• ঢাকা বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১
logo
হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
কুষ্টিয়ায় ৫১২ মসজিদ ও ঈদগাহে নামাজ আদায়
কুষ্টিয়ায় ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ৫১২ মসজিদ ও ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে প্রধান জামাতে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লির সঙ্গে ঈদুল আজহার নামাজে শরিক হন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি।  এ সময় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজাসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঈদের নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে দেশের মঙ্গল ও শান্তিকামনায় দোয়া করা হয়।  এ সময় দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান হানিফ। তিনি বলেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হোক সব মানুষের জীবন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন হানিফ। পরে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলি শেষে নিজ নিজ বাড়িতে পশু কোরবানির মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় সবাই ঈদুল আজহা পালন করছেন।
‘জীবন দিয়ে হলেও ৬ স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করব’
‘দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে সরকার’
‘তারেককে দেশে এনে শাস্তি দিলে বিএনপির অরাজকতা বন্ধ হবে’
কুষ্টিয়ায় মহাপ্রভুর ভোগ মহোৎসব অনুষ্ঠিত
কুষ্টিয়ায় কুলখানি নিয়ে সংঘর্ষ, নিহত ১
কুষ্টিয়ার হাতিয়ায় নিঃসন্তান চাচির কুলখানি নিয়ে ভাতিজাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বকুল বিশ্বাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে আরও ৮ জন। সোমবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া পূর্বপাড়া গ্রামে ঘটে এ ঘটনা।  নিহত বকুল বিশ্বাস একই এলাকার আফতাব বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন চাল ব্যবসায়ী ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার এস আই মেহেদী হাসান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কয়েক দিন আগে বকুল বিশ্বাসের চাচি মারা যান। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন। চাচির কুলখানিতে অন্যান্য চাচাতো ভাইয়েরা বড় করে আয়োজনের মাধ্যমে তাদের সমাজের লোকজনকে খাওয়ানোর দাবি তোলেন। এতে আপত্তি জানান বকুল বিশ্বাস ও তার পরিবারের লোকজন। শনিবার বকুল বিশ্বাস তাদের সমাজের কিছু লোকজন নিয়ে চাচির কুলখানির কাজ শেষ করে ফেলেন। এরই জের ধরে রাতে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এসআই মেহেদী হাসান বলেন, ‘দাওয়াত খাওয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক দলাদলি থেকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহিন আক্তার বলেন, ‘এশার নামাজের পর আমরা এলাকার একটি চায়ের দোকানে বসেছিলাম। এ সময় বকুলের চাচাতো ভাই শিপন বিশ্বাসসহ তার ২০-২৫ সহযোগী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় বকুলসহ ৮ জন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ৪ জনকে ভর্তি করা হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক বকুলকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি আহতদের চিকিৎসা চলছে।’ কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘রাতে চারজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে বকুল নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলা
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় মাহবুবউল আলম হানিফ এমপির চাচাত ভাই আতাউর রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন হামলার শিকার হয়েছেন। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (৬ মে) প্রচারণার শেষ সময়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের বড় স্টেশনের সামনে তার ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় তাকে অপহরণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন এ চেয়ারম্যান প্রার্থী।  কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সাংবাদিকদের আবু আহাদ আল মামুন জানান, রাত সাড়ে ৮টার পর শহরের বড় স্টেশনের পেছনে তার নির্বাচনী অফিসে বসেছিলেন তিনি। হঠাৎ বেশকিছু লোকজন এসে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা এসে বলে, আতা ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভোট করছিস, সাহস পেলি কোথায়। এই বলে তাকে কিলঘুসি ও লাঠি দিয়ে মাথায়সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এ সময় তার পরিহিত পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলা হয়। আহত অবস্থায় ফেলে গেলে পরে কর্মীরা মামুনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তিনি জানান, এর আগেও ভোট থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আতাউর রহমান আতার লোকজন তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। ঢাকার বাসায় গিয়েও খুঁজে এসেছেন। এ ছাড়াও রোববার কুষ্টিয়া শহরে প্রচার মাইক ভাঙচুর ও প্রচারকারীকে মারধর করেছে।   হামলার বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আতাউর রহমান আতা বলেন, ‘মনে হচ্ছে তিনি মার খাওয়ার নাটক করেছেন। তার চশমা ঠিক আছে, মোবাইল হাতেই রয়েছে। তবে কেউ যদি হামলা করে থাকেন তার দায় আমি নেব না।’ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি বলেন, ‘আবু আহাদ আল মামুন হামলার শিকার হয়েছেন এমন খবর পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক হাসপাতালে এসে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিয়েছি। আল মামুন তার ওপরে হামলাকারী কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নষ্টকারী এসব হামলাকারী সে যেই হোক না কেন দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে ৮ মে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আতাউর রহমান আতা আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকে আবু আহাদ আল মামুন।
যুবকদের সিগারেট খেতে মানা করায় শিক্ষককে ছুরিকাঘাত
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে যুবকদের সিগারেট না খেতে বলায় শামীম হোসেন নামে এক কলেজশিক্ষক ও তার ভাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ওই শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর চালানো হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টায় কুষ্টিয়ার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের ফারাজীপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতের শিকার শামীম হোসেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার হালসা কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক। এ ছাড়াও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকেও ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আহত দু’জনকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখন তারা সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফারাজীপাড়া জামে মসজিদের পাশে একটি দোকানে এলাকার কয়েকজন যুবক সিগারেট খাচ্ছিলেন। এমন সময় ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন তাদের সিগারেট খেতে নিষেধ করলে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে এলাকার স্থানীয় যুবক জয়, প্রান্ত, জিসান, সাফায়েত, রাব্বি, হাবিবসহ বেশ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কলেজশিক্ষক শামীম, তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে  মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। পরে ওই কলেজ শিক্ষকের বাড়িঘর ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয়রা শামীম ও তার ভাই শাহীন বিশ্বাসকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় রাতেই ওই কলেজ শিক্ষক শামীম হোসেন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২ জন আসামিকে পুলিশ রাতেই গ্রেপ্তার করেছে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ সোহেল রানা। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ২ আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মাজা ভাঙা দল বিএনপি : হানিফ 
মাজা ভাঙা দল বিএনপি বলেই ঘরে উঠে গেছে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ নিজেই এক জনসভায় বলেছিলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া মা-বেটা মিলেই দেশটারে গিলে খাইলো। এবং বলেছিলেন এই দুজনই দেশ ধ্বংসের মূল কারণ। যেখানে তাদের দলের একসময়ের নেতা ও ঘনিষ্ঠজনরাই এসব কথা বলেন। সেখানে মির্জা ফখরুল ইসলামরা নতুন করে সাধু সেজে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এটা করে কোনো লাভ নেই।  এ সময় তিনি আরও বলেন, কোথাও যুদ্ধ হোক এটা আমরা সমর্থন করি না। আমরা চাই গোটা পৃথিবীই শান্তিপূর্ণ থাকুক। ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলের হামলারও আমরা প্রতিবাদ করেছি। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেরও আমরা বিপক্ষে ছিলাম। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চাই।  এ সময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম বিপ্লবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মামলা করায় বাদীর পরিবারে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট
পূর্ববিরোধে হামলার মামলা করায় বাদীর পরিবারের ওপর ফের হামলা করেছে আসামিরা। এ সময় বাদীর বাড়িঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। হামলায় বাদীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামে।  স্থানীয়রা জানান, কমলাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী উজ্জ্বল আলীর সঙ্গে জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষ ডাবলু সরদারের লোকজনের সঙ্গে বিরোধের সূত্রপাত। এরপর গত বছরের ২৪ এপ্রিল উজ্জ্বলের দাদির চল্লিশা অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া নিয়ে ফের বিরোধ হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানস্থলে ভাঙচুর চালায় প্রতিপক্ষরা।  এরপর ৮ মে প্রতিপক্ষরা উজ্জ্বলের ওপর হামলা চালায়। তাকে মারপিট করে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। এ নিয়ে উজ্জ্বলের বোন দুনিয়া আদালতে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে চাপ ও হুমকি দিতে থাকে। কোনো-না কোনো অজুহাতেই আসামিরা বাদীর ওপর হামলা করতে থাকে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পরদিনও (৮ জানুয়ারি) উজ্জ্বলের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে বাড়িছাড়া হয় উজ্জ্বলের পরিবার। এ যাত্রায় পুলিশ বিষয়টি মিটমাট করে দিয়ে উজ্জ্বলের পরিবারকে বাড়িতে তুলে দেন।  মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পূর্বের মামলার নোটিশ আসে বাড়িতে। পিয়ন নোটিশে স্বাক্ষর করার কথা বললে বিষয়টি জেনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আসামি পক্ষ। নিজেদের লোকজনকে জড়ো করে উজ্জ্বলের বোনের বাড়িঘরে মামলা চালায় তারা। এ সময় বাড়ির সবকিছু ভেঙে নষ্ট করে তারা। এ ছাড়াও টিভি, ফ্রিজ, সোনার গহনা, নগদ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায় তারা। লাঠির আঘাতে উজ্জ্বলের চাচি শিরিনা, বোন দুনিয়া খাতুন ও ফারিয়া খাতুন আহত হন। বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় আসামি পক্ষ ডাবলু সরদার ও তার সঙ্গে থাকা ১০ থেকে ১২ জন লাঠিসোঁঠা দিয়ে বাড়িঘরে থাকা সব জিনিসপত্র ভেঙে ফেলে। এ সময় বাধা দিতে এলে এই তিন নারীকে মারধর করে তারা।  আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এবার উজ্জ্বলের বোন দুনিয়া খাতুন আবারও কুষ্টিয়া মডেল থানায় এই হামলার মামলা দায়ের করেছেন।  এ ব্যাপারে মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুস্তাফিজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিরোধ মিটানোর জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। তদন্ত করে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
‘জনগণ রায় দেবেন, মেনে নেব’
দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের নৌকার প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।  হানিফ বলেন, জনগণ যে রায় দেবেন, তা মেনে নেবেন তারা। সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। এ সময়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নাশকতার বিপক্ষে আরেকটি রায় প্রদানের আহ্বান জানান হানিফ। ইসির দেওয়া তথ্যমতে, নির্বাচন ঘিরে সারাদেশে পাঁচ লাখ ১৬ হাজার আনসার, এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ পুলিশ, ৪৬ হাজার ৮৭৬ বিজিবি, দুই হাজার ৩৫০ কোস্টগার্ড এবং ৭০০ এর বেশি র‍্যাব টহলে থাকবে। তাদের সঙ্গে ভোটের মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। এ ছাড়া আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরাও মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবেন ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা সদস্য। এবার নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন পুরুষ, ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন নারী এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকক্ষ ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ভোট হচ্ছে ব্যালট পেপারে। এবারের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ভোট হবে ২৯৯ আসনে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। নির্বাচনে ২৮টি দল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র ৪৩৬ জন। নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ২৬৬ জন প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ জন প্রার্থী দিয়েছে জাতীয় পার্টি এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ জন প্রার্থী রয়েছেন ‘সোনালী আঁশ’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে আসা তৃণমূল বিএনপি। এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। দলটি সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে সফলতা না পেয়ে নির্বাচনের দুই মাস আগ থেকে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নেয়। এতে সরকারকে চাপে ফেলতে না পেরে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলনের’ ডাক দেয় দলটি। পাশাপাশি সরকারকে সকল প্রকার কর, খাজনা, পানি, গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল দেওয়া স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় দলটি।