• ঢাকা বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনায় শারীরিক-মানসিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ঘরবন্দী শিশুরা (ভিডিও)

আতিকা রহমান

  ২৩ এপ্রিল ২০২১, ১১:৪৯
ছবি- আরটিভি নিউজ।

করোনার অতিমারির কারণে এক বছরের বেশি সময় ঘরবন্দী শিশুরা। অভিভাবকরা বলছেন, স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ব্যবহারে আসক্তি বাড়ছে। অন্যদিকে আচরণগত অনেক পরিবর্তনও হচ্ছে। এসময় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাড়িতে শিশুদের সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, তাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ দেয়া যাবে না।

করোনা পরিস্থিতিতে এক বছরের বেশি সময় বন্ধ শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান। সংক্রমণের আশঙ্কা ও দফায় দফায় লকডাউনে অনেকটা গৃহবন্দী, তাই শিশু কিশোরদের মন খারাপের দিন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। কিছু সময় অনলাইনে ক্লাস হলেও স্কুলের পরিবেশ ও বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গ না পাওয়ায় বিষণ্ণতা তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনলাইন ক্লাসের থেকে শারীরিক উপস্থিতির ক্লাস বেশি ভালো লাগে। এখন অনলাইনে সারা দিন ক্লাস করায় মা বলে সারাদিন কেন কম্পিউটারে থাকো। কোনো শিক্ষার্থী বলছেন, আগে তো স্কুলের মাঠে অনেক খেলাধুলা করতাম কিন্তু এখন শুধু বাসাতেই বসে থাকি। এখন ঘরের মধ্যে বন্দী বন্দী লাগে।

অভিভাবকরা বলছেন, দীর্ঘদিন বাড়িতে থেকে পড়াশোনার আগ্রহ কমে যাচ্ছে এবং রাগ-ক্ষোভ আচরণগত সমস্যাও তৈরি হচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিভাবকরা বলছেন, অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে সাংস্কৃতিক-শারীরিক চর্চা কোনো কিছুই হচ্ছে না। এখন শুধু বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চায়। ছেলে-মেয়েদের মোবাইল ও ইন্টারনেট আসক্তি এত বেশি যে আমাদের কাউন্সিলিংয়ে কাজ হয় না তাদের।

অনেক নবজাতক জন্মের পর থেকেই বাড়িতে বন্দী। কোমলমতি শিশুদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা হচ্ছেনা। বাহিরের পরিবেশও তাদের কাছে অচেনা। এ পরিস্থিতিতে শিশুদের সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা।

অভিভাবকরা এ বিষয়ে বলছেন, সন্তান জন্মের কিছুদিন পরই লকডাউন হয়ে যায়। যে কারণে যাদের সঙ্গে ওর দেখা হওয়ার কথা ছিল তাদের কারো সঙ্গে দেখা হয়নি। এখন বাচ্চাকে বাইরে নিয়ে গেলে খুব খুশি হয়। আবার যখন অনেক বেশি মানুষ দেখে তখন নিজেকে গুটিয়ে নেয় সে।

শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘসময় বাড়িতে থাকায় শিশুদের মানসিক গঠনে নেতিবাচক প্রভাব পরছে। তারা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠছে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলছেন, সবকিছু ভুলে তাদের মানসিক বিকাশের যে জায়গাটি তা একটু বিপন্ন হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে উদ্বিগ্নতা, আতঙ্ক, বিষণ্ণতা, হতাশা এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে আচরণগত সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সন্তানের ভালো লাগা, মন্দ লাগা বাবা-মাকে বুঝতে হবে। সন্তানকে কখনোই পড়ালেখার জন্য চাপ দেয়া যাবে না। সন্তানের সঙ্গে কোনো দুর্ব্যবহার করা যাবে না।

এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের কৌশলী আচরণ করতে হবে। ঘরের মধ্যে সংস্কৃতি চর্চা ও সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। এছাড়া শিশুদের স্বাস্থ্যবিধি মানা ও নতুন পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হতে অভিভাবকদের পরামর্শ দিলেন এই বিশেষজ্ঞ।

এসআর/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • স্বাস্থ্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে চাষের কাজ 
‘আর্থিক খাতের দুর্বলতা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করছে’
X
Fresh