• ঢাকা রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

গুজব যাচাই করে দক্ষতার সাথে ব্যবস্থা নিতে হবে: ম্যাজিস্ট্রেটদের সিইসি

আরটিভি অনলাইন রিপোর্ট

  ২৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৪১

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওই দিন সতর্কতার সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। আপনাদের বিচলিত করতে অনেকে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। যাকে বলা যায় মিসগাইডিং। এক্ষেত্রে আপনারা আপনাদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, ক্ষিপ্রতা, ম্যাজিস্ট্রেসি মানসিকতা দিয়ে অবস্থা বুঝে দায়িত্ব পালন করবেন।

আজ সোমবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের উদ্দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত ব্রিফিং করার সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দায়িত্ব আপনাদের। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখা, ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোটদান শেষে বাড়িতে গিয়েও নিরাপদে থাকেন তা নিশ্চিত করার দায়িত্বও আপনাদের।

নির্বাচনকালে আপনারা বিজিবি, সেনাবাহিনী, কিংবা পুলিশের সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। কেউ বললো ১০০ কিংবা ৫০ গজ দূরে রায়ট (ঝামেলা) শুরু হয়ে গেছে। তখন আপনাকে সত্যি মিথ্যেটা আগে যাচাই করতে হবে। এরপর অ্যাকশন। নির্বাচন কমিশনের সাথে আপনাদের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ থাকবে। আপনাদের নম্বর থাকবে জেলা ও নির্বাচন কমিশন অফিসে। সেখান থেকে অবস্থা জানাবেন।

রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দের সাথে আপনাদের কাজ। যারা দেশের শাসন ভার গ্রহণ করবেন। যারা সংসদ সদস্য হবেন, মন্ত্রী হবেন, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার হবেন। প্রত্যেকেই সম্মানিত। প্রত্যেকের সাথে সমান আচরণ করতে হবে। তারা কখনো আপনাদের বিভ্রান্তকর অবস্থায় ফেলতে চাইবে না। তাদের কথা ধৈর্য্য সহকারে শুনতে হবে।

সিইসি বলেন, কখনো ধৈর্যচ্যুত হলে চলবে না। বুঝে জেনেশুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। কখন অ্যাকশনে যাবেন তাও বুঝতে হবে। অনেক সময় চেষ্টা করবেন নিয়ন্ত্রণ করতে। অ্যাকশনে যতো কম যাবেন নির্বাচন ততো নির্বিঘ্ন হবে, নির্বাচন প্রশ্নাতীত হবে। আমরা চাই না নির্বাচনে কোনো সংঘাত হোক, প্রাণহানি হোক, রক্তপাত হোক। এগুলোকে দেখভাল করার ক্ষেত্রে আপনাদের দায়িত্ব অপরিসীম। কারণ নির্বাচনের আগে ও পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সিইসি বলেন, কয়েক হাজার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। জেলা, উপজেলা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক কথা রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী ও উপ-সহকারী ও পুলিশ সুপার, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আজকে পর্যন্ত ৬৯১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওরিয়েন্টশন হলো। এরপর জুডিশিয়াল ইনকুয়ারি কমিটির সাথে, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের সাথে ওরিয়েন্টেশন হবে।

আচরণবিধি আপনাদের ভালভাবে রপ্ত করতে হবে। এমন কিছু করবেন না যাতে করে নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির তৈরি হয়। নির্বাচনের পরিবেশ ব্যাহত হবার মতো কিছু করবেন না।

এবছরের নির্বাচন এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকল দল এবার অংশ নিচ্ছে। সেজন্য সবধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আপনারা ক্ষিপ্রতা, দক্ষতার সাথে ধৈর্য্য সহকারে দায়িত্ব পালন করবেন। বিচলিত হবেন না।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী (অব:) ও নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটেরর মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন :

আরসি/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • বাংলাদেশ এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘নারীদের এগিয়ে নিতে কার্যকর পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী’
উদ্বোধনের দিনই উঠে গেল সড়কের পিচঢালাই!
স্পিকারের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
পছন্দের এপিএস পেলেন ডেপুটি স্পিকার ও মাশরাফী
X
Fresh