• ঢাকা সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

নোবিপ্রবির ২ হলে ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

নোবিপ্রবি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১০ মে ২০২৪, ২১:০৪
নোবিপ্রবির ২ হলে ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধ, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
ছবি : আরটিভি

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ডাইনিং ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে হলগুলোর আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

হল সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাস থেকে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের ডাইনিং বন্ধ রয়েছে। ফলে দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস যাবৎ ডাইনিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে হলের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ঈদের বন্ধের পর শিক্ষার্থীরা হলে আসলেও এখনও খোলা হয়নি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ক্যান্টিন। ফলে হলটির অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে খাবারের জন্য অনিশ্চয়তায় থাকতে হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে বেশ কিছু খাবারের দোকান থাকলেও ক্যাম্পাসে মিলছে না মানসম্মত খাবার। তার ওপর উচ্চ দামে বিক্রি করছে খাবারগুলো।

আবাসিক হলগুলোতে ভর্তুকি না থাকা ও ক্যাম্পাসের উচ্চ দামে খাবার বিক্রি প্রশাসনের অবহেলার জন্যই হচ্ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।

শহীদ আব্দুস সালাম হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের বাধ্য হয়েই কাম্পাসের আশেপাশের টং দোকান থেকে উচ্চমূল্যে খাবার কিনে খেতে হচ্ছে। অতিরিক্ত তেল মসলায় রান্না করা এসব খাবার দেখভাল করারও কেউ নেই। ফলে শিক্ষার্থীরা রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। এ ছাড়াও খাবার নিয়ে বাড়তি ঝামেলার কারণে প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনায়। পরীক্ষা বা ডিপার্টমেন্টের একাডেমিক চাপের সময় খাওয়া যেনো এক দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, ছেলেদের হলের ডাইনিং বন্ধ থাকলেও তারা মন্দের ভালো হিসেবে যখন তখন গিয়ে পকেট গেইটের টংগুলোতে খাবার পেতে পারেন। কিন্তু বিপাকে পড়তে হয় ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের। হল থেকে পকেট গেইটের দূরত্ব বেশি হওয়ায় চরম ভোগান্তি হয় তাদের। অনেক সময় না খেয়েও দিন পার করতে হয় বলে জানান তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় আমাদের নানা রকম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এই গরমে বাইরে বেশির ভাগ সময়েই কারেন্ট থাকেনা। বাইরের খাবারে চড়া মূল্য গুণতে হয় আমাদের। বিগত রমজানে সেহরি খাওয়ার জন্য রাতের বেলা হলের বাইরে গিয়ে টং দোকানে গিয়ে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।’

উচ্চ মূল্যের বিনিময়ে প্রায় সময় পচাবাসি খাবার জুটে, দ্রুত প্রশাসনের তদারকিতে শিক্ষার্থী বান্ধব ডাইনিং চালুর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এ শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বঙ্গবন্ধু হলের চতুর্থ বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ঈদের বন্ধের পর থেকে হলের ক্যান্টিন বন্ধ। আমরা যারা রান্না করে খাই না, তাদের তিন বেলা খেতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পরীক্ষা থাকাকালীন সেই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। পরীক্ষার সময় খাবারের জন্য টেনশন করতে গেলে একাডেমিকভাবে প্রভাব পড়ে যায়। তাই দ্রুত ক্যান্টিন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

হলের ডাইনিংয়ের সার্বিক বিষয়ে ভাষা শহীদ আব্দুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. কাউসার হোসেন বলেন, ‘হলের ডাইনিং আগে শিক্ষার্থীরাই চালাতো। দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা চালাতে পারছে না। এখন বাইরের কাউকে দিয়ে চালানো যায় কি না সে চেষ্টা আমি অব্যাহত রেখেছি।’

আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি।

ক্যান্টিন খোলার বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. অবন্তি বড়ুয়া বলেন, ‘ক্যান্টিনের দায়িত্ব নতুন একজনকে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ তারিখ ক্যান্টিন পুনরায় চালু হবে। শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্য হলের নোটিশ বোর্ডে তা দেওয়া হয়েছে।’

ড. অবন্তি বড়ুয়া আরও বলেন, ‘আমাদের হলের ফেসবুক পেইজে বলা হয়েছে- কারও খাবার লাগলে যেন হল অফিসে যোগাযোগ করা হয়। তাহলে খাবার এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু কেউ এখনও যোগাযোগ করেননি।’

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ প্রদান
পোষা প্রাণী না রাখতে নোবিপ্রবির বঙ্গমাতা হল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা
পানি সংকটে নাজেহাল নোবিপ্রবির আবাসিক শিক্ষার্থীরা
নোয়াখালীতে পাওয়ার টিলারের চাপায় শিশুর মৃত্যু
X
Fresh