• ঢাকা রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১
logo
কুয়াকাটা সৈকতে আবারও ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কয়েক দিনের ব্যবধানে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে অর্ধগলিত ১০ ফুট লম্বা বোটলনোজ প্রজাতির ডলফিন। এর পুরো শরীরে চামড়া ওঠানো।  শুক্রবার (১৪ জুন) সকালে ১০টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে ডলফিনটি দেখতে পায় ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু। ডলফিনটি দেখতে পাওয়া রাজু জানান, চলমান জোয়ারের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে ঢেউয়ের সঙ্গে তীরে ভেসে আসে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠে গেছে। দুর্গন্ধে কাছে ঘেষা যাচ্ছে না। দেখে মনে হচ্ছে গত ৪-৫ দিন আগে মারা গেছে। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, কিছুদিন পরপরই ভেসে আসা মৃত্যু ডলফিন নিয়ে আমাদের গবেষণা চলছে। এসব মৃত ডলফিনের পাকস্থলীতে বিষক্রিয়ার কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি, যার কারণে ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে জেলেদের জালে আটকে এসব ডলফিন মারা যাচ্ছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। ২০২৩ সালে ১৫ টি ডলফিনের দেখা মিলেছে এই সমুদ্র সৈকতে। এ বছর ২০২৪ সালে যে পরিমাণে ডলফিন মারা যাচ্ছে এবং সৈকতে ভেসে আসছে তার পরিমাণ গত কয়েক বছরকে ছাড়িয়ে যাবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই ডলফিনগুলোর মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো বের করা হয়। বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, কিছুদিন পর পর এসব মৃত ডলফিনের দেখা মিলছে। ডলফিন রক্ষা কমিটিকে ধন্যবাদ, তাদের মাধ্যমে আমরা শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
১৪ জুন ২০২৪, ১৩:৩২

সৈকতে বিকিনিতে সানি লিওন, ভিডিও ভাইরাল
একটা সময় ছিলেন নীল সিনেমা জগতের জনপ্রিয় তারকা। সেই অতীতকে পেছনে ফেলে এখন সানি লিওন নিজেকে পরিচিত করেছেন বলিউড অভিনেত্রী হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার অনুসারীর সংখ্যাও ঢের। লাখ লাখ মানুষ অনুসরণ করেন তাকে। প্রতিনিয়ত তাদের জন্যই নিজের নিজের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি-ভিডিও পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। তারই ধারাবাহিকতায় এবার একটি ভিডিও পোস্ট করে ভক্তদের উষ্ণতার পারদকে বাড়িয়ে দিলেন আরও কিছুটা।  রোববার (৯ জুন) দুপুরে ইনস্টাগ্রামে যে ভিডিওটি সানি শেয়ার করেছেন, তা থাইল্যান্ডের এক বিলাসবহুল পুল ভিলার। আর সেখানেই লাল বিকিনি পরে ফুরফুরে মেজাজে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়েছেন এই বলিউড সুন্দরী। কখনও তিনি পুল থেকে উঠে আসছেন, আবার  কখনও বা তাকে দেখা গেছে পুলের একপাশেই শুয়ে পড়তে। ভিডিওটি পোস্টের পরেই হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে ভক্তদের মাঝে। মন্তব্যের ঘরে কেউ লিখেছেন, বেবি ডল। আবার কেউবা লিখেছেন, সাগরে লাল টুকটুকে জলপরী। প্রসঙ্গত, ‘জিসম টু’র মাধ্যমে বলিউড সিনেমায় নাম লেখান সানি লিওন। তারপর একে একে ‘রাগিনি এমএমএস টু’, ‘মস্তিজাদে’, ‘ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড’-এর মতো সিনেমায় অভিনয় করেন। ‘রইস’-এর মতো সিনেমায় শাহরুখের পাশে তিনিই হয়েছেন ‘ল্যায়লা’। পেয়েছেন ‘বেবি ডল’ খেতাবও। সবশেষ ২০২৩ সালে অনুরাগ কাশ্যপের ‘কেনেডি’ সিনেমার হাত ধরে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পা রাখেন এই অভিনেত্রী।   View this post on Instagram A post shared by Sunny Leone (@sunnyleone)
১০ জুন ২০২৪, ১৯:৪৮

সমুদ্র সৈকতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে হোটেল কর্মচারী নিহত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক হোটেল কর্মচারী নিহত হয়েছেন। তার নাম নুরুল কাদের (২৬)। রোববার (৯ জুন) রাত ৯টায় শহরের কলাতলী সমুদ্র সৈকতের বেলি হ্যাচারি পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রকিবুজ্জামান। নুরুল কাদের (২৩) হোটেল বেস্টওয়েস্টার্ন হেরিটেজের শেফ সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।  তিনি চকরিয়া উপজেলার বরইতলি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উপরপাড়া এলাকার ইব্রাহীমের ছেলে। নিহত নুরুল কাদেরের এক সহকর্মী বলেন, নুরুল তার বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে বেলি হ্যাচারির পেছনের সৈকতে যায়। এ সময় তাদের দুজনকে অবরুদ্ধ করে ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে একদল সন্ত্রাসী। একপর্যায়ে নুরুল কাদেরকে ছুরিকাঘাত করে তারা। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন নুরুল। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে এক হোটেল কর্মচারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মরদেহ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
১০ জুন ২০২৪, ১২:৪৪

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসছে বিষধর সাপ 
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছে ইয়েলো বেলিড সি প্রজাতির বিষধর সামুদ্রিক সাপ। এ নিয়ে এক সপ্তাহে জোয়ারের পানিতে ৩টি সাপ ভেসে এলো। এর মধ্যে একটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পর্যটকরা। বাকি দুটি সাপকে বালিচাপা দিয়েছে বীচ কর্মীরা। জল ও স্থলের সর্বাধিক বিষাক্ত সাপগুলোর তালিকায় ইয়েলো বেলিড সি সাপ বিশ্বের চতুর্থ বিষধর সাপের মধ্যে একটি।  বুধবার (৫ জুন) কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে জোয়ারের পানিতে ভেসে আসে হলুদ পেটযুক্ত ইয়েলো বেলিড সি স্নেক। মে মাসের শেষের দিকে ভেসে আসে একই প্রজাতির আরও দুটি সাপ।  জানা গেছে, মাথা লম্বা-আকৃতিতে দেহ থেকে ভিন্ন। শরীরের উপরিভাগের অর্ধেক কালো, গাঢ় নীলাভ ও বাদামি রঙের। নিম্নাংশ হলুদাভ চিত্রিত। পুরোটা দেখে মনে হতে পারে রঙিলা কোনো বিশেষ বস্তু। আসলে এটি বিষাক্ত ‘ইয়েলো বেলিড’ সাপ। যাদের বসবাস প্রশান্ত মহাসগরে পানির ওপরের স্তরে।  এসব সাপ সচরাচর উপকূলে দেখা মেলে না। সম্প্রতি সেই বিরল দৃশ্য দেখা গেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ।  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, হলুদ-পেটযুক্ত বা ইয়েলো বেলিড সাপ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ভারত মহাসাগরের গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলে ১৮-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বসবাস করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত সাপ। স্বাভাবিকভাবে আমাদের সাগরেও এটির বিস্তৃতি রয়েছে। এই সাপটি সাধারণত সৈকত থেকে দূরে সাগরের মুক্ত জলে সাঁতার কাটে। এরা সাগরের উপরের স্তরে বসবাস করে। সাগর তলে এদের দেখা পাওয়া যায় না। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, পর্যটকদের বিভিন্ন সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। বিচ কর্মীরা মাইকিং করে, হোটেল ও সৈকতের প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লেতে নানা নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেহেতু সৈকতে বর্ষা মৌসুমে সামুদ্রিক সাপের দেখা মিলছে তাই এ ব্যাপারে নির্দেশনার পাশাপাশি মাইকিং করা হবে। এসব সাপের ব্যাপারে পর্যটকদের আরও সতর্ক করা হবে।
০৭ জুন ২০২৪, ১৩:৫৯

সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে একটি ১০ ফুট লম্বা মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে কুয়াকাটার সৈকতের মিরাবাড়ি পয়েন্টে ডলফিনটি দেখতে পায় ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু। জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে ঢেউয়ের সঙ্গে তীরে ভেসে আসে ডলফিনটি। এটির শরীরের সম্পূর্ণ চামড়া উঠে গেছে। দেখে মনে হচ্ছে গত দুই-তিন আগে মারা গেছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বন বিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো বের করা হয়। বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি, যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
০৬ জুন ২০২৪, ১৯:৪৮

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত হরিণ
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে একটি মৃত হরিণ। মঙ্গলবার (২৮ মে) রাতে জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশের ব্লক পয়েন্ট থেকে মৃত হরিণটি উদ্ধার করা হয়।  বুধবার (২৯ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের জন্য নানান ব্যবস্থা থাকলেও আসলে এসব মালিকানাহীন বা বন্যপ্রাণীদের জন্য কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল নেই। এখন পর্যন্ত বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইতোমধ্যে নাকি সুন্দরবন থেকে মৃত ভেসে আসা ৩৯টি চিত্রা হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, মৃত হরিণ উদ্ধারের বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমরা মহিপুর বন বিভাগকে জানিয়েছি। বনবিভাগ, অ্যানিমেল লাভার্সের সহযোগিতায় আমরা এটাকে মাটিচাপা দিয়েছি। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিচে একটি মৃত হরিণ ভেসে আসে। এটি ছিল একটি চিত্রা হরিণ। ঘূর্ণিঝড় রিমালে সুন্দরবন প্লাবিত হওয়ায় হরিণটি মারা গেছে বলে ধারণা তাদের। এ দিকে হরিণটি মূলত পানিতে বেশিক্ষণ টিকে থাকতে না পেরে মারা গেছে বলে ধারণা করছেন বনবিভাগের কর্মকর্তাদের।  মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। আমাদের ধারণা, ঝড়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে পানির অস্বাভাবিক চাপ ছিল যার ফলে হরিণটির মারা গেছে। পরে এটিকে অ্যানিমেল লাভার্স অব কুয়াকাটা এবং বন বিভাগের সদস্যরা মাটিচাপা দিয়েছেন। 
২৯ মে ২০২৪, ১২:৪৮

উত্তাল সমুদ্র, সৈকতে উচ্ছ্বাস থামছে না পর্যটকদের
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বর্তমানে সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে কূলে আঘাত হানছে। এমন পরিস্থিতিতেও ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন পর্যটকেরা। সোমবার (২৭ মে) লাবনী পয়েন্টে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, বৈরী পরিবেশের মধ্যেও সুগন্ধা পয়েন্টে ৪০ থেকে ৫০ জন পর্যটক ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রে গোসল করতে নামছেন। ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফগার্ড কর্মীরা নানাভাবে চেষ্টা করেও তাদের সমুদ্র থেকে তুলে আনতে পারছে না। পর্যটকরা জানান, তারা ঘুরতে গিয়েছেন। তাই সবাইকে নিয়ে গোসল করতে নামেন তারা।  এ বিষয়ে সি সেফ লাইফগার্ডের কর্মকর্তা জয়নাল আবদিন ভুট্টু বলেন, এই মুহূর্তে সাগর খুবই উত্তাল। বাতাসের গতি বেড়েছে ও ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ সময় সাগরে রিপ কারেন্ট সৃষ্টি হয়। তাই গোসল করা বিপদজনক। আমরা বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট স্যারকে জানিয়েছি। কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা বলেন, পর্যটকদের মধ্যে যারা গোসল করছিলেন তাদের সাগর থেকে উঠানো হয়েছে। এরপরও যারা সাগরে নামবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২৭ মে ২০২৪, ১৯:২৫

উত্তাল সাগর দেখতে সৈকতে পর্যটকের ভিড়
কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের মধ্যেও পর্যটকরা ঘূর্ণিঝড় রেমালের অবস্থা দেখতে সৈকতে ভিড় করেছে। কলাতলী, লাবনী ও সুগন্ধা পয়েন্টে সকাল থেকে পর্যটকসহ স্থানীয়দের অবস্থান লক্ষ‍্য করা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুপুর থেকে উপকূলে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি কখনো বা ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে রয়েছে দমকা বাতাস। কিন্তু সমুদ্রের স্বরুপ দেখতে সৈকতে বেশকিছু পর্যটক অবস্থান করছে। যদিও ট‍্যুরিস্ট পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। এদিকে বাতাসের গতিবেগ বেড়ে যাওয়ার সাথে সাগর উত্তাল রয়েছে। গতকাল রাত থেকে সতর্কবার্তা প্রচার চলমান রেখেছে জেলা প্রশাসনসহ সেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। তবে প্রচারণা চালালেও গতকাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপস্থিতি নজরে পড়েনি।  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ইতোমধ্যে ৯ নম্বর মাহবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। রেমালের কারণে উত্তাল রয়েছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৬ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদ সংকেত দেখাতে বলায় সমুদ্রের বালিয়াড়িতে টানানো হয়েছে লাল পতাকা। আর এ দৃশ্য দেখতে সকালে সাগরপাড়ে ভিড় করেছে পর্যটকরা। সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার কর্মী জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। তাই সাগর উত্তাল রয়েছে। সৈকতের প্রতিটি পয়েন্টে টাঙানো হয়েছে লাল পতাকা। লাল পতাকা মানেই সতর্ক করা, যাতে কেউ সমুদ্রস্নানে না নামে। আমরা কাউকে সৈকতে সমুদ্রস্নানে নামতে দিচ্ছি না। এদিকে, সমুদ্রের জোয়ারের পানি ডুকে পড়েছে কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে রাস্তাঘাট ও শুটকি মহাল। সমিতি পাড়া বাজার থেকে কুতুবদিয়া পাড়া, সমিতি পাড়া, মোস্তাক পাড়া, বাসিন্না পাড়ার নিচু অংশ প্লাবিত হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাচ্ছে লোকজন। ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে সাগরে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে কক্সবাজারে। যার কারণে লোকালয়ে চলে আসছে জোয়ারের পানি।  রোববার (২৬ মে) দুপরের পর থেকে সমিতি পাড়ায় জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা ওই এলাকায় মাইকিং চালিয়ে সতর্ক করছেন এবং লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে অনুরোধ করছেন। সমিতিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সৈয়দ হোসেন বলেন, বেলা ১২ টার পর হঠাৎ জোয়ারের পানি ডুকে পড়ে লোকালয়ে। জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যাচ্ছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি ও দোকানপাট। পরিবার নিয়ে শহরতলীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি আমরা।  কুতুবদিয়া পাড়ার বাসিন্দা আলী আজগর বলছেন, জোয়ারের পানিতে প্রায় সময় এ অঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে এবার সাগরের পানি বেড়ে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নাজিরারটেক শুঁটকি মহালে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে শুঁটকি মহালের জিনিসপত্র গোছানোর কর্ম ব্যস্ততা বেড়েছে কর্মচারীদের। কক্সবাজার পৌর কাউন্সিলর আক্তার কামাল বলেন, সমিতিপাড়ার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সাইক্লোন সেন্টার প্রস্তুত রয়েছে।  কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সিপিপির ৮৬০০ এবং রেডক্রিসেন্টের ২২০০ সহ ১০ হাজার ৮০০ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৬৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। এছাড়া সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
২৬ মে ২০২৪, ১৬:২৬

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এসেছে মৃত ডলফিন
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে একটি ৭ ফুট লম্বা অর্ধ গলিত মৃত ইরাবতী ডলফিন ভেসে এসেছে।  শনিবার (২৫ মে) সকালে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্টের পূর্ব পাশে ডলফিনটি দেখতে পায় আব্দুল কাইয়ুম নামের এক ট্যুর অপারেটর। এর আগে, গত ২ মে সৈকতে আরও একটি মৃত ইরাবতী ডলফিনের বাচ্চা এসেছিল। ডলফিনটির কানে ছেড়া জাল আটকানো রয়েছে। পুরো শরীরে চামড়া উঠানো। আ. কাইয়ুম বলেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। এর মধ্যে ঢেউয়ের সঙ্গে তীরে আসতে দেখি ডলফিনটিকে। অতিরিক্ত ঢেউ হওয়ার কারণে এটির কাছে যাওয়া যায়নি প্রথমে। ওর শরীরের সম্পূর্ণ ওপরে চামড়া উঠানো। পরে আমি ডলফিন রক্ষা কমিটিকে খবর দেই। সমুদ্রের নীল অর্থনীতি, উপকূলের পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীব-বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ-২ বাংলাদেশ প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, এই এই ডলফিনটির মুখে যেহেতু জাল আটকানো তার মানে জালে আটকে ওর মৃত্যু হয়েছে। আর শরীরের যে অবস্থা তাতে মনে হয় আরও দুই-তিন আগে মারা গেছে। আমরা এগুলো নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছি যে কেন প্রতিবছর এমন পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির সদস্য আবুল হোসেন রাজু বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে বনবিভাগ ও ব্লু-গার্ডের সহায়তায় আমাদের সদস্যরা নিরাপদ স্থানে ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এই উপকূলীয় এলাকাজুড়ে আমরা সার্বক্ষণিক কাজ করছি ডলফিন নিয়ে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাচ্ছি যাতে এই মৃত্যুর সঠিক কারণগুলো বের করা হয়। বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি ডলফিন রক্ষা কমিটির মাধ্যমে শুনেছি। আমাদের সদস্যদের পাঠিয়ে দ্রুত মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায়।
২৫ মে ২০২৪, ১৫:৪৮

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে আসা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ মে) রাত ৯টার দিকে কলাতলী পয়েন্টের মেম্বারঘাটা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।  স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় এক শিশু কলাতলী পয়েন্টের মেম্বারঘাটা এলাকায় জোয়ারের পানিতে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজনকে জানায়। পরে এক ব্যক্তি জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশের একটি দল গিয়ে তরুণীর মরদেহটি উদ্ধার করে। কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুজ্জামান জানান, নিহত তরুণীর বয়স আনুমানিক ১৮ থেকে ২০ বছর। তার কপালের ডান পাশে আঘাতের সামান্য চিহ্ন দেখা গেছে। তবে সেটা অনেকদিন আগের।  তিনি জানান, নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হতে এবং মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
২৩ মে ২০২৪, ১৩:৩৬
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়