• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

এবার ঈদটা আমার জন্য বেশ কষ্টদায়ক : মিশা সওদাগর (ভিডিও)

  ১১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪০
সংগৃহীত
ছবি : সংগৃহীত

নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে খলনায়ক হিসেবে জনপ্রিয় হন। সাধারণত খল অভিনেতাদের বাঁকা চোখে দেখা হলেও তার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। বর্তমানে তিনি ঢালিউডের প্রথম সারির খল অভিনেতা। বলা হচ্ছে মিশা সওদাগরের কথা। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দর্শক মাতাচ্ছেন এই অভিনেতা। এখন পর্যন্ত সাতশ’রও বেশি সিনেমায় অভিনয় করে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দর্শকদের জন জয় করে নেয়া এই অভিনেতার মন ভালো নেই ঈদে। আরটিভির সঙ্গে আলাপ কালে ঈদ নিয়ে নানা কথা জানান মিশা সওদাগর।

আরটিভি : ঈদ নিয়ে পরিকল্পনা কী?

মিশা সওদাগর : আসলে এবার ঈদ নিয়ে কোন পরিকল্পনা নেই। কারণ, এবার আমি এক জায়গায় আমার স্ত্রী এক জায়গায়। বড় ছেলেও আমেরিকায় চলে গেছে আগে। এবার ঈদে আমার ছোট ছেলেও সেখানে আছে। তাই বলতে পারো এবার ঈদটা আমার জন্য বেশ কষ্টদায়ক। লাইফের প্রথম আমি একা ঈদ করছি।

আরটিভি : শৈশবের ঈদগুলো কেমন ছিল?

মিশা সওদাগর : আমি খবই সাধারণ পরিবারের সন্তান। সাধারণ পরিবারের সন্তান হওয়ায় আর্থিক স্বচ্ছলতা তেমন না থাকলেও তখন ঈদের যে আনন্দ ছিল সেটি এখন নাই। আর এখন আমাদের সন্তানরা তাদের বাবা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হওয়া সত্ত্বেও আমার মনে হয় না তারা তেমন আনন্দ পায় ঈদে। কারণ তাদের সবকিছু এখন রেডিই থাকে। যখন ইচ্ছা তখন অনলাইনে নতুন জামা অর্ডার করে কিনে ফেলছে। অথচ আমরা শুধু ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আজহায় কাপড় কিনতাম। সেদিক থেকে মনে হয় ওদের থেকে আমরা অনেক বেশি সৌভাগ্যবান।

আরটিভি : চলচ্চিত্রে আসার পর ঈদ কীভাবে কাটত?

মিশা সওদাগর : চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ারের শুরু দিকে নিজেকে ভালো অবস্থানে নিতে দিন রাত কাজ করেছি। চাঁড রাত পর্যন্ত কাজ করেছি আমি আর ফরিদী ভাই একসঙ্গে কাজ করেছি। ঈদের দিন সকালে শুটিং শেষ করে বাসায় ফিরতাম। এরপর কিছুদিন ছুটি নেয়ার পর এক অন্যরকম শান্তি পেতাম।

আরটিভি : বড় পর্দার পর ওটিটি মাধ্যমেও কাজ শুরু করেছেন। পার্থক্য কতটুকু মনে করছেন?

মিশা সওদাগর: বড় পর্দার সাথে কোন কিছুর তুলনা করা যাবে না। রবীন্দ্রনাথের সাথে যেমন কারও তুলনা নয় না ঠিক তেমনি চলচ্চিত্র হল আকাশ। সুতরাং চলচ্চিত্রের সাথে কোন কিছুর তুলনা করা যাবে না। ওটিটি সব ধরনের শিল্পীদের তীর্থস্থান। এখানে যত্ন সহকারে সব ধরনের শিল্পী কাজ করতে পারে। চলচ্চিত্র নির্মাণে যে ফর্মুলা আছে নায়ক-নায়িকাকে কেন্দ্র করে করতে হয় ওটিটিতে তেমন ঝামেলা নেই। গল্পের ওপর নির্ভর করে কনটেন্টটি নির্মাণ করলে মেধাবান শিল্পীরা সফল হবেই।

আরটিভি : দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কোনো আকাঙ্ক্ষা আছে?

মিশা সওদাগর: আকাঙ্ক্ষা করে লাভ কী? নতুন সিনেমা, শিল্পীর অভাবে ইন্ডাস্ট্রিই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে! নতুন নতুন লোক না আসলে তো ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাবে না। হুমায়ুন ফরিদী, মিজু আহমেদ, আহমেদ শরীফ, এটিএম শামসুজ্জামান, সাদেক বাচ্চুসহ আরো অনেকেই ছিলেন। তখন কাজে অনেক প্রতিযোগিতা হতো। এখন আমি একা কি করব? একজন শিল্পী দিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। কম করে হলেও প্রধান চরিত্রের জন্য ৩০ জন অপরিহার্য শিল্পী লাগবে। এক সময় আনন্দ পেলেও এখন একা কাজ করে তৃপ্তি পাই না। যেখানে সিনেমা নেই, সেখানেও আমার হাতে অসংখ্য নতুন সিনেমার প্রস্তাব। বুধবার এফডিসি প্রবেশ করেই নতুন তিনটি সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি। নতুন আরো শিল্পী আসতে হবে। সবাই মিলে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। সবাই একত্র হয়ে কাজ করলেই ফের ইন্ডাস্ট্রি এগিয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

daraz
  • বিনোদন এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার পাঁচ ইউপিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন 
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা
বাংলাদেশি সিনেমার মস্কো জয় 
শিল্পী-সাংবাদিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
X
Fresh