জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী : মোরশেদ আলম
সেনবাগ সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন নোয়াখালী-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ মোরশেদ আলম।
আজ (রোববার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নেতাকর্মী নিয়ে তিনি ভোট কেন্দ্রে যান তিনি। প্রথমে তিনি নিজে ভোট প্রদান করেন। পরে ভোটারদের সারি ঘুরে ঘুরে দেখেন মোরশেদ আলম।
এ সময় পুরুষ ও নারী ভোটারদের সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলেন তিনি। তার কাছে পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন ভোটাররা।
পরে মোরশেদ আলম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটাররা উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলে জানান মোরশেদ আলম।
আরও পড়ুন :
জেএইচ
মন্তব্য করুন
বিএনপির ভারত বর্জন কর্মসূচির কারণ জানালেন নাছিম
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যাতে আরও বেড়ে যায়, সেজন্যই ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বিএনপি কখনোই দেশের মানুষের ভালো চায় না। মানুষ শান্তিতে থাকুক তারা এটা চায় না। তারা শেখ হাসিনার সরকারের বিরোধিতার নামে দেশের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে। তারই নতুন সংস্কার ভারত বিরোধিতা। নিত্যপণ্যের দাম যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেজন্যই তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনের কর্মসূচি শুরু করেছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড করছে, মানুষের স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কাজ করছে আর ভারত বিরোধিতা তাদের তেমনই কর্মসূচি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ম. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্মল চ্যাটার্জী।
ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে কথা বললেন আব্দুল মোমেন
বিএনপির ভারতীয় পণ্য বয়কট নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই ভারতীয় পণ্য বয়কট কেবলই একটি পলিটিক্যাল স্টান্ট। এই স্টান্টের অংশ হিসেবে ইদানীং সময়ে ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে বিএনপিও সায় দিচ্ছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই একটি ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে জানান আব্দুল মোমেন।
সাবেক মন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেসব দেশে অনারারি কাউন্সিল খোলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ব্যবস্থা গ্রহণ, বিদেশি পার্লামেন্টারি ডেলিগেশনের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকের আয়োজন, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জসহ বিদেশের কোন কোন জেলে কত বাংলাদেশি বন্দি এবং মুক্তির বিষয়ে মিশনগুলো কি করেছে, সেসবের বিবরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিশেষ করে প্রত্যেক মাসে প্রবাসীদের অভিযোগ কতগুলো এবং কি অভিযোগ আসে, তার বিবরণ পাঠাতে হবে দূতাবাসগুলোকে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন উইং আছে, আমরা সুপারিশ করেছি এর পাশাপাশি যেন মানবাধিকার উইং খোলা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে দূতরা যখন ট্রান্সফার হন, তখন তিনি দূতাবাসের নম্বরটি সঙ্গে করে নিয়ে যান। ফলে সেবাগ্রহীতারা তৎক্ষণাৎ সেবা পায় না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ করার জন্য একটি ইউনিক ফোন নম্বর তৈরির বিষয়টিও আলোচনা হয় বৈঠকে।
ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে আর বেগম জিয়া এবং তার পুত্রসহ পাকিস্তানে ক্যান্টনমেন্টে আরাম-আয়েশে থাকে। এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেছে জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের দোসর। এটি যখন আজ পরিষ্কার হয়ে গেছে এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাস বিকৃত করে সফল হয়নি বিধায় তারা এখন আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে পাকিস্তানিদের চর হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। জিয়াউর রহমানের মতো খলনায়ককে আজ নায়ক বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তারা (বিএনপি) বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ২১ বছর মিথ্যাচার করেছে। ৭৫ এর পরের প্রজন্মকে তারা (বিএনপি) স্বাধীনতার আসল ইতিহাস জানতে দেয়নি। গত ১৫ বছরে দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পেরেছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি মিথ্যাচার করে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা তখন কোথায় ছিল, অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার আওয়ামী লীগ সরকার যার রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম; যিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ। এই সরকারের অধীনেই জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার হিসেবে ৪০০ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেছেন। যদিও কোনো সম্মুখ সমরে কখনো যাননি।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার একজন পাঠকমাত্র। জিয়া নিজেও কখনো নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি, যেটি নিয়ে বিএনপি এখন মিথ্যাচার করে।
আলোচনা সভায় সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সহ-সভাপতি শিক্ষাবিদ ও চিকিৎসক ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিত্রনায়ক মাহমুদ কলি, সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ প্রমুখ।
এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা ওবায়দুল কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের হঠাৎ করে এমপি-মন্ত্রীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়েছেন।
শনিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, আগে ইউনিয়ন পর্যায়েও আমরা নৌকা দিয়েছি। কিন্তু এবার আমাদের নেত্রী এটা (দলীয় প্রার্থী দেয়া) উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আমরা দেখতে চাই- এর মধ্যদিয়ে নির্বাচনটা কতটা প্রতিযোগিতামূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। কতটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার কম্পিটিশন হয়। এ নির্বাচনে এমপি-মন্ত্রী কারও হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না। এটা কোনো অবস্থায় অ্যালাউ করা যাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যে উদ্দেশ্যে এই নির্বাচনকে উন্মুক্ত করা হয়েছে, সেই উদ্দেশ্যকে কোনোভাবেই ব্যাহত করা যাবে না। প্রতিযোগিতা যারা করতে চায়, করবে। নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হবে। আমরা একটা আনবায়াসড্ ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চাই উপজেলায়।
নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ফ্রি স্টাইলে দল চলে না, যার যখন খুশি দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য রাখবেন- তার দায় দল বহন করবে না। এমন কিছু হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
‘বুয়েটকে জঙ্গি কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলেই অ্যাকশন’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার নামে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে (বুয়েট) জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সরকার অ্যাকশনে যাবে।
রোববার (৩১ মার্চ) আওয়ামী লীগের ঢাকা জেলা কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বুয়েটে আবরার হত্যায় কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে নেতাকর্মীদের দণ্ড হয়েছে, কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। বুয়েটের ঘটনাও তদন্ত চলছে। কিন্তু ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নামে ক্যাম্পাসকে জঙ্গি রাজনীতির কারখানায় পরিণত করার প্রমাণ পেলে সেক্ষেত্রে সরকার ব্যবস্থা নেবে।
স্বাধীনতার ঘোষণা পত্রের পাঠক ঘোষক হতে পারে না জানিয়ে তিনি বলেন, ৫৩ বছর পরও বিতর্ক চলছে কে স্বাধীনতা এনেছে! নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন বঙ্গবন্ধু। ৭০ এর নির্বাচনের ম্যান্ডেট পেয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই হিসেবেও তারই তো ঘোষণা করার কথা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আইয়ুব খান যেমন কথা বলতো তেমনি বিএনপি ভারতের বিরুদ্ধে বলছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ থাকবে না। এমপি মন্ত্রীদের বিবেকের কাছে ছেড়ে দিলাম। আওয়ামী লীগ কর্মীরা চায়ের দোকানে বসে দলের নেতাদের গীবত করে। সব খবরই পাওয়া যায়।
নির্বাচনে যে কেউ অংশ নিতে পারবে সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে কাউকে ক্ষমতার অপব্যবহার না করার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে : সাদ্দাম
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে।
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুর ১২টায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ হিযবুত তাহরীর, জেএমবি ও ছাত্র শিবিরের প্রশিক্ষিত ক্যাডাররা বুয়েটে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দেয়ালে পোস্টার লাগাচ্ছে, শিক্ষার্থীদের ই-মেইলে দাওয়াত দিচ্ছে, টাঙ্গুয়ার হাওরে শিবির দেশবিরোধী মিটিং করছে। তাই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত একটি নাটক।
তিনি বলেন, আমরা আজ এখানে মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি। বুয়েটের এই সিদ্ধান্ত মৌলিক অধিকার পরিপন্থী, সংবিধান পরিপন্থী, শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্ত।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, আমরা নাকি বুয়েটে অনুপ্রবেশ করেছি। অনুপ্রবেশের রাজনীতি ছাত্রলীগ করে না। আমরা প্রবেশ করি এবং পরিবর্তন করি। একজন নাগরিক হিসেবে শুধু বুয়েট কেন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের যাওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমি বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও অনেকবার বুয়েটে গিয়েছি। বুয়েটে যেতে হলে কাদের কাছে অনুমতি নেব আমরা? যারা ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চের বিরোধিতা করে তাদের কাছে?
বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসেনের সিট বাতিলের সিদ্ধান্ত তুলে নেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাব্বির অপরাধ কী? সে ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিনে, যিনি বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন, তার জন্মদিনে ইফতার বিতরণ করেছে। ২৬ মার্চ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়েছে। এই দেশের পতাকা, এই দেশের মানচিত্র এই দেশের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য যে সংগঠনের কর্মীরা রক্ত দিয়েছে, সেই সংগঠনের কর্মী হওয়ার কারণে কাউকে যদি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সেই এলাকাকেই নিষিদ্ধ করতে হবে।’
সাদ্দাম হোসেন বলেন, এই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকার নাটক বাংলাদেশ থেকে বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের যেকোনো জায়গায় নাগরিক হিসেবে যাওয়ার অধিকার আমার হয়েছে। তাদের কাছে পারমিশন নিতে হবে? যে অধিকার আমাকে সংবিধান দিয়েছে তাকে আপনারা ঠুনকো বানিয়ে দেবেন এবং সেটা আমরা মেনে নেব, এই আশা যারা করছে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। বুয়েট কি পাকিস্তান যে ভিসা-পাসপোর্ট দিয়ে পারমিশন নিয়ে ঢুকতে হবে?
তিনি বলেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে ‘অন্ধকারের রাজনীতি’র চাষাবাদ হচ্ছে। তাই বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালুর পাশাপাশি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতেও কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে ছাত্র নেতাদের নির্যাতনে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার নিহত হন। সে সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বিবদ্যালয়টিতে কাগজে-কলমে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি, প্রতিষ্ঠানটিতে এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি রাজনীতি। বরং ছাত্র রাজনীতি বন্ধের ফায়দা নিচ্ছে উগ্রবাদী রাজনৈতিক সংগঠন।
এদিকে গত ২৮ মার্চ মধ্য রাত থেকে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। ক্যাম্পাসে রাজনীতির বীজ বপনের চেষ্টা হচ্ছে এমন অভিযোগ আনা হয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আন্দোলনে নামেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
‘বাঘে ধরলে আঠারো ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ছত্রিশ ঘা’
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রশাসনের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেছেন, কয়েক দিন আগের ঘটনায় প্রশাসন কোনে তদন্ত ছাড়া, নোটিশ ছাড়া, নিয়ম বহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষার্থীর সিট বাতিল করেছে। কেন আপনারা সিট বাতিল করেছেন? কেউ আপনাদের চাপ দিয়েছে? আজকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হাজার-হাজার নেতাকর্মী যদি চাপ দেয়, পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। মনে রাখতে হবে বাঘে ধরলে আঠারো ঘা, ছাত্রলীগ ধরলে ছত্রিশ ঘা। বুয়েটের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নিষিদ্ধ সংগঠন পোস্টার লাগায়, চিকা মারে। বুয়েট প্রশাসন তাদের উৎসাহিত করে।
বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতি চালুর দাবিতে রোববারের (৩১ মার্চ) প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শয়ন।
মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, একটি মহল নিহত আবরার ফাহাদের ঘটনাকে পুঁজি করে বুয়েটকে বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করার পায়তারা করছে। সেই সময় তাড়াহুড়া করে বুয়েট প্রশাসন ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। আমরা নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে চুপ করে থাকি। এই সময়ে ছাত্রলীগ যখন বুয়েট ক্যাম্পাসে তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখে, তখন নিষিদ্ধ জঙ্গিবাদ সংগঠনগুলো সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাওয়া বুয়েটের শিবির কর্মীদের আটক হওয়ার ঘটনা টেনে তিনি বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওরে বুয়েটের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র করার জন্য। তাদের রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে বুয়েট প্রশাসন চুপ থেকেছে। তাদের ক্ষেত্রে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। বুয়েট শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ইমেইলে হিজবুত তাহরী সংগঠন ইমেইল পাঠায়। তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানায়। আমরা অবাক হয়ে থাকি এ ধরনের কার্যক্রমে বুয়েট প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।
এসময় শয়ন বুয়েট প্রশাসনকে শহীদ আরিফ রায়হান দ্বীপের কথা স্মরণ করতে বলেন।
সমাবেশে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। এ ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।