নাচ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসীর লঙ্কাকাণ্ডে পণ্ড হলো বিয়ে
সবকিছুই ঠিকঠাক মতো চলছিল। রাত পোহালেই বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিয়ের আগের দিন নাচ নিয়ে পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। আর তাতেই আটকে গেছে বিয়ে। কেননা মারামারি করে পুলিশের ভয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে বরও যে পলাতক। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিয়ের আগের রাতে নাচের আসর বসেছিল। কিন্তু ‘অশ্লীল নাচ’ বন্ধে সেখানে হাজির হয় পুলিশ। তারা বাধা দেয়। কিন্তু গ্রামবাসী উল্টো তাদের ওপর চড়াও হয়। লাঠি ও ইটপাটকেল দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে। অবস্থা এতটাই ভয়াবহ হয়ে যায় যে অতিরিক্ত পুলিশ এনে পরিস্থিতি আনতে হয়।
এসময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে। পরে প্রায় ২০০ ব্যক্তির নামে দাঙ্গাসহ অন্যান্য আইনে এজহার দায়ের করে পুলিশ। পরে যে যুবকের বিয়ে ছিল সেটা বাতিল হয়ে যায়। কারণ গ্রামের যত পুরুষ ছিল তাদের কেউ কেউ পুলিশের কাছে আটক ছিল আর বাকিরা পলাতক ছিল।
পাশের গ্রামের এক মেয়ের সঙ্গে শনিবার ওই বিয়ের কথা থাকলেও বর নিজেও নিখোঁজ ছিল। পুলিশ বলছে, অনুমতি না নিয়েই এই নাচের আয়োজন করা হয়েছিল। তারা বলছে, আমাদের কাছে খবর ছিল যে, সামনে জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটারদের প্রলুদ্ধ করতে এই নর্তকীদের আনা হয়েছে।
জেলার কিষাণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় বহু গ্রামবাসী ও একজন সাব-ইন্সপেক্টরসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। জানা গেছে, আমির হুসেইন নামে এক যুবকের বিয়ে ছিল। বিয়ের আগের রাতে খাবার ও নাচের আয়োজন করা হয়।
তিন গ্রামের প্রায় ২০০ মানুষ ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। কিন্তু স্থানীয় আউটপোস্ট ইন-চার্জ পুষ্পেন্দ্র কুমার এবং কন্সটেবল সুধীর কুমার অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলে। কিন্তু কয়েকজন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করে পুলিশ। পরে বাদানুবাদ থেকে মারামারি পর্যন্ত গড়ায়।
এ
মন্তব্য করুন