• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সিইসি আওয়ামী লীগের অঘোষিত নেতা: রিজভী

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৪:২৯

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা নিজ পদে অব্যাহত থাকার নৈতিক অধিকার সম্পূর্ণভাবে হারিয়েছেন। তার পক্ষে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন পরিচালনা করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যে আওয়ামী লীগের অঘোষিত নেতা তা তার কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত। সিইসি নির্বাচন কমিশনের প্রধান হওয়ার কারণে নিজে নৌকায় না উঠে ভাগ্নেকে নৌকার মাঝি করেছেন। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

আজ সোমবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সিইসির ভাগ্নে এস এম শাহজাদা সাজু। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে গতকাল তিনি চিঠি পান। সেখানে আওয়ামী লীগের আর এক মনোনয়ন প্রত্যাশী আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন তাকে মনোনয়ন না দেয়ার কারণ একটি, সেটি হলো শাহজাদা সিইসির ভাগ্নে। সিইসিকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে কাজে লাগানোর জন্যই তার ভাগ্নেকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে। সাজুকে মনোনয়ন দেয়া সরকার কর্তৃক সিইসিকে ভোট দেয়ার একটি পরিষ্কার উদাহরণ।

তিনি বলেন, আপনাদের স্মরণে আছে ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব ডক্টর শাহ মোহাম্মদ ফরিদ স্বেচ্ছায় মুখ্য সচিবের পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন, যাতে স্বার্থের সংঘাতের প্রশ্ন কোনভাবেই উঠতে না পারে। কারণ সেই নির্বাচনে তার ভাই বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ভাষায় কথা বলে আসছেন ইসি সচিব হেলালুউদ্দীন, দ্রুত দলবাজ ইসি সচিবকে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। কারণ আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বিরামহীন রাজনৈতিক বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

রিজভী বলেন, বিগত ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের রূপকার ইসির তৎকালীন সচিব বর্তমান পিএসসির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের পরামর্শে নির্বাচন কমিশনকে পরিচালনা করেন হেলালুদ্দীন। ক্ষমতাসীন মহলের অন্দরে অবাধ বিচরণ নির্বাচন কমিশন সচিবের। ভোটারবিহীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুগ্রহভাজনদের সমমর্যাদা বহন করে চলছেন তিনি। ‘গত শনিবার নির্বাচন ভবনে বিএনপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসি সচিব ভবিষ্যতে সতর্কতার সাথে কথা বলতে বলেছেন।’ তার এই বক্তব্য প্রমাণ করে তিনি নির্বাচন কমিশনের সচিব নন। তিনি নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ শাখার প্রধান নেতা।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জেনেছি, ফেনীসহ কিছু কিছু জেলার পুলিশ সুপার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) ডেকে নিয়ে সভা করে তাদের সরকারের পক্ষে কাজ করার চাপ দিচ্ছেন এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানির বিষয়ে ব্রিফ করছেন। তারা বলছেন এসিআর আমাদের হাতে, নির্বাচনের রেজাল্ট আমাদের হাতে দেবেন, এসিআর নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে আমরা ফেনীসহ অন্য জেলার বেশ কিছু পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহারের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করেছি।

আরও পড়ুন :

এসএস

মন্তব্য করুন

daraz
  • রাজনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
সিইসির বেতন-ভাতা প্রসঙ্গে যা জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
দক্ষিণ কোরিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন সিইসি
পুতিনের নির্বাচন দেখতে বুধবার রাশিয়া যাচ্ছেন সিইসি
X
Fresh