খালের দায়িত্ব নিতে আমরা প্রস্তুত: ডিএসসিসি মেয়র
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘রাজধানীর খালগুলোর দায়িত্বে রয়েছে জেলা প্রশাসক। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ খালগুলোতে মানুষের ফেলানো ময়লা-আবর্জনা যেন না যায়, সেই বিষয়ে মানুষকে বোঝানো, সচেতন করার দায়িত্ব হচ্ছে সিটি করপোরেশনের। এসব বিষয় এত কমপ্লিকেটেড না হয়ে যদি একটি সংস্থার আন্ডারে নিয়ে আসা যায়, তাহলে সেবা প্রদান করা বা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় যদি মনে করে এ দায়িত্ব জনগণের কাছে যাদের জবাবদিহিতা আছে, জনগণের কাছে যারা দায়বদ্ধ তাদের এ দায়িত্ব দেবেন। তাহলে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব আমরা নিতে প্রস্তুত আছি।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে আজ শনিবার দুপুরে তিনি এ কথা বলেন। আসন্ন বর্ষায় ‘জলাবদ্ধতা সমস্যা মোকাবেলায় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব, নাগরিকদের করণীয়’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঢাকা ইউটিলিটি রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডুরা)।
মেয়র বলেন, রাজধানীতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে। নাজিরাবাজারসহ জলাবদ্ধতা প্রবণ এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে না। কিন্তু একই সাথে ড্রেনগুলোর কার্যকারিতা ক্ষমতা আগের চেয়ে কমে গেছে। ফলে পানি দ্রুত নামতে পারছে না। পলিথিন ও প্লাস্টিকের বোতল পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ যদি একটু সচেতন হয়, তাহলে এগুলো যদি যেখানে-সেখানে না ফেলে, তাহলে আমাদের জন্য জলাবদ্ধতা নিরসন করা সহজ হবে।
খোকন বলেন, ঢাকা শহরে যদি এক ঘণ্টার একটি অতিমাত্রায় বৃষ্টি হয়, তাহলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে; পানি জমে যাবে। তবে সেই পানি নেমে যাবে কিন্তু সে পানিগুলো নামতে তিন চার ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। এখান থেকে বের হয়ে আসা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। যে খালগুলো দিয়ে পানি নেমে যাবে সেই খালগুলোর চারিদিকে দখল হয়ে গেছে। সেগুলো বালু দিয়ে ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে একটা বাধা সৃষ্টি হয়েছে; যার ফলে পানি নামা খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।
মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আমরা বসে নেই। রাজধানীবাসীকে যেন জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাতে না হয় সেজন্য আমরাও কাজ করছি। শান্তিনগর, নাজিমউদ্দিন রোডের মতো জায়গায় ৪০ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। এসব এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি কিছুটা আমাদের মেনে নিতেই হবে। কারণ অতিবর্ষণে জলাবদ্ধতা হবে না এটা পুরোপুরি নিরসন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
এমসি/পি
মন্তব্য করুন