• ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo

চলচ্চিত্রের শিল্পীদের নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান

এ এইচ মুরাদ, আরটিভি অনলাইন

  ২৫ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৪৮
নির্বাচনের ছবি

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে কঠোর অবস্থানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত। নির্বাচনী কাভারেজের জন্য সাংবাদিকদের আলাদা কার্ড প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দেয়া কার্ড ছাড়া কোনও সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবেন না বলে গতকাল জানানো হয়।

এদিকে গতকাল রাত ১০ টা পর্যন্ত এই কার্ড সংগ্রহ করেন সংবাদকর্মীরা। কিন্তু অনেক সংবাদকর্মী কার্ড পাননি। ফলে রাতেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে এফডিসিতে কথা কাটাকাটি হয় তাদের।

কার্ড না থাকায় শুক্রবার সকালে অনেক সংবাদকর্মী এফডিসিতে প্রবেশ করতে পারেননি। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অন্যদিকে সকাল থেকেই আবহাওয়া মেঘলা ও বৃষ্টি থাকায় ভোটারদের উপস্থিতও কম। তবে প্রার্থীরা জানিয়েছেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারায় তারায় ভরে উঠবে এফডিসি।

অন্যদিকে শিল্পীদের এই সাধারণ নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। তবে গেল নির্বাচনে গভীর রাতে একজন নায়কের উপরে হামলার কথা সবারই জানা। এমন খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর এই অবস্থান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এফডিসিতে পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে র্যা ব, গোয়েন্দা অফিসার (ডিবি)।
---------------------------------------------------------------
আরো পড়ুন: এবার মহাখালীর নতুন সিনেপ্লেক্সে 'সাপলুডু'
---------------------------------------------------------------

এবারের নির্বাচনে একটি মাত্র প্যানেল অংশ নিয়েছে। বাকিরা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। গেল কয়েক বছরে এমন ঘটনা চোখে পড়েনি। সভাপতি পদে স্বতন্ত্র লড়ছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী ও জনপ্রিয় খলনায়ক মিশা সওদাগর। সহ-সভাপতির দুটি পদে প্রার্থী হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রতিদ্বন্দ্বী ইলিয়াস কোবরা। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আরমান ও সাংকো পাঞ্জা।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে অভিনেতা সুব্রতর বিপরীতে কোনও প্রার্থী নেই। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়ছেন নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও চিত্রনায়ক ইমন। দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে একাই রয়েছেন জ্যাকি আলমগীর। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে লড়বেন জাকির হোসেন ও ডন। কোষাধ্যক্ষ পদে অভিনেতা ফরহাদের কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে সুব্রত, জ্যাকি, আলমগীর ও ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচনে কার্যকরী পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছেন ১৪ জন। তারা হলেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, রঞ্জিতা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, মারুফ আকিব ও শামীম খান (চিকন আলী)।

সাধারণ শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত লড়াই হবে সভাপতি দুই প্রার্থীর মধ্যেই। সেক্ষেত্রে মৌসুমী নাকি মিশা কে জয়ী হন সেটিই দেখার অপেক্ষায় চলচ্চিত্র শিল্পীরা। এবারের নির্বাচনে জয়ী শিল্পীরা ২০১৯-২০২১ সাল মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবেন।

এম

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপির ৯ নেতাকে শোকজ
উপজেলা পরিষদেও হচ্ছে ডামি নির্বাচন : রিজভী
উপজেলা ভোটে ব্যর্থ হলে গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন হবে : সিইসি
জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কটের ঘোষণা
X
Fresh