টাইগারদের স্পন্সর আলিশা, সামাজিকমাধ্যমে সমালোচনা
অনলাইনে কেনাকাটার প্রতিষ্ঠান আলিশা’র বিরুদ্ধে গ্রাহক ভোগান্তির অভিযোগ উঠলেও সেই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে স্পন্সর দিচ্ছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
আলিশা’র বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে সম্প্রতি গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলিশা’র বিকাশ লেনদেন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছিল।
টাইগারদের আলিশা হোল্ডিংস স্পন্স নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন- কাস্টমারদের টাকা ফেরত দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু স্পন্সর করার ক্ষমতা আছে। বিসিবিও তার শিক্ষা নেয়নি। আসলেই অদ্ভুত উটের পিঠে চলছে দেশ। বিসিবির লজ্জাও নেই।
বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের টাইগারদের স্পন্সর হওয়ায় অনেক ক্রিকেট ভক্ত প্রশ্ন তুলেছেন।
এফএ/টিআই
মন্তব্য করুন
ফের হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম বিভ্রাটের অভিযোগ
জনপ্রিয় মেসেজিং ও আইপি সেবা প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ কাজ করছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজারো গ্রাহক। বুধবার (৩ এপ্রিল) তারা এই সমস্যায় পড়েন বলে অভিযোগ করেছেন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টার দিকে অনলাইনে বিভিন্ন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার ওপর নজরদারি করা সংস্থা ডাউন ডিটেক্টরের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
ডাউন ডিটেক্টর জানায়, হোয়াটঅ্যাপ ব্যবহারে সমস্যায় পড়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১২ হাজার ব্যবহারকারী। এছাড়া ভারতের ২০ হাজারের বেশি, যুক্তরাজ্যের প্রায় ৪৬ হাজার এবং ব্রাজিলের ৪২ হাজারের বেশি ব্যবহারকারী হোয়াটঅ্যাপ ডাউনের বিষয়ে অভিযোগ করেছেন।
এদিকে হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার হাজার ৮০০ ব্যবহারকারী ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারে সমস্যার মুখোমুখী হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
তবে রয়টার্সের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্ল্যাটফর্মের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
এর আগে গত ৫ মার্চ ফেসবুক, মেসেঞ্জার ও ইনস্টাগ্রামে বিভ্রাট দেখা দেয়। বাংলাদেশ সময় ওইদিন রাত সোয়া ৯টার দিকে এসব প্ল্যাটফর্মে বিভ্রাট দেখা দেয়। এক ঘণ্টা পর ব্যবহারকারীরা পুনরায় ঢুকতে পারেন।
মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে ডিভাইস নিয়ন্ত্রণের প্রবণতা
এতকাল শরীরে পেসমেকার বা কৃত্রিম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বসিয়ে জীবনযাত্রার মানের উন্নতির চেষ্টা হয়েছে৷ ইলন মাস্ক মানুষের মস্তিষ্কে চিপ বসিয়ে যন্ত্রের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের বিতর্কিত প্রযুক্তি চালু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন৷
টেলিপ্যাথি নামের এক ওয়্যারলেস চিপ সফলভাবে এক মানুষের মস্তিষ্কে বসানো হয়েছে৷ মার্কিন কোটিপতি মাস্ক কমপক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এমনটাই ঘোষণা করেছেন৷ মোটকথা মানুষের মস্তিষ্কের সঙ্গে কম্পিউটার সংযুক্ত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য৷ সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা শুধু চিন্তার মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন৷ শুনতে খুবই ভবিষ্যতধর্মী হলেও বাস্তবে সেটা সত্যি কতটা যুগান্তকারী? তথাকথিত বিসিআই নামের ডিভাইসগুলি মস্তিষ্কের কার্যকলাপ পরিমাপ করে সেই সংকেত ডিজিটাল কমান্ডে রূপান্তরিত করতে পারে৷ এমন ডিভাইস ব্যবহার করলে নীতিগতভাবে কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের সঙ্গে একেবারে নতুন ও বিরামহীন উপায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়৷ মাস্কের ভাষায় টেলিপ্যাথি ফোন বা কম্পিউটারের উপর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব করবে৷ শুধু চিন্তাশক্তির বলে সেগুলির মাধ্যমে প্রায় যে কোনো ডিভাইস চালনা করা যাবে৷
শুনে মনে কৌতূহল জাগছে? কিন্তু এর এক বড় ঘাটতিও রয়েছে৷ কারণ মাস্কের চিপ মস্তিষ্কে ইমপ্লান্ট করতে হবে৷ এক রোবট সেই অপারেশন করবে৷ মানুষের চুলের থেকে বেশি চিকন ৬৪টি নমনীয় সুতা চিপ থেকে মস্তিষ্কে যোগাযোগ স্থাপন করবে৷ রোগগ্রস্ত বা প্রতিবন্ধী মানুষের জন্য এমন অস্ত্রোপচার হয়তো উপকারও বয়ে আনতে পারে৷ যেমন কারো মৃগী রোগ থাকলে বিসিআই আগে থেকেই সম্ভাব্য খিঁচুনি শনাক্ত করে সেটি এড়িয়ে যেতে সাহায্য করতে পারে৷ মাস্ক নিজেই অন্যান্য সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন৷ তাঁর বার্তা অনুযায়ী যারা নিজেদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার করতে পারেন না, তাঁরাই প্রাথমিক ব্যবহারকারী হবেন৷ ভেবে দেখুন, স্টিফেন হকিং যদি স্পিড টাইপিস্ট বা নিলামকারীর তুলনায় দ্রুত ভাবের আদানপ্রদান করতে পারতেন, তাহলে কী হতো? তিনি খুব সম্ভবত সেই প্রযুক্তি পছন্দ করতেন এবং সেটা থেকে উপকারও পেতেন৷
চিকিৎসাবিদ্যার ক্ষেত্রে বিসিআই-এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে৷ স্টিফেন হকিং এএলএস নামের দুরারোগ্য মোটর নিউরন রোগে ভুগছিলেন৷ এই রোগ হলে স্নায়ুর কোষগুলির ক্ষয় হতে থাকে৷ রোগীরা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন৷ বিসিআই হয়তো হকিং-কে চিন্তার মাধ্যমে টেক্সট টাইপ করার ক্ষমতা দিতে পারতো৷ কিন্তু নিউরালিংক সে রকম কিছু উদ্ভাবন করেনি৷ তবে অন্যান্য কিছু কোম্পানি মানুষের উপর সফলভাবে পরীক্ষা চালিয়েছে৷
যেমন সিনক্রোন নামে অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ট-আপ কোম্পানি এ ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে৷ অন্যান্য গবেষকরা এমনকি ব্রেন ইমপ্লান্ট ও পেশির মধ্যে নতুন সংযোগ গড়ে তুলছেন৷ ২০২৩ সালের মে মাসে সুইজারল্যান্ডের নিউরোরিস্টোর নামের কোম্পানি এমন এক ব্যক্তিকে আবার হাঁটার ক্ষমতা ফিরিয়ে দিয়েছে, যিনি দুর্ঘটনার কারণে পঙ্গু হয়ে পড়েছিলেন৷ নিউরালিংক মডেলের তুলনায় এই দুই দৃষ্টান্তের একটা বড় সুবিধা রয়েছে৷ সেগুলিও রোগীর মাথায় ইমপ্লান্ট করতে হলেও সেই অপারেশন অনেক কম জটিল৷
তা সত্ত্বেও মাস্কের নিউরালিংক-কে ঘিরে কেন এত আলোড়ন চলছে? সত্যি কথা বলতে গেলে উল্লিখিত কোম্পানিগুলির মধ্যে কোনোটিই বিসিআই উদ্ভাবন করেনি৷ সেই ১৯৯৮ সালেই মস্তিষ্কে প্রথম চিপ বসানো হয়েছিল৷ কিন্তু এখনো পর্যন্ত মাস্কের মতো কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি সেই প্রযুক্তির উন্নতির জন্য চাপ দেননি৷ এমনকি জনসংযোগের ইভেন্টকেও তিনি প্রাণীর উপর পরীক্ষা চালানোর মঞ্চে পরিণত করতে দ্বিধা করেননি৷
২০২০ সালে মাস্ক বিশ্বের সঙ্গে গ্যারট্রুড নামের এক শুকরের পরিচয় করিয়ে দেন, যেটির মধ্যে নিউরালিংক চিপ বসানো হয়েছে৷ ২০২১ সালে তিনি ঢাকঢোল পিটিয়ে পেজার নামের এক বানরকে তুলে ধরেছিলেন, যে চিপ ইমপ্লান্টের মাধ্যমে পং নামের ভিডিও গেম খেলতে পারে৷ সে সব ছাড়াও ইলন মাস্ক সেই প্রযুক্তির সম্ভাবনা সম্পর্কে বেশ কিছু বড়সড় পূর্বাভাস দিয়েছিলেন৷
যেমন ২০২০ সালে নিউরালিংকের এক ইভেন্টে তিনি বলেন, আমরা স্মৃতি ধরে রেখে রিপ্লে করতে পারি৷ ভবিষ্যৎ বেশ অদ্ভুত হতে চলেছে৷ মনে হচ্ছে, মাস্ক আমাদের ব্রেন হ্যাক করতে বদ্ধপরিকর৷ তাঁর বিশ্বাস, বিসিআই মানুষের মধ্যে উন্নতি আনতে পারে৷ সেই উন্নতি শুধু চিকিৎসা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে না৷
কিন্তু প্রশ্ন হলো, আপনি কি মাস্কের কোনো কোম্পানির হাতে নিজের মস্তিষ্ক তুলে দিতে প্রস্তুত? ভেবে দেখুন, আপনার চিন্তাভাবনার জগতে উঁকি মেরে কত সংবেদনশীল তথ্য রেকর্ড করা হতে পারে!
লজিস্টিক্সের ক্ষেত্রে মানুষের জায়গা নিচ্ছে রোবট
চিঠি বা পার্সেল দ্রুত প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ৷ বিশেষ করে ই-কমার্সের রমরমার কারণে পার্সেলের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ কম্পিউটার ও রোবটের সাহায্যে সেই প্রক্রিয়ায় আরো দক্ষতা আনার চেষ্টা চলছে৷
রোবট কুকুর হিসেবে স্পট ডান্স মোডে রয়েছে৷ সেটি সামনের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ ঘুরিয়ে অল্প ধাক্কা দিলে সেটি বিপরীত দিকে চলতে থাকে৷ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বস্টন ডায়নামিক্সের এই রোবোট ডগ এমনভাবে প্রোগ্রাম করা হয়েছে, যে সেটি ঘরের তাপমাত্রা ও শব্দের মাত্রা পরিমাপের মাধ্যমে বাধাবিপত্তি শনাক্ত করতে পারে৷
হ্যার্মেস ফুলফিলমেন্ট কোম্পানির শিক্ষানবিস হিসেবে ইয়োনাস বেহরেন্ট বলেন, আমি আলাদা করে এখানেই আবেদন করেছিলাম৷ কারণ জানতাম যে আমি যন্ত্র নিয়ে অনেক কাজ করবো৷ বিশেষ করে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ৷ সেটাই কোনো মেকানিককে মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার করে তোলে৷ হ্যার্মেস গ্রুপ এখানে অত্যন্ত ডিজিটালাইজড উপায়ে কাজ করে৷ কিন্তু প্রথমে সেটা জানতাম না৷ সেই কারণেই সে সব আমার জন্য আরও উত্তেজনাপূর্ণ এবং আনন্দদায়ক করে তুলেছে৷ হ্যার্মেস লজিস্টিক্স সেন্টারে আরেকটি রোবট পার্সেল পাঠানোর কাজে সাহায্য করছে৷ অ্যামেরিকার কোভেরিয়েন্ট কোম্পানি সেই মডেল তৈরি করেছে৷ বিভিন্ন টেক্সটাইল কোম্পানির পার্সেল আলাদা করে প্রাপকদের কাছে পাঠায় সেই রোবট৷ সেটির মধ্যে বিশেষ সফটওয়্যার প্রোগ্রাম করা হয়েছে৷
কোভেরিয়েন্ট কোম্পানির কর্ণধার টেড স্টিনসন বলেন, কোভেরিয়েন্ট ব্রেন সেই প্রণালীকে চোখ ব্যবহার করতে দিচ্ছে৷ সেই চোখ দিয়ে টোট ব্যাগের মধ্যে উঁকি মারতে দেয়৷ কোভেরিয়েন্ট ছবি তোলে৷ সেই ছবির সাহায্যে টোটের মধ্যে কী আছে, তা বুঝতে পারে৷ যেমন এখানে টোটের মধ্যে এক টিশার্টের অবয়ব দেখা যাচ্ছে৷ কোভেরিয়েন্ট ব্রেন সেটিকে টোটের মধ্যে কোনো বস্তু হিসেবে শনাক্ত করতে পারে৷ হাল্ডেসলেবেনে হ্যার্মেস লজিস্টিক্স সেন্টার ইউরোপের আধুনিকতম এমন স্থাপনার মধ্যে পড়ে৷ প্রায় ২৬টি ফুটবল মাঠের সমান জায়গা জুড়ে সেটি বিস্তৃত৷ সারা বছরে অটোর অধীনস্থ বনপ্রিক্সের মতো ফ্যাশন কোম্পানি ও ঘর সামগ্রী সরবরাহকারীর প্রায় ২০ কোটি পার্সেল সেখান দিয়েই গ্রাহকের কাছে যায়৷ গোটা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়৷ একমাত্র সমান আকারের পার্সেল হলে তবেই সেটা সম্ভব৷ ভিন্ন পণ্য ও ছোট আকারের কনসাইনমেন্টের ক্ষেত্রে সেটা অনেক বেশি কঠিন৷ আগে হাতে করেই সেগুলি আলাদা করা হতো৷ ভবিষ্যতে একাধিক রোবট অন্যান্য যন্ত্রের সঙ্গে মিলে সেই দায়িত্ব পালন করবে৷ অটো গ্রুপ নিজস্ব লজিস্টিক্স সেন্টারের জন্য ইতোমধ্যেই ১০০ রোবট অর্ডার করেছে৷
অটো গ্রুপের প্রতিনিধি জি বেটি হু বলেন, অটো গ্রুপে আমরা বাণিজ্যিক লজিস্টিক্সের বেড়ে চলা চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে সচেতন৷ একদিকে দক্ষ কর্মীর অভাব রয়েছে৷ অন্যদিকে আমরা আমাদের কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ দিতে চাই৷ এভাবে লজিস্টিক্সের কাজ আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে চাই৷
তাদের মধ্যে অনেককে এখন নতুন করে প্রশিক্ষণ নিতে হবে৷ হাতের কাজ থেকে শুরু করে যন্ত্র চালনা করা এবং ভুল সংশোধনও করতে হবে৷ নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে হ্যার্মেসের কর্মী বিয়র্কা ক্রাইবিশ বলেন, রোবট আমার কাজ অনেক সহজ করে দিচ্ছে৷ সেটি আমাকে সাহায্য করছে৷ কনসাইনমেন্ট পরীক্ষা করে প্যাক করছে৷ তারপর সেগুলি ডিসপ্যাচে চলে যাচ্ছে৷ চাকরি হারানোর ভয় আমার নেই৷ আমাদের কম্পিউটার ও রোবটও পরীক্ষা করতে হয়, সেগুলির উপর নজর রাখতে হয়৷ কখনো রিসেট করতে হয়৷ না আমার সেই ভয় নেই৷ আরো বেশি রোবট কাজে লাগানোর প্রেক্ষাপটে সব কর্মী নতুন দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত কিনা, সেটা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে৷ ভবিষ্যতে সেখানে হয়তো হাতে গোনা কিছু মানুষের প্রয়োজন পড়বে৷ শুধু মনিটরিং এবং কাজের শেষে রোবট কুকুর চার্জ করার দায়িত্ব পালন করতে হবে৷ কারণ থেকে থেকে রোবটের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে যায়৷
ফ্যানফেয়ারের মেগা ভিডিও কন্টেস্টের বিজয়ীদের পুরষ্কার তুলে দিলেন টেক ব্লগার হিমেল
সম্প্রতি ফ্যানফেয়ারের স্টুডিওতে মেগা ভিডিও কন্টেস্ট ”অনর প্রেজেন্টস ফোন মেনিয়া”- এর বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়। বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন এ এফ আর টেকনোলজির জনপ্রিয় টেক রিভিউয়ার হিমেল আহমেদ।
'অনর প্রেজেন্টস ফোন মেনিয়া’ মেগা কন্টেস্টে প্রায় হাজার খানিকের মত ভিডিও পাঠিয়েছেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা। টেক ব্লগার থেকে শুরু করে প্রায় সব কন্টেন্ট ক্রিয়েটররাই অংশগ্রহন করেন এই মেগা কন্টেস্টে। সেখান থেকে বাছাই করে সেরা ৫ জন বিজয়ী অনরের পক্ষ থেকে স্মার্টফোন, স্মাটওয়াচ, এয়ারবাডসহ আকর্ষনীয় সব পুরষ্কার জিতে নেন।
পুরষ্কার পেয়ে বিজয়ীরা ছিলেন আনন্দিত আর উচ্ছ্বসিত। পুরষ্কার গ্রহনের পর বিজয়ীরা জানান, ফ্যানফেয়ার এমন একটি মাধ্যম যেখানে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের প্রতিভার মূল্যায়ন হয়।
অনুষ্ঠানে হিমেল বলেন, বর্তমান সময়ে খুবই কঠিন, জনপ্রিয় এবং তথ্যযুক্ত ব্লগিং হলো টেক ব্লগিং। এর মধ্যেও ফ্যানফেয়ার এবং অনর যে টেক নিয়ে কাজ করছে সেটি সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
তিনি আরও বলেন, টেক ব্লগিং বা রিভিউ নিয়ে অনেকেই কাজ করতে চায় কিন্ত সুযোগ বা দিক নির্দেশনার অভাবে অনেকেই করতে পারেননা তবে ফ্যানফেয়ার ইতিমধ্যেই সবার জন্য সেই সুযোগ তৈরি করেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনর বাংলাদেশের জি এম আবদুল্লাহ আল মামুন ও ফ্যানফেয়ারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ফ্যানফেয়ার বাংলাদেশের প্রথম সোশ্যাল কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ও ই-কমার্স হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ইউজারদেরকে প্রাধান্য দিয়ে সফলতার সাথে কাজ করে আসছে। ফ্যানফেয়ার অ্যাপে ভালমানের কন্টেন্ট চাইলেই ইউজাররা শেয়ার করতে পারেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ধামাকা কন্টেস্টেও অংশগ্রহণ করেন এই অ্যাপের ইউজাররা।
মানসম্মত ভিডিও শেয়ার করে ক্রিয়েটররা প্রতিনিয়ত জিতে নিচ্ছেন আকর্ষনীয় সব পুরষ্কার। আর মানসম্মত ভিডিওতে তারা ব্র্যান্ড ফোকাস করে শেয়ার করলেই থাকছে মনিটাইজেশনের সুবিধা।
বর্তমানে ফ্যানফেয়ার অ্যাপে চলছে ’টেস্ট অফ রামাদান’ নামের একটি মেগা ভিডিও কন্টেস্ট। সম্প্রতি রমজান মাসকে ঘিরে এই মেগা ভিডিও কন্টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে।
রমজান মাসে ইফতারি বাজার, ইফতারি করা সহ রমজান সম্পর্কিত যেকোন ভিডিও ব্লগিং বা রিভিউ শেয়ার করা যাবে এই কন্টেস্টে। এই মেগা ভিডিও কন্টেস্টের পুরষ্কার হিসেবে থাকছে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা কাপল টিকিট ট্রিপ, আড়ং এর গিফট ভাউচার এবং বাটার গিফট ভাউচার।
Android: https://cutt.ly/IwjFnDOY বা IOS: https://cutt.ly/ywqyfgCz লিংকে গিয়ে ফ্যানফেয়ার অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউ চাইলেই অংশগ্রহন করতে পারবেন ফ্যানফেয়ারের যে কোনও কন্টেস্টে।
কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে বিটিআরসির সিদ্ধান্ত
কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম নিয়ে গণশুনানির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী ৮ মে এটি অনুষ্ঠিত হবে। গণশুনানিতে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, গ্রাহক, বাংলাদেশের ভোক্তা সংঘ, পেশাজীবীসহ অন্যান্যরা মতামত দিতে পারবেন।
এরইমধ্যে বিটিআরসির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ শীর্ষক গণশুনানির আয়োজন করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, সম্মানিত গ্রাহক, বাংলাদেশের ভোক্তা সংঘ, পেশাজীবীসহ আগ্রহী যেকোনো ব্যক্তিবর্গ মতামত জানাতে পারবেন। আগামী ৮ মে (বুধবার) সকাল ১১টায় বিটিআরসি ভবনে এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এতে আরও বলা হয়েছে, যারা সশরীরে উপস্থিত হতে অপরাগ হবেন তাদের জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। তবে গণশুনানিতে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে। এবিষয়ে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য, প্রশ্ন, উপদেশ আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে অনলাইন নিবন্ধন করতে হবে।
তবে সময়ের সীমাবদ্ধতা বিবেচনায় শুধু বিষয় সংশ্লিষ্ট যৌক্তিক প্রশ্ন, বক্তব্য, উপদেশ দিয়েছেন এমন ব্যক্তিদের একটি ই-মেইল বা এসএমএসের মাধ্যমে অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। তারাই সরাসরি বিটিআরসি ভবনে ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
যেভাবে দেখবেন বিরল পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ
ক্যালেন্ডারের পাতায় ৮ এপ্রিল ২০২৪। এ দিন বছরের প্রথম ও বিরল সূর্যগ্রহণ দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডাবাসী। পাশাপাশি প্রযুক্তির কল্যাণে ৫০ বছরের মধ্যে দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ সরাসরি উপভোগের সুযোগ পাবেন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানুষ।
ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে, যেমন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ওকলাহোমা, আরকানসাস, মিসৌরি, ইলিনয়, কেনটাকি, ইন্ডিয়ানা, ওহাইও, পেনসিলভানিয়া, নিউইয়র্ক, ভার্মন্ট, নিউ হ্যাম্পশায়ার ও মেইন অঙ্গরাজ্যের পাশাপাশি মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত সৈকত শহর মাজাটলানের কাছে দর্শকরা ভালোভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ উপভোগ করতে অন্যান্য দেশ থেকেও জড়ো হচ্ছেন।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশাবলের মতে, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী আগামী ৮ এপ্রিল দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নাসা এই ঘটনা লাইভ সম্প্রচার করবে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ৮ এপ্রিল রাত ১১টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত দেখা যাবে। এই ঘটনার লাইভ স্ট্রিম নাসার ইউটিউব চ্যানেলে ও নাসাপ্লাস ওয়েবসাইটে সম্প্রচার করবে।
একইসঙ্গে জানা যায়, এবারের সূর্যগ্রহণটি ৭ দশমিক ৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হবে; যা ঘটে সুদীর্ঘ ৫০ বছরের মধ্যে একবার। এর আগে, সর্বশেষ ১৯৭৩ সালে এরকম দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল।
আইফোন ১৬ সিরিজের নতুন ফিচার ফাঁস
আইফোন মানেই মোবাইল ফোন গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় বস্তু। এর পেছনে অবশ্য কারণও রয়েছে। আধুনিক সময়ে কম্পিউটারে করা যায় এমন প্রায় সব কাজই সহজেই হাতে থাকা আইফোনে করা সম্ভব হয়। আবার বিশেষ করে ছবি ও ভিডিওর মানেরও বিষয় রয়েছে। কোম্পানিটি প্রতি বছর নতুন সিরিজের ফোন ছাড়ে বাজারে। নতুন নতুন ফিচার ও সুবিধা যুক্ত করে গ্রাহকদের জন্য এসব ফোন রিলিজ করে আইফোন। কিন্তু সম্প্রতি আইফোন ১৬ প্রোর ডিজাইনের একটি সিএডি (কম্পিউটার এইডেড ডিজাইন) ফাইল অনলাইনে ফাঁস হয়েছে। যা থেকে অ্যাপলের আসন্ন ফ্ল্যাগশিপ মডেলটিতে কী থাকতে পারে তার একটি আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
ফাঁস হওয়া ডিজাইন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন বাদ দিলে আইফোন ১৬'র ডিজাইন অনেকটা আইফোন ১৫'র মতো একই থাকবে।
এর আগে, পেছনের ক্যামেরা প্ল্যাটফর্মের ডিজাইনের একটি ত্রিভুজাকার বিন্যাসে পরিবর্তন আনার গুজব উঠলেও ফাঁস হওয়া ফাইলগুলো থেকে দেখা যায় আইফোন ১৫ প্রোতে দেখা সেই পরিচিত থ্রি-লেন্স ডিজাইনটিই অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে।
তবে ফাঁস হওয়া ফাইলগুলোতে একটি উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজন দেখা যায়। ১৬'র ডিজাইনে ডানদিকে পাওয়ার বাটনের নীচে যুক্ত করা হয়েছে নতুন একটি ক্যাপচার বাটন। এর মাধ্যমে ছবি ক্যাপচার করতে আর স্ক্রীনে ট্যাপ করার প্রয়োজন পড়বে না। এটি ফটোগ্রাফির অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদিও ক্যাপচার বাটনের সম্পূর্ণ ফাংশন বা ক্ষমতা এখনও রহস্যে আবৃত, তবুও ধারণা করা হচ্ছে, বাটনটি হালকাভাবে ট্যাপ করলে ফোকাস ট্রিগার হবে এবং সম্পূর্ন চাপলে ফটো ক্যাপচার হবে। অনেকটা প্রথাগত ক্যামেরার শাটার বাটনের মতোই।
প্রযুক্তি বিষয়ক গণমাধ্যম ৯১মোবাইলসের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন ১৬ প্রোর সঙ্গে আইফোন ১৫ প্রোর বেশ কিছু সাদৃশ্য থাকবে। পার্থক্যের মধ্যে আইফোন ১৬ প্রো এর পূর্বসূরীর চেয়ে আকারে সামান্য বড় হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর দৈর্ঘ্য ১৪৯ দশমিক ৬, প্রস্থ ৭১ দশমিক ৪ এবং পুরুত্ব ৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার হতে পারে।
অপরদিকে, এর ডিসপ্লের আকার ৬ দশমিক ১ ইঞ্চি নাকি ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি হবে তা নিয়ে এখনও বিতর্ক চলছে। ৯১মোবাইলসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুনভাবে প্রকাশিত ডাইমেনশন এবং কাচের চারপাশে পাতলা বেজেল প্রদর্শনের কারণে তারা মনে করছেন এটি ৬ দশমিক ৩ ইঞ্চি হবে।
এছাড়া আইফোন ১৬ প্রো একটি ৫এক্স টেট্রা প্রিজম টেলিফোটো ক্যামেরা নিয়ে আসতে পারে। যা ফোনটির জুম করার ক্ষমতা আরও বাড়াবে। এর বাইরে, স্মার্টফোনটিতে ৪৮ মেগাপিক্সেলের একটি আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং একটি ৩ হাজার ৩৫৫ এমএএইচ ব্যাটারি থাকারও গুঞ্জন উঠেছে। তবে এর অপটিক্যাল ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও জানা যায়নি।
অ্যাপল সাধারণত সেপ্টেম্বরে একটি বড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের নতুন আইফোন মডেলগুলো উন্মোচন করে থাকে। আশা করা হচ্ছে, এবারের ইভেন্টে আইফোন ১৬ প্রোর পাশাপাশি চতুর্থ প্রজন্মের আইফোন এসই এবং অ্যাপল ওয়াচ এক্স-ও উন্মোচন করবে অ্যাপল।