• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২

শাবিপ্রবি সংবাদদাতা, আরটিভি নিউজ

  ০৮ মার্চ ২০২৪, ২২:৫৮
শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২
ছবি : প্রতিনিধি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুইজন আহত হয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেলে শাখা ছাত্রলীগের মামুন শাহের গ্রুপের সঙ্গে খলিল-সজিব-সুমন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‍নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী আরিফ ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশফাকুর।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২১-২২ ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ওই ব্যাচের মেসেঞ্জর গ্রুপে পরিসংখ্যানের বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগ নেতা মামুন শাহ’র সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক অযাচিত মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইশতিয়াককে শাহপরাণ হলে ডাকেন শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী শান্ত তারা আদনান, সামাজিক অনুষদ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন মিয়ার অনুসারী দীপ্ত, ছাত্রলীগ নেতা ফারহান রুবেলের অনুসারী ওতি এবং সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী সাইমন প্রমুখ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।

‘মীমাংসার জন্য বসলে ওই হলের অতিথি কক্ষে মামুন শাহ’র সমর্থক ও ইংরেজী বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৈমুর সালেহীন তাউসের সঙ্গে খলিল ও সজীব গ্রুপের সিনিয়রদের তর্কতর্কি বাধে। পরবর্তীতে বেলা ৫টার দিকে খলিলুর রহমানসহ কয়েকটি গ্রুপের সমর্থকরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে গেলে মামুন শাহ’র সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের মধ্য ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে মামুন শাহ’র দুজন সমর্থক আহত হন।

এ বিষয়ে মামুন শাহ’র সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক বলেন, ব্যাচের নামকরণ পছন্দ না হওয়াতে আমি কথা বলেছিলাম। পরে শান্ত তারা আদনান আমাকে শাহপরাণ হলে ডেকে নিয়ে শাসিয়েছে ও সিনিয়রদেরকে নিয়ে আমাকে মারতে গেছিল। পরে আমি আমার গ্রুপের ভাইদের জানাই। তারা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়েও আদনানরা ঝামেলা করেছে।

এ বিষয়ে খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান বলেন, ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে মীমাংসার উদ্দেশ্যে বসা হয়। সেখানে সেটা মীমাংসাও হয়। কিন্তু পরে ইশতিয়াক তার গ্রুপের সমর্থকদের নিয়ে ঝামেলা বাধায়। সংঘর্ষের সময় আমার হাতে কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল না।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে তারা মীমাংসার জন্য বসেছিল। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে। প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের সিনিয়ররা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা মামুন শাহ’র মুঠোফোনে কল দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ব্যাচের নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রভোস্টবডির সদস্যরা প্রশাসনের সঙ্গে বসেছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • শিক্ষা এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার্থীদের সেবায় ববি ছাত্রলীগ 
দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
গুচ্ছ পরীক্ষায় ‘এ’ ইউনিটে শাবিপ্রবিতে উপস্থিতি ৮৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ
বাগেরহাটে ট্রাক-ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩
X
Fresh