• ঢাকা সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo

খোলা সয়াবিন তেল বিক্রির সময় বাড়ল

আরটিভি নিউজ

  ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০০:৫২
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ
ফাইল ছবি

৬ মাস পর বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করা যাবে না। এরপর খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা জানান।

সোমবার (৭ আগস্ট) খোলা সয়াবিন তেল বিপণন ও বিক্রয় বন্ধের বিষয়ে সচেতনতানূলক এ সভার আয়োজন করে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। চাহিদার শতভাগ সয়াবিন তেল প্যাকেটজাত করে বিপণনের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভায় ব্যবসায়ীরা জানান, খোলা ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধের বিষয়ে তারা একমত। কিন্তু বর্তমানে শতভাগ ভোজ্যতেল প্যাকেটজাত করে বিপণনের ক্ষেত্রে তারা প্রস্তুত না। সরকারের এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে তাদের আরো সময় প্রয়োজন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, সকলের সমন্বয়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাজারে সম্পূর্ণরূপে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করতে চাই। ব্যবসায়ীরা খোলা বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি বন্ধের জন্য আরো সময় চান। তবে ৬ মাসের মধ্যে খোলা বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের আইনে ভোজ্যতেলে ভিটামিন ‘এ’ অন্তর্ভুক্তকরণের বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয়। এ ছাড়া ২০১৯ সালের আইনে ভোজ্যতেল প্যাকেট বা বোতলজাত করার বিধান রাখা হয়েছে। এর জন্য গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত সময় নির্ধারিত ছিল। এ সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেল প্রস্তুত ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান শতভাগ বোতলজাত ও প্যাকেটজাত করতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, খোলা সয়াবিন তেলে ভেজাল দেওয়া হচ্ছে। পাম তেল সয়াবিন বলে বিক্রি হচ্ছে। এতে করে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন। কেজিতে ২০ টাকার ওপরে দাম দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ অবস্থায় আইনটি বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধে এর আগেও একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা কার্যকর করা যায়নি।

সফিকুজ্জামান বলেন, বলেন, খোলা তেলের ড্রামগুলো বেশিরভাগই কেমিক্যালের ড্রাম। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও আছে। এসব ড্রামে তেলাপোকা, ইঁদুর পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য পাম ও সয়াবিন তেল বোতলজাত করতে হবে। কেননা ইতোপূর্বে তিনবার তারিখ পেছানো হয়েছে। ৩১ জুলাই পুরোপুরি বোতলজাত করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের সময় চাওয়ার বিষয়টি বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে জানাব। আমরা বলেছি, সাত দিনের মধ্যে একটি কর্ম পরিকল্পনা দিতে হবে। যাতে উল্লেখ থাকবে কতদিনের মধ্যে কী কী পদক্ষেপ কম্পানিগুলো নেবে।

সভায় সিটি গ্রুপের উপদেষ্টা অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, শতভাগ বোতলজাত সয়াবিন তেল বাজারজাতে আরো সময় লাগবে। খোলা সয়াবিন তেল বাজারজাত করা এখনই বন্ধ করা সম্ভব নয়। এতে বাজারে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য ছয় মাস সময় বৃদ্ধি করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে কম্পানিগুলো নিজেদের সক্ষমতা অর্জন করে ফেলবে। কেউ কেউ বাকি থাকলে সেটি আলোচনা করে সমাধান করা হবে।

সভায় বক্তব্য দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, বাংলাদেশ পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মওলা, এস আলম গ্রুপের সিনিয়র ম্যানেজার কাজী সালাহ উদ্দীন আহমেদ, রূপচাঁদার জেনারেল ম্যানেজার রবিউল ইসলাম, বিএসটিআইর সহকারী পরিচালক মনির হোসেন প্রমুখ।

মন্তব্য করুন

daraz
  • অর্থনীতি এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
মায়ের গয়না বিক্রি করে নির্বাচন করেছেন নিপুণ
৮ দিনেও বিক্রি হয়নি হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি করা পেঁয়াজ
প্রতি ডলার ১১৮ টাকারও বেশি দামে বিক্রি করছে ব্যাংকগুলো
নওগাঁয় আড়াই হাজার কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনা
X
Fresh