• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

সহকর্মীর সঙ্গে ব্যবহারে কোন দিকগুলো মেনে চলা উচিত

লাইফস্টাইল ডেস্ক

  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৪:২২

এক সঙ্গে কাজ করতে করতে গিয়ে কোনো এক সময় সহকর্মীরা খুব আপন হয়ে যায়। কিন্তু চাইলেই কী তাদের সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করা যায়? অবশ্যই নয়।

ব্যবহারের কোন দিকগুলো মেনে চলা উচিত জেনে নিন-

১. উচ্চস্বরে কথা বলবেন না: কর্মক্ষেত্রে চিৎকার করা কিংবা খুব উচ্চস্বরে কথা বলার প্রয়োজন নেই। সেখানে ধীরে এবং স্পষ্টভাবে কথা বলুন।

২. পেশাদারী ব্যবহার: সহকর্মীদের সঙ্গে সবসময় প্রফেশনাল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। তারা যতই আপনার আপন হোন না কেন, মন খুলে সবকিছু তাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করার প্রয়োজন নেই।

৩. নালিশ নয়: সহকর্মীর কোনো আচরণে কষ্ট পেলে বা বিরক্ত হলে তার সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রথমেই কর্তৃপক্ষের কাছে তার বিরুদ্ধে নালিশ করতে যাবেন না। তবে পরিস্থিতি যদি সামাল দেওয়ার মতো না হয় তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নিন।

৪. অন্যের কথা শুনুন: নিজে বলার আগে শুনুন অন্য সহকর্মী কী বলতে চান। সহকর্মীর কথা শুনলে আপনি তার ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাবেন। এতে আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে।

৫. ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়: একই অফিসে কাজ করতে করতে দু’জনের মধ্যে নির্ভরতা এবং ভালোলাগা তৈরি হতেই পারে। তবে এই জাতীয় সম্পর্কে না জড়ানোই আপনার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো। কেননা, কোনো কারণে আপনাদের সম্পর্ক ভেঙে গেলে দু’জনের জন্যই কাজ সঠিকভাবে চালিয়ে নেওয়া কঠিন হবে।

৬. সহকর্মীকে বিব্রত না করা: সহকর্মীকে বিব্রত বা বিরক্ত করা যাবে না। মনে রাখতে হবে একসঙ্গে দীর্ঘ দিন কাজ করলেও সহকর্মী কিন্তু বন্ধু নন। আরো কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখাও জরুরি। যেমন সহকর্মীর পাশে বসা বা দাঁড়ানোর সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট দূরত্ব রাখতে হবে। তার কথা বলা বা সাজ-পোশাক নিয়ে হাসি-ঠাট্টা না করা।

৭. সহকর্মীর সম্মান: ধরা যাক আপনি খুব বড় কর্মকর্তা কিন্তু এক অফিসে যারা কাজ করেন সবাই সহকর্মী। মালিক আর কর্মচারীর সম্পর্ক যেমন হয়, সহকর্মীদের সম্পর্ক নিশ্চয় তেমন হওয়ার সুযোগ নেই। একটা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রতিটি কর্মীই গুরুত্বপূর্ণ। তাকে তার যোগ্য সম্মান দিলেই আপনিও আরও বেশি সম্মানিত হতে পারবেন সবার চোখে।

৮. হিংসা নয় সহযোগিতা: হঠাৎ করেই সহকর্মী খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজের দায়িত্ব পেলেন। তাকে হিংসা না করে বরং তার কাজে সহযোগিতা করুন। মনে রাখতে হবে কোনো অর্জন বা ব্যর্থতাই ব্যক্তিগত নয়। সবাই কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানের জন্য আর এখানে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ভালো-সুস্থ কাজের পরিবেশ ও চমৎকার টিমওয়ার্ক।

৯. যোগাযোগ: সারাদিন একসঙ্গেই কাজ করা হয়, ছুটির পর বা ছুটির দিনে প্রয়োজনে তার সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ করা যাবে। তবে অপ্রয়োজনে বার বার ফোন করা বা সামাজিক মাধ্যমে নক করলে তার ব্যক্তি জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

জিএম/এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
খিলগাঁওয়ে একইদিনে তিন শিশুর মৃত্যু
খিলগাঁওয়ে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর
দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বিরোধ, ছেলের হাতে যুবলীগ নেতার মৃত্যু
কেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী লাপাত্তা
X
Fresh