করোনাভাইরাস: ব্রিটেনে জনগণকে পাগলের মতো কেনাকাটা বন্ধের আহ্বান
ব্রিটেনের সুপারমার্কেটগুলোতে হঠাৎ করে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চরম আকাল দেখা দিয়েছে। বিশাল বিশাল সুপারশপের তাকেও টয়লেট পেপার, হাত ধোয়ার তরল সাবান, পাস্তা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টিনজাত খাদ্য, আটা, ময়দার মতো জিনিস প্রায় উধাও। খবর বিবিসি বাংলার।
করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ যত বাড়ছে, ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষজন বেশ কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ঘরে মজুদ শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষজন এমন কথাও লিখছেন যে শুধু এক প্যাকেট টয়লেট পেপার কিনতে দোকানের পর দোকানে ঘুরছেন তারা।
পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, সুপারমার্কেটগুলো এখন যৌথ এক বিবৃতিতে মানুষজনকে পাগলের মত কেনাকাটা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে তারা আশ্বস্ত করছে যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অভাব নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দোকানে ঢুকে দয়া করে বিবেচকের মত আচরণ করুন। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জিনিস কেনা বন্ধ করুন, যাতে অন্যরা প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বঞ্চিত না হন, আমরা সবাই যদি বিবেচক হই, তাহলে সবার জন্য যথেষ্ট জিনিস দোকানে থাকবে।
সুপারমার্কেটগুলো আশ্বস্ত করছে যে, তারা সরকারের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে যাতে দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিসের সরবরাহ অব্যাহত থাকে। সুপারমার্কেট জায়ান্ট সেইন্সবেরিজের প্রধান নির্বাহী মাইক কুপ ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে এক বিবৃতিতে বলেছেন, দয়া করে কেনার আগে একবার ভাবুন, আপনার পরিবারের যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই শুধু কিনুন।
এদিকে অনুরোধ-আহ্বানের পাশাপাশি, সুপারমার্কেটগুলো এখন কেনাকাটার ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে। জার্মান সুপার-শপ চেইন অলডি নিয়ম করেছে একজন ক্রেতা কোনো জিনিস চারটির বেশি কিনতে পারবে না।
সুপারমার্কেট জায়ান্ট টেসকো হাত ধোয়ার সাবান, পাস্তা, টিনজাত খাদ্যসহ বেশ কিছু পণ্য কেনার সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। একজন ক্রেতা পাঁচটির বেশি কিছু কিনতে পারবেন না। আরেক সুপারমার্কেট চেইন ওয়েটরোজও কিছু কিছু পণ্য কেনার সর্বোচ্চ সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে।
দরিদ্র মানুষদের বিনা পয়সার খাবার দেয়ার জন্য জন্য যেসব ফুড-ব্যাংক রয়েছে, তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অনেক খাবার তারা আর কিনতে পারছে না। তাদের মজুতে টান পড়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও মানুষজনকে ‘দায়িত্বশীল আচরণ এবং অন্যের কথা ভাবার’ আবেদন করেছেন।
এ
মন্তব্য করুন