• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo

করোনাভাইরাস: মাস্ক থেকে বাড়ছে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২৫ মার্চ ২০২০, ১৮:১৭
করোনাভাইরাস: মাস্ক থেকে বাড়ছে বিপদ, বলছেন বিশেষজ্ঞরা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় হঠাৎই মাস্ক ব্যবহারের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে গেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও এখন পর্যন্ত পাঁচ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এই শঙ্কা আরও জাঁকিয়ে বসেছে। আর এতেই মাস্ক ব্যবহারের ঝোঁক বেড়েছে।

আক্রমন ঠেকাতে কী কী ব্যবহার করছে মানুষ?

রাস্তাঘাটে বের হলে বেশির ভাগ মানুষের মুখে যে সব মাস্ক দেখা যাচ্ছে, তার তালিকায় রয়েছে:

• এন৯৫ মাস্ক
• তিন স্তর বিশিষ্ট ডিসপোজাল সার্জিক্যাল মাস্ক
• গেঞ্জি কাপড় ও স্পঞ্জের মাস্ক
• কাপড়ের তৈরি মাস্ক
• ওড়না বা রুমাল বেঁধে মাস্কের মতো ব্যবহার

লাভ হচ্ছে কি?
আসলে, কোনও কাজের কাজ হবে না এতে। জানিয়েছেন, মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী। তার সঙ্গে সহমত করেছেন বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনগুপ্তও। ভায়ারোলজিস্ট সুশ্রুত বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই বিষয়ে সম্পূর্ণ একমত। তাদের মতে, এই ধরনের ভাইরাস কখনওই মাস্ক দিয়ে ঠেকানোর নয়।

তাহলে কি কেউ মাস্ক পরবেন না?

কারা কারা পরবেন, আর কারা পরবেন না, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানালেন মেডিসিন ও সংক্রামক অসুখের বিশেষজ্ঞ অমিতাভ নন্দী।

• এন৯৫ মাস্ক একমাত্র তখনই প্রয়োজন, যদি কেউ সরাসরি রোগীর কাছে থাকেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা তা ব্যবহার করবেন, যারা রোগীর এক মিটারেরও কম দূরত্বে দীর্ঘক্ষণ থাকবেন।

• সার্জিক্যাল বা অন্য ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে কোনও কাজে দেয় না। তবে যাদের সর্দি-কাশি হচ্ছে, তারা এই সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। সেটা নিজের জন্য নয়, অন্যের শরীরে রোগ না ছড়ানোর সচেতনতা থেকে।

• অন্য কোনও ধরনের মাস্ক আর কোনও কাজে আসে না।

বার বার মাস্কে হাত দিলে তা আরও ক্ষতি ডেকে আনে।

ডাস্ট অ্যালার্জি থাকলেও মাস্ক পরে লাভ নেই?

ধুলো থেকে বাঁচতে এই সব সাধারণ মাস্ক কোনও কাজে আসে না। এই সব মাস্ক ধুলোর ক্ষুদ্র কণাকে আটকাতে পারে না। আর ধুলোর সঙ্গে করোনার কোনও সংযোগ নেই। এটা বায়ুবাহিত রোগের তালিকাতেও পড়ে না। কেউ ধুলো এড়াতে মাস্ক পরতে চাইলে তারা সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন।

মাস্কে রিস্ক ফ্যাক্টর কী কী?

• এন৯৫ মাস্কের মাধ্যমে ৯৫ শতাংশ ভাইরাস মরে। কিন্তু এই মাস্ক সব সময় পরে থাকা যায় না। একটানা ১০ মিনিট পরে থাকলেও নানা সমস্যা হয়। নাক-কানে চাপ পড়ে। কানে ব্যথা হয়। একটা সময়ের পর দমবন্ধ লাগে। তাই এই মাস্ক পরলে বার বার তা নামিয়ে রাখতে বাধ্য হন মানুষ। কখনও কখনও নাকে-মুখে হাত দিয়ে তা ঠিক করতে হয়। এতেই ক্ষতি বাড়ে।

• আর কোনও ধরনের মাস্ক এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগে না। তা ছাড়া যে কোনও মাস্কই গরম লাগার পর খুলে ফেলছেন অনেকে। এতেও হাত লাগছে মাস্কে।

• মাস্ক পরার পর মাঝেমধ্যেই তা ঠিক করতে তাতে হাত দিচ্ছেন সবাই। এতে হাতের জীবাণু মাস্কে যাচ্ছে। মাস্কের উপরিভাগের জীবাণু মিশছে হাতে। ফলে কাজের কাজ তো হচ্ছেই না, বরং ক্ষতি বাড়ছে। সূত্র: আনন্দবাজর

এস

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
‘আমি যেমন চিকিৎসকের মন্ত্রী, ঠিক তেমনি রোগীদেরও মন্ত্রী’
লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
আমাদের স্বাস্থ্য খাতে ভালো কাজ হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তরুণদেরকে উদ্যোক্তা হওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
X
Fresh