অঞ্জন দত্তর চোখে লাকী আখন্দ
১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ আমি প্রথম বাংলাদেশ যাই, গান গাইতে। ঢাকার ন্যাশনাল মিউজিয়াম অডিটরিয়ামে আমাদের শো। প্রথমবার ঢাকা, হলভর্তি শ্রোতা, দারুণ লাগছে।
হঠাৎ শো’র মাঝামাঝি আমাদের জলসার উদ্যোক্তা জানান, হলে একজন শিল্পী উপস্থিত, যিনি একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। তাকে আমি চিনি না, তার গানও কখনো শুনিনি। কিন্তু একেবারেই নিছক আসর জমানোর উদ্দেশ্যে হঠাৎ তাকে মঞ্চে আসতে আহ্বান করলাম। তিনিও দিব্যি উঠে এলেন এবং আমার সঙ্গে গান বাজনা করতে শুরু করে দিলেন- বাংলাদেশের সুরের যাদুকর লাকী আখন্দ সম্পর্কে বলেছিলেন কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী অঞ্জন দত্ত।
২০১৬ সালে এদেশের এক বেসরকারি টিভির লাইভ শো-তে এভাবেই লাকীর প্রতি সম্মান জানিয়েছিলেন অঞ্জন দত্ত।
অঞ্জন দত্ত বলেন, তাকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, আমার কোন গানটা গাইবো বলুনতো?। তিনি বলেছিলেন, আমার গান তিনি আদৌ শুনেননি। তখন আমরা দিব্যি গান গাইলাম, আসর জমে গেলো। বহুবছর যে শিল্পী গান গাওয়া বন্ধ করে চুপ মেরে বসেছিলেন হঠাৎ আবার গান গেয়ে উঠলেন তিনি। তারপর তার সঙ্গে তেমন ভাবে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। কিন্তু যে কারণে এইসব কথাগুলো বলছি, তা হলো- জীবনে খুব কমই আমি অন্য কোনো শিল্পীর সঙ্গে গান গাইতে গিয়ে এতটা এনজয় করেছি।’
‘লাকী আখন্দ’ শিরোনামের গানের হ্যালো বাংলাদেশ ক্যাসেটে লেখা আছে প্রায় এভাবে : দুজনের দুই দেশ। দুজনই গানের মানুষ, গানে গানে কোনো এক মঞ্চে, হঠাৎ দেখা হয়ে যায়, একজন বাজান গীটার, আরেকজন কীবোর্ডস, একজন গান গেয়ে চলেন, আরেকজন দেয় সঙ্গ, মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় গান, সেদিনের সেই জলসায়, একাকার হয়ে যায় ঠিকানা, কলকাতা কিংবা ঢাকায়।
এইচএম
মন্তব্য করুন