• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
স্বর্ণের দামে ফের উত্থান
জার্মানিতে অ্যামাজনের আরও ১০ বিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ 
প্রযুক্তি খাতের জায়ান্ট অ্যামাজন জানিয়েছে, তারা জার্মানিতে আরও ১০ বিলিয়ন ইউরো বা এক লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে৷ জার্মানিতে কর্মী সংখ্যাও এ বছর বাড়বে বলে জানিয়েছে তারা৷ অ্যামাজনের ক্লাউড কম্পিউটিং সাবসিডিয়ারি অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেস-এর বিভিন্ন অবকাঠামো সম্প্রসারণ কাজে ৮.৮ বিলিয়ন ইউরো খরচ হবে৷ বাকি অর্থ লজিস্টিকস, রোবোটিকস ও দুটি নতুন কর্পোরেট অফিস তৈরিতে ব্যয় হবে৷ এ বছর শেষে জার্মানিতে অ্যামাজনের স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা ৪০ হাজার হবে বলেও জানিয়েছে কোম্পানিটি৷ ২০২৩ সালে কর্মীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৩৬ হাজার৷ বুধবার অ্যামাজন বলছে, ২০১০ সাল থেকে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৭৭ বিলিয়ন ইউরো৷ জার্মানি যে এখনও ব্যবসার জন্য আকর্ষণীয় স্থান অ্যামাজনের বিনিয়োগ সেটিই প্রমাণ করে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস৷
এডিবি থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
দেশে বাড়লেও আমিরাতে কমেছে জ্বালানি তেলের দাম
বিনিয়োগ বাড়াতে একযোগে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ অস্ট্রেলিয়ার সহকারী বাণিজ্যমন্ত্রীর
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার চায় এফবিসিসিআই
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের স্পেন সফর
বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্সের একটি প্রতিনিধি দল দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধিকল্পে স্পেনের বিভিন্ন চেম্বারে সফর শুরু করেছেন। এটিই প্রথম বাংলাদেশী কোন ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের স্পেন সফর। স্পেন এবং বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার ব্যাবসায়িক সম্পর্ক বিদ্যমান। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে স্পেনে রপ্তানি ছিল ২.১ বিলিয়ন ডলার যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি ৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং। রপ্তানি বৃদ্ধির এ ধারা অব্যাহত রাখতে তৈরী পোশাকের বাইরে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং স্পেনের বৈচিত্রময় রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি আরও বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন করছে।  এরই ধারাবাহিকতায় কমার্শিয়াল উইংয়ের সহযোগিতায় স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স ঢাকার একটি প্রতিনিধি দল চেম্বারের সভাপতি আশিক এলাহি চৌধুরির নেতৃত্বে ২১ মে থেকে স্পেনের বিভিন্ন চেম্বার ভ্রমণ শুরু করেছেন। প্রতিনিধি দল ২১ মে স্পেনের আরাগন রাজ্যের রাজধানী সারাগোসা থেকে তাদের ব্যবসায়িক ভ্রমণ শুরু করেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং, স্পেনিশ কনফেডারেশন অব বিজনেস এসোসিয়েশন সারাগোসা এবং আরাগন রাজ্য সরকার কর্তৃক সারাগোসাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২১ মে বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের উপর এক সেমিনার এবং বিজনেস টু বিজনেস মিটিং অনুষ্ঠিত হয় । এসময় স্পেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ, কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ, স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ঢাকার সভাপতি আশিক এলাহি চৌধুরি, বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ীরা, আরাগন রাজ্য সরকারের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর অব আরাগন এক্সটেরিয়র খোসে এন্টোনিওভিসেন্তে এবং স্পেনিশ কনফেডারেশন অব বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন সারাগোসার ডিরেক্টর খোর্খে এলনসো সারাগোসাতে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল আন্তোনিও বুসতোসসহ আরাগন রাজ্যের প্রায় ৪০টি কোম্পানি ও তাদের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে স্পেন বাংলাদেশের দ্বিতীয় রপ্তানি গন্তব্য। অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ ও উচ্চ মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের কাছে বাংলাদেশের পণ্যের আরও প্রচুর সুযোগ রয়েছে। স্পেনিশ ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে অবকাঠামো, যোগাযোগ, জ্বালানি ও পর্যটনসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। স্পেনিশ কনফেডারেশন অব বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন সারাগোসার ডাইরেক্টর খোর্খে এলনসো বলেন, উৎপাদন বৈচিত্র্য আনার লক্ষ্যে বস্ত্র, অবকাঠামো, জ্বালানি ও নির্মাণ হলো অর্থনীতিতে বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাবনার খাত, আরাগনে আমাদের ক্যাপিটাল গুডস এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কম্পোনেন্টের বড় শিল্প রয়েছে যেগুলোতে বাংলাদেশে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। স্পেন বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ঢাকার সভাপতি আশিক এলাহি চৌধুরি বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে স্পেনিশ ব্যবসায়ীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে নতুন ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চেম্বারের পক্ষ থেকে স্পেনিশ ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রেদোয়ান আহমেদ বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ নিয়ে একটি উপস্থাপনা করেন। উপস্থাপনায় তিনি বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের চিত্র, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বাংলাদেশে ব্যবসায় ও বিনিয়োগে অধিক লাভ, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সরকার কর্তৃক ঘোষিত ইনসেনটিভ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল আগামী ২৩ মে ভ্যালেন্সিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ২৭ মে মালাগা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি, ২৮ মে গ্রানাডা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবসায়িক মিটিং এবং একইদিন গ্রানাডার মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবরে বেড়েছে তেলের দাম
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যু ও সৌদি আরবের বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার খবরে প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ দুটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সালমানের অসুস্থতার কারণে তার জাপান সফর বাতিলের খবরও জানিয়েছেন দেশটির যুবরাজ। এর মধ্যেই সোমবার বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম।  রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৪১ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ বেড়েছে। বর্তমানে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৮৪.৩৯ ডলার। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুড অয়েলের দাম ২৩ সেন্ট বা ০.৪ শতাংশ বেড়ে ৮০.২৯ ডলারে পৌঁছেছে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তিনি রোববার আজারবাইজান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সফর ছিলেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সোমবার তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান তার বাবা বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার কারণে রাষ্ট্রীয় জাপান সফর স্থগিত করেছেন। সোমবার থেকে সফরটি শুরু হওয়ার কথা ছিল বলে জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি জানিয়েছেন। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা রোববার জানিয়েছে, ৮৮ বছর বয়সী বাদশাহ সালমানের ফুসফুসের চিকিৎসা করানো হবে। আইজি মার্কেটস বিশ্লেষক টনি সাইকামোর বলেন, ‘বাদশাহর স্বাস্থ্য সমস্যার সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর খবর তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা যোগ করেছে। তেলের মূল্য আরও বাড়তে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি এমন হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। গত সপ্তাহে চীনের ঘোষণাও এখানে একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। আইএনজি গ্রুপের পণ্য কৌশলের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন বলেন, ‘তেলের বাজার মূলত সীমাবদ্ধ থাকে। এই সীমা থেকে বের হওয়ার জন্য আমাদের সম্ভত ওপেক+ নীতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ এ পরিস্থিতিতে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ অবস্থায় তেলের বাজারে এমনিতেই যে অনিশ্চয়তা আছে, তা আরও ঘনীভূত হবে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ২০০ দিনের গড় দাম ৮০ দশমিক শূন্য ২ ডলার অতিক্রম করেছে; এখন তা ৮৩ দশমিক ৫০ ডলারে উঠে যেতে পারে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটসের বিশ্লেষক টনি সিকামোর রয়টার্সকে বলেন, ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম বেড়ে যাওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। শুধু ইরানি প্রেসিডেন্টের দুর্ঘটনা ও সৌদি বাদশাহর স্বাস্থ্যগত কারণে নয়, চীন আবাসন খাতকে টেনে তুলতে গত সপ্তাহে যে প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, তার প্রভাবে তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে। চীন বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। এই দেশের চাহিদার ওপর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অনেকাংশে নির্ভর করে। গত সপ্তাহে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১ শতাংশ বাড়ে। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম সাপ্তাহিক হিসাবে ব্রেন্টের দাম বেড়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের বাজারের ইতিবাচক খবরের জেরে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম গত সপ্তাহে দুই শতাংশ বেড়েছে। আজ নতুন সপ্তাহের শুরুর দিন সেই ধারা আরও বেগবান হয়েছে।  
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড 
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এক আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৪১৪ ডলার ছাড়িয়েছে। শুধু জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম ৩৫০ ডলারের ওপরে বেড়েছে।  বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বর্ণের দামের এ উত্থানকে ত্বরান্বিত করেছে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধ, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর ব্যাপক ক্রয়। বিশেষত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ডলার ছেড়ে স্বর্ণে ভরসা রাখতে চাইছে দেশগুলো। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো স্বর্ণ ক্রয় বাড়িয়েছে ব্যাপকভাবে। টানা ১৪ বছর স্বর্ণ ক্রয় অব্যাহত রেখেছে বিশ্বের কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। স্বর্ণের দামে বিশ্ববাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হওয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের অলংকারের সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।  রোববার (১৯ মে) থেকে ভ্যাট ও মজুরিসহ প্রতি ভরি স্বর্ণের অলংকার কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৩১ হাজার ৪৯১ টাকা গুনতে হবে। দেশের বাজারে স্বর্ণের অলংকারের এত দাম আগে কখনো হয়নি। স্বর্ণের অলংকারের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হলেও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বর্তমানের থেকেও বেশি ছিল। দেশের ইতিহাসে এক ভরি স্বর্ণ সর্বোচ্চ এক লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা থেকে ২০ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই দামে স্বর্ণ বিক্রি হয়। সে সময় এক ভরি স্বর্ণের অলংকারের সর্বনিম্ন দাম নির্ধারিত হয় এক লাখ ২৯ হাজার ১১৯ টাকা। স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি না হলেও স্বর্ণের অলংকারের দামে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হওয়ার কারণ মজুরি। আগে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হতো ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। কিন্তু এই নিয়ম পরিবর্তন করে গত ১৪ মে ভরিপ্রতি ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ শতাংশ। এতেই নতুন দামে স্বর্ণের অলংকারের ক্ষেত্রে ভরিপ্রতি ন্যূনতম মজুরি দিতে হবে ৭ হাজার ১০৮ টাকা। বাজুসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রোববার (১৯) থেকে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ এক লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকায় বিক্রি হবে। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ ৮০ হাজার ১৩২ টাকায় বিক্রি হবে। অবশ্য স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গয়না বিক্রি হয়। একই সঙ্গে ভরিপ্রতি মজুরি ধরা হবে ন্যূনতম ৬ শতাংশ। ফলে এখন ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গয়না কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ৩১ হাজার ৪৯১ টাকা গুনতে হবে। এদিকে গত এক সপ্তাহে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫৫ দশমিক ৭৭ ডলার বা ২ দশমিক ৩১ শতাংশ। এরমধ্যে সবশেষ শুক্রবার বেড়েছে ৩৬ দশমিক ৪৫ ডলার বা এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।  স্বর্ণের রিজার্ভে শীর্ষ দেশগুলো হলো-ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের হিসাব অনুযায়ী, স্বর্ণের রিজার্ভের দিক থেকে বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির স্বর্ণের রিজার্ভ আট হাজার ১৩৩.৪৬ টন, যা মোট রিজার্ভের ৭১.৩৩ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে জার্মানি, দেশটির স্বর্ণের রিজার্ভ তিন হাজার ৩৫২.৩১ টন, যা মোট রিজার্ভের ৭০.৫৬ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে ইতালি, দেশটির স্বর্ণের রিজার্ভ দুই হাজার ৪৫১.৮৪ টন, যা মোট রিজার্ভের ৬৭.৫৫ শতাংশ। চতুর্থ অবস্থানে ফ্রান্সের স্বর্ণের রিজার্ভ দুই হাজার ৪৩৬.৯১ টন, যা মোট রিজার্ভের ৬৮.৬১ শতাংশ। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। দেশটির স্বর্ণের রিজার্ভ দুই হাজার ৩৩২.৭৪ টন, যা মোট রিজার্ভের ২৮.১৪ শতাংশ।
এবার নাগপুরের ব্যবসায়ীদের চোখ বাংলাদেশে 
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করির নেতৃত্বাধীন নাগপুরের সিন্দি মাল্টিমডেল লজিস্টিক পার্ক আগামী জুনে বাংলাদেশে রপ্তানি বাড়াতে যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিভাগের ওয়ার্ধা জেলার সিন্দি তহসিলে অবস্থিত এই বন্দরটি গত ১৪ মার্চ পরীক্ষামূলকভাবে উদ্বোধন করা হয়। বাণিজ্যিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলে জুনের মাঝামাঝি সময়ে এই পরিষেবা শুরু হবে।  আর তাতে বাংলাদেশে রপ্তানি করা পণ্য কন্টেইনারে করে ট্রেনে এবং নদীপথ হয়ে বাংলাদেশে পৌছাতে সময় লাগবে অন্তত এক সপ্তাহ। যেখানে সমুদ্রপথে আসতে সময় লাগতো ২০ থেকে ২৫ দিন।  ভারতীয় কন্টেইনার অপারেটরগুলো রপ্তানি বাড়াতে এখন বাংলাদেশের দিকে নজর দিচ্ছে। নাগপুর থেকে প্রাথমিকভাবে রপ্তানি করা পণ্যের মধ্যে আছে তুলা, অটোপার্টস, ট্রাক্টর এবং সুতা। এই পার্ক চালু হলে সেখান থেকে ২০ শতাংশ লজিস্টিকস সেবা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে নাগপুরের কন্টেইনার ডিপোগুলো ভারতীয় রেলওয়ে, ডিএলআই এবং আদানি গ্রুপের একটি সহায়ক সংস্থা কনকর দ্বারা পরিচালিত হয়। এর সঙ্গে সিন্দি এমএমএলপির সংযোজন মোট চারটিতে নিয়ে আসবে। অপারেটরদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমান পরিবহনের জন্য হয় যানজটপূর্ণ সড়ক পথ অথবা আঁকাবাঁকা সমুদ্র যাত্রার কারণে কলম্বো কিংবা সিঙ্গাপুর হয়ে ঘুরে যেতে হয়, যা মালবাহী খরচ এবং সরবরাহের সময়কাল উভয়ই বাড়িয়ে তোলে। নাগপুর থেকে কন্টেইনারবাহী ট্রেনটি হলদিয়া যাবে এবং সেখান থেকে নদীপথে বাংলাদেশে পৌঁছাবে। এর ফলে সড়ক বা সমুদ্রপথে ২০-২৫ দিনের তুলনায় এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।  ভারতের জাতীয় নৌপথের (এনডব্লিউ) মধ্যে সবচেয়ে বড় পথটি হলো গঙ্গা-ভাগীরথী ও হুগলি নদী হয়ে এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত। প্রায় ১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ পথকে ১৯৮৬ সালে জাতীয় নৌপথ-১ হিসেবে ঘোষণা করে ভারত সরকার, যেটি উত্তর প্রদেশকে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে যুক্ত করেছে। এরপর একে একে আরো পাঁচটি জাতীয় নৌপথ ঘোষণা করা হয়। এর চারটিই বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল। তিনটি দিয়ে এরই মধ্যে দুই দেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে। ২০২৩ সালে ৫৮ বছর পর চালু হয়েছে রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের ময়া নৌবন্দর।  ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত সুলতানগঞ্জ-ময়া ও গোদাগাড়ী-ভারতের লালগোলা নৌঘাটের মধ্যে নৌপথে বাণিজ্য চালু ছিল। পরে রুটটি বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ-প্রটোকলের আওতায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সুলতানগঞ্জ ঘাটটি নদীবন্দরের মর্যাদা পেয়েছে।  ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের ছয়টি জাতীয় নৌপথ হলো—গঙ্গা নদী দিয়ে এলাহাবাদ থেকে হলদিয়া পর্যন্ত (১ হাজার ৬২০ কিলোমিটার), যেটিকে বলা হচ্ছে এনডব্লিউ-১। ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে সাদিয়া থেকে ধুবরি পর্যন্ত ৮৯১ কিলোমিটার পথটি এনডব্লিউ-২। কেরালা ব্যাকওয়াটারে ২০৫ কিলোমিটার এনডব্লিউ-৩ কোট্টাপুরম থেকে গিয়েছে কোল্লাম পর্যন্ত। এনডব্লিউ-৪ বা গোদাবারি নদী ও কৃষ্ণা খাল দিয়ে ওয়াজিরাবাদ পর্যন্ত যাওয়া পথটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার। পূর্ব উপকূলসহ ব্রাহ্মণী নদী ও মহানদী ব-দ্বীপ প্রণালি হয়ে ব্রাহ্মণী নদী থেকে মহানদী পর্যন্ত ৬২৩ কিলোমিটার পথটিকে বলা হয় এনডব্লিউ-৫। বরাক নদী-লখিপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত এনডব্লিউ-৬ পথটি ১২১ কিলোমিটার। এনডব্লিউ-১, এনডব্লিউ-২, এনডব্লিউ-৫ ও এনডব্লিউ-৬ নৌপথে পড়েছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নদী ও সমুদ্র জলসীমা। এর মধ্যে এনডব্লিউ-১ কলকাতা-হলদিয়া-মোংলা হয়ে আশুগঞ্জ-শেরপুর দিয়ে করিমগঞ্জ, এনডব্লিউ-২ কলকাতা থেকে খুলনা-মোংলা হয়ে চিলমারী নদী দিয়ে ধুবরি-পান্ডু-শিলঘাট, এনডব্লিউ-৫ কলকাতা থেকে মেঘনা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে আসাম এবং এনডব্লিউ-৬ কলকাতা থেকে মেঘনা হয়ে আসাম গিয়েছে। এ চারটির তিনটি নৌপথেই ট্রানজিট ও ফ্রেন্ডশিপ চুক্তিতে দুই দেশের পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে।  বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিতে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে নদীপথ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাওয়া চারটি নৌপথ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারলে উত্তর প্রদেশ, বিহার, কলকাতা, উড়িষ্যা, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর ও মিজোরামে সরাসরি পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চালাতে পারবে ভারত। এতে নতুন মোড় নেবে ভারতীয় বাণিজ্যে। পাশাপাশি বাংলাদেশও লাভবান হবে।  সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের নৌপথে ভারতের নির্ভরশীলতা বাড়ার বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। এতে শুধু ভারত নয়, বাংলাদেশও লাভবান হবে। দুই দেশেই বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলে যাবে। তবে নৌ ট্রানজিট ব্যবহারে নৌপথ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে অবশ্যই ভারতকেও অংশ নিতে হবে। তাহলেই ভারতের নির্ভরশীলতা থেকে বাংলাদেশ লাভবান হতে পারবে। 
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৭ মে)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ৭ মে ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম   বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৭ টাকা ৮১ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৫ টাকা ৭২ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৪৬ টাকা ৩৭ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ২৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৪২ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৬ টাকা    সৌদি রিয়াল   ২৯ টাকা ২৭ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৪ টাকা ১০ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৬ টাকা ৮৪ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৭৭ টাকা ৫০ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
বিশ্ববাজারে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম
বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের দাম। সোমবার (৬ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে সরবরাহ হতে যাওয়া ব্রেন্ট ক্রুডের প্রতি ব্যারেলের দাম সোমবার ৫১ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ৪৭ ডলারে পৌঁছেছে। একইসঙ্গে ৫৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দামও। এর ফলে এ তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ঠেকেছে ৭৮ দশমিক ৬৪ ডলারে।  বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন জানান, গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। কিন্তু সপ্তাহের শুরুর এদিন সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ানো হয়েছে।  
ভেঙে গেল ভারতের ১২৭ বছরের পুরোনো গোদরেজ গ্রুপ
ভারতের জনপ্রিয় এবং পুরোনো ব্যবসায়ী গোষ্ঠী গোদরেজ গ্রুপের মালিকেরা তাদের ব্যবসা ভাগ করার বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। ফলে ১২৭ বছরের পুরোনো এই গ্রুপটি ভেঙে যাচ্ছে। নতুন করে গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ এবং গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুটো আলাদা গ্রুপ তৈরি হচ্ছে। ১৮৯৭ সালে গোদরেজ গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুই ভাই আরদেশির গোদরেজ এবং পিরোজশা বুরজোরজি গোদরেজ। গ্রুপের বর্তমান মালিকেরা প্রায় ৫৯ হাজার কোটি রুপির (৭০০ কোটি ডলার) ব্যবসা ভাগ করতে যাচ্ছেন। তবে গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ এবং গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ নামে দুটো আলাদা গ্রুপে ভাগ হয়ে ব্যবসা পরিচালনা করলেও তারা গোদরেজ ব্র্যান্ড ব্যবহার করতে পারবে। ৭৫ বছর বয়সী জামশিদ গোদরেজ ‘গোদরেজ এন্টারপ্রাইজ গ্রুপের’ (জিইজি) নেতৃত্বে থাকবেন। যিনি গ্রুপটির চেয়ারপারসন এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন। আর নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্বে থাকবেন নিরিকা হোলকার। এই গ্রুপটি গোদরেজ অ্যান্ড বয়েস কোম্পানির মালিকানা পেয়েছে যা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, অ্যারোস্পেস, তালা এবং নির্মাণ ব্যবসায় জড়িত। অন্যদিকে ৭৩ বছর বয়সী নাদির গোদরেজ ‌‘গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের’ (জিআইজি) নেতৃত্বে থাকবেন । তিনি গ্রুপটির চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জিআইজির যেসব কোম্পানির মালিকানা পেয়েছে তার মধ্যে আছে গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ, গোদরেজ কনজিউমার প্রোডাক্টস, গোদরেজ প্রপার্টিজ, গোদরেজ অ্যাগ্রোভেট এসটেক লাইফসাইন্সেসের মত প্রতিষ্ঠান। নাদির গোদরেজের ভাই আদি গোদরেজ এবং পরিবারের সদস্যরা গ্রুপটির পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। ২০২১ সালের আগস্টে গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সী আদি গোদরেজ । তিনি তার ভাই নাদির গোদরেজের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। ২০২৬ সালের আগস্টে নাদির গোদরেজের পরিবর্তে গোদরেজ ইন্ডাস্ট্রিজ গ্রুপের মালিকানা পাবেন আদি গোদরেজের ছেলে পিরোজশা গোদরেজ। সূত্র : রয়টার্স