৬ ঘন্টায় অন্তত ৭ বিলিয়ন ডলার খুইয়েছেন মার্ক জাকারবার্গ: ব্লুমবার্গ
বিশ্বব্যাপী ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম- হোয়াটস অ্যাপ সার্ভারজনিত সমস্যায় ৬ ঘন্টা বন্ধ থাকায় মোট সম্পদের অন্তত ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের। আর এতেই বিশ্বের ধনীদের তালিকা থেকে নিজের অবস্থান নিচে নেমে এসেছে।- ব্লুমবার্গ
সোমবার (০৪ অক্টোবর) শেয়ার বাজারে ফেসবুকের শেয়ারের দাম কমেছে ৪.৯ শতাংশ । যা গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে হিসেব করলে অন্তত ১৫ শতাংশ কম।
-
আরও পড়ুন... ৬ ঘণ্টা পর সচল ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপ-ইনস্টাগ্রাম
ব্লুমবার্গের সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে জাকারবার্গের নেট সম্পদের পরিমান কমে দাঁড়িয়েছে ১২১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। আর এর ফলে বিলিয়নিয়ার ক্লাবে বিল গেটসের নিচে ৫ নম্বরে অবস্থান করছেন তিনি। সূচক অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সম্পদের পরিমান ১৪০ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে বর্তমানে ১২১ বিলিয়নে ঠেকেছে ।
কেএফ
মন্তব্য করুন
রাতের আকাশে দেখা যাবে ‘গোলাপী চাঁদ’
বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ব। কারণ আকাশে জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা দেখা খুব বিরল ঘটনা। তবে আজ তেমনই একটি বিরলতম দিন। ২৩ এপ্রিল, আকাশে এমনই একটি জ্যোতির্বিদ্যার ঘটনা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে। আকাশে ঘটা এই ঘটনা 'পিঙ্ক মুন', 'ফুল মুন' বা 'এপ্রিল মুন' নামেও পরিচিত। পূর্ণিমা অর্থাৎ এই পূর্ণিমা অবশ্যই মানুষকে আকর্ষণ করবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতের আকাশে চাঁদের রঙ গোলাপী দেখা যাবে। মহাজাগতিক এই ঘটনাকে গোলাপী চাঁদ বা পূর্ণিমা বলা হয়। এদিন চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।
এই বিশেষ পূর্ণিমাটি মার্চ মাসে চন্দ্রগ্রহণের ঠিক এক মাস পরে ঘটে। এটি এমন একটি মহাজাগতিক ঘটনা, যখন চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসে। যার কারণে এই সময় চাঁদের আকার বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৪৯ মিনিটে সর্বোচ্চ আলো ছড়াবে। তবে সোমবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল-তিন দিন দেশটিতে এই চাঁদ দেখা যাবে। আর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ায় এই গোলাপি চাঁদ পূর্ণরূপে দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে আগামীকাল বুধবার।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে থাকা অত্যন্ত সূক্ষ্ম ধূলিকণা এবং বিভিন্ন ধরনের গ্যাসের শক্তির কারণে অনেক সময় চাঁদের রঙের দৃশ্যমান পরিবর্তন দেখা যায়। এ ছাড়া অন্যান্য ধোঁয়া দূষণও পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে। পৃথিবীতে আসা আলো তাদের নিজ নিজ তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অনেক প্রকারে বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়, যার মধ্যে নীল রঙকে সবচেয়ে দ্রুত বিক্ষিপ্ত হতে দেখা যায়। লাল রঙও বহু দূরে যায়।
এই কারণে, যখন চাঁদকে পৃথিবী থেকে দেখা হয় তখন বাদামী, নীল, হালকা নীল, রূপালি, সোনালি, হালকা হলুদ রঙের দেখায়। আর বিভ্রমের কারণে একে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড়ও দেখায়। জ্যোতির্বিদ্যার ভাষায় একে রিলে স্ক্যাটারিং বা আলোর বিচ্ছুরণও বলা হয়।
এপ্রিল মাসে যে পূর্ণিমা দেখা যায় তাকে গোলাপি চাঁদ বলা হয়। এটি স্প্রাউট মুন, এগ মুন, ফিশ মুন, ফাশায় মুন, ফেস্টিভাল মুন, ফুল পিঙ্ক মুন, ব্রেকিং আইস মুন, বডিং মুন, বিগিনিং মুন ইত্যাদি নামেও পরিচিত।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নিয়ে গ্রাহকের মতামত জানতে জরিপ শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ফলে এতদিন ৩ দিনের ডাটা প্যাকেজের মূল্যে যে সাত দিনের প্যাকেজ পাওয়া যাচ্ছে তা বাতিল হতে চলেছে। একই সঙ্গে তিনদিন মেয়াদি ডাটা প্যাকেজ আবারও ফেরানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গ্রাহক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিসিএ) সভাপতি মো. মহিউদ্দিন আহমেদ এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিএমপিসিএ সভাপতি জানান, মোবাইল ডাটা প্যাকেজ নিয়ে গ্রাহকদের মতামত নিচ্ছে বিটিআরসি। এটি মূলত আগের ডাটা প্যাকেজে ফিরে যাওয়ার পদক্ষেপ মাত্র।
তিনি বলেন, লোক দেখানো জরিপ করা হচ্ছে। বিটিআরসি পুনরায় ৩, ৫, ৭, ১৫ ও ৩০ দিন এবং আনলিমিটেড মেয়াদের ইন্টারনেট প্যাকেজে ফিরতে চায়। তাই ধারণা করা যাচ্ছে, পুনরায় ফিরবে ৩ দিন মেয়াদি ইন্টারনেট প্যাকেজ।
অন্যদিকে, এক বিজ্ঞপ্তিতে বিটিআরসি জানিয়েছে, গত অক্টোবর ২০২৩ এ ‘মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহের ডাটা এবং ডাটা সংশ্লিষ্ট প্যাকেজ সম্পর্কিত নির্দেশিকা-২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে যেখানে ডাটা প্যাকেজের মেয়াদ যথাক্রমে ৭ দিন, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড নির্ধারণ করা হয়। মোবাইল অপারেটর কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদের ডাটা প্যাকেজের বিষয়ে মতামতের জন্য গ্রাহকদের জনমত গ্রহণ করা হচ্ছে। সবাইকে জরিপে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৫ অক্টোবর থেকে মোবাইল গ্রাহকদের জন্য তিন ও ১৫ দিনের মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
ইন্টারনেটে ধীরগতি, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় ফাইবার কেবল ‘ব্রেক’ করায় দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (সিমিউই-৫) সংযোগ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে গত ৪ দিন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাহকেরা ইন্টারনেটে ধীরগতি পাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) জানিয়েছে, কাটা পড়া সাবমেরিন কেবল মেরামতের কাজ মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত গড়াতে পারে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছেন বিএসসিপিএলসির মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণ) সাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার মধ্যরাতে ইন্দোনেশিয়ার সমুদ্র এলাকায় সি-মি-উই-৫ কেবলটি কাটা পড়ে। তাদের ওখানে প্রশাসনিক কাজ-কর্মে একটু বেশি সময় নেয়। সব মিলিয়ে তারা জানিয়েছে, আগামী মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহ নাগাদ কাজটি হতে পারে।
সাইদুর রহমান বলেন, এখনো সব বিকল্পগুলো পুরোপুরি কার্যকর করা যায়নি। দেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর সক্ষমতা রয়েছে পুরো ব্যন্ডউইডথ বহনের। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে বাড়তি খরচ দিতে হবে। তবে সেটা এখনো কার্যকর করা যায়নি। আরও কিছু বিকল্প রয়েছে। সেগুলোর কাজ চলছে।
জানা গেছে, দেশে সিমিউই-৫ দিয়ে দেশে ১ হাজার ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়। শুক্রবার রাত ১২টায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলটি সিঙ্গাপুর থেকে ৪৪০ কিলোমিটার পশ্চিম প্রান্তে ‘ব্রেক’ করায় এর পুরোটাই এখন বন্ধ আছে। শুধু আমাদের দেশ নয় পাশাপাশি আরও কয়েকটি দেশে একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। সিমিউই-৪ দিয়ে বিকল্প ব্যবস্থার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৪ এর ল্যান্ডিং স্টেশন কক্সবাজারে। আর দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল সি-মি-উই-৫ ঢুকেছে কুয়াকাটা হয়ে। বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া সি-মি-উই-৫ এর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যান্ডউইথ সি-মি-উই-৪ কেবলে শিফটিং করা হচ্ছে।
হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই পাঠানো যাবে ছবি-ভিডিও-ডকুমেন্ট
বিশ্বজুড়ে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে মেটার হোয়াটসঅ্যাপ। এই অ্যাপের মেসেঞ্জার হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে উপলব্ধ ফ্রিওয়্যার, ক্রস-প্ল্যাটফর্ম, সেন্ট্রালাইজড ইন্সট্যান্ট মেসেজিং এবং ভয়েস-ওভার-আইপি পরিষেবা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের পাঠ্য এবং ভয়েস বার্তা পাঠাতে, ভয়েস এবং ভিডিও কল করতে এবং ছবি, নথি, ব্যবহারকারীর অবস্থান এবং অন্যান্য শেয়ার করতে দেয়। হোয়াটসঅ্যাপের ক্লায়েন্ট অ্যাপ্লিকেশন মোবাইল ডিভাইসে চলে এবং কম্পিউটার থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
তুমুল জনপ্রিয় হওয়ায় একের পর এক ফিচার এনেছে হোয়াটসঅ্যাপ। সম্প্রতি সাড়া ফেলা বেশ কয়েকটি ফিচারের পর এবার অফলাইনে শেয়ারের করার ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই ফিচারের মাধ্যমে আপনি চাইলে ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। গত ২২ এপ্রিল এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মেটার মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ নতুন এক ফিচার নিয়ে কাজ করছে। এই ফিচারের মাধ্যমে অফলাইনে ফাইল ও ডকুমেন্ট ট্রান্সফার করা যাবে। এই সুবিধা আসতে চলেছে শিগগিরই, পরীক্ষা শুরু করে দিয়েছে মেটা।
এতে আরও বলা হয়েছে, অফলাইনে শেয়ার হওয়া ফাইল সম্পূর্ণ অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপটেড থাকবে অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়েও নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন। তা জানতে পারবেন না অন্য কেউ। ব্যভহারকারীদের ভরসা পেতে এনক্রিপট হওয়া খুবই জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। এই ফিচার সম্পর্কিত একটি স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তবে ফিচারের ছোট্ট একটি টুইস্ট রয়েছে। সেটি আবার কী? জানা গেছে, আপনার কাছাকাছি সেই ডিভাইস থাকতে হবে এবং তাতে অফলাইন ফাইল-শেয়ারিং ফিচার চালু থাকতে হবে। তবেই এই ফিচার কাজ করবে। ফাইল শেয়ারিং ফিচার বর্তমানে সব অ্যানড্রয়েড ফোনেই পাওয়া যায়।
যেভাবে হোয়াটসঅ্যাপে ইন্টারনেট ছাড়াই ফাইল ও ছবি শেয়ার করবেন
স্ক্যান করে ব্লুটুথ ও শেয়ার ইট অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত এক ফাইল যেমন এক ফোন থেকে আর এক ফোনে চলে যায়। অফলাইন ফাইল শেয়ারিং ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে কোনো রকম ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না। সেই ফিচার কাজে লাগিয়েই হোয়াটসঅ্যাপের এই সিস্টেম কাজ করবে। এটি অন অথবা অফ ও করা যাবে, তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। হোয়াটসঅ্যাপকে আপনার ফোনের গ্যালারি, ফাইল ও ডকুমেন্ট অ্যাক্সেস করার অনুমতি না দিলে এই ফিচার কাজ করবে না।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ইউজারের নম্বর গোপন থাকবে এবং শেয়ার করা ফাইলগুলো এনক্রিপট করা হবে। ফিচারটি ইউজারদের অনেক ডেটা এবং সময় বাঁচাবে।
বর্তমানে ফিচারটি পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এবং বেটা ভার্সনে চালু হয়েছে। দ্রুত সব অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে ফিচারটি চালু হবে এজন্য অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ সবশেষ ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে।
তথ্য সুরক্ষায় কোলোসিটির হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে দেশের ব্যবসা-শিল্পের প্রযুক্তিগত প্রসারকে আরো গতিশীল করতে কোলোসিটি দেশে প্রথমবারের মতো হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা নিয়ে এসেছে যা মাইক্রোসফট আয্যুর স্টাক হাব এবং ডেল টেকনোলজিস এর ইন্ট্রিগ্রেটেড প্লাটফর্ম।
অ্যয্যুর স্টাক হাব মাইক্রোসফট অ্যয্যুরের এক্সটেনশন সার্ভিস এবং বাংলাদেশে একমাত্র কোলসিটি ডেটাসেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে এই সেবার বিস্তারিত জানানো হয়।
কোলোসিটি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমাদ ইস্পাহানি বলেন, প্রযুক্তির এই যুগে তথ্য সংরক্ষণ ও নিরাপত্তায় ডেটা সেন্টার এবং ক্লাউড পরিসেবার গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে বিশ্বমানের হাইব্রিড ক্লাউড পরিসেবা কোলোসিটি ক্লাউড একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মাইক্রোসফট অ্যযূর স্টাকহাব এবং ডেল টেকনোলজির সমন্বয়ে আমরা বাংলাদেশে বিশ্বমানের একটি হাইব্রিড ক্লাউড সলিউশন নিয়ে এসেছি যা বাংলাদেশে হোস্টেড। সেবাটি বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যবসায়িক পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হবে। কোলোসিটি সেবার মান উন্নয়ন এবং গ্রাহক সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এতে স্থানীয় ব্যবসাগুলো সাশ্রয়ী খরচে ডেটা সুরক্ষিত রেখে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সক্ষম হবে।
কোলোসিটি লিমিটেডের কোলোসিটির বিক্রয় ও বিপণন প্রধান মো. আল-ফুয়াদ বলেন, ইন্টারকানেক্টেড এই বিশ্বে ব্যবসা পরিচায়নায় তথ্যের নিরাপত্তা এবং কমপ্লায়েন্সের গুরুত্বকে অবজ্ঞা করার কোনো সুযোগ নেই। তথ্যের নিরাপত্তা বিধানে সবশেষ প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন সময়ের দাবি।
কোলোসিটি সেই কাজটি করতে দেশে প্রথমবারের মতো মাইক্রোসফট অ্যযূর স্টাকহাব এবং ডেল টেকনোলজির সমন্বয়ে হাইব্রিড ক্লাউড সুবিধা নিয়ে এসেছে যা আর্ন্তজাতিক মানদন্ড মেনে ব্যবসার ডিজিটাল রুপান্তরকে ত্বরাণিত করতে সহযোগিতা করবে।
মাইক্রোসফট অ্যযূর যখন ডেল টেকনোলজির সাথে ইন্টিগ্রেটেড করা হয় তখন সিএস, সিসিএম, পিসিআই ডিএসএস এবং ফেডআরএএমপি’র মতো নিয়ন্ত্রক কাঠামোর জন্য একটি কমপ্লায়েন্ট হোস্টিং অবকাঠামো তৈরি হয়।
তিনি বলেন, সেবার মান যাচাইয়ে ১৫ দিনের ফ্রি ট্রায়াল অথবা পিওসি করার সুযোগ দিচ্ছে কোলোসিটি যা কোনো প্রতিষ্ঠানকে জেনে-বুঝে সিদ্ধান্ত গ্রহনের সুযোগ দেয়।
কোলোসিটি মনে করে, ডেল এবং মাইক্রোসফটের ইন্টিগ্রেটেড এই সেবার মাধ্যমে ব্যবসায়িক আইটি কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরো বাড়াতে কোলোসিটি লিমিটেড এই ক্লাউডের রেপ্লিকা বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলে বসানোর পরিকল্পনা আছে কোলোসিটির।
আয়োজনে ডেল, মাইক্রোসফট, কোলোসিটির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ দেশের প্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কোলোসিটি লি. দেশের প্রথম টায়ার-৩ স্ট্যান্ডার্ড বাণিজ্যিক পাবলিক ডাটা সেন্টার এবং হোস্টিং সলিউশন কোম্পানি যা ২০০৮ সাল থেকে বাংলাদেশে কাজ করছে।
ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি মেটার
তথ্য-প্রযুক্তি খাতে ২০২১ সালের এক আইন কার্যকর করতে চাইছে ভারত সরকার। সে আইন অনুসারে হোয়াটসঅ্যাপকে তার এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন নীতি ভঙ্গ করে ইউজারদের তথ্য ও তাদের বার্তাগুলো দিতে বলা হয়েছে সরকারকে। কিন্তু ভারত সরকারের এ নির্দেশনা মানতে রাজি নয় হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আর তাই তারা আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে দ্বারস্ত হয়েছে আদালতের।
দিল্লি হাইকোর্টে মেটার মুখপাত্র তেজস করিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, আমাদের যদি এনক্রিপশন ভাঙতে বলা হয় তাহলে হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করতে হবে। কারণ, মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে শুধুমাত্র তার গোপনীয়তা নীতির জন্য।
প্রসঙ্গত এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন হলো এমন একটি প্রাইভেসি ফিচার যা অনেক বছর ধরেই হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্যবহারকারীদের দিয়ে আসছে। এটির সুবিধা হল প্রেরক বা সেন্ডার যা পাঠাচ্ছেন তিনি এবং যিনি রিসিভ করছেন অর্থাৎ প্রাপক- এ দুজন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। সেটা মেসেজই হোক কিংবা ছবিই হোক। হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি পলিসিতেও এই ফিচারের উল্লেখ করা হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মে হোয়াটসঅ্যাপকে চ্যাটগুলো ট্রেস করতে এবং বার্তাগুলো যারা পাঠিয়েছেন তাদের শনাক্ত করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এটি তাদের প্রাইভেসি পলিসি বা এনক্রিপশন ব্যবস্থাকে দুর্বল করে। পাশাপাশি ভারতীয় সংবিধানের অধীনে ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা নীতি লঙ্ঘন করে। তাই তারা এই এনক্রিপশন ভাঙতে পারবে না।
কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি হচ্ছে, অনলাইন সুরক্ষা নিশ্চিতে এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট রুখতে মূল ব্যক্তিকে শনাক্ত করা জরুরি। যারা সমাজে ভুয়া তথ্য ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলোর দায়িত্ব। সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, ট্রেস করার জন্য কিছু মেকানিজম বা প্রযুক্তি আনা উচিত। তবে বিষয়টির জটিলতা বুঝতে পেরে প্রাইভেসি ও শনাক্তকরণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কথা জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। ফেসবুক মালিকাধীন এই অ্যাপের ৯০ কোটির বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী রয়েছে ভারতে। সুতরাং, দেশটিতে যদি অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা একটা বড় ঘটনা হবে। অবশ্য, ভারতের বাজার ছাড়ার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি মেটার পক্ষ থেকে।
এসির ‘টন’ কী? কেনার আগে জেনে নিন
তীব্র গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। একটু প্রশান্তি পেতে সামর্থবানরা তো বটেই মধ্যবিত্তরাও মার্কেটে ছুটছেন এয়ার কন্ডিশনার বা এসি কিনতে। এজন্য যেকোনো টনের এসি কিনলেই হবে না। এসি কেনার সময় ঘরের মাপ অনুযায়ী কিনতে হবে। অনেকেই হয়তো এই টনের মানে বোঝেন না। আসলে এই টন এসির সাইজ বা ওজনকে বোঝায় না। ১ টন এসি মানে হলো ১২০০০ বিটিইউ/আওয়ার, ১.৫ টন মানে হলো ১৮০০০ বিটিইউ/আওয়ার, এভাবে বাড়তে থাকে। এক টনের একটি এসি প্রতি ঘণ্টায় ঘর থেকে ১২০০০ বিটিইউ তাপ শোষণ করতে পারে।
দুই টন এসি থাকা মানে প্রতি ঘণ্টায় ২৪ হাজার বিটিইউ তাপ বের করে দেওয়া। আরও সোজা করে বললে, এক টন বরফ এক ঘণ্টায় একটা ঘরের তাপমাত্রা যতটা ঠান্ডা করবে, এক টন এসির কার্যক্ষমতাও একই। তার মানে যত বেশি টন মানের এসি; তত বেশি কুলিং ক্ষমতা। এক টন এসি কথাটা তাই এসির ওজন থেকে নয়, বরং আগের এক টন বরফ গলিয়ে বাতাস ঠান্ডা করার রীতি থেকে এসেছে।
তবে আপনার ঘরের জন্য কত টনের এসি কিনবেন, তা নির্ণয়ের সময় ঘরের আকার জানার পাশাপাশি ঘরটি কততম ফ্লোরে অবস্থিত, সূর্যের তাপ দেয়ালের কোন পাশে লাগে, ঘরে কতজন মানুষ থাকবে, ঘরে কোনো হিটিং জিনিসপত্র যেমন- ওভেন বা আয়রন ব্যবহার করবেন কি না, জানালা, দরজা, পর্দা, সিলিং, ফ্লোর- এসবের হিট কন্ডাকটিভিটি কেমন এসব বিষয় বিবেচনা করতে হবে।
আপনার ঘর যদি ১০০-১২০ স্কয়ার ফুট হয়, সেক্ষেত্রে ১ টন এসি যথেষ্ট। ১২০-১৫০ স্কয়ার ফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন ১.৫ টন এসি, ১৫০-২৫০ স্কয়ার ফুট বা তার বেশি আয়তনের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২ টন ক্ষমতার এসি। আবার ঘর যদি ২৫১-৪০০ স্কয়ার ফিট বা তার চেয়ে বেশি আয়তনের হয় তাহলে ২.৫ টন বা তার থেকে বেশি টন এসি কিনতে পারেন।
এছাড়া অনলাইনে এসি কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ের দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা দরকার। যেমন ডেলিভারি আর ইন্সটলেশন চার্জ কেমন, ওয়ারেন্টি ঠিকঠাক আছে কিনা এগুলো জেনে নেবেন।
এসি ব্যবহারের আগে আরও যা জানা দরকার
দীর্ঘসময় এসি চালানো উচিত নয়। চালাতে হলে মাঝে কিছুক্ষণের বিরতি দিতে হবে। এসির আউটডোর ইউনিট এমন স্থানে রাখতে হবে যেন সেটা গাছ দিয়ে ঢাকা না থাকে। খোলামেলা ও বাতাস চলাচল করে এমন স্থানে রাখবেন এসির বাইরের অংশ। এসি বেশি ব্যবহৃত হলে ৬ মাসে একবার এবং কম ব্যবহৃত হলে বছরে একবার বিশেষজ্ঞ হাতে সার্ভিসিং করাতে হবে।