অর্থ বছরের শুরুতেই পেছালো রপ্তানি
করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউনের মধ্যেই শেষ হয়েছে ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাই। গত অর্থ বছরের জুলাই মাসের তুলনায় চলতি বছরের জুলাইয়ে ১১ দশমিক ১৯ শতাংশ রপ্তানি কমেছে।
মঙ্গলবার (০৩ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সদ্য জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৪৭ কোটি ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই মাসে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৭২ কোটি ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম রপ্তানি হয়েছে।
জুলাইয়ে ৩০০ কোটি ডলারের উভেন ও নিট পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে ২৮৮ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই মাসের তুলনায় ১১ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪ শতাংশ পিছিয়ে আছে পোশাক রপ্তানি। নিটপণ্যে ৫ শতাংশ এবং উভেন পণ্যে ১৭ শতাংশ পিছিয়ে আছে।
এফএ
মন্তব্য করুন
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড
বিশ্ববাজারে বেড়েই চলেছে স্বর্ণের দাম। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক রেকর্ড। এরই ধারাবাহিকতায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে আরেক ধাপ বাড়লো এই দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আউন্স প্রতি স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৩০০ ডলার।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) স্পট মার্কেটে ২ হাজার ৩২৭ দশমিক ৬০ ডলারে উঠেছে এক আউন্স স্বর্ণের দাম। এর আগে গত ৪ এপ্রিল লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ২৯৪ দশমিক ৯৯ ডলারে উঠে যায়। পরে অবশ্য দাম স্থির হয়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ২৯২ দশমিক ৩১ ডলারে। অর্থাৎ, প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ১ দশমিক ৬১ শতাংশ বেড়েছে মাত্র একদিনের ব্যবধানে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে মার্চ মাসে প্রায় ৮ শতাংশ বেড়েছে স্বর্ণের দাম। ২০২২ সালের নভেম্বরের পর যা একক মাসের হিসাবে সর্বোচ্চ দরবৃদ্ধির রেকর্ড।
বিশ্ববাজারের প্রভাবে বাংলাদেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণের ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকায়। যা গত ২২ মার্চ থেকে কার্যকর হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। পাশাপাশি ভূরাজনৈতিক কারণেও নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে।
রেকর্ড উচ্চতায় স্বর্ণের দাম
বিশ্ববাজারে একের পর এক রেকর্ড সৃষ্টি করছে স্বর্ণ। প্রতিনিয়তই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম। এরই মধ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়িয়েছে ২ হাজার ৪০০ ডলার।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) লেনদেনের এক পর্যায়ে প্রতি আউন্স স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম ওঠে ২ হাজার ৪৩১ দশমিক ৫২ ডলারে। তবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই দাম কিছুটা কমে ২ হাজার ৩৪২ দশমিক ৯০ ডলারে নেমেছে।
এর আগে, গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববাজারে প্রথমবারের মতো স্বর্ণের আউন্স ২ হাজার ৩০০ ডলার অতিক্রম করে। এর মাত্র ৭ দিনের মাথায় শুক্রবার এই দাম ২ হাজার ৪০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়। যা ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম।
চলতি বছর প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ইতোমধ্যে তা ছাড়িয়েছে। সামনে স্বর্ণের দাম আরও বাড়বে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভের বেঞ্চমার্ক সুদের হার হ্রাসের ঘোষণা ও মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে নিরাপদ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে মানুষ ঝুঁকছেন স্বর্ণের দিকে। এই উত্তেজনা অব্যাহত থাকলে সামনে স্বর্ণের দাম আরও বাড়তে পারে।
অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির বলেন, মূলত ফেডারেল রিজার্ভের সুদহার কমানোর ইঙ্গিত ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ছে। সুদহার কমে গেলে মানুষ বিনিয়োগের মাধ্যম হিসেবে স্বর্ণকেই বেছে নেয়। যার ফলে বাড়ে দাম। বিশ্ববাজারে এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ। সামনে এই দাম আরও বাড়তে পারে। আর এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়বে।
এদিকে দেশের বাজারে সবশেষ গত ৮ এপ্রিল স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। ভালো মানের ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ১৭ হাজার ৫৭৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১২ হাজার ২০৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ২২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
টিকফা নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক আজ
বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তি (টিকফা) সংক্রান্ত পরিষদের ইন্টারসেশনাল বৈঠক আজ রোববার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাণিজ্য সুবিধা চাইবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র শ্রম সংস্কার, মেধাস্বত্ব ও তথ্য সুরক্ষা আইনে জোর দেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলছে, বৈঠকে মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধির কার্যালয়ের (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী ব্রেন্ডান লিঞ্চ দেশটির পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন। ইতোমধ্যে তিন দিনের সফরে একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে লিঞ্চ ঢাকায় এসেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো প্রতিনিধির প্রথম বাংলাদেশ সফর। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বৈঠকে বাংলাদেশ শ্রম ইস্যুতে যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা তুলে ধরবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থায় (আইএলও) যে নকশা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ, তা বৈঠকে তুলে ধরা হবে। একইসঙ্গে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বাণিজ্য সুবিধা পাওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সপ্তম টিকফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে।
৪০০ সিসির পালসার বাজারে আসার আগেই ফাঁস হলো দাম
বাজাজের ৪০০ সিসির পালসার নিয়ে চলছে আলোচনা। তরুণরা এই বাইক চালানোর জন্য মুখিয়ে আছেন। যদিও এখনো বাজারে আসেনি মোটরবাইকটি। এরই মধ্যে জানা গেল বাইকের দাম।
পালসার ৪০০ বাইকের টিজার প্রকাশ করল বাজাজ। আগামী মাসেই আসছে কোম্পানির বহু প্রতীক্ষিত মোটরবাইক। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কোম্পানি। ইতোমধ্যে একাধিক বাইকের আপডেটেড ভার্সন বাজারে এনেছে বাজাজ। এবার ৪০০ সিসির পালসার লঞ্চ হওয়ার অপেক্ষা। বাইকের দাম হতে পারে ভারতে ২ থেকে সোয়া দুই লাখ রুপি। সিসি লিমিটের কারণে এই বাইক বাংলাদেশের বাজারে আসার সম্ভাবনা নেই।
বাজাজ এনএস ২০০ বাইকের চেসিস এবং ডমিনার ৪০০ বাইকের ইঞ্জিন ব্যবহার করা হবে এই মোটরসাইকেল। আর কিছুদিনের মধ্যেই ফ্ল্যাগশিপ বাইক লঞ্চ করতে চলেছে কোম্পানি। ৩ মে ভারতে লঞ্চ হবে বাজাজ পালসার ৪০০ মডেল।
জানা গিয়েছে, বাইকের দাম সাধ্যের মধ্যেই রাখা হবে। এটি কিনতে খুব বেশি চাপ পড়বে না। প্রিমিয়াম বাইক কিনতে যে টাকা খরচ করতে হয় তা এক্ষেত্রে করতে হবে না।
ভারতের অন্যতম সস্তা ৪০০ সিসির বাইক হতে চলেছে বাজাজ পালসার ৪০০। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে বাইকের টিজারও প্রকাশ করেছে কোম্পানি। দারুণ হাই-পারফরম্যান্স ইঞ্জিন থাকবে বাইকে যা সর্বোচ্চ ৪০ হর্সপাওয়ার এবং ৩৫ এনএম টর্ক তৈরি করতে পারে। সঙ্গে মিলবে ৬ স্পিড গিয়ারবক্স।
বাজাজ পালসার ৪০০ মডেলে বেশ কিছু ফিচার্সও থাকতে চলেছে। বর্তমানে কোম্পানির ঝুলিতে শুধুমাত্র একটি ৪০০ সিসির বাইক রয়েছে যা হল ডমিনার। যা লঞ্চ হয়ে অনেকদিন আগেই।
গত বছরই কোম্পানির সিইও রাজীব বাজাজ জানিয়েছিলেন, তারা শিগগিরই সবথেকে বড় পালসার হাজির করতে চলেছে।
এই বাইকে থাকবে স্লিপ ও অ্যাসিস্ট ক্লাচ। টপ মডেলে পাবেন কুইকশিফটারও। ডিজাইনের দিক দিয়ে ফ্রন্ট ও রিয়ার সেকশনে বেশ কিছু চমক থাকতে পারে। পালসার ৪০০ বাইকের গঠন দেখবার মতো হবে বলে আশা করছেন সবাই।
ফিচার্সের ক্ষেত্রে পাওয়া যাবে সামনে ইউএসডি ফর্ক ও পেছনে মনোশক সাসপেনশন। বাইকের দুই চাকাতেই মিলবে ডিস্ক ব্রেক সঙ্গে ডুয়াল চ্যানেল অ্যান্টি লক ব্রেকিং সিস্টেম। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট কনসোল এবং ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি পাওয়া যাবে বাইকে। এ ছাড়াও মিলতে পারে টার্ন-বাই-টার্ন নেভিগেশন।
তরুণ বিলিয়নিয়ার যেভাবে তৈরি হচ্ছে
সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিন বিশ্বজুড়ে যে ধনী ব্যক্তিদের তালিকা দিয়েছে, তাতে বেশ কিছু তরুণ মুখ রয়েছেন। তাদের অনেকেই এখনও কাজই করতে শুরু করেনি বা কোনো ক্যারিয়ারে ঢোকেনি। এদের মধ্যে সাতজন নিজ চেষ্টায় ও পরিশ্রমে সম্পদের মালিক হয়েছেন। সবমিলে যে ২৫ জন বিলিয়নিয়ার তালিকায় দেখা যাচ্ছে যাদের বয়স ৩৩ বছর বা তার কম।
২০০৯ সালের পর প্রথমবার সমস্ত বিলিয়নিয়ার যাদের বয়স ৩০ এর নিচে, তারা সবাই উত্তরাধিকার সূত্রে এই সৌভাগ্যের মালিক হয়েছেন। ধারণা করা হয় যে ২০২৯ সালের শেষ নাগাদ, ৮.৮ ট্রিলিয়ন ইউএস ডলারের বেশি অর্থ বর্তমান বিলিয়নিয়ার থেকে তাদের পরবর্তী উত্তরাধিকারের হাতে যাবে।
‘দ্য গ্রেট ওয়েলথ ট্রান্সফার’ অর্থাৎ একটা সময় বিশ্বের বেশির ভাগ ধনীর সম্পদের হস্তান্তর হবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে, সেটারই ইঙ্গিত ফোর্বসের এই তালিকায় এত তরুণ উত্তরাধিকারের উপস্থিতি বলে মনে করে বিবিসি।
বিবিসিকে সুইস ব্যাংক ইউবিএসের এস্টেট প্ল্যানিং ম্যানেজার আইনজীবী ইউরি ফ্রেইতা বলেন, আর আমরা কিন্তু শুধু টাকা-পয়সার কথা বলছি না, একইসঙ্গে কোম্পানিরও হাতবদল ঘটবে।
এই জগতে নিজের ১৫ বছরের অভিজ্ঞতায়, ফ্রেইতাস একমত হন যে বৈশ্বিক সম্পদের ‘গ্রেট ট্রান্সফার’ এরইমধ্যে বেশ দ্রুতগতিতেই এগিয়ে চলছে, আর বিশ্বের বিলিয়নিয়ার এখন যে কোন বয়সেই, একটু তাড়াতাড়িই, সম্পদ পরবর্তী প্রজন্মকে দিয়ে দিচ্ছে।
দ্য ১০০ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ হস্তান্তর – বইটির লেখক এবং বিষয়টি নিয়ে কাজ করা কেন কস্টা বলেন, এটা পরিষ্কার যে ‘রিয়েল এস্টেট, ল্যান্ড, স্টক এবং শেয়ারে আগে কখনোই এত টানা ছিল না – আর হঠাৎ করে সেটা এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে চলে গিয়েছে।’
কস্টা নিজেও একজন বিলিয়নিয়ার এবং তার প্রধান থিসিস হলো, তরুণ যারা দীর্ঘদিন তাদের আগের প্রজন্মের সম্পদ ভোগের কারণে বঞ্চিত হয়েছে, তারা বর্তমান পুঁজিবাদী ব্যবস্থার ওপর বিরক্ত।
বিবিসির প্রতিবেদককে তিনি বলেন, এই অবশ্যম্ভাবী ঘটনা এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই, আর এরইমধ্যে হাতবদল আসলে শুরু হয়ে গিয়েছে এবং তা বেশ দ্রুতগতিতে ঘটছে। আর এই ঘটনা কিন্তু চুপচাপ ঘটবে না। এটার একটা বিরাট প্রলয়ংকরী প্রভাব পড়বে অর্থনীতি, প্রযুক্তি এবং সংস্কৃতিতে। আর এর ফলাফল কী হবে তা পুরোটাই নির্ভর করছে নতুন প্রজন্মের ওপর।
আমার আশা যে তারা একটা টেকসই ও উন্নত অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ অর্জন করে নেবে, এবং আমি মনে করি আমাদের বুমারদের এটা দায়িত্ব তাদের সেই অর্জনে সাহায্য করা। নতুন বিলিয়নিয়ার উত্তরাধিকার আসাটা এমন এক সময় হতে যাচ্ছে, যখন বেশির ভাগ সম্পদ কয়েকটি মাত্র পরিবারের হাতে থাকায় পৃথিবীর একটা বড় অংশ জনগোষ্ঠীর জীবনযাপন কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ বছরের শুরুর দিকে অক্সফ্যামের প্রকাশিত ইনইকুয়েলিটি এসএ রিপোর্টে উঠে আসে, ২০২০ সালের পর বিশ্বের সবচেয়ে ধনী পাঁচ বিলিয়নিয়ারের সম্পদের পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে, যখন মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগ– প্রায় ৫ বিলিয়ন মানুষের সম্পদ এই একই সময়ে কমে গিয়েছে।
যখন বিশ্বের প্রতি ১০টির মধ্যে সাতটি কোম্পানির সিইও বা প্রধান মালিকপক্ষ বিলিয়নিয়ার, তখন বিশ্বের বৃহৎ ও প্রভাবশালী ১৬০০ টিরও বেশি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ০.৪% কোম্পানি তার কর্মীদের ভালো বেতন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এই প্রতিবেদনে বলা হয় অসমতার এই প্রভাবটা ব্যাপক।
অক্সফ্যামের এই প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয়, ২০২০ এর শুরুটা হয় কোভিড-১৯ মহামারি দিয়ে, এরপর যুদ্ধ ও সহিংসতা দেখা যায়, জলবায়ু বিপর্যয় দ্রুতগতিতে ঘটতে থাকে ও মানুষের জীবন ধারণের খরচও বেড়ে যায়, সবমিলে এই দশকটা বিভেদের দশক হয়ে পড়ে। স্বল্প আয়ের দেশগুলোতে দরিদ্রতা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি। বিশ্বজুড়ে আয় অনুপাতে ব্যয় অনেক বেড়ে গিয়েছে এবং মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এ নিয়ে সংগ্রাম করছে।
ব্রাজিলের অ্যাপ্লাইড ইকোনমিক্সের গবেষক ড্যানিয়েল ডুকিউ ব্যাখ্যা করে বলেন, এই যে যারা অনেক ধনী তাদের সম্পদ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের হাতে তুলে দেয়ার যে ব্যাপারটা বিভিন্ন দেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটার কারণ হতে পারে তাদের ট্যাক্স প্রক্রিয়া নিয়ে নানান আলোচনা ওঠা ও নতুন ট্যাক্স মডেল কার্যকর করা। কারণ, এই বিলিয়নিয়াররা দীর্ঘসময় এক্ষেত্রে ছাড় পেয়ে এসেছেন।
তার মতে, বেশ কিছু দেশে বৃহৎ সম্পদের উপর বৃহৎ ট্যাক্স এরকম একটা আন্দোলন লক্ষ্য করা যায়, ফলে সুপার-রিচ যারা তাদের ওপর একটা চাপ তৈরি হয়েছে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সম্পদের পালাবদল করার।
এছাড়া আরেকটি বিতর্ক যেটা জি-২০ দেশগুলো ঘিরে চলমান তা হচ্ছে বিশাল সম্পদের উপর একটা গ্লোব্যাল ট্যাক্স আরোপ করা, এই বিষয়টিও এসব বিলিয়নিয়ারদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে থাকতে পারে। এ ধরণের ট্যাক্স এসব অতি ধনী ব্যক্তিদের জীবন অনেক কঠিন করে দেবে। ফলে ততদিনে দেখা যাবে, যখন একটা ট্যাক্স আরোপ হবে, সে তখন অর্থটা অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলেছে, বলেন এই গবেষক।
অর্থের এই যে এককেন্দ্রীকরণ গোটা বিশ্বেই এক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ঝুঁকি তৈরি করে, একইসাথে ডুকিউ মনে করেন, যাদের অর্থ সম্পদ কম তাদের জন্য এতে করে সুযোগ সীমিত হয়ে আসে ও অসামঞ্জস্যতার পরিবেশ তৈরি হয়। আরেকটা প্রধান ঝুঁকি হলো এই যে সীমিত সংখ্যক মানুষের কাছে এত ক্ষমতা তাদের মুখোমুখি কীভাবে হওয়া যায়। অতীতে ধনীদের রাজনীতিতে প্রভাব রাখার ব্যাপারটা ছিল খুবই সীমিত, ক্ষমতায় কে আসবে কে যাবে সে ব্যাপারে খুব কমই ভূমিকা থাকতো তাদের। কিন্তু সম্পদ যত কেন্দ্রীভূত হয়েছে এই অবস্থার তত পরিবর্তন এসেছে এবং এখন আমরা দেখতে পাই যে একজনই চাইলে খেলা উল্টে দিতে পারে।
প্রজন্ম নিয়ে যেকোনো বিতর্কের মতোই এখানেও সব ক্ষেত্রের পেশাদাররাই এসব তরুণ উত্তরাধিকারদের আচরণ অনুমানের চেষ্টা করছে, যে তারা বিশ্ব বাণিজ্যে কী ধরণের পরিবর্তন আনতে পারে।
বিশেষ করে ব্যাংকগুলো, যারা বছরের পর তাদের ক্রেতার সম্পদ, অর্থ ও শেয়ার তৈরিতে সাহায্য করার পর এখন তাদেরই হারানোর ঝুঁকিতে আছে।
এটা এরইমধ্যে জানা যাচ্ছে যে এই নতুন প্রজন্মের বিলিয়নিয়াররা অনেক বেশি সামাজিকভাবে সংযুক্ত, অনেক বেশি ডিজিটাল। তাদের বিভিন্ন বক্তব্য থেকে অন্তত এটা বোঝা যায় যে তারা তাদের বিনিয়োগ এই পৃথিবীর জলবায়ু ও সমাজে কী প্রভাব ফেলছে সে ব্যাপারে তাদের বাবা-মার চেয়ে বেশি চিন্তা করে।
কনসাল্টিং ফার্ম ইওয়াই তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ধারণা করে যে মিলেনিয়াল বিনিয়োগকারীরা, যে সমস্ত কোম্পানি সমাজ ও পরিবেশের পরিবর্তনে কাজ করে তাদের ওখানে বিনিয়োগের ব্যাপারে দ্বিগুণ আগ্রহী।
এ ছাড়াও ১৭% মিলেনিয়াল বিনিয়োগকারী বলছে যে তারা সে সমস্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে যারা পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসনের বিষয়টি নিশ্চিত করে, যেটা নন মিলেনিয়াল বিনিয়োগকারীদের বেলায় ছিল ৯%।
ইউবিএসের এক রিপোর্টে দেখা যায়, অনেক হাই-প্রোফাইল বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী যদিও তাদের সম্পদের একটা বিরাট অংশ দান করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদের উত্তরাধিকাররাও একই পথে হাঁটবে কি না সে বিষয়টি জানা যায় না।
এতে বলা হয়, যেখানে দুই তৃতীয়াংশ (৬৮%) প্রথম প্রজন্মের বিলিয়নিয়ার বলে যে তাদের সেবামূলক কাজের লক্ষ্য পূরণ এবং পৃথিবীতে একটা অবদান রেখে যাওয়াই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য, সেখানে এক তৃতীয়াংশেরও কম (৩২%) উত্তরাধিকার প্রজন্মকে একই উদ্দেশ্যের কথা বলতে শোনা যায়।
ইউবিএসের অভিজ্ঞতা বলে যে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পদ দান করার ব্যাপারে নতুন প্রজন্ম খুব একটা আগ্রহ দেখায় না এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তারা হয়তো পারিবারিক ফাউন্ডেশনে বিনিয়োগ করে থাকে। তবে যেসব কোম্পানি পরিবেশগত ও সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করে সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ ও চালনার আগ্রহ দেখা যায় বাণিজ্যিক এবং কল্যাণকর দুই উদ্দেশ্যেই, রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
বাংলাদেশসহ ৬টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পিয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যান্য যেসব দেশে পেঁয়াজ পাঠানো হবে তা হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলংকা। ভারত সরকারের ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেয়া হয়েছে শনিবার (২৭ এপ্রিল)।
এতে বলা হয়েছে, আগের বছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ সালে কম ফলন ও রবি মৌসুমে দেশের ভিতরে চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অভ্যন্তরীণ সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এসব দেশে পিয়াজ রপ্তানি করে ভারতীয় এজেন্সি ন্যাশনাল কো-অপারেশন এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)। সর্বনিম্ন দর (এল১) মূল্যে ই-প্লাটফর্মের মাধ্যমে তারা অভ্যন্তরীণ সোর্স থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করে। তারপর শতভাগ আগাম মূল্য পরিশোধ ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে রেট নির্ধারণ করে গন্তব্য দেশগুলোতে এজেন্সি বা সরকার মনোনীত এজেন্সিকে সরবরাহ দিয়ে থাকে।
যেসব দেশ পেয়াজ কিনছে সেখানকার দাম, আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দাম বিবেচনায় নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে দর নির্ধারণ করে এনসিইএল। এখন যে দেশগুলোতে পিয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেখানকার চাহিদা অনুযায়ী কোটা বরাদ্দ করা হয়েছে। ভারতে সবচেয়ে বেশি পিয়াজ উৎপাদন করে মহারাষ্ট্র। তারাই এনসিইএল’কে রপ্তানির জন্য সবচেয়ে বেশি পিয়াজ সরবরাহ করে থাকে।
এ ছাড়া দুই হাজার টন সাদা পেঁয়াজও রপ্তানিরও অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এসব পেঁয়াজ বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে এবং ইউরোপের কিছু দেশের বাজারে রপ্তানি করা হয়। সাধারণ পেঁয়াজের চেয়ে এই পেঁয়াজের উৎপাদন খরচ বেশি। কারণ, এর বীজের দাম অনেক বেশি হয়, উন্নত কৃষি রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন হয়।
এর আগেও ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় অস্থির হয়ে ওঠে দেশের পেঁয়াজের বাজার। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দুইশ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর ভরা মৌসুমেও দেশে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নামেনি। রমজানে বাজারে সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে রোজার আগেই ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি করতে চায় সরকার। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে এই পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ মার্চ ভারত ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ বাংলাদেশে রফতানির ঘোষণা দেয়।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু গত ২৪ জানুয়ারি টেলিফোনে ভারতের বাণিজ্য, শিল্প, বস্ত্র ও ভোগ্যপণ্য এবং খাদ্য ও গণবিতরণ বিষয়ক মন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে আলাপ করেন। এ সময় আহসানুল ইসলাম টিটু ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রীকে এক লাখ টন চিনি ও ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ সরবরাহের পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা’ বিষয়ক টাক্সফোর্সের সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু সাংবাদিকদের জনান, নীতিগতভাবে ভারত সরকার পেঁয়াজের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে।
এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে বাংলাদেশে সীমিত পরিমাণে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় নয়াদিল্লি।
গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ভারত সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।
ভেঙে গেল ভারতের ১২৭ বছরের পুরোনো গোদরেজ গ্রুপ
ভারতের জনপ্রিয় এবং পুরোনো ব্যবসায়ী গোষ্ঠী গোদরেজ গ্রুপের মালিকেরা তাদের ব্যবসা ভাগ করার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। ফলে ১২৭ বছরের পুরোনো এই গ্রুপটি ভেঙে যাচ্ছে। নতুন করে গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ এবং গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুটো আলাদা গ্রুপ তৈরি হচ্ছে।
১৮৯৭ সালে গোদরেজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুই ভাই আরদেশির গোদরেজ এবং পিরোজশা বুরজোরজি গোদরেজ। গ্রুপের বর্তমান মালিকেরা প্রায় ৫৯ হাজার কোটি রুপির (৭০০ কোটি ডলার) ব্যবসা ভাগ করতে যাচ্ছেন।
তবে গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ এবং গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুটো আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করলেও তারা গোদরেজ ব্র্যান্ড ব্যবহার করতে পারবে।
৭৫ বছর বয়সী জামশিদ গোদরেজ ‘গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের’ (জিইজি) নেতৃত্বে থাকবেন। যিনি গ্রুপটির চেয়ারপারসন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। আর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন নিরিকা হোলকার। এই গ্রুপটি গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস কোম্পানির মালিকানা পেয়েছে যা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অ্যারোস্পেস, তালা এবং নির্মাণ ব্যবসায় জড়িত।
অন্যদিকে ৭৩ বছর বয়সী নাদির গোদরেজ ‘গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের’ (জিআইজি) নেতৃত্বে থাকবেন । তিনি গ্রুপটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জিআইজির যেসব কোম্পানির মালিকানা পেয়েছে তার মধ্যে আছে গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ, গোদরেজ অ্যাগ্রোভেট এসটেক লাইফসাইন্সেসের মত প্রতিষ্ঠান। নাদির গোদরেজের ভাই আদি গোদরেজ এবং পরিবারের সদস্যরা গ্রুপটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।
২০২১ সালের আগস্টে গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সী আদি গোদরেজ । তিনি তার ভাই নাদির গোদরেজের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ২০২৬ সালের আগস্টে নাদির গোদরেজের পরিবর্তে গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের মালিকানা পাবেন আদি গোদরেজের ছেলে পিরোজশা গোদরেজ।
সূত্র : রয়টার্স