ এপ্রিল) ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সাতক্ষীরা ও যশোর জেলার রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  ইসি আহসান হাবিব বলেন, যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। কোনো প্রার্থী আচরণবিধি ভঙ্গ বা নির্বাচনী অপরাধ করলে তাৎক্ষণিক উপযুক্ত ও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। কেন্দ্রের আশেপাশে প্রার্থীর কর্মীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করলে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, যশোরের পুলিশ সুপার প্রণয় জোয়ারদারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:২৬

‘সংসদ সদস্য কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না’
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, সংসদ সদস্য তার নির্বাচনী এলাকায় অবশ্যই যেতে পারবেন। তবে কোনো প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। ভোটের দিন কেন্দ্রে গিয়ে তার ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু কোনো প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে যেতে পারবেন না। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে প্রথম ধাপে টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ইসি বলেন, যে কেন্দ্রে নির্বাচন হবে, সেখানে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে অথবা সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ না থাকে তাহলে সেখানে যে প্রিসাইডিং অফিসার আছেন তিনিই নির্বাচন বন্ধ করতে পারবেন। তিনি যদি কোনো কারণে বন্ধ করতে না পারেন সেক্ষেত্রে আমাদের যারা রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার থাকবেন তারাই বন্ধ করতে পারবেন। আর এমন যদি হয় উপজেলা নির্বাচনের কোনো আসনেই নির্বাচন সুষ্ঠু করা যাচ্ছে না, তাহলে পুরোটাই বন্ধ করে দিতে পারবেন নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই থাকবে, শুধু সেনাবাহিনী থাকবে না। সেনাবাহিনী শুধু জাতীয় নির্বাচনে রাখা হয়। জাতীয় নির্বাচন সারাদেশে এক সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। সেক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কম থাকে, সেজন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়। উপজেলা নির্বাচনে কয়েকটি ধাপে হবে। তাই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আমরা অনুমোদন দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, যদি কোনো প্রার্থী বা তার সমর্থক অন্য কোনো প্রার্থী বা সমর্থককে আক্রমণ করে, আগুন জ্বালিয়ে দেয় বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয় যেগুলোকে ফৌজদারি অপরাধ বলে সে বিষয়ে শাস্তি আরও কঠিন হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী আচরণবিধি যথেষ্ট না, আরও নির্বাচনী আইন আছে। সেই আইনের অধীনে ফৌজদারি যে অপরাধগুলো রয়েছে সেক্ষেত্রে আমাদের অফিসার এবং পুলিশও মামলা করতে পারবে। আমাদের অনুমতির প্রয়োজন হবে না। মতবিনিময় সভার সভাপতিত্ব করেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর উপজেলার চেয়ারম্যান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৪৩

মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কেউ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্যমেলার মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন দেখলাম ৪০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি। এ অবস্থায় আমরা যাত্রা শুরু করেছি। তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়ায় তখন খাদ্যমন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল, আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সবসময় বলতেন, ‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মানসম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই।’ সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি। অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণী এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।
১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৫৯

‌‘এবার ঈদ ও নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি’
ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ঈদপুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমি ডিএমপির সহকর্মীদের নিয়ে গর্বিত। কারণ ডিএমপির প্রতিটি সদস্যের তৎপরতার কারণেই এবার রমজান, ঈদ ও বাংলা নববর্ষে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’ তিনি বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে পুলিশের তৎপরতার জন্য কোনো ছিনতাইয়ের ঘটনা বা অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা চোখে পড়েনি। সচরাচর অতীতে যে ধরনের অপরাধ সংগঠনের কথা আমরা শুনে এসেছি তার একটিও এবারের রমজানে সংঘটিত হয়নি। সেইসঙ্গে সদ্য সমাপ্ত পহেলা বৈশাখের নানা অনুষ্ঠান আয়োজন হয়েছে, সেখানেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবগুলো অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিএমপির প্রতি নগরবাসীর যে প্রত্যাশা তার পুরোপুরি পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এবারের রমজানে কাজ শেষে বাসায় ইফতার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। অতীতে আমরা লোকজনকে রাস্তায় ইফতার করতে দেখেছি। অন্যান্যবারের চেয়ে এবার ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি ক্রাইম বিভাগের তৎপরতার কারণে রোজাদাররা বাসায় গিয়ে ইফতার করতে পেরেছেন। অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনার সবাই দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকে রাস্তায়ই ইফতার করেছেন। এজন্য আমি ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।’ ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে প্রায় ৩৪ হাজার সদস্য কাজ করেন। এটা শুধু বাংলাদেশ পুলিশের জন্য নয়, সমগ্র দেশের জন্য একটি গর্বের বিষয়। একসঙ্গে এত অফিসার ও ফোর্স দেশের আর কোনো প্রতিষ্ঠানে নেই। আমরা একসঙ্গে একটি টিম হয়ে কাজ করি। ঢাকা মহানগরীর দুই কোটি মানুষের নিরাপত্তা দিতে ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করেন।’ ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম কর্মদিবসে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে কর্মরত সব পুলিশ কর্মকর্তা-কর্মচারী, দাপ্তরিক কর্মচারী এবং রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে কর্মরত সবস্তরের পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন কমিশনার হাবিবুর রহমান। এ সময় ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৭

নতুন আর কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হচ্ছে না
দেশের দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের যে উদ্যোগ, তাতে ইতোমধ্যে পাঁচটি ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে, এবার এ পরিকল্পনায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ইতোমধ্যে একীভূত হতে সম্মত পাঁচ ব্যাংক বাদে অন্য কোনো ব্যাংককে এ প্রক্রিয়ায় আপাতত আর শামিল করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। তিনি বলেন, আপাতত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, পদ্মা ও ন্যাশনাল ব্যাংকের একীভূতকরণ নিয়ে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে নতুন কোনো ব্যাংককে আপাতত একীভূত করা হবে না। পরবর্তী সময়ে অন্য কোনো ব্যাংককে একীভূত করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনই নেওয়া হচ্ছে না। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে বৈঠক করেন বিভিন্ন ব্যাংকের পরিচালক ও চেয়ারম্যানরা। বৈঠকে ১০টি দুর্বল ব্যাংককে বিভিন্ন সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করার সিদ্ধান্ত হয়। এই ১০ ব্যাংকের তালিকায় ছিল পদ্মা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, বিডিবিএল, বেসিক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানি, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এবং আইসিবি ইসলামি ব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সবশেষ স্বেচ্ছায় বেসরকারি খাতের এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ধুঁকতে থাকা পদ্মা ব্যাংক। সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে উচ্চ খেলাপি ঋণের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) দ্রুতসময়ের মধ্যে একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এছাড়া বেসিক ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে বেসরকারি সিটি ব্যাংকের সঙ্গে এবং বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হতে যাচ্ছে আরেক বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবিএলের সঙ্গে।  এর আগে ব্যাংক একীভূতকরণ সংক্রান্ত নীতমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার আলোকে খারাপ অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো নিজ থেকে একীভূত না হলে বাধ্যতামূলকভাবে একীভূত করা হবে। এর জন্য দুই ব্যাংকের মধ্যে আগে সমঝোতা সই করতে হবে। এরপর আমানতকারী, পাওনাদার ও বিনিয়োগকারীর অর্থ ফেরতের পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক চিত্র বের করবে। সবশেষ আদালতের কাছে একীভূতকরণের আবেদন করতে হবে।    এতে কোনো ব্যাংক মূলধন ও তারল্য ঘাটতি, খেলাপি ঋণ, সুশাসনের ঘাটতি এবং আমানতকারীদের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপের কারণে পিসিএ ফ্রেমওয়ার্কের আওতাভুক্ত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক পুনরুদ্ধারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিধিনিষেধ মানতে হবে। পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে আমানতকারীর স্বার্থে ব্যাংক বাধ্যতামূলক একীভূতকরণ হবে। একীভূতকরণ প্রক্রিয়া সুশৃঙ্খল এবং সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার লক্ষ্যে এ নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:০৭

শাকিব ছাড়া দ্বিতীয় কোনো পুরুষকে ভাবতে পারি না : বুবলী
প্রেম বিয়ে সন্তান, এরপর বিচ্ছেদ শাকিব-বুবলী ভক্তদের এ খবর অজানা নয়। দীর্ঘ সময় ধরেই এক ছাদের নিচে থাকছেন না দুজন। এমনকি শাকিব বুবলী সম্পর্কে যেখানে গণমাধ্যমে কথা বলতেই নারাজ, সেখানে বুবলী এ প্রসঙ্গে সরবই বলা চলে। এ কথার প্রমাণ আবারও পাওয়া গেল বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ‘বলা না-বলা’ অনুষ্ঠানে।  অনুষ্ঠানে বুবলী শাকিব ছাড়া তার জীবনে দ্বিতীয় কোনো পুরুষের জায়গা নেই উল্লেখ করে এই নায়িকা বলেন, আমার জীবনের রাজকুমার শাকিব। আমাদের ভবিষ্যত কী হবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতই বলে দেবে। কিন্তু তার আগে আমাদের একটা কথা বলার জায়গা আছে। পারিবারিকভাবেও কথা বলার জায়গা আছে। কারণ, সন্তানের জন্য হয়তো অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি। তবে আমার একটা অভিমান-কষ্টের জায়গা তো থাকছে। শাকিবকে বিয়ে করা জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত, কখনো এমনটা মনে হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, হ্যাঁ মনে হয়েছে। কারণ, আমার জীবনে অনেক কঠিন সময়ে যখন তাকে পাশে প্রয়োজন ছিল, তখন আমি তাকে পাশে পাইনি। ওই সময়গুলোতে মনে হয়েছে, তাকে বিয়ের সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। তিনি আরও বলেন, আমি এভাবেই কাটিয়ে দিব। আমার সন্তানই এখন সবকিছু। কোনো প্রেম, সম্পর্ক কিছুই আমার কাছে ঘেষতে পারবে না। আগামীতে চলচ্চিত্র, সন্তান, পরিবার সেসবেই সময় দিব।  
১০ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৩৭

ট্রেনে ঈদযাত্রায় কোনো ভোগান্তি নেই : রেলমন্ত্রী
এবার ট্রেনে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিম। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‌‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে ল্যাপটপ বিতরণ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। রেলমন্ত্রী বলেন, এবার ঈদের আগে আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, আমাদের সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে এর চেয়ে ভালো ব্যবস্থা হতে পারে না। এবার টিকিট কালোবাজারি নেই। টিকিট নিয়ে যাত্রীদের কোনো অভিযোগও নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ট্রেনে চলাচল করতে পারছেন। তবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে পারলে ভাল হতো। অনুষ্ঠানে রাজবাড়ী সদর, বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলার ৭৫ জন নারী উদ্যোগতাকে ‘হার পাওয়ার প্রকল্পের’ আওতায়  ল্যাপটপ দেওয়া হয়। এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ (পিপিএম), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
০৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৫

‘মহাসড়কে কোনো লক্কড় ঝক্কড় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না’ 
হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, এবারের ঈদে ছাদ খোলা পরিবহন ও লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না। ঈদের সময় কিছু সুযোগ সন্ধানী অপরাধী, মলম পার্টি বা কোনো দুষ্কৃতকারী যাতে সাধারণ যাত্রীদের কোনো ক্ষতিসাধন করতে না পারে সেজন্য পুলিশের সর্বদা নজরদারি করছে।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে চন্দ্রা এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শন শেষে  সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।  এ সময় শাহাবুদ্দিন খান আরও জানান, সারা বাংলাদেশে আড়াই হাজার হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কে যানজট নিরসনে কাজ করছে, জনগণ যাতে সাচ্ছন্দে বাড়ি পৌঁছাতে পারে। যে সমস্ত কারখানা রয়েছে তারা যদি ধাপে ধাপে ছুটি প্রদান করে তাহলে আমরাও ধাপে ধাপে মোকাবেলা করতে পারবো। পরে চন্দ্রা এলাকা জুড়ে ৩২টি সিসি ক্যামেরা, এবং ড্রোন দিয়ে মহাসড়কের চিত্র দেখেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডি আই জি মাহফুজুর রহমান বিপি এম, অতিরিক্ত ডি আই জি শ্যামল কুমার মুখার্জী, অতিরিক্ত ডি আই জি পদোন্নতি প্রাপ্ত (পুলিশ সুপার) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, পুলিশ সুপার পদোন্নতি প্রাপ্ত (অতি: পুলিশ সুপার) সীমা রানী সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজীপুর (ট্রাফিক) নাজমুস সাকিব, কালিয়কৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এ এফ এম নাসিম, নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি সাহাদাত হোসেন প্রমুখ। 
০৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৪২
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়