• ঢাকা শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে: কাদের
আওয়ামী লীগের  সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দ্বিধা-বিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে। শুক্রবার (৩ মে) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বিরোধীদল কথা ও বিবৃতিসর্বস্ব রাজনীতি করছে। মাঠে তাদের কোনো কর্মসূচি নেই। দ্বিধা-বিভক্ত বিএনপির ঘরের রাজনীতিও ঝিমিয়ে পড়েছে। নির্বাচন ঠেকাতে গিয়ে এবং আন্দোলনের নামে অগ্নিসন্ত্রাস করতে গিয়ে সারা দেশে যে অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যে নেতিবাচক রাজনীতি করেছে- তাতে দলটির প্রতি জনগণের অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। আবার দল ক্ষমতায় আসবে, নেতারা এ কথা বললেও কর্মীরা তা বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আটকে আছেন আইনের ফাঁদে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি বন্দি। বিএনপি নেতাদের উপেক্ষা এবং অবহেলার জন্য, হাজিরা বিলম্বিত করা; এক বছরে যেটা শেষ হতো সেটার বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। লিগাল ব্যাটেল (আইনি লড়াই) করেও তারা পারেনি। রাজপথেও তারা দেখার মতো কোনো মিছিল করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার উদারতায় খালেদা জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিয়েছেন। বাড়িতে বসেই তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিদেশ থেকেও চিকিৎসক এসে চিকিৎসা করাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল নিজেরাই যথেষ্ট চাপে আছে। কারণ আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও (যুক্তরাষ্ট্রে) লেগেছে। নির্বাচনের আগেও তো চাপ,  হুমকি-ধমকি ছিল। নিষেধাজ্ঞা দেবে, এগুলো তো তারা প্রকাশ্যে বলেছে। এখন স্বাভাবিক কারণে যারা চাপ দেবেন, তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে আছে। আরব বসন্তের স্পর্শ আটলান্টিকের ওপারেও লেগেছে। আমরা দূর থেকেই সেটা দেখতে পাচ্ছি। উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থিতা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন্ত্রী-এমপিদের নিকটাত্মীয় বলতে দলীয় সভাপতি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী ও সন্তানদেরই বুঝিয়েছেন। তিনি গতকাল সকালে এবং বিকেলে দলীয় সভায় সেটা খোলাসা করেছেন। নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার, হস্তক্ষেপ না করতে। প্রশাসনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করা যাবে না। পরিষ্কার করে তিনি সে কথা বলেছেন। নেত্রীর গাইডলাইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করব। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অনেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকেই করেছেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করি। বিশ্বে সংকটের যে প্রভাব-প্রতিক্রিয়া, বাংলাদেশেও সে প্রতিক্রিয়া থেকে জনগণকে পরিত্রাণ দিতে এবং এ সংকট সাময়িক হলেও তা দূর করতে কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, বেকার সমস্যা দূরীকরণ এবং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দলকে সুসংগঠিত করতে নেত্রী দায়িত্ব দিয়েছেন এবং সেভাবে দলকে আমরা সাজিয়ে নিচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।  
১৪ ঘণ্টা আগে

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আ.লীগ রাষ্ট্র পরিচালনা করছে: কাদের
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২ মে) আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের সই করা এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। কাদের বলেন, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ১৯৭৫ সালের পর দেশে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচনের তুলনায় সুষ্ঠু হয়েছে। আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ কোনো মিলিটারি ডিক্টেটরের পকেট থেকে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল না বা ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলও না। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ সব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছে এবং জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা রাজনৈতিক শক্তি। তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের ভোটাধিকারসহ অন্যান্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিএনপি সবসময় ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। যে কারণে তাদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ভীতি রয়েছে এবং তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। একবার তারা তাদের ক্ষমতায় আসার পথ নির্বিঘ্ন করতে অর্ধকোটি ভোটারকে তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল। আবার ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করেছিল। যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণের জন্য বিভিন্ন অপকৌশল গ্রহণ করেছিল তাদের মুখে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের কথা মানায় না। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখল করা। তারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা অবৈধভাবে ব্যবহার করে দুর্নীতি ও লুটপাটতন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। বাংলাদেশের ললাটে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কলঙ্ক লেপন করেছিল। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তাদের অপশাসন-দুঃশাসনের ফলে দেশের জনগণকে দুঃসহ জীবনযাপন করতে হতো। আজ তারা শ্রমজীবী মানুষের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। অথচ তারা ক্ষমতায় থাকতে কোনোদিন শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়ায়নি। বরং বেতন-বোনাসের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা, সারের দাবিতে আন্দোলন করায় কৃষক হত্যা এবং বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলন করায় সাধারণ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে বন্দুকের জোরে মানুষকে জিম্মি করে বাংলাদেশকে দুঃশাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট করেছিল বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি আদমজী জুটমিলসহ বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে শ্রমজীবী মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কয়েক ধাপে পোশাক শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে, চা-শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাড়িয়েছে।  কাদের বলেন, শ্রমজীবী মানুষসহ সব মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটেছে। আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ভাগ্যোন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।  
০২ মে ২০২৪, ২০:২০

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রক্তে ভাসিয়ে দেবে : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির হাতে ১৫ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে ২১ আগস্টের রক্তের দাগ, তাদের হাতে শ্রমিকের রক্তের দাগ। বিএনপি যদি আবারও ক্ষমতায় যায় তাহলে দেশ রক্তে ভাসিয়ে দেবে। বুধবার (১ মে) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় শ্রমিক লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, আফজাল হোসেনসহ অনেকে। শেখ হাসিনা শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা আজ মজুরি বাড়িয়ে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করেছে। এখন শ্রমিকের ওপর কোনো নির্যাতন নেই। শ্রমিকদের অধিকার দিবসে আমি বলব আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নেত্রী যা করেছেন, ভবিষ্যতে আরও করবেন। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে শত্রুতা সৃষ্টি করবেন না। শ্রমিক হত্যার রক্ত যাদের হাতে, এই দেশ তাদের ক্ষমা করবে না মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিএনপির মধ্যে কাউকে পছন্দ না হলে বলে সরকারের এজেন্ট। এই বিএনপিকে আমরা ভাঙতে চাই না। তারা নিজেরা নিজেদের ভাঙনের জন্য দায়ী হবে। ঘরে এত শত্রু, নিজেদের ভাঙনের জন্য বাইরের শত্রুর প্রয়োজন হবে না। বিএনপি কর্মীরা ক্লান্ত, নেতারা হতাশ, কেউ কেউ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। বিএনপির মুখে আন্দোলনের কথাটা শুনলে ঘোড়ারও হাসি পায়।
০১ মে ২০২৪, ২১:৪৭

‌‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়নি’
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন দলের  সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক শেষে গণভবনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে কোন আলোচনা হয়নি। তবে পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। সাংগঠনিক নির্দেশনা অমান্য করলে সময় মত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, ‘এ বছর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর হীরক জয়ন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৭ মে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, শেখ কামালের জন্ম দিবস, ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন দিবস পালন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:২৮

‘জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে, তা পরিষ্কার করতে হবে’
জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে, তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে জাতীয় পার্টির নেতা জি এম কাদেরের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে কোনো বিদেশি শক্তির প্রভাব ছিল না। জাতীয় পার্টি কোন চাপে নির্বাচনে এসেছে, তা দলটিকে পরিষ্কার করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কালো চশমা পরা বিএনপি নেতারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে বিএনপির লজ্জা পাওয়া উচিত। শেখ জামালকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতেই ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড। খুনিদের মদদ দিয়েছে জিয়া- মোশতাক চক্র। এর মধ্যদিয়ে দেশে হত্যা, ক্যু  ও ষড়যন্তের রাজনীতি শুরু। শেখ হাসিনা দেশে ফিরে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বন্ধ করে উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা সূচিত করেন। বর্তমানে সরকারের ধারাবাহিকতায় স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত আছে।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৪

বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য : ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, জনগণকে মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়? এখনও তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কীভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়?    শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না। তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোনো দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লো মেরিডিয়ানে কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। তিনি বলেন, এ দেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলাকে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনোদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদ খোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন, তিনি সে জন্য এখনও স্মরণীয় হয়ে আছেন।  তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের স্বপ্ন এবং সেটা আজ আমাদের অঙ্গীকার।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫

‘দেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করলেও বিএনপি করে না’
বাংলাদেশের উন্নয়নে পাকিস্তান প্রশংসা করে, অথচ বিএনপি তা দেখে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নতি, উচ্চতা এটা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। তখন পূর্ব পাকিস্তানকে তাদের কাছে মনে হতো বোঝা। এখন সে বোঝাই অনেক উন্নয়নে এগিয়ে গেছে। সে উন্নয়ন দেখে তিনি লজ্জিত হন। কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার দেখে। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এতটা হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতা বোঝা উচিত।  আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, সারা বিশ্ব যুদ্ধ-সংঘাতে ভয়ংকর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছে। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাস পৃথিবীকে উত্তপ্ত করে রেখেছে। বিশ্ব জনমতকে উপেক্ষা করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু রাফায় আগ্রাসী অভিযান শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে আমাদের নেত্রী যুদ্ধের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে চলেছেন। সকল প্রকার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো ও এ যুদ্ধকে না বলার জন্য বিশ্বের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।
২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩

যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া বিএনপি: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।  বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয়। বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুমসৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত।  বিবৃতিতে কাদের বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য ‘বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৪৭

জনগণের জানমাল রক্ষার্থে বিএনপির সমাবেশের দিনে কর্মসূচি দিই: কাদের
জনগণের জানমাল রক্ষার্থেই বিএনপি যেদিন সমাবেশ ডাকে, সেদিন আওয়ামী লীগও নিজেদের কর্মসূচি দেয় বলে দাবি করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।  বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তিনি। বিএনপির সমাবেশের দিনেই আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে কেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস ও আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকে যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।  তিনি বলেন, আমরা মাঠে থাকলে বিএনপি নিজেদের অপকর্ম করার ক্ষেত্রে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সেজন্যই আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত। আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের অংশগ্রহণের ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।  ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এখনও মন্ত্রী-এমপিদের অনেক স্বজন বলেছেন যে, ‘আমরা বিষয়টি আরও আগে জানলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো।’ কিন্তু  নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে। এখানে কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে দলে। সময় মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবে না তাদের ব্যাপারে সময়মতো দল সিদ্ধান্ত নেবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দীসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।
২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:০৫

দেশবিরোধী অপশক্তি ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে : কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানাভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধিতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়