• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান  / বিদেশি কোম্পানিকে দেওয়া হচ্ছে বাড়তি সুবিধা
চাপে আছে মার্কিন ডলার, কমছে মান 
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও টালমাটাল হতে শুরু করেছে। অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে মার্কিন ডলারের দামে পতন হয়েছে। আগামী দিনও এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। শনিবার (৯ মার্চ) রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, গত শুক্রবার (৮ মার্চ) ডলারের সবচেয়ে বাজে অবস্থায় রয়েছে।  গেল জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে সুদের হার কমতে শুরু করবে বলে আশা প্রকাশ করায় অস্ট্রেলিয়ান ও নিউজিল্যান্ডের ডলার বেড়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৯ শতাংশ এবং নিউজিল্যান্ড ডলারের সূচক বেড়েছে শূন্য দশমিক ০৫ শতাংশ। এদিকে জাপানি ইয়েন ডলারের বিপরীতে পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দরে উঠেছিল। ডলার ০ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে ১৪৭ দশমিক ০৫ ইয়েনে ছিল, এটি ২ ফেব্রুয়ারির পর থেকে সবচেয়ে দুর্বলতম। ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর ০ দশমিক ০৬ শতাংশ কমে ১ দশমিক ০৯৪২৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ডলার চাপে পড়ায় এই সপ্তাহে ইউরো উত্তোলন বেড়েছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল বলেন, সুদের হার কমানোর জন্য যে আত্মবিশ্বাস দরকার ফেডারেল রিজার্ভ তা থেকে ‘খুব বেশি দূরে নয়’। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমালে মুদ্রা সাধারণত দুর্বল হয়ে পড়ে। ইক্যুইটি ক্যাপিটালের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্টুয়ার্ট কোল বলেন, বাজার কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে, আমি মনে করি, সাম্প্রতিক মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফেডারেল রিজার্ভ শিগগিরই সুদের হার কমানোর অবস্থানে থেকে সরে আসবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, শ্রম বিভাগের শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো শুক্রবার কর্মসংস্থান প্রতিবেদনে বলেছে যে গত মাসে ২ লাখ ৭৫ হাজার চাকরি তৈরি হয়েছে। জানুয়ারির তথ্য সংশোধন করে দেখা গেছে, আগের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩ লাখ ৫৩ হাজারের পরিবর্তে ২ লাখ ২৯ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন মাস বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশে থাকার পর ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশে।
বিশ্ববাজারে কমেছে খাদ্য পণ্যের দাম: জাতিসংঘ
বিশ্ববাজারে সর্বকালের সর্বোচ্চ দরে স্বর্ণ
অর্থনীতিতে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ হচ্ছে রাশিয়া
বিশ্ববাজারে লাফিয়ে বাড়ছে স্বর্ণের দাম
উন্নয়নশীল হলেও বাংলাদেশ শুল্ক সুবিধা পাবে আরও ৩ বছর
উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় নাম উঠলেও তিন বছর শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় যাওয়ার কথা বাংলাদেশের নাম।  সংস্থাটির ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে এমন শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এবার একই সিদ্ধান্ত নিল জাতিসংঘ। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আবুধাবিতে ডব্লিউটিওর ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীরা উন্নয়নশীল দেশের খ্যাতি অর্জনের পরও কিছু দেশের জন্য স্বল্পোন্নত দেশের বাণিজ্য সুবিধা বজায় রাখতে রাজি হন। বাংলাদেশসহ বিশ্বে এখন স্বল্পোন্নত দেশের সংখ্যা ৪৫টি। এর মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়ায় আছে বাংলাদেশসহ ছয় দেশ। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) এলডিসিভুক্ত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের বিষয়ে সুপারিশ করে। নিয়ম অনুযায়ী, এলডিসি তালিকা থেকে উত্তরণের পর বিশ্বের বেশিরভাগ বাজারেই শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। তবে গত অক্টোবরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) জানায়, স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যেতে সহায়তার অংশ হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। গত শুক্রবার শেষ হওয়া ডব্লিউটিও সম্মেলনের খসড়া ঘোষণায় বলা হয়, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৯ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল ও উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোয় রপ্তানি পণ্যের জন্য স্বল্প বা শূন্য শুল্ক সুবিধা ভোগ করবে। ঘোষণাপত্রে আরও বলা হয়, ডব্লিউটিওর বিরোধ নিষ্পত্তি সমঝোতার ২৪ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের ঘোষণার দিন থেকে সেসব দেশ পরবর্তী তিন বছর এ সুবিধা পাবে। এ ছাড়াও, সেসব দেশ ডব্লিউটিওর কারিগরি সহায়তা ও প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার আওতায় তিন বছর পর্যন্ত কারিগরি সহায়তা পাবে।
বিশ্ববাজারে কমে চলেছে সয়াবিনের দাম 
বিশ্ববাজারে সয়াবিন তেলের দাম আরেক দফা কমে গেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে (সিবিওটি) ভোজ্যতেল তৈরির মূল উপকরণটির মূল্য গত ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দিনে আরও নেমে যাবে সয়াবিনের দাম।  বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারভিত্তিক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নাসডাকের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। সয়াবিনের এই দরপতনের কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে এই মূহুর্তে সয়াবিনের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। তার উপর রপ্তানি আরও বাড়িয়েছে বিশ্বের শীর্ষ সয়াবিন উৎপাদনকারী দেশ ব্রাজিল। কারণ, দেশটিতে এবার রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হয়েছে। ফলে চাপে পড়েছে পণ্যটির বৈশ্বিক বাজার।  আলোচ্য কার্যদিবসে সিবিওটিতে সয়াবিনের সরবরাহ মূল্য কমেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। প্রতি বুশেল (৩৫.২৪ লিটার) তেলের দাম স্থির হয়েছে ১১ ডলার ৪০ সেন্টে।  বিশ্বখ্যাত কৃষি পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান এপিসোড থ্রি’র বিশ্লেষক এন্ড্রৃ হোয়াইট ল’ বলেন, দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ (ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে প্রভৃতি) থেকে বিশ্ববাজারে সয়াবিনের সরবরাহ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পণ্যটির বৈশ্বিক মূল্য হ্রাস পাচ্ছে। আমরা আশা করছি, আগামী দিনেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। চলতি মৌসুমে ব্রাজিলে সর্বমোট ১৫৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদন হতে পারে। যা গত বছরের রেকর্ডের কাছাকাছি। প্রতিবেশী আর্জেন্টিনাতেও এই তেলবীজের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে।   
স্বর্ণের দাম কমলো বিশ্ববাজারে
আন্তর্জাতিক বাজারে গত কিছুদিন ধরেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল স্বর্ণের দাম। একপর্যায়ে বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে উঠেছিল তা। অবশেষে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এসে দর কমেছে স্বর্ণের। মূলত মার্কিন ডলারের মান বেড়ে যাওয়ায় স্বর্ণের এই দরপতন হয়েছে। খবর রয়টার্সের।  প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে বুলিয়ন বাজার সমর্থন পেয়েছে। পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল স্বর্ণের দাম। কিন্তু ইউএস ডলার তার শক্তি ফিরে পেতে থাকায় সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ধাতুটির দর কমেছে। অবশ্য শিগগিরই সুদের হার কমাতে চাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড)। কারণ, দেশটির অর্থনীতি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে। মূল্যস্ফীতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেখানে।   সোমবার স্পট মার্কেটে বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দর হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ। প্রতি আউন্সের মূল্য স্থির হয়েছে ২০৩২ ডলার ৩ সেন্টে। একই কর্মদিবসে ফিউচার মার্কেটে যুক্তরাষ্ট্রের বেঞ্চমার্ক স্বর্ণের দরপতন ঘটেছে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। আউন্সপ্রতি দাম নিষ্পত্তি হয়েছে ২০৪১ ডলার ৫ সেন্টে। বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কেসিএমের প্রধান বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, নতুন সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্ববাজারে দর হারিয়েছে স্বর্ণ। কারণ, ডলারের মূল্যমান বেড়েছে। তবে এখনও ভূরাজনৈতিক উদ্বেগ দূর হয়নি। ফলে বিনিয়োগকারীদের রাডারেই থাকছে স্বর্ণ। তাদের কাছে মূল্যবান ধাতুটির আবেদন রয়েছে। তাই সহসাই স্বর্ণের দর একেবারে পড়ে যাবে বলে মনে হয় না। 
ডব্লিউটিও সম্মেলন সোমবার, কী চায় বাংলাদেশ? 
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আগামীকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) শুরু হতে যাচ্ছে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। চারদিনব্যাপী এ সম্মেলন চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সম্মেলনে ৮ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ ঘটবে, এমন প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত দুই বছর পর পর ডব্লিউটিও’র সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কৃষি ও মৎস্য খাতের ভর্তুকি, মেধাস্বত্ব সুবিধা, ই-কমার্স এবং বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের সম্মেলনে।  আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। বাংলাদেশ এলডিসিভুক্ত ও অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের চেষ্টা করে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘এবারের সম্মেলনে আমরা বাংলাদেশের জন্য কোনও নির্দিষ্ট বিষয় আলাদাভাবে ফোকাস করছি না। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণ পরবর্তীতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ও মেধাস্বত্তসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা যেন আরও কয়েক বছর অব্যাহত থাকে, এটা আমরা চাচ্ছি।’ তিনি জানান, এলডিসি হিসেবে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণসহ কারিগরি সহযোগিতা ও ডিসপুট সেটেলমেন্টের যে সুবিধা পাওয়া যায়, উত্তরণের পরেও কয়েকবছর এই সুবিধা বহাল রাখতে চাই। বাংলাদেশ এ বিষয়ে জোরালো দাবি রাখবে। এলডিসি উত্তরণ পরবর্তীতে মৎস্যখাতে ভর্তুকি প্রদানের সুবিধা বহাল রাখার বিষয়টিও অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ।     
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (২০ ফেব্রুয়ারি)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা ইউ এস ডলার ১২২ টাকা ২ পয়সা ইউরোপীয় ইউরো ১৩১ টাকা  ৩৫ পয়সা ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫২ টাকা  ৬০ পয়সা ভারতীয় রুপি ১ টাকা ২৯ পয়সা  মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৫ টাকা ৩৫ পয়সা সিঙ্গাপুরের ডলার ৮৯ টাকা  সৌদি রিয়াল ২৯ টাকা ২৭ পয়সা কানাডিয়ান ডলার ৮৮ টাকা  অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৮ টাকা ৯০ পয়সা   কুয়েতি দিনার ৩৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।
বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্য বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ জরুরি
বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য পণ্য বহুমুখীকরণের উপর গুরুত্বারোপ করেছে উভয় দেশ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  বিজ্ঞপ্তিতে হাইকমিশন জানায়, ১১ থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া সফর করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সফরকালে তার সঙ্গে বৈঠকে অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক কমিশনের উপ-নির্বাহী প্রধান ফিলিপ্পা কিং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি দুদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণের ওপর জোর দেন। এ সময় তপন কান্তি ঘোষ তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে তথ্য প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও শিক্ষার বিষয় উল্লেখ করেন। অস্ট্রেডের উপ-নির্বাহী প্রধান উচ্চ শিক্ষার বিকল্প মডেল হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীদারত্ব বাড়ানোর ওপর জোর দেন। বৈঠকে উচ্চ শিক্ষা ছাড়াও কারিগরী শিক্ষা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চাওয়া হয়। দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ যৌথভাবে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সেমিনার আয়োজনের বিষয়েও এ সময় আলোচনা হয়।   সিনিয়র সচিব এ সফরকালে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রথম সহকারী সচিব গ্যারি কাওয়ান, অস্ট্রেলিয়ান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির বাণিজ্য বিষয়ক প্রধান ক্রিস বার্নস এবং সেদেশে স্থানীয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া চেম্বারের সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। তপন কান্তি ঘোষ অস্ট্রেলিয়ার গ্যারি কাওয়ানের সঙ্গে বৈঠককালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত রাখার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থন কামনা করেন। এছাড়া আগামী মে মাসে অনুষ্ঠিতব্য জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভায় ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্টেকে পরবর্তী ধাপে উন্নয়নের জন্য করণীয় সম্পর্কিত আলোচনা হয় এই বৈঠকে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের আয়োজনে সিডনিতে অনুষ্ঠিত সেমিনারেও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তপন কান্তি ঘোষ। সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া বক্তারা বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। বর্তমানে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চার বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের অধিক। গত দশকে দুদেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ১১ শতাংশ। বাংলাদেশ–অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিশীল এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১২ ফেব্রুয়ারি)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার  ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম বাংলাদেশি টাকা ইউ এস ডলার ১২২ টাকা ২ পয়সা ইউরোপীয় ইউরো ১৩২ টাকা ০০ পয়সা ব্রিটেনের পাউন্ড ১৫৪ টাকা  ৪০ পয়সা ভারতীয় রুপি ১ টাকা ২৯.৬৩ পয়সা  মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত ২৫ টাকা ৬৮ পয়সা সিঙ্গাপুরের ডলার ৯০ টাকা ৩৬ পয়সা  সৌদি রিয়াল ২৯ টাকা ২৭ পয়সা কানাডিয়ান ডলার ৮৯ টাকা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার ৭৯ টাকা ০১ পয়সা   কুয়েতি দিনার ৩৯৮ টাকা ৭২ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।