• ঢাকা শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo

আয় কত টাকা, লুকোচুরি কেন ট্রাম্পের?

আরটিভি অনলাইন ডেস্ক

  ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ১৩:৫১

গত কয়েক দশক মার্কিন প্রেসিডেন্টরা তাদের ট্যাক্স রিটার্ন দিয়ে আয়-ব্যয়ের জানান দিয়ে আসছেন। এতে সাধারণ মানুষ প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে এক ধরনের স্বচ্ছতাও পেয়ে থাকে। কিন্তু উল্টোপথে হাঁটছেন শুধু ক্ষমতাসীন ডোনাল্ড ট্রাম্প!।

মঙ্গলবার কর দিবসে রিটার্ন দাখিলের সময় নির্ধারিত থাকলেও তিনি দেননি। উল্টো এই সময় আরও ৬ মাস বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন প্রশাসনের কাছে।

হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্প তার আগের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের ব্যাপারটি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে তিনি ২০১৭ সালের রিটার্ন প্রস্তুত নিয়ে জটিলতা দেখিয়ে প্রশাসনের কাছে আরও ৬ মাস সময় চেয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা যখন কর সংস্কার নিয়ে মানুষের মনে ট্যাক্স দিলে সঞ্চয় বাড়বে-এমন বার্তা দিচ্ছেন; বাইরে বলে বেড়াচ্ছেন- তার ট্যাক্স কর্তন বিলে সুবিধা ভোগ করছে অনেক মানুষ, ঠিক তখনই নিজের রিটার্ন দাখিল নিয়ে এই বার্তা এলো।

--------------------------------------------------------
আরও পড়ুন : ইসলামী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান
--------------------------------------------------------

ইউএসএ টুডে’তে প্রকাশিত এক নিবন্ধে ট্রাম্প লিখেছেন, কর দিবসে আমেরিকা আরও গর্জে উঠছে। বেতন বাড়ছে। করের হার কমছে। আমেরিকায় বিনিয়োগের জোয়ার বইছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমেরিকার মানুষ জয়লাভ করছে।

তার এই বক্তব্যে এদিন রিটার্ন দাখিল করতে আরও প্রণোদনা পায় মানুষ। অন্যবারের চেয়ে রিটার্ন দাখিল বেড়ে যায়। কিন্তু ট্রাম্পের বেলায় ঘটলো উল্টোটা। রিটার্ন দাখিলে তার এই সময় বাড়ানোর আর্জি মানুষকে প্রেসিডেন্টের আয়-ব্যয়ের হিসাব ‘গোপন রাখতে হয়’ এমন বার্তা দিচ্ছে।

এর আগের প্রেসিডেন্টরা নিয়মিত তাদের কর রিটার্ন দাখিল করে গেছেন। পরে সেগুলো জনসম্মুখেও প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টরা বছরে কত টাকা আয় করছেন, দাতব্য সংস্থায় কত টাকা দিচ্ছেন- তা সাধারণ মানুষের কাছে উঠে আসে।

২০০৯ সালে বারাক ওবামা যখন ক্ষমতায় আসেন, তখন থেকেই তিনি রিটার্ন দাখিল করে গেছেন। তার রিটার্ন থেকে উঠে এসেছে- তিনি নিজের বেতন ও তার বই বিক্রি থেকে আসা টাকায় কোটি কোটি ডলার উপার্জন করতে সক্ষম হন।

আয়কর রিটার্ন দাখিলে রিচার্ড এম নিক্সনই প্রথম আধুনিক প্রেসিডেন্ট। তিনি জনসম্মুখে তার রিটার্ন তুলে ধরেন। যদিও বলা হয়, কেলেঙ্কারির দায়ে তিনি এটা করেন।

এরপর সব প্রেসিন্ডেন্টই আয়কর রিটার্ন দাখিল করে যাচ্ছেন। কিন্তু ট্রাম্পের এই মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন সবাইকে ‘আশ্চর্য’ করে দিচ্ছে।

ট্রাম্পের গতবছরও তার ২০১৬ সালের রিটার্ন দাখিল নিয়ে গড়িমসি করেন। ওই সময়ও তিনি ৬ মাস মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছিলেন। এরপর অবশ্য কেটে গেছে প্রায় ১৫ মাস।

প্রেসিডেন্টের কর বিষয়ক আইনজীবীরা ২০১৭ সালের কর রিটার্নের জন্য এক বছরের বেশি সময় নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও ট্রাম্প কেন আরও সময় চাচ্ছেন তার ব্যাখ্যা হোয়াইট হাউজ দেয়নি।

আরও পড়ুন :

এসআর/সি

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
রপ্তানিকারকদের আয় ৩০ শতাংশ বেড়েছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা আয়ারল্যান্ডের
ভিসা জটিলতায় আয়ারল্যান্ড সিরিজে অনিশ্চিত আমির
এপ্রিলে প্রবাসী আয় প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা
X
Fresh