• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান এম ইউ কবীর চৌধুরী
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। ২৮ এপ্রিল থেকে আগামী তিন বছর সংগঠনটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সনের ২৬ নং আদেশ-এর ১০ (১) আর্টিকেল এ বর্ণিত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে ৩ (তিন) বছর মেয়াদে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব স্নেহাশীষ দাশ স্বাক্ষরিত অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ১৯৭৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একই কলেজে ১৯৭৬ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি থেকে এক্সিলেন্ট গ্রেডে চর্ম ও যৌনরোগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।  অতঃপর গ্লাসগো রয়েল কলেজ ফেলোশিপ সনদ এবং আমেরিকান কলেজ অব এনজিওলজি থেকে এ্যাসোসিয়েট ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির আর্ন্তজাতিক ফেলো হিসাবে সংযুক্ত আছেন এবং প্রতি বছর আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।  তিনি লন্ডনের সেন্টথমাস হসপিটালে স্কিন প্যাথলজি, আমেরিকার হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে লেজার ও দিল্লির এইমস থেকে স্কিন সার্জারিসহ স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপি মেডিকেল সেন্টারে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে পাঠদান করেন। বর্তমানে তিনি এম. এইচ. শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র চিকিৎসক হিসাবে কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ‘Kabir’s Dermatology in Practice’ ও ‘A Treatise on Topical Corticosteroids in Dermatology’ সহ অনেক প্রসিদ্ধ গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বৃক্ষমানব খ্যাত আবুল বাজানদারের চিকিৎসায় অন্যতম স্কিন ও লেজার সার্জন হিসাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জটিলরোগের সফল চিকিৎসা করে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেন।   সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী ১৯৫১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম কাদির চৌধুরী ও মা রোকেয়া কাদির চৌধুরী।  তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ভাটিপাড়া ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদান করার পাশাপাশি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার জানাজা ও সমাধির ব্যবস্থা করেন।  তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্বরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের আহত সদস্যদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎসাবিদ্যায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী ২০২০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।  এছাড়া তিনি ভারতের অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধী ইন্সস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালে ‘মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ লাভ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। সর্বোপরি, অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী প্রায় ৫০ বছরের কর্মজীবনে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিনামূল্যে পাঠদান করেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন আজীবন সদস্য।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৯

জাবিতে নতুন প্রক্টর আলমগীর কবীর
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীর। সোমবার (১৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের লিখিত অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করত: তাকে প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবীরকে আজ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো। তিনি প্রচলিত নিয়মে সুবিধাদি ভোগ করবেন। এদিকে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চাপে পড়ে গত ১৩ মার্চ পদত্যাগপত্র জমা দেন সাবেক প্রক্টর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আ স ম ফিরোজ উল হাসান। প্রক্টরের পদত্যাগে সন্তোষ প্রকাশ করে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সভাপতি আলিফ মাহমুদ বলেন, প্রক্টরের পদত্যাগ প্রমাণ করল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ধর্ষককে সহায়তাকারীর স্থান নেই। তার পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্টেকহোল্ডার খুশি হয়েছেন। মাহমুদুর রহমান জনির মতো বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধ-রাজ্য গড়ে তোলার কারিগর প্রক্টরের অপসারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করবে। আমরা তাকে তদন্তের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি, যাতে করে আগামীতে কোনো প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা কেউ এরকম দুঃসাহস করতে সামান্যতম সাহসও না দেখায়। নবনিযুক্ত প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, আমার এ পথ চলায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে সবার সহযোগিতা ও দোয়াকামনা করছি।
১৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৪৭

যে কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় চাইলেন কবীর সুমন 
দুই বাংলার জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। নিজের শেষ জীবনটা ভালোবেসে বাংলাদেশেই কাটাতে চান এই গায়ক। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি নিজের ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্টে এমনটাই জানিয়েছেন সুমন।  শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে থাকার জন্য আশ্রয়ও চেয়েছেন সুমন। এই গায়কের ইচ্ছা, তিনি মারা গেলে তার মরদেহ যেন বাংলাদেশেরই কোনো হাসপাতালে কাজে লাগানো হয়। পাঠকদের সুবিধার জন্য সুমনের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো—   এই কথা আমি আগেও অনেক বার বলেছি। তাও ফের বলছি কারণ আমার কথায় কোনো কাজ হচ্ছে না। এমন নয় যে সনাতনধর্মীয় নামধারী কোনো বঙ্গজ আমাকে সম্মান করেন না। অধিকাংশ সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ আমাকে ঢাক পিটিয়ে ঘৃণা করেন, এবং সেটা জাহির করে সনাতনী সুখ পান। আর এক শ্রেণীর সনাতন-বঙ্গজ আছে যারা আমাকে কবীর নামে ডাকতে চায় না। যা দেখেছি এরা ‘বামপন্থী’। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে আমার নাম ভারতের সংবিধান মোতাবেক, ঘোষিতভাবে কবীর সুমন। ফার্স্ট নেম কবীর। সার্নেম সুমন।   আমার আয়কর ফাইল, র‍্যাশন কার্ড, পাসপোর্ট, ভোটার আইডি, আধার কার্ড সর্বত্র এই নামটাই আছে। এই নামে আমি ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়ে মাননীয় সিপিআইএম সদস্য ডক্টর সুজন চক্রবর্তীকে হারিয়ে দিয়ে লোকসভার সাংসদ হয়েছিলাম। ভারতের অন্তর্ভুক্ত পশ্চিম বাংলায় সেটা সকলের জানার কথা। তা সত্ত্বেও সিপিআইএম করা বঙ্গজরা আমায় আমার বর্জিত নামে ডাকেন। শুধরে দিলেও শুধরে নেন না। আর নকশালপন্থী দলের বঙ্গজ নেতাও (নামে সনাতনধর্মীয়) আমাকে ভুলেও কবীর সুমন বলেন না, কবীর তো নয়ই। তিনি অবিরাম সুমন সুমন করে যান। এদিকে সকলেই নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার, ব্যক্তিগত অধিকার বলতে গদগদ। আর একদল আছে, যারা আমায় গানওলা বলে ডাকে। যা বুঝেছি, আমায় নির্দ্বিধায় আমাকে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেন যারা, তারা বাংলাদেশের নাগরিক। পশ্চিমবঙ্গের সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মতো বাংলাদেশের কেউ আমাকে যে কোনো উপায়ে অপমান করে যান না।   আর মাসখানেক পরে আমি ৭৫ পুরো করে ৭৬-এ পড়ব। কলকাতা আমার প্রথম প্রেম। কলকাতা নামটা আমার গানে যতবার এসেছে আর কারও কবিতায় গানে সেটা  আসেনি। আমায় যারা বাঁচিয়ে রেখেছেন তারা সকলেই কলকাতার সনাতনধর্মীয় বঙ্গজ। তাদের ছেড়ে থাকতে পারব না। কিন্তু, কারও কোনো ক্ষতি না করা সত্ত্বেও সমানে অপমানিত হতে হতে এবারে আমি চাইছি এই দেশটা, মায় এই শহরটাও ছেড়ে চলে যেতে। এখানকার সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের মধ্যে অন্তত দুজন ফেসবুকে ঘোষণাও করেছেন— ‘হাসপাতাল থেকে ফিরে না এলেই ভালো হত’। তার বিরুদ্ধে কেউ কিছু লেখেনি।  আমার শেষ জীবন আমি যদি বাংলাদেশে থেকে আমার মাতৃভাষার সেবা করতে পারতাম, বাংলা খেয়াল শেখাতে পারতাম আমার আজকের স্বাস্থ্য যতটা অনুমতি দেবে ততটা অন্তত। আমি এগনোস্টিক (অজ্ঞেয়বাদী)। মরে যাবার পর কোনো ধর্মীয় শেষকৃত্যের প্রশ্নই উঠবে না। আমার দেহ দান করা আছে। বাংলাদেশে মরলে সেখানকার কোনো হাসপাতালে আমার শরীর কাজে লাগানো যেতে পারে।   আজও আমি ফেসবুকে আমার সম্পর্কে সনাতনধর্মীয় বঙ্গজদের খিস্তি পড়েছি। এতে আমার মধ্যে কোনো উত্তেজনা জাগেনি। এই ‘বিদেশটা’ ত্যাগ করে ভাষা মতিনের দেশে গিয়ে আশ্রয় নেওয়া, সেই দেশের কাজে লাগার ইচ্ছে জেগেছে। প্রকাশ্যে সাহায্যও আশ্রয় চাইছি।  এই রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলা খেয়ালকে স্বীকৃতি দিয়েছেন, রাজ্য ক্লাসিক্যাল মিউজিক কনফারেন্সে আমাকে বাংলা খেয়াল গাইতে দিয়েছেন। এ রাজ্যের একজন শিল্পীও কিন্তু সংহতি জানাননি আমার সঙ্গে। যতদিন বেঁচে থাকব শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব, তার পক্ষে থাকব।  কেউ যদি পারেন আমাকে সাহায্য করুন। জয় বাংলা, জয় বাংলা খেয়াল!  
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৮

হাসপাতাল থেকে যা জানালেন কবীর সুমন
শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ২৯ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হন খ্যাতিমান সংগীতশিল্পী কবীর সুমন। বর্তমানে কলকাতা মেডিকেল কলেজের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। আর সেখান থেকেই নিজের শারীরিক পরিস্থিতির কথা জানালেন এই গায়ক।    ইতোমধ্যে সুমনের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছে তাকে।  হাসপাতাল থেকে ভক্তদের উদ্দেশে সুমন বলেন, চিন্তা করবেন না, সেরে উঠব।   হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানা যায়, হার্ট ফেলিওরের সঙ্গেই দুটো ফুসফুসে পানি জমে আছে সুমনের। তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে পটাশিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিকসের পাশাপাশি উচ্চরক্তচাপ রয়েছে তার। বাকি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে তিনি সজ্ঞানে আছেন এবং খাবার খেতে চেয়েছেন।     এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কবীর সুমন জানান যে, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছি। শিগগিরি সেরে উঠব। চিন্তা করবেন না। কবীর সুমনের অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন তার অনুরাগীরা। এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুমনের অসুস্থতার খবরটি নিশ্চিত করেন একটি পোস্ট দেন এই সংগীতশিল্পীর ঘনিষ্ঠজন মনীষা দাশগুপ্ত।   মনীষা তার ফেসবুকে লেখেন, কবীর সুমন শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজ সকালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে তার। তবে ডাক্তারদের নির্দেশে দেখা করার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে।  এদিকে সুমনের অসুস্থতার খবর জানার পর থেকেই দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন এই সংগীতশিল্পীর ভক্তরা।   সূত্র : জি ২৪ 
৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১৩:০৪

হাসপাতালে ভর্তি কবীর সুমন
বাংলা সংগীতের খ্যাতনামা শিল্পী কবীর সুমন হাসপাতালে ভর্তি। সোমবার (২৯ জানুয়ারি)  সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে এ খবর জানিয়েছেন সংগীতশিল্পী কবীর সুমনের ঘনিষ্ঠজন মনীষা দাশগুপ্ত। মনীষা দাশগুপ্ত তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, কবীর সুমন শ্বাসকষ্ট নিয়ে আজ সকালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারদের নির্দেশে দেখা করার ওপর বিধিনিষেধ রয়েছে। এদিকে কলকাতার শেঠ সুখলাল কারনানি মেমোরিয়াল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ড. সৌমিত্র ঘোষ গণমাধ্যমকে জানান, গভীর রাতে তিনি জ্বর, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির সময় তার অক্সিজেনের মাত্রা ছিল ৯০। তাই তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে এবং এই মুহূর্তে তাকে অন্যান্য ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। তার কোভিড ১৯ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।   গত বছরের নভেম্বরে সর্বশেষ ঢাকায় আসেন কবীর সুমন। সেবার চার দিনের বাংলা খেয়াল কর্মশালার জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। তার প্রথম আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘তোমাকে চাই’ প্রকাশ হয় ১৯৯২ সালে। বাংলা গানের গতিপথ বদলে দেওয়া এ অ্যালবাম প্রকাশের ৩০ বছর পূর্ণ হয় ২০২২ সালে। এ উপলক্ষে ঢাকায় ‘তোমাকে চাই-এর ৩০ বছর উদ্‌যাপন’ শিরোনামে গানের অনুষ্ঠানে অংশ নেন এই গায়ক। সে অনুষ্ঠানে নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে কবীর সুমন বলেছিলেন, আমার একটা অসুখ হয়েছে, এই অসুখের কারণে আমি যেমন হাতে লিখতে পারি না, তেমনই গিটারও বাজাতে পারি না। আর কোনো দিন পারব না। একটানা বসে থাকলেও সমস্যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় শুয়ে শুয়ে গান গাই! তবে এ জন্য আমার আলাদা কোনো দুঃখ নেই। গুরুদের কৃপায় আমি এখনো একটু একটু গান গাইতে পারি, এটাই আনন্দ।
২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:০০
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়