• ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্ম নিয়ে যা বললেন স্ত্রী মিতু
আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের অপকর্মের বিষয়ে তার স্ত্রী মিতু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রোববার (৫ মে) ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হয়। এদিন বেলা ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টায় সেখানে তাকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর স্বামীর অপকর্মের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিতু বলেন, আমি কিছু বলতে পারছি না। আইন ব্যবস্থা নেবে। আইন যেটা করবে, সেটাই হবে। তার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মিতু ডিবিকে জানিয়েছেন, তিনি তার চাকরি নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। মিল্টনের প্রতিষ্ঠানে সময় দিতেন না। এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের নামে যেসব অর্থ এসেছে, সেখানে কোনো কিছুতেই তার নাম নেই। এদিকে, মিল্টনের স্ত্রী মিতু হালদার নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও স্বামীর অপকর্মের দায় এড়াতে পারেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।  মিতুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবিপ্রধান আরও বলেন, মিল্টনের অপরাধ কার্যক্রমের বিষয়ে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। স্বামীর অপকর্ম জেনেও মিতু হালদার পুলিশ কিংবা মিডিয়াকে কিছু জানাননি। প্রতিবাদ করেননি। এই দায় তিনি এড়াতে পারেন না।  অন্যদিকে, প্রতারণার মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড শেষে আজ (রোববার) মিল্টনকে আদালতে তুলেছিল পুলিশ। এরপর মানবপাচার আইনে হওয়া মামলায় তাকে আদালতে তুলে রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় মিল্টনের আরও ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।  
০৫ মে ২০২৪, ২৩:০০

মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে সব অপকর্ম বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা করার পর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে নেওয়ার পর তার সব অপকর্ম বের করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিবিপ্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। ডিবিপ্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রিমান্ডে আনার পর তার যে অপকর্মগুলো রয়েছে সবগুলো তদন্ত করে বের করা হবে। হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ মারা গেলে মরদেহ দাফনের পর চিকিৎসা ও সিটি করপোরেশনের স্বাক্ষর ও সিল জাল করে মৃত্যু সনদ দিতেন মিল্টন। সেই সিলগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। মিল্টনের বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে জানিয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, আরও দুজন ব্যক্তি থানায় রয়েছে মামলা করার জন্য। মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মোট তিনটি মামলা রুজু হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিল্টনকে রিমান্ডে নিয়ে তার স্ত্রীকেও ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেগুলো অস্বীকার করতে পারেননি তিনি। এর আগে বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। সম্প্রতি মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরা। অবশ্য গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মিল্টন সমাদ্দার।  
০২ মে ২০২৪, ১৫:২০

মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে মামলা, সব অপকর্ম বিবেচনায় নিচ্ছে ডিবি
‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার' আশ্রমের চেয়ারম্যান আটক মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২ মে) মিরপুর মডেল থানায় এসব মামলা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় তিনটি অভিযোগে মামলা হবে। মামলাগুলো এজাহারভুক্ত হওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। এর আগে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে অজস্র অভিযোগ। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুরে। বাবাকে পেটানোর কারণে এলাকাবাসী তাকে এলাকাছাড়া করে। এরপর ঢাকায় চলে আসে সে। ডিবিপ্রধান বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তার স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা জঘন্য অপরাধ। প্রমাণ মিললে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। একাধিক মামলা হবে। ডিবিপ্রধান আরও বলেন, মিল্টনের বিরুদ্ধে মানবপাচার, শিশুদের ওপর হামলা, আত্মীয়-স্বজন গেলে তাদের মারপিট এবং তার টর্চার সেল, সব কিছুই মামলার মধ্যে আসবে। হারুন অর রশীদ আরও বলেন, মিল্টন ঢাকায় এসে শাহবাগে ফার্মেসিতে কাজ শুরু করেন। ওষুধ চুরি করে ব্রিক্রির কারণে মিল্টনকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর একজন নার্সকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ স্থাপনের জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেন। এর আগে মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন অপকর্ম নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। মুখ খুলতে থাকেন ভুক্তভোগীরাও। কয়েকটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার।
০২ মে ২০২৪, ০৮:৫০

৭ জানুয়ারি রুহেলকে জেতাতে অনেক অপকর্ম করেছি: আ.লীগ নেতা
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেছেন, ‘গত ৭ জানুয়ারি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সুযোগ্য সন্তান মাহবুবউর রহমান রুহেলকে জেতানোর জন্য আমরা অনেক অপকর্ম করেছি। আগামী ৮ তারিখ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো অপকর্ম ছাড়া ভোটকেন্দ্র খোলা রাখব।’ সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে মিরসরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমানের ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে উপজেলার বড়তাকিয়া ইভা কমিউনিটি সেন্টার প্রাঙ্গণে কর্মী সমাবেশ তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ আতাউর রহমান (ঘোড়া), প্রচার সম্পাদক প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া, বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নিজাম উদ্দিন ভিপি, দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আবু সুফিয়ান বিপ্লব, খইয়াছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী, আওয়ামী লীগ নেতা কালু কুমার দে, এস এম আবুল হোসেন, ইফতেখার উদ্দিন পিন্টু ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল আলম উপস্থিত ছিলেন। ভোটকেন্দ্র দখল নিয়ে এ কে এম জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন, আমাদের প্রার্থী বলেছেন আপনি ভোটকেন্দ্রে আসবেন, যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। আমাদের কোনো আপত্তি নাই। যদি কেউ ভোটকেন্দ্র বন্ধ করার পাঁয়তারা করে, একজনে একাধিক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে, আমরা ভোটকেন্দ্র বন্ধ করে সেখানে বিক্ষোভ করব। তিনি বলেন, আমরা কোনো অবস্থাতে আর কোনো অপকর্ম চাই না। ভোট নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আজ বিএনপি ভোটকেন্দ্রে যায় না, আওয়ামী লীগের লোকেরাও ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। শেখ হাসিনা সেজন্য চেষ্টা করেন মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার জন্য।
৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়