• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
রেড ক্রিসেন্টের নতুন চেয়ারম্যান এম ইউ কবীর চৌধুরী
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী। ২৮ এপ্রিল থেকে আগামী তিন বছর সংগঠনটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আদেশ, ১৯৭৩ (রাষ্ট্রপতির ১৯৭৩ সনের ২৬ নং আদেশ-এর ১০ (১) আর্টিকেল এ বর্ণিত ক্ষমতাবলে অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে ৩ (তিন) বছর মেয়াদে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন।  বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা বিভাগের বেসরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব স্নেহাশীষ দাশ স্বাক্ষরিত অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরীকে চেয়ারম্যান নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। অধ্যাপক ডা. মো. উবায়দুল কবীর চৌধুরী ১৯৭৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং একই কলেজে ১৯৭৬ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীকালে তিনি ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি থেকে এক্সিলেন্ট গ্রেডে চর্ম ও যৌনরোগে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন।  অতঃপর গ্লাসগো রয়েল কলেজ ফেলোশিপ সনদ এবং আমেরিকান কলেজ অব এনজিওলজি থেকে এ্যাসোসিয়েট ফেলো নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজির আর্ন্তজাতিক ফেলো হিসাবে সংযুক্ত আছেন এবং প্রতি বছর আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশগ্রহণ করেন।  তিনি লন্ডনের সেন্টথমাস হসপিটালে স্কিন প্যাথলজি, আমেরিকার হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলে লেজার ও দিল্লির এইমস থেকে স্কিন সার্জারিসহ স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটি ও আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব মিসিসিপি মেডিকেল সেন্টারে ভিজিটিং অধ্যাপক হিসাবে বিভিন্ন সময়ে পাঠদান করেন। বর্তমানে তিনি এম. এইচ. শমরিতা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। উল্লেখ্য, তিনি ২০০৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র চিকিৎসক হিসাবে কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ‘Kabir’s Dermatology in Practice’ ও ‘A Treatise on Topical Corticosteroids in Dermatology’ সহ অনেক প্রসিদ্ধ গ্রন্থের প্রণেতা। তিনি বৃক্ষমানব খ্যাত আবুল বাজানদারের চিকিৎসায় অন্যতম স্কিন ও লেজার সার্জন হিসাবে অংশগ্রহণ করেন এবং জটিলরোগের সফল চিকিৎসা করে বিশ্বখ্যাতি অর্জন করেন।   সোসাইটির নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. কবীর চৌধুরী ১৯৫১ সালের ৩০ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গোলাম কাদির চৌধুরী ও মা রোকেয়া কাদির চৌধুরী।  তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও ভাটিপাড়া ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা প্রদান করার পাশাপাশি শহীদ মুক্তিযোদ্ধার জানাজা ও সমাধির ব্যবস্থা করেন।  তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইন্টার্ন চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্বরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধু পরিবারের আহত সদস্যদের জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। চিকিৎসাবিদ্যায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী ২০২০ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।  এছাড়া তিনি ভারতের অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধী ইন্সস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও চিকিৎসা সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ সালে ‘মহাত্মা গান্ধী আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার’ লাভ করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছিলেন। সর্বোপরি, অধ্যাপক ডা. এম. ইউ. কবীর চৌধুরী প্রায় ৫০ বছরের কর্মজীবনে চিকিৎসাসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজসহ ঢাকার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে বিনামূল্যে পাঠদান করেন। তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একজন আজীবন সদস্য।
২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:২৯

শিব নারায়ণ দাশকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে : জি এম কাদের 
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াত শিব নারায়ণ দাশের আত্মার চিরশান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। শোকবার্তায় জি এম কাদের বলেন, একাত্তরের উত্তাল দিনগুলোতে শিব নারায়ণ দাশের অনন্য ভূমিকা অক্ষয় হয়ে থাকবে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন শিব নারায়ণ দাশ জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।  তিনি আরও বলেন, শিব নারায়ণ দাশের স্বপ্নের পতাকা আমাদের গৌরবের অর্জন। তাকে জাতি আজীবন স্মরণে রাখবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাশের মৃত্যুতে একইভাবে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৮:৩৭

সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা : জি এম কাদের
ফরিদপুর এবং ময়মনসিংহে পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক শোকবার্তায় নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন তিনি। জি এম কাদের বলেন, ‘প্রতিদিনই সড়কে প্রাণ যাচ্ছে, কোনো প্রতিকার নেই। সড়কে প্রতিদিনের অপমৃত্যু যেন স্বাভাবিক ঘটনা। প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার সংবাদ মেনে নেওয়া যায় না। তদন্ত করে দুর্ঘটনার কারণ প্রকাশ করতে হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। সড়ক ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘নিহতদের প্রতি পরিবারকে যৌক্তিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইসঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।’
১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৩৮

জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করলেন রাঙ্গা
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা জি এম কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দল থেকে বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। এ সময় মশিউর রহমান রাঙ্গা জি এম কাদেরকে পা ছুঁয়ে সালাম করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর স্কাইভিউ এর বাসায় জি এম কাদেরের কক্ষে গিয়ে সাক্ষাৎ শেষে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। জি এম কাদেরকে সালাম করার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, জি এম কাদেরের সামনে হাঁটু গেরে বসে পায়ে একহাত রেখে কথা বলছেন মশিউর রহমান রাঙ্গা। আর মুচকি হেসে রাঙার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন জি এম কাদের। এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত মহাসচিব ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা সাংবাদিকদের জানান, জি এম কাদেরের সঙ্গে তার পারিবারিকভাবে আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে। এ কারণে প্রতিবার ঈদে জি এম কাদের এর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও সালাম করেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সন্ধ্যায় রংপুরের স্কাই ভিউয়ের বাসায় গিয়ে জি এম কাদেরের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে পা ছুঁয়ে সালাম করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রংপুরের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের। তবে এর বাইরে দল কিংবা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। রাজনীতিতে কিংবা জাতীয় পার্টিতে আবার সক্রিয় হলে সবাই জানতে পারবেন।
১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৮

ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্বে এম ইনায়েতুর রহিম
যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (২২ মার্চ) দিনগত রাত ৩টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন তিনি। দেশে ফিরবেন আগামী ৩১ মার্চ। এ সময় পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালন করবেন আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম। শনিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান শুক্রবার দিনগত রাত ৩টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। আগামী ২৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে। বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের অবর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। 
২৩ মার্চ ২০২৪, ১১:২৯

জি এম কাদের বেইমানি করেছেন : রওশন
জি এম কাদের দলের সঙ্গে বেইমানি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। তিনি বলেন, নির্বাচনে সারাদেশের ২৫০ প্রার্থীকে কোরবানি দিয়েছেন তিনি। তাদের কোনো খোঁজ নেননি। শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে দলের দশম জাতীয় কাউন্সিলে তিনি এ কথা বলেন। রওশন এরশাদ বলেন, এরশাদ এদেশে যে নতুন ধারার রাজনীতির প্রবর্তন করেছিলেন, সেই রাজনীতি হারিয়ে যেতে বসেছিল। আজ এই কাউন্সিল যদি না হতো, তাহলে জাতীয় পার্টি হারিয়ে যেত। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতো। আমরা আমাদের  হাজার হাজার নেতাকর্মীকে আমরা হারিয়ে ফেলতাম। এই কাউন্সিলের মাধ্যমে এরশাদের নীতি-আদর্শ এবং উন্নয়ন-সমৃদ্ধি ও সংস্কারের রাজনীতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মনে আবার আমরা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি।’  তিনি বলেন, এরশাদের জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি এবং থাকব। অতীতে যারা পার্টি ছেড়ে গেছে, তারা কেউ এরশাদের নীতি-আদর্শ নিয়ে যায়নি। তাই জাতীয় পার্টি কখনো ভেঙেছে- তা আমি মনে করি না। লাঙ্গল প্রতীক এখনো আমাদের অনুকূলে আছে এবং আগামীতেও থাকবে। রওশন এরশাদ আরও বলেন, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে আমি ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত না রেখে বিকেন্দ্রীকরণ করার প্রস্তাব রেখেছি। জাতীয় পার্টিতে গণতন্ত্র চর্চার একটা নিদর্শন আমরা সৃষ্টি করতে চাই। সেই লক্ষ্যে গঠনতন্ত্র সংশোধন উপকমিটি প্রয়োজনীয় সংশোধনীর প্রস্তাব আনবে।
০৯ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩৮

সেই শিক্ষকের ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে জেলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. বেলাল হোসেনের আদালতে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে সাতদিনের এই রিমান্ড আবেদন করা হয়। রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন।  তিনি বলেন, ছাত্রকে গুলি করা শিক্ষক রায়হান শরীফকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অস্ত্র মামলায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তার দুটি অস্ত্রই অবৈধ। তার অস্ত্রের উৎস থেকে শুরু করে সবকিছু জানার জন্যই এই রিমান্ড আবেদন। তবে এখনও রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করা হয়নি।  তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার ওই অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতে প্রেরণ করা হলে তিনি আহত ছাত্র তমালের বাবার দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে সেখানে গুলি করার কথাও স্বীকার করেছেন। প্রসঙ্গত, সোমবার (৪ মার্চ) বিকেলে সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন কলেজের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় তাকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।  এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। পরে রাতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা। পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।  এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ১৯:৫৪

পিটার হাসের সঙ্গে জি এম কাদেরের ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের।  বুধবার (৬ মার্চ) বিকেলে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে তারা ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন। বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। এ সময় জি এম কাদেরের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার রাজনৈতিক উপদেষ্টা মাশরুর মওলা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।  মাশরুর মওলা বলেন, নির্বাচনের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সংসদে বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়েও কিছু আলোচনা হয়েছে।
০৬ মার্চ ২০২৪, ২০:২৬

শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি
সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সোমবার (৪ মার্চ) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে-শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে কলেজের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফ কর্তৃক শিক্ষার্থীকে গুলি করা সংক্রান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে আহ্বায়ক, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. মহিউদ্দিন মাতুব্বর এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনকে সদস্য করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিকে বর্ণিত বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীকে গুলির ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার সত্ত্বেও ফরেনসিক বিভাগে ক্লাস নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ক্লাস চলাকালীন ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন। আজ বিকেলে ক্লাস চলাকালীন দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ওই শিক্ষক অষ্টম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। পরে তমালের চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ছাত্র তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে আটক করেছে পুলিশ। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলেই সেটা এজাহার হিসেবে নিয়ে মামলা দায়ের করা হবে। মামলা হলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৫৯

ছাত্রকে গুলি করা সেই শিক্ষক আটক
সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে আরাফাত আমিন তমাল নামের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ডা. রায়হানকে কলেজ থেকে সদর থানায় নেওয়া হয়। সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হান্নান মিয়া বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ থেকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দিলেই সেটা এজাহার হিসেবে নিয়ে মামলা দায়ের করা হবে। মামলা হলে সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিরুল হোসেন বলেন, আহত শিক্ষার্থীর অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। তিনি এখন শঙ্কামুক্ত। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর আগে সোমবার বিকেল ৩টায় ফরেনসিক মেডিসিন আইটেম ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে।      শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডা. রায়হান শরিফ বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এমনকি ডা. রায়হান শরিফ কমিউনিটি মেডিসিনের শিক্ষক হওয়ার সত্ত্বেও ফরেনসিক বিভাগে ক্লাস নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া ক্লাস চলাকালীন ছাড়াও প্রায় সময়ই তিনি পিস্তল নিয়ে চলাফেরা করতেন। আজ বিকেলে ক্লাস চলাকালীন দেশীয় পিস্তল ও ১০ থেকে ১৩টা দেশীয় ধারালো চাকু নিয়ে হঠাৎ করে ওই শিক্ষক অষ্টম ব্যাচের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করেন। পরে তমালের চিৎকারে সবাই এগিয়ে আসলে ডা. রায়হান শরিফকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ছাত্র তমালকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
০৪ মার্চ ২০২৪, ২৩:৪১
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়