• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

জান্নাতি মানুষের ৮ বৈশিষ্ট্য

আরটিভি নিউজ

  ২২ মার্চ ২০২৪, ১০:১৯
ছবি : সংগৃহীত

দুনিয়াতে জান্নাতিরা প্রবাসীর মতোই। হাদিসে প্রিয়নবী (স.) দুনিয়াকে মুমিনের জেলখানা বলে আখ্যায়িত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘পৃথিবী মুমিনের জেলখানা এবং কাফেরের জন্য জান্নাত।’ (ইবনে মাজাহ: ৪১১৩) প্রকৃত মুমিন সর্বদা নেক কাজ করে এবং অন্যকেও সে নেক কাজের প্রতি উৎসাহিত করে। এখানে জান্নাতি মানুষের বিশেষ গুণাবলী তুলে ধরা হলো।

সুরা রা’দের ২০-২২ নং আয়াতে আল্লাহ সুবানাহু ওয়াতাআলা উলুল আলবাব বা জ্ঞানী মুমিনদের আটটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করেছেন।

১. আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার রক্ষা করা, ২. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা, ৩. আল্লাহকে ভয় করা, ৪. পরকালের বিশ্বাস ও ভয় থাকা, ৫. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য ধারণ করা, ৬. নামাজ আদায় করা, ৭. প্রকাশ্যে ও গোপনে সদকা করা, ৮ ভালোর মাধ্যমে মন্দের প্রতিরোধ করা।

আল্লাহ তাআলা বলেন, তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তা যে ব্যক্তি সত্য বলে জানে সে, আর অন্ধ কি সমান? উপদেশ গ্রহণ করে শুধু বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন ব্যক্তিরাই। যারা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করে এবং প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে না। আর আল্লাহ যে সম্পর্ক অটুট রাখতে আদেশ করেছেন যারা তা অটুট রাখে, ভয় করে তাদের রবকে এবং ভয় করে কঠোর হিসাবকে । আর যারা তাদের রবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য ধৈর্য ধারণ করে, নামাজ আদায় করে, আমি তাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যারা ভাল দ্বারা মন্দ দূর করে তাদের জন্য শুভ পরিণাম। (সুরা রা’দ: ১৯-২২)

যে জাতি নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে না, আল্লাহও তাদের অবস্থা পরিবর্তন করেন না। মানুষ ইতিবাচক পরিবর্তনের চেষ্টা করলে আল্লাহ সেই চেষ্টায় সাহায্য করেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ কোনো জাতির অবস্থা ততক্ষণ পরিবর্তন করেন না, যতক্ষণ না তারা নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। আর যখন আল্লাহ কোন জাতির মন্দ চান, তখন তা প্রতিহত করা যায় না এবং তাদের জন্য তিনি ছাড়া কোন অভিভাবক নেই। (সুরা রা’দ: ১১)

অন্তরে শান্তি ও স্বস্তি পেতে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করতে হবে। আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে অন্তর প্রশান্ত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়; জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়। (সুরা রা’দ: ২৮)

দুনিয়ায় জালিমরা অনেক সময় কিছু কালের জন্য ছাড় পায়। কিন্তু তাদের শেষ পরিণতি কখনও ভালো হয় না। আল্লাহ জালিমের জুলুম সম্পর্কে বেখবর নন। দুনিয়ায় না হলেও পরকালে তারা তাদের কাজের পরিণতি ভোগ করবেই।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আর জালিমরা যা করছে, আল্লাহকে তুমি সে বিষয়ে মোটেই গাফেল মনে করো না, আল্লাহ তো তাদের অবকাশ দিচ্ছেন, ওই দিন পর্যন্ত যে দিন চোখসমূহ পলকহীন তাকিয়ে থাকবে। (সুরা ইবরাহিম: ৪২)

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘ইসলাম চর্চা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে জনতা বসে থাকবে না’
যে ১০টি প্রাণীর বিচিত্র বৈশিষ্ট্য অবাক করবে আপনাকে
‘পাঠ্যবইয়ে ঈমান ও আকিদাবিরোধী কিছু থাকবে না’
দেশকে রক্ষা করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব : নুর
X
Fresh