বদরাগী প্রেমিক সামলাবেন যেভাবে
প্রেম বা বিয়ে সবখানেই ঝগড়া আছে। যদি কেউ বলেন, আমাদের বাপু কোনোদিন ঝগড়া হয় নি, তাহলে সেই সম্পর্কে ঠিক আমেজ নেই বলা চলে। টানা ঝগড়া, কথা বন্ধ থাকলে তবেই সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে।
তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা বেশি বদরাগী হয়। এমনও অনেকে আছেন, যারা কথায় কথায় রেগে যান। মাথা গরম হয়ে যায়। এমনকি প্রেমিকা কখন কোথায় যাবে, কী করবে, কী খাবে সবই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান। ভালোবাসার জন্য কখনই নিজেকে বিকিয়ে দেওয়া উচিত নয়। মন থেকে ভালোবাসতে না পারলে সেই সম্পর্ক থেকে অবশ্য বেরিয়ে আসুন। তবে তার আগে দেখে নিন কিছু টিপস। বয়ফ্রেন্ড খুব বদরাগী হলে যেভাবে সামাল দিতে পারেন।
যা করবেন-
অনেক মেয়েই আজকের দিনে চাকরিজীবী। প্রেমিক ও প্রেমিকা উভয়েই আয় করেন। দুজনের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা রয়েছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় উচ্চপদে চাকরি করেন। ফলে মুখে না বললেও অনেক ছেলে তা মেনে নিতে পারেন না। এই সংক্রান্ত ঝামেলা হলে প্রথমেই বোঝান, আজকের দিনে পথ চলতে টাকা কত জরুরি। এর পরেও যদি প্রেমিক ঝামেলা করেন তাহলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন।
বয়ফ্রেন্ড যদি কথায় কথায় রেগে যান, সেক্ষেত্রে সেই মুহূর্তে কোনোরকম তর্কে যাবেন না। রাগ হলে অনেকে নিজেকে সামলাতে পারেন না, ভুলভাল কথা বলেন সামনের মানুষটিকে। এই সময় নিজেকে ঠাণ্ডা রেখে মানসিকভাবে ঠিক থাকার চেষ্টা করুন। ওসব কথায় পাত্তা না দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
অনেক ছেলের মধ্যে প্রেমিকাকে কন্ট্রোল করার প্রবণতা থাকে। কারণ তারা মনে করেন, মেয়েরা নিজের ভালো বোঝে না। অভিভাবকের মতো প্রেমিকাকে ট্রিট করেন। প্রতিটি বিষয়ে নাক না গলালে তাদের চলে না। এবার প্রেমিকা একদিন নিজের মতো চললেই ঝগড়া ও অশান্তি হয়। এমন পরিস্থিতিতে বুঝিয়ে দেয়া দরকার সবাই প্রাপ্তবয়স্ক, আর সকলেই নিজের ভালোটা বোঝেন।
সম্পর্কে অধিকার বোধ থাকবেই। সামান্য হলেও থাকা প্রয়োজন। এটা দুজনের দিক দিয়েই থাকতে হবে। কিন্তু প্রতিটি বিষয়ে যদি প্রেমিক অধিকারবোধ জাহির করেন, সেক্ষেত্রে তাকে বুঝিয়ে বলুন যে তার এই আচরণে আপনাদের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। যদি তিনি বোঝেন ভালো, না হলে সম্পর্ক থেকে আপনাকেই বেরিয়ে আসতে হবে।
জিএ
মন্তব্য করুন