ঘূর্ণিঝড় পরবর্তীতে ত্বকে অ্যালার্জি? নিয়ম মেনে সুস্থ থাকুন

প্রাকৃতিক বিপর্যয় কেবল জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে এমনই নয়। এর প্রভাবে ত্বকে সংক্রমণ হবারও সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের ধুলোবালি, বৃষ্টি থেকে ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি বা অ্যালার্জি হয়।

কোনও সাইক্লোনের সময়ে ও সাইক্লোনের পরে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধুলো ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিকের কণা ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন জিনিসপত্র বা পুরনো বাড়ি ইত্যাদি ভেঙে তার গুঁড়ো বাতাসের ধুলোর সঙ্গে মিশে মানুষের ত্বকের সংর্স্পশে এলে অ্যালার্জি হয়। সংক্রমণ ঘটে।

বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসা রাসায়নিকের জেরে যে অ্যালার্জি হয় তাকে এয়ার বর্ন অ্যালাজি বলা হয়। বৃষ্টির জমা পানি ত্বকের সমস্যার অন্যতম কারণ। জমে থাকা নোংরা পানি পায়ে লাগলে ইনফেকশন র্পযন্ত হতে পারে। সেনসিটিভ ত্বক যাদের তাদের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।

এছাড়া ঝড়ে গাছপালা ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন গাছের পাতা, ফুল ও ডালের অংশ ত্বকের সংর্স্পশে এলে তার থেকেও অনেকের ত্বকে নানা সমস্যা হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে আরও কিছু নিয়ম। কিন্তু ত্বকের সমস্যা এড়াতে নিজেকেই সচেতন হতে হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যে পরার্মশ দিয়েছেন তা তুলে ধরা হলো-

• ঝড়ের সময় নাকে-মুখে ধুলোবালি লেগে বিভিন্ন অ্যালার্জি হতে পারে। আর ঝড়ের পরেও যতটা সম্ভব ঢাকা পোশাক পরতে হবে। নাকে প্রয়োজনে মাস্ক পরে বের হতে হবে।
• আশেপাশে গাছপালা বা বাড়ি ভেঙে পড়লে তার সংর্স্পশে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। এর থেকেও ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
• ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিলে ঝড় শেষ হলেও জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখুন। যাতে ধুলো না ঢুকতে পারে। অনেক সময় বাতাসে ঝড়ের জীবাণু থেকেই যায়।
• পায়ে নোংরা পানি বা কাদা লাগলে গরম পানিতে পা ডুবিয়ে রাখুন। নখের ভেতরে নোংরা জমছে কি না দেখে ভালো করে পরিষ্কার করুন।
• কখনও নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনও কোনও মলমও ব্যবহার করবেন না। অনেক মলম ও ওষুধে স্টেরয়েড থাকে। সে সব এড়িয়ে চলুন।

এমকে