• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

২০২১ সালের পর আর ‘সুপারজাম্বো' উৎপাদন হবে না

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১১:৩৪

আমেরিকার বোয়িং ও ইউরোপের এয়ারবাস কোম্পানি আকাশপথে যাত্রী পরিবহণের বিমান তৈরির ক্ষেত্রে দুই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী৷ দুই কোম্পানির রেষারেষির ফলে অনেক দশক ধরে নিত্যনতুন মডেলের বিমান বাজারে আসছে।

গত শতাব্দীতে বোয়িং কোম্পানি তার সেভেন-ফোর-সেভেন মডেল বা ‘জাম্বো জেট' বাজারে এনে বিশাল সংখ্যায় যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রে মানদণ্ড স্থির করেছিল৷ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে এয়ারবাস ২০০৫ সালে প্রকৃত দুই তলার বিশালাকার বিমান এথ্রিএইটজিরো প্রথমবার আকাশে উড়ায়। যা ‘সুপারজাম্বো' হিসেবেও পরিচিত।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই যাত্রীবাহী বিমান শুরু থেকেই বাজারে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। মূল ডিজাইন অনুযায়ী ৫৪৪ জন যাত্রী বহন করে এই সুপারজাম্বো৷ ২০০৭ সালে বাণিজ্যিক উড়াল শুরু হবার পর অনেক বড় বিমান সংস্থা ঢালাও অর্ডার দিয়ে এই মডেলের বাণিজ্যিক সাফল্যও নিশ্চিত করে।

বৃহস্পতিবার এয়ারবাস কোম্পানি ঘোষণা করেছে, যে তারা এথ্রিএইটজিরো মডেল তৈরি বন্ধ করতে চলেছে৷ আরও ১৭টি বিমান তৈরি করার পর ২০২১ সালে শেষ বিমানটি হস্তান্তর করা হবে।

সম্প্রতি এই মডেলের বিক্রি কমে গেছে৷ কিছু সূত্র অনুযায়ী, বিমান সংস্থাগুলোর পক্ষে সুপারজাম্বোর রক্ষণাবেক্ষণসহ অনেক ক্ষেত্রে বিশাল ব্যয় সামলানো সহজ হচ্ছে না বলেই অর্ডার কমে চলেছে। এমন ‘হাতি পোষা'-র বদলে সংস্থাগুলি আরও ছোট ও মডেলের দিকে ঝুঁকছে। গত মাসেই সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এই মডেলের অর্ডার নিয়ে সংকটের ইঙ্গিত দিয়েছিল।

বিশেষ করে সুপারজাম্বোর প্রধান ক্রেতা সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস সংস্থা সুপারজাম্বোর বদলে এয়ারবাস কোম্পানিরই অন্য দুই মডেল – এথ্রিফাইভজিরো ও এথ্রিথ্রিজিরো নিও কিনতে চলেছে।

মোট ৭০টি বিমান অর্ডার দিয়েছে এমিরেটস৷ তা সত্ত্বেও এয়ারবাস কোম্পানির এই সিদ্ধান্তের কথা জেনে হতাশা প্রকাশ করেছে এমিরেটস। কোম্পানির প্রধান শেখ আহমেদ বিন সাইদ আল-মাকতুম বলেন, শুরু থেকেই এমিরেটস এথ্রিএইটজিরো মডেলের জোরালো সমর্থক ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তবতা মেনে নিতে হবে বলে মনে করেন তিনি৷ এমিরেটস ২০৩০ সাল পর্যন্ত এই বিমান চালু রাখবে বলেও ঘোষণা করেন আল-মাকতুম।

সুপারজাম্বো মডেল তৈরি বন্ধ করার সিদ্ধান্তের ফলে এয়ারবাস কোম্পানির ৩,০০০ থেকে ৩,৫০০ কর্মীর ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে। শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে এয়ারবাস।

বিমানের ইঞ্জিনের প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে বোয়িং ও এয়ারবাস কোম্পানিকে অনেক মডেল নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা করতে হচ্ছে৷ চার ইঞ্জিনের বিশাল জেটের বদলে আরও উন্নত দুই ইঞ্জিনের হালকা বিকল্প বাণিজ্যিকভাবে অনেক সফল হিসেবে উঠে আসছে। বোয়িং সেভেনএইটসেভেন ও এয়ারবাসের এথ্রিফাইভজিরো নতুন প্রজন্মের বিমান হিসেবে ক্রেতাদের কাছে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে।

এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • তথ্যপ্রযুক্তি এর পাঠক প্রিয়
X
Fresh