• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

যেসব জিকিরে সহজ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ

আরটিভি নিউজ

  ০৮ মার্চ ২০২৪, ১৭:৩২
যেসব জিকিরে সহজ হয় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ
ফাইল ছবি

জিকির মানে আল্লাহ তা'আলার স্মরণ। আর আল্লাহকে স্মরণই হচ্ছে যাবতীয় ইবাদতের প্রধান ও অন্যতম লক্ষ্য।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা'আলা কোরআনে কারিমে ইরশাদ করেন, ‘আর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠ। তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন। ’ -সূরা আনকাবুত ৪৫

পবিত্র কোরআনে কারিমের অন্যত্র আল্লাহ তা'আলা আরও ইরশাদ করেন, ‘এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও অধিক স্মরণকারী নারী- এদের জন্য আল্লাহ রেখেছেন ক্ষমা ও মহা প্রতিদান। ’ -সূরা আহজাব ৩৫

তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত বেশি বেশি আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের জিকির করা। জিকির বিষয়ে অভিজ্ঞ আলেমরা বলেছেন, নিম্নে উল্লেখিত জিকিরগুলো নিয়মিত আদায় করলে মৃত্যুর পর জান্নাতপ্রাপ্তি ও আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হয়।

জিকিরগুলো হলো-

এক. প্রতিদিন ১০০ বার করে ‘সুবহানাল্লাহ’ পাঠ করলে ১ হাজার সওয়াব লেখা হয় এবং ১ হাজার গুনাহ ক্ষমা করা হয়। -সহিহ মুসলিম ৪২০৭৩

দুই. ‘আলহামদুলিল্লাহ’র জিকির মিজানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং এটা সর্বোত্তম দোয়া। - তিরমিজি ৫৪৬২ ও ইবনে মাজা ২১২৪৯

তিন. ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ সর্বোত্তম জিকির। -তিরমিজি ৫৪৬২ ও ইবনে মাযা ২১২৪৯

চার. ‘সুবহানাল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ; ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার’ এই বাক্যগুলো আল্লাহতায়ালার নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী করিম (সা.) বলেন, পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের তুলনায় আমার নিকট অধিক প্রিয়। -সহিহ মুসলিম ৩১৬৮৫ ও ৪২০৭২

পাঁচ. যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি’ প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ (সগিরা) গুনাহ থাকলেও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। -সহিহ বোখারি ৭১৬৮

ছয়. নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লিল আজিম’ এই কালেমাগুলো উচ্চারণে খুব সহজ, মিজানের পাল্লায় ভারী ও দয়াময় আল্লাহতায়ালার নিকট অতি প্রিয় । -সহিহ বুখারি ৭১৬৮

সাত. যে ব্যক্তি ‘সুবহানাল্লাহিল আজিমি ওয়াবিহামদিহি’ পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতি) খেজুর গাছ রোপন করা হবে । -তিরমিজি ৫৫১১

আট. নবী করিম (সা.) বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধনসমূহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। -সহিহ বুখারি ১১২১৩

নয়. নবী করিম (সা.) বলেন, ‘সুবহানাল্লাহ ওয়ালহামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ’- এই কালেমাগুলো হচ্ছে অবশিষ্ট নেকআমলসমূহ। -আহমাদ ৫১৩

দশ. হজরত নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার প্রতি দশবার রহমত বর্ষণ করবেন। ইসলামি স্কলারদের অভিমত হলো, দরুদের মধ্যে সর্বোত্তম দরুদ হচ্ছে দরুদে ইব্রাহীম (সালাতের মধ্যে যে দরুদ পাঠ করা হয়)। এছাড়া ‘সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম’ পাঠ করলেই দরুদ পাঠের বরকত পাওয়া যায়।

নবী করিম (সা.) আরও বলেন, যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সুপারিশ পাবে। -আত-তারগিব ওয়াত তারহিব ১২৭৩

ওপরে বর্ণিত ফজিলত ও প্রতিশ্রুত পুরস্কারসমূহ অর্জন করার অভীষ্ট লক্ষ্যে প্রত্যেক মুসলমানের উচিত উল্লেখিত জিকিরগুলো নিয়মিত আদায় করা।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অন্যান্য এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
যে কারণে আল্লাহ বৃষ্টি বন্ধ করে দেন
শাওয়াল মাসের ৬ রোজার ফজিলত
আল্লাহকে ভয় করে এমন জীবনসঙ্গী খুঁজছেন নোরা ফাতেহি
লাইলাতুল কদরে যা করণীয়
X
Fresh