রানার জামিন আবেদন খারিজ, সাজার বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর
দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার (নন-সাবমিশন) মামলায় সাভারের আলোচিত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে, আদালত এই মামলায় সোহেল রানার ৩ বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য মঞ্জুর করেছেন।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি আবু বক্কর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এই মামলায় রানাকে নিম্ন আদালতের দেয়া ৩ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল মান্নান মোহন এবং সোহেল রানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম।
গেলো ২৯ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাকে তিন বছর কারাদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার নিজের, তার স্ত্রী ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের স্বনামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ ও দায়দেনার উৎস এবং তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী চেয়ে ২০১৩ সালের ২২ মে সম্পদ বিবরণী নোটিশ ইস্যু করে দুদক।
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপারের মাধ্যমে রানার নামের সম্পদ বিবরণী নোটিশ পাঠানো হয়। ওই বছরের ৪ এপ্রিল রানা নিজে স্বাক্ষর করে সম্পদ বিবরণী নোটিশ গ্রহণ করেন। ২৬ এপ্রিল তা পূরণ না করেই দুদকে পাঠানো হয়।
দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল না করার এ অপরাধে ওই একই বছরের ২ মে কমিশনের উপ-পরিচালক মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় একটি মামলাটি করেন।
এরপর ২০১৬ সালের ১ জুন মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০১৭ সালের ২৩ মার্চ সোহেল রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় আট সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এতে ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোরে বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত বহু পোশাক শ্রমিক নিহত হন। বহু আহত ও পঙ্গু হন।
জেএইচ
মন্তব্য করুন