• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছাতে জর্জিয়ার ক্যাটসখি স্তম্ভের গির্জায় যান সন্ন্যাসীরা

লাইফস্টাইল ডেস্ক, আরটিভি অনলাইন

  ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:১৮
জর্জিয়া, ক্যাটসখি স্তম্ভ
ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন

জর্জিয়ার রাজধানী তিবলিসি থেকে ২০০ কিলোমিটার পশ্চিমে ইমেরেতি অঞ্চলের ক্যাটসখি স্তম্ভে অবস্থিত গির্জায় যাওয়া যেকোনো মানুষের জন্য অত্যন্ত আনন্দের। ৪০ মিটারের বেশি উচ্চতায় অবস্থিত গির্জাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্জন ও পবিত্র গির্জা বলে মনে করা হয়। খবর যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএনের।

অবশ্য এখানে যাওয়া সহজ কোনও ব্যাপার নয়। এখানে ট্রেনে যাওয়া সম্ভব নয়। শুধু কার বা বাসে এখানে যাওয়া সম্ভব। তবে পথের শেষে স্তম্ভটির কাছাকাছি পৌঁছাতে ২০ মিনিট পায়ে হেঁটে যেতে হয়। স্তম্ভটির কাছাকাছি পৌঁছে ডানদিকে তাকাতেই চোখে পড়ে একটি আশ্রম এবং একটি ভজনালয়।

বামদিকে দাঁড়িয়ে আছে মন্ত্রমুগ্ধকর ৪০ মিটারের বেশি উচ্চতার পবিত্র স্তম্ভটি। চুনাপাথরের স্তম্ভটির ওপরে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শতকে একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। এটি সপ্তম শতকের সন্ন্যাসী ম্যাক্সিমাস দ্য কনফেসরের নামে উৎসর্গ করা হয়। এখানে একটি সমাধি কক্ষ এবং একটি মদের ভাণ্ডার আছে।

এছাড়া একটি পর্দা প্রাচীর এবং তিনটি নির্জন কক্ষ আছে এখানে। স্তম্ভটির পাদদেশে বসবাসকারী সন্ন্যাসীরা চিকন ধাতুর তৈরি মইয়ের সাহায্যে প্রতিদিন ওপরে ওঠেন। এক্ষেত্রে তাদের প্রায় ২০ মিনিট সময় লাগে। তারা স্তম্ভটির ওপরের গির্জায় প্রার্থনার সময় ঈশ্বরের কাছাকাছি পৌঁছান বলে মনে করেন।

স্তম্ভটির ওপরে ১৯৯৫ সালে একটি নতুন গির্জা নির্মাণ করেন ফাদার ম্যাক্সিম কাভতারাদজে নামের এক সন্ন্যাসী। তিনি স্তম্ভটির ওপরে বসবাস করা শেষ সন্ন্যাসী। তিনি তার জীবনের ২০ বছর এখানে কাটিয়েছেন। যেসব সন্ন্যাসী ২০১৫ সাল পর্যন্ত স্তম্ভটির ওপরে উঠেছেন, তারা তার সাক্ষাৎ পেয়েছেন।

ছবি: যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন

স্তম্ভটির পদদেশে থাকা সন্ন্যাসীরা প্রতিদিন ৪০ মিটার উঁচুতে উঠে প্রার্থনা করাকে ঈশ্বরের কাছে নিজেদেরকে সমর্পণের সবচেয়ে ভালো উপায় বলে মনে করেন। এখন শুধু স্থানীয় সন্ন্যাসীদেরকে স্তম্ভটির ওপরে ওঠার অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়া কোনও নারীকে এই গির্জায় যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয় না।

আশ্রমটির প্রধান ইলারিয়োন সিএনএন ট্র্যাভেলকে জানান, ২০১৮ সাল থেকে স্তম্ভটির ওপরের গির্জাটিতে জনসাধারণ ও পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন জর্জিয়ান অর্থোডক্স চার্চের আধ্যাত্মিক নেতা দ্বিতীয় প্যাট্রিয়ার্ক ইলিয়া। তার এক নির্দেশনায় বলা হয় শুধু সন্ন্যাসীরা এই গির্জায় প্রবেশ করতে পারবেন।

তিনি বলেন, দশম ও একাদশ শতকে সন্ন্যাসীরা গির্জাটিতে বসবাস শুরু করেন। তারা স্তম্ভটির ওপরেই বসবাস করতেন। এখন সেখানে কেউ বসবাস করেন না। আমরা সেখানে গিয়ে প্রার্থনা করে আশ্রমের ফিরে আসি। স্তম্ভটি নিয়ে অনেক ভুল তথ্য প্রচলিত আছে। মানুষকে সঠিক তথ্য জানানো গুরুত্বপূর্ণ।

স্তম্ভটির ওপর ওঠা জনসাধারণ ও পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের জন্য দৃষ্টিনন্দন ক্যাটসখি কমপ্লেক্স উন্মুক্ত আছে। দেশটির সরকার ২০০৯ সালে আশ্রম ও আশেপাশের কমপ্লেক্স সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এখন ক্যাটসখি কমপ্লেক্সে একটি নতুন পর্যটক কেন্দ্র এবং একটি ছোট স্যুভেনির শপ আছে।

কে/এমকে

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
ব্রিটেনে গির্জাকে ১০০ বিলিয়ন পাউন্ড ‘জরিমানা’
বুরকিনা ফাসোতে গির্জায় বন্দুকধারীদের হামলা, নিহত ১৫
ভ্যালেন্টাইন’স ডে এলো যেভাবে
শেখ হাসিনাকে দ. আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট ও জর্জিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
X
Fresh