ইফতারে হালিম কতটা স্বাস্থ্যসম্মত?
রোজার মাসে অনেকেরই প্রিয় খাবার হালিম। এমন অনেক মানুষ আছেন, ইফতারে তাদের হালিম ছাড়া চলেই না। হালিম সাধারণত পুরান ঢাকাবাসীর ঐতিহ্যবাহী খাবার, তবে সে গণ্ডি পেরিয়ে সারাদেশেই বেড়েছে মুখরোচক এ খাবারের কদর। তবে সারাদিন রোজা রাখার পর উচ্চ প্রোটিনযুক্ত এ খাবারটি শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
নানান পদের ডাল, মাংস ও বিভিন্ন রকমের মশলার সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় এ খাবারটি। খেতে সুস্বাদু হওয়ায়, মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণির মানুষের কাছে রয়েছে এ খাবারটির সমান কদর। নানান মশলার ব্যবহার এবং রান্নার কৌশলের ভিন্নতার কারণে দোকান ভেদে এ খাবারটির স্বাদও হয় ভিন্ন।
ইতিহাসবিদদের মতে, মোঘলদের হাত ধরেই আমাদের দেশে এ খাবারের প্রচলন শুরু হয়েছে। রান্না শেষে ধনিয়া পাতা, আদা কুচি, ভাজা পেঁয়াজ ও বিট লবণ দিয়ে, পরিবেশন করা হয় এ খাবারটি। পাত্রের আকার ভেদে দেড়শ’ থেকে হাজার টাকায় বিক্রি হয় হালিম। দাম কিছুটা বেশি হলেও কমতি নেই ক্রেতাদের।
রাজধানীর স্টার কাবাবে পুরাণ ঢাকা থেকে হালিম কিনতে আসা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইফাত শাহরিয়ার আরটিভি নিউজকে বলেন, হালিম আমাদের পারিবারিক ঐতিহ্য। রমজানে হালিম ছাড়া আমাদের চলেই না।
হালিম কিনতে আসা আরেক ক্রেতা বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা হালিমা আজাদ বলেন, আমরা সব খাবার বাসায় তৈরি করি। তবে বাসায় হালিম তৈরি করলে দোকানের সেই স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই মাঝে মাঝে দোকানের হালিম খাওয়া হয়।
বিভিন্ন রকম ডাল ও মাংস দিয়ে তৈরি করা হয় বলে, ইফতারে পুষ্টির চাহিদা পূরণে সক্ষম হালিম। তবে সারাদিন রোজা থাকার পর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায়, খাবারটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সাজেদা ফাউন্ডেশনের ডায়েট ও নিউট্রিশন বিভাগের কো -অর্ডিনেটর ইসরাত জাহান বলেন, হালিম উচ্চ প্রোটিন্যুক্ত খাবার হওয়ায় ইফতারে এ খাবারটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। তবে আমাদের মাথায় রাখতে হবে যেদিন আমাদের মেন্যুতে হালিম থাকবে সেদিন যেনো অন্যান্য তৈলাক্ত খাবার না থাকে।
তিনি বলেন, কিডনী ও ডায়াবেটিস রোগীদের এ খাবারটি না খাওয়া ভালো। তবে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সপ্তাহে একবার মুরগি দিয়ে তৈরি হালিম খেতে পারবে।
আরএস/ এমকে
মন্তব্য করুন